দুর্নীতির প্রসঙ্গ এলে যে-সব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিম্নপদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদধারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের আমলে এই প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি না করাই যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তেমনি একটি বড় চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী মো. শহীদুল্লাহ। স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে চেয়ার ধরে রেখেছেন এসব আমলারা। পলাতক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে অর্থ যোগানদাতাদের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে এই শহীদুল্লাহর নাম।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, সংস্থাটি থেকে ঘুষ ও চাঁদা তুলে ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত নির্বাচনী তহবিল গঠনে বড় ভূমিকা রাখতেন শহীদুল্লাহ। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উপ-পরিচালক ছানাউল হক, মোরছালিন ও রফিকুল ইসলাম। এদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। চট্টগ্রামে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা প্রতিস্থাপনে প্রতি ইউনিটে ২ লাখ টাকা ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আর তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন উত্তরা মোটরসের সাতজন ডিলার। এই হিসাবে, শুধু এ প্রকল্প থেকেই ২৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা আদায় হয়।
এ ছাড়া, ভারতে তৈরি চার আসনের ২ হাজার ম্যাগজিমা অটোরিকশাকে বেআইনিভাবে ৭ আসনের অটো-টেম্পু হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে গাড়িপ্রতি ২ লাখ টাকা করে মোট ৪০ কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামের ২০ হাজার ‘গ্রামবাংলা’ সিএনজি অটোরিকশা থেকে গাড়িপ্রতি ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ কোটি টাকা গ্রহণের অভিযোগ করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে শহীদুল্লাহ ও তার সিন্ডিকেট ৩৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই সময় তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন চট্ট মেট্রো-১ এর এডি তৌহিদ হোসেন। বর্তমানে তিনি পদোন্নতি পেয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। তৌহিদ হোসেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের এলাকা নোয়াখালীর পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএকে উৎকোচ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন।
একপর্যায়ে সমালোচনার শুরু হলে শহীদুল্লাহকে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক করে ২০২২ সালে ঢাকায় নিয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের, সচিব আমিন উল্লাহ নুরী ও চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। এখানে এসেও দুর্নীতির ধারা অব্যাহত থাকে।
ঢাকায় দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতিতে ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পান ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জি. মোশারফ হোসেনের কথিত ভাতিজা ও ফরিদপুর-৪ এর সাবেক সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে। যাকে সম্প্রতি বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।
বিআরটিএতে দালাল সিন্ডিকেট শক্তিশালী করার মূল কারিগরই ছিলেন এই শহীদুল্লাহ ও রফিকুল। এই দুই কর্মকর্তার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে দালাল ছাড়া কোনো কাজই হতো না। কারণ দালাল চক্রের মাধ্যমে কাজ করলেই মিলত মোটা দাগের উৎকোচ।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা মেট্রো সার্কেল ১, ২, ৩ ও ৪-এ লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়—যা শহীদুল্লাহ ও তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা ভাগ করে নিতেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, মাসে প্রায় ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয় এসব সার্কেলে। ফলে মাসে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং তিন বছরে মোট ১২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে—যার একটি অংশ সরাসরি যেত সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে।
শুধু তাই নয়, জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পিএস ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পালের সঙ্গে শহীদুল্লাহর ঘনিষ্ঠতারও অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলন নস্যাতের ষড়যন্ত্রে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও শহীদুল্লাহর নামে-বেনামে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি। মোহাম্মদপুর বাবর রোডে একটি ডুপ্লেক্স, শ্যামলীতে মার্বেল খচিত বহুতল ভবন এবং গাজীপুরে দুটি বাড়ির কথা অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা এক জায়গায় তিন বছরের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারেন না। অথচ শহীদুল্লাহ গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে একই পদে বহাল। বিআরটিএ সদর দপ্তর থেকে তাকে সংযুক্ত করার আদেশ থাকলেও এখনো তিনি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা একে সরকারি আদেশ অমান্য বলে আখ্যা দিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে শহীদুল্লাহ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব চরম মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আদেশ হলে না যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আদেশে আমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন কাউকে দায়িত্ব দিলে আমি সেখানে যোগ দেব।
