Logo
শিরোনাম

গাজীপুর বাসীর নগরমাতা হলেন জায়েদা খাতুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুরবাসী নগরমাতা হিসেবে পেয়েছেন তাদের সাবেক মেয়র এর মা জায়েদা খাতুন কে।

গত ২০১৩ ইং সালে যাত্রা শুরু করা দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন এর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ইতিপূর্বে মেয়রের মা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জায়েদা খাতুন। 

১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে তিনি হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।

মোট ৪শ' ৮০ টি কেন্দ্রে এর ফলাফলে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯শ' ৩৪ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭শ' ৩৭ ভোট।

বিগত প্রথম বার ২০১৩ ইং সালের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী এম. এ মান্নান এর কাছে হেরেছিলেন আজমত। বলা যায় এবারের হারে গাজীপুরে তাঁর রাজনীতির পথ অনেকটাই সংকুচিত হলো।

বে-সরকারি ভাবে ফল ঘোষণার পর পরই সেখানে উপস্থিত গাজীপুরের সাবেক মেয়র, আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, এ জয় গাজীপুর বাসী তথা গাজীপুর এর মানুষের।

নির্বাচনটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কারণে ধারণা ছিলো ভোট গ্রহণের পর ঘন্টা দুয়েক এর মধ্যেই হয়তো ফলাফল ঘোষণা হয়ে হবে। ঘোষণা করতে সেই সময় গিয়ে ঠেকল রাত দেড় টায়। রাত সোয়া একটার কিছু পরেই ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্য সবগুলোর  ফলাফল ঘোষণা করেন জিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম। এ সময় বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছাড়া আর কোনো মেয়র প্রার্থী বা তাদের সমন্বয়কদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। 


এ সময় পুলিশের উপ-কমিশনার ইব্রাহীম খান বলেন, ফল ঘোষণার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো মিছিল এবং স্লোগান দেওয়া যাবে না। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা যেভাবে ভোট দিয়েছেন। ফলাফল হয়েছে সবাই মেনে নিয়ে সংযত থাকবেন।

২০১৮ ইং সালে নৌকা প্রতীকে গাজীপুর এর নগর পিতা নির্বাচিত হোন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি'র অভিযোগে মেয়াদ পূর্তির পূবেই পদ হারাতে হয় তাকে। দল থেকে সাময়িক বরখাস্তও হোন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পর হোন স্থায়ী বহিষ্কার। কিন্তু নিজের বয়স্ক মাকে নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। মায়ের পক্ষে ভোট চাইতে দিন-রাত ছুটেছেন গাজীপুরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ২৫ মে' এর নির্বাচন এর ফলাফল নিজেই বলে দিল অনেক প্রশ্নের উত্তর। অবশেষে গাজীপুরবাসী পেলেন নগর মাতাকে।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




শিক্ষকের বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদ্রাসা পড়ুয়া সাত বছরের এক শিশুকে বলাৎকার করেছে এক  শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তারাবো পৌরসভার মুগরাকুল হাদিউল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।

  শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাদের বাড়ি পার্শবর্তী সোনারগাঁও উপজেলায়। তিনি তার ছেলেকে কোরআনে হাফেজ করার উদ্দেশ্যে কয়েকমাস পূর্বে মুগরাকুল হাদিউল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় ভর্তি করান। সেখানে বোর্ডিংয়ে থেকে  লেখাপড়া করতো সে। এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীর থাকার কক্ষ থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আবু সুফিয়ান  তার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক  বলাৎকার করে শিশুটিকে। এমনকি ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে হুমকি প্রদান করে শিক্ষক। এদিকে শিশুটির শারিরীক অবস্থার অবনতি  হলে সে  ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। পরে তাকে বুধবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার  শিশুটির মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। 

   এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি/ তদন্ত  আতাউর রহমান বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়মিত

মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



অননুমোদিত পরিবহন এশিয়ায় শীর্ষে খুলনা ও ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ২০ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআরটিএ ) । যদিও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বাইরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরো বেশ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনের জন্য রিকশা , স্কুলভ্যান , ইজিবাইক , স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার কিংবা ঘোড়ার গাড়ির মতো অননুমোদিত যানবাহনের ব্যবহার সড়কে রয়েছে। এর পাশাপাশি চলাচলের অনুমতি থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেসবিহীন বাস - মিনিবাস , মাইক্রোবাস , সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মতো যানবাহনও সড়কে চলছে।

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ( এসকাপ ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই এমন যানবাহন ( ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট ) চলাচলে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের দুই শহর খুলনা ও ঢাকা। এর মধ্যে খুলনা শহরে যত যানবাহন চলে তার ৫৮ শতাংশেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। আর রাজধানীতে অননুমোদিত পরিবহনের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাব - রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক শীর্ষক এক কর্মশালায় ওই প্রতিবেদনের এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ইউএন - এসকাপের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা মদন বি রেগমি। তিনি জানান , এশিয়া মহাদেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা। শহরটিতে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্টের মোড শেয়ার ৫৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার মোড শেয়ার ৫৪ শতাংশ। ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ( ৫০ শতাংশ ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা ( ৩৮ শতাংশ ), ভারতের সুরাট ( ৩০ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং ( ১৭ শতাংশ ), কম্বোডিয়ার নম পেন ( ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া ( ১১ শতাংশ ) ও ভারতের জয়পুর ( ১১ শতাংশ ) ।ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ কোনো দেশের রাস্তায় কী ধরনের যানবাহন চলাচল করবে , সেসব যানবাহনের মডেল কী হবে এ ধরনের বিষয়গুলো ওই দেশের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়। এটাকে আমরা টাইপ মডেল অনুমোদন বলি।

 এ টাইপ মডেলের অনুমোদন নিয়েই যানবাহন আমদানি বা উৎপাদন করে সেগুলো রাস্তায় চালানো হয়। কিন্তু অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এ ধরনের যানবাহনকে আমরা বলি ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট । যেহেতু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে না , সেহেতু এসব যানবাহনের কাঠামোগত দুর্বলতা , নিরাপত্তার ঘাটতির মতো বিষয়গুলো থেকেই যায়। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ বর্তমানে ২০ ধরনের যানবাহনকে রাস্তায় চলাচলের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স , অটোরিকশা , অটো টেম্পো , বাস , কার্গো ভ্যান , কাভার্ড ভ্যান , ডেলিভারি ভ্যান , হিউম্যান হলার , জিপ , মাইক্রোবাস , মিনিবাস , মোটরসাইকেল , পিকআপ , প্রাইভেট কার , স্পেশাল পারপাজ ভেহিকল , ট্যাংকার , ট্যাক্সিক্যাব , ট্রাক্টর , ট্রাক ও অন্যান্য। বিআরটিএর তথ্য বলছে , চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ ২০ ক্যাটাগরিতে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি।

 সড়ক পরিবহন আইন - ২০১৮ অনুযায়ী , এসব ক্যাটাগরির যানবাহন ছাড়া সড়ক - মহাসড়কে চলাচল করা সব ধরনের মোটরযানই অবৈধ। অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষে থাকা খুলনা শহরজুড়ে রয়েছে ইজিবাইকের দাপট। এসব যানবাহনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে খুলনা সিটি করপোরেশন ১০ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। যদিও এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সিটি করপোরেশনের নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ , অনুমতি পাওয়া ১০ হাজারের বাইরে আরো প্রায় ৪০ হাজার ইজিবাইক বর্তমানে এ শহরে চলাচল করছে। মূলত ইজিবাইকের কারণেই খুলনা অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। অন্যদিকে প্যাডেলচালিত রিকশা , ব্যাটারি রিকশা , ইজিবাইক , বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার যানবাহনের আধিক্যের কারণে ঢাকা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।এসব যানবাহন কিন্তু লুকিয়ে চলে না।

 কর্তৃপক্ষের সামনে দিয়েই চলে। আবার ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের অননুমোদিত যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন বা আমদানি করাও সম্ভব নয়। অন্যদিকে এসব যানবাহনকে কেন্দ্র করে একটা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে। যখন এসব যানবাহন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন ছিল , তখন কর্তৃপক্ষ অলস বসে থেকেছে ’ , বলেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন , ‘ এটা ঠিক যে অননুমোদিত যানবাহনগুলোয় নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। কাঠামোগত ত্রুটিসহ নানা ধরনের অসংগতি আছে। কিন্তু এসব যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া উচিত হবে না।