তিনি বলেন, ‘দুদকে অভিযোগ দিলে কিন্তু তারা গ্রহণ করবে। এটা কোনো প্রশ্ন হলো না। দুর্নীতি করলে লুকানোর কিছু নেই। যারা করছে বা যদি করে থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এগুলো পেয়ে যাবে। তিনি পুনরায় দাবি করে বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।
বিআরটিএর এমন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানেই একই চিত্র। হঠাৎ করে কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চর্চার পরিবর্তন হয়নি। আর বিআরটিএর মতো সংস্থা তো আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। বিগত কর্তৃত্ববাদের সময় সেটা আরও বেশি। কাজেই বিভিন্নভাবে এটার সুযোগ-সুবিধা তারা নিয়েছে। সেটিই এখন প্রমাণিত হচ্ছে। দুদককে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা অন্য কারণে যারা এমন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ যাদের বিরুদ্ধে আছে তাদেরকে বহাল রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা অনৈতিক। কারণ যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে, সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেও তাদের কিন্তু সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা। অভিযোগ হয়ে থাকলে ও তদন্ত শুরু করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং তদন্ত সংস্থাগুলোর উচিত হবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যথাযথ তদন্তের ভিত্তিতে প্রযোজ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিআরটিএর বর্তমান প্রেক্ষিত তো বটেই এই সংস্থা সম্পর্কে সারাদেশের মানুষের যে ধারণা এই ধারণার যে অভিজ্ঞতা সেটার পরিবর্তন লাগবে। পরিবর্তনের সেই সুযোগটা এখনই। দুদকেরও এখনি সেই সুযোগটা নেওয়া উচিত। বিআরটিএর সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষও এর দায় এড়াতে পারে না। কারণ বিআরটিএ যদি তাদের বহাল তবিয়তেই রাখে বা তাদেরকে সুরক্ষা দেয় তাহলে সেটাও কিন্তু দুর্নীতির সহায়ক। এ থেকে বিআরটিএকে সরে আসা উচিত।
এসব বিষয়ে বিআরটিএর বর্তমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার ফোনে কল ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়। এক সপ্তাহের বেশি পেরিয়ে গেলেও তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডে বি-ব্লকের ১৩/এ/১ নম্বর শেলটেক চন্দ্রমল্লিকায় তার রয়েছে আলিশান ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্ট। এছাড়াও শ্যামলীর ২ নম্বর রোডে ১২-ঠ-৭ হোল্ডিংস্থ একটি মার্বেল পাথর খচিত বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে দু'টি নজরকাড়া বাড়ি।
শুধু তাই নয়, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার কাচারিকান্দিতেও নামে বেনামে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তা মাঝে মধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বিলাস ভ্রমণের খবর সবারই জানা। সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ বিআরটিএ’র বিগত সময়ের সিএনজি ‘রিপ্লেস’ ধান্ধার হোতা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ঘুষবাজ রক্ষণাবেক্ষণ আরেক লম্বা হস্তের খুশি-খেয়াল মতো ধান্ধায় বেহুশ। তিনি সেই লম্বা হাত মানে-পরিচালক প্রশাসন’র নির্দেশে যে কয়জন ওই আন্দোলন ভিন্নখাতে নেয়ার ধ্বংসযজ্ঞের ইন্ধন যুগিয়েছেন-তাদের মধ্যে অন্যতম।
সূত্রটি জানায়, বরাবরই তিনি তার অদৃশ্য লম্বা হাতের ছোঁয়ায় অর্থাৎ পরিচালক প্রশাসনের ক্ষমতা বলে রক্ষাকবজরূপে সব সার্কেলের ঘুষবাজদের সক্রিয় রাখার বিনিময়ে পান মোটা উৎকোচ। এর আগেই ডিডি থাকা অবস্থায় সিএনজি’র রিপ্লেস ধান্ধাসহ মোটা দাগে লুটপাটের টাকায় বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিকানার সাথে মহাগুরু বনে যান। এরপর ওই তকমায় চিটাগাং থেকে ঢাকায় ফিরে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। আর নিয়োগ বদলি বাণিজ্যে তো বরাবরই তার জুড়ি মেলা ভার।
সূত্র আরও জানায়, বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হয়েই অদৃশ্য হাতের ছোঁয়ায় শহীদুল্লাহ ‘বিআরটিএ’ ঘিরে অদৃশ্য শক্তির বলয় তৈরি করে রেখেছেন। এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগটি রয়েছে, সেটিও তার হাতের মুঠোয়। বিআরটিএ’র সব কূটকৌশলের মাস্টারমাইন্ড বলেও রয়েছে তার খ্যাতি। বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লাহ’র সর্বোচ্চ পদে আসীনদের সঙ্গেও তার অন্তরঙ্গ ওঠা বসা। এভাবেই নীতির ফেরিওয়ালার বেশে বিগত কয়েক বছরে চতুর শহীদুল্লাহ নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ।
এছাড়া তিনি বিআরটিএ’র ‘জমিদার’ বলে বেশ পরিচিত । তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে-শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারও। আর এসব সখ্যতা ও সুখ্যাতির অক্ষুণ্নতা রক্ষায়ই আলোচিত ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার অংশীদার হয়ে বিআরটিএ’র ধ্বংসযজ্ঞের একটি অংশে মূল কয়েক হোতাদের পরেই পরিচালক শহীদুল্লাহ’র নাম ছড়াচ্ছে। যা চলমান সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সরাসরি বরাত না মিললেও সংশ্লিষ্ট দফতরেও নানা মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। সদ্য বিআরটিএ’র ওই লম্বা হস্তের সাথে এ শুভানুধ্যায়ীর বে-খবরটিও ঘুরপাকের আভাসে এ থেকে নিজেকে আড়াল করার নানা ফন্দিও তিনি ইতোমধ্যে এঁটে রেখেছেন। তার মানে-ওই সেই কথা“ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না” অর্থাৎ-তিনি ওই আন্দোলনের সময় দেশে ছিলেন না, বলে প্রচার শুরু করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিআরটিএ'র