বরং অননুমোদিত যানবাহনগুলোর কাঠামোগত মানোন্নয়ন , নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এগুলো অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে , এসব যানবাহন যেন কখনই শহরের মূল সড়ক ও মহাসড়কের গণপরিবহন না হয়। শুধু শহরের ফিডার রোড ও সরু সড়কগুলোতেই এসব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। বাংলাদেশের শহরগুলোতে অননুমোদিত পরিবহনের আধিক্যের বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। তবে তারা বলছেন , মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকার স্বার্থে চাইলেও এসব অননুমোদিত যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে এসব যানবাহন তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ বাংলাদেশের শহরগুলোকে বলা হয় রিকশার শহর। সংস্কৃতিগতভাবেই কিন্তু এটা চলে আসছে।

 দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ শহরে বসবাস করে। এসব মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য রিকশা , ইজিবাইকের মতো যানবাহন দরকার। কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই যদি আমরা এসব যানবাহন বন্ধ করে দিই , তাহলে পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকার কী হবে ? ’ ‘ এটা মানুষের বিহেভিয়ারেরও বিষয়। অনেক কিছু জোর করে পরিবর্তন করা যায় না। যখন বিকল্প আসবে , মানুষ সেটাকে বেছে নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন , ‘ ঢাকার মতো জনবহুল একটা শহরে কিন্তু চাইলেই আমরা রিকশা তুলে দিতে পারি না। তবে আমরা বসে নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় ঢাকা শহরে ঘোড়ার গাড়ি ছিল। এখন কিন্তু তা উঠে গেছে। আমরা ঢাকার বেশ কয়েকটি শহরে রিকশা চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি - হুইলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দেশ থেকে সব ধরনের অননুমোদিত যানবাহন তুলে দেয়া হবে।


আরও খবর



১২ মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পাঠান’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান অভিনীত পাঠান সিনেমা ৫ মের পরিবর্তে আগামী ১২ মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশের সিনেমা হলে। দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য ইতোমধ্যে সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট ছাড়পত্রও পেয়েছে সিনেমাটি।

শাহরুখ-দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত এ সিনেমাটি দেশে মুক্তি পেলেও সব প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে না। কেবল যেসব সিনেমা হলে নারী টয়লেট ভালো রয়েছে, সেসব হলেই সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সিনেমাটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের অনন্য মামুন।

তিনি বলেন, সিনেমা হলে নারী টয়লেট ভালো থাকার বিষয়টি আমাদের প্রথম শর্ত। আমরা চাই আবারও নারী দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসুক।

এদিকে জানা গেছে, দেশে ৩২টি সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি দেয়া হবে পাঠান। সিনেমাটি মুক্তিতে প্রথম শর্ত নারী টয়লেট থাকতে হবে। পরিচালক অনন্য মামুন বলেন, পাঠান সিনেমা নিয়ে ইতোমধ্যে দর্শকের মধ্যে অন্যরকম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষদেরও আগ্রহ রয়েছে। অনেকে সিনেমাটি নেয়ার জন্য সাউন্ড সিস্টেম ঠিক করাসহ সংস্কার সম্পন্ন করে নিচ্ছে। আশা করছি তারা নারী টয়লেটও করে নেবে।

জন আব্রাহাম ও ক্যামিও চরিত্রে হাজির হওয়া সালমান খান অভিনীত সিনেমাটি ইতোমধ্যে হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছে। বিশ্বজুড়ে পর্দায় মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি ওটিটি প্লাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমেও মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এবার বাংলাদেশে মুক্তির জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা।


আরও খবর

কান উৎসব মাতিয়ে তুললেন সানি লিওন

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




দেশ রক্ষায় এই সরকারকে বিদায় করতে হবে : মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের আন্দোলনের সম্মান জানিয়ে সেদিন তত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল। এই তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী সবার আগে ছিল জামাতের। আজ তাদের নাকি আবার আপোষ হচ্ছে শুনলাম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চাইলে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন তিনি যদি চাইতেন। আর আপনারা কী করলেন। শত শত মানুষকে গুম করলেন হত্যা করলেন। এভাবে একটা দেশ কখনও চলতে পারে না। 

তিনি বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে এই লুটেরা সরকারকে বিদায় করতে হবে। এদের বিদায় না করলে উন্নয়ন হবে না। মানুষের পেটে ক্ষুধা রেখে দুটো ব্রিজ করলে উন্নয়ন হয় না। আগে পেটের ভাত তারপর উন্নয়ন। যে উন্নয়নের চেয়ে বেশি নিজের পকেটের উন্নয়ন হয় সেই উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন নেই। 

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, ওরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। আমি বলিনি, এটা শিল্প মন্ত্রী বলেছে। দেশের জনগণ এই লুটপাটের কারণে দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে গেছে৷ আমরা বারবার প্রতিবাদ করেছি। সরকারের বোধদয় হয়নি। 

ব্রিজ করতে বাইরে লাগে ছয় সাত হাজার ডলার। আমার দেশে লাগে ত্রিশ হাজার ডলার। এটা কী মগের মুল্লুক নাকি। সরকারি কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লেগে আছে। এ বলে তুই বেশি খেয়েছিস ও বলে তুই বেশি খেয়েছিস। পানির দাম, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। ওরা বলে তেলের দাম বাড়াবো না আন্তর্জাতিক বাজারের দামে ছেড়ে দিবো। এতদিনে কেন। আমার নেত্রী কী দেশ চালায়নি ভর্তুকি দেয়নি। তখন কী দাম বেড়েছিল? বাড়েনি। 

তিনি বলেন, ওদের এক নেতা এক এগারোর সময় জেলে আমার সামনে কান ধরে উঠবস করেছিলো। বলেছিল আর রাজনীতি করবো না ভাই। আজ সেই নেতা বড় বড় কথা বলেন। তিনি বলেন খেলা হবে। আমরা আপনাদের এইসব খেলায় অংশগ্রহণ করবো না৷ খেলা তো শুরু হয়ে গেছে। আমরা আপনাদের সাথে কোন ঝামেলায় যেতে চাই না৷ 

তিনি আরো বলেন, এখনও সময় আছে মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। নয়ত পরে পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবেন না। আপনারা কীভাবে পালাবেন চিন্তাভাবনা করেছেন। আপোষে গেলে যান জোর করে পালাতে পারবেন না। জনগণ আপনাদের বিচারের পাল্লায় তুলবে। জনগণ আপনাদের ছাড়বে না। যারা গুম হয়েছে তাদের বাবা মা আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না। 

নারায়ণগঞ্জের অনেক নেতা কারাগারে আছে। আরেকটা ছেলে আছে। সেও জেলে, নাম জাকির খান। আমরা জেল থেকে তাদের মুক্ত করবো। এ সরকারের কাছে আর মুক্তি চাই না আমরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা ও সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম ইমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




খুলনায় ওএমএসের চাল জব্দ করেছে এলাকাবাসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

খুলনা প্রতিনিধি::

খুলনায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএসের ১৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে নগরীর বাগমারা চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে থেকে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করে জেলা খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।

স্থানীয়রা জানায়, ওএমএসের ডিলার আর এম ট্রেডার্সের লোকজন সকালে কিছু চাল বিক্রি করে। এক পর্যায়ে তারা চাল নেই জানিয়ে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে ইজিবাইক ঢুকিয়ে ১৫ বস্তা চাল অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাদের হাতেনাতে ধরে জেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের জানান। খবর পেয়ে খাদ্য কর্মকর্তারা চাল উদ্ধার করে স্থানীয়দের মাঝে বিক্রি করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সাহারা বেগম বলেন, সকালে আমরা চাল-আটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে দুকেজি চাল পেয়েছি। কিন্তু ব্যানারে লেখা ছিল তিন কেজি। আর আটাতো নাই।  

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক খাদ্য দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে চাল-আটা বিক্রিতে অনিয়ম ও খাদ্য দপ্তরের লোকজনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে। ব্যবস্থা না হওয়ায় ওএমএস কর্মসূচিতে অনিয়ম করে আসছে।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৫ বস্তা চাল জব্দ করেছি। প্রতিষ্ঠানের বিতরণ তালিকায় প্রাথমিকভাবে গড়মিল পাওয়া গেছে। আপাতত আর এম ট্রেডার্সের ওএমএসের কর্মসূচির চাল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে অভিযুক্ত এম ট্রেডার্সের মালিক মোসা. মাহমুদা খাতুন না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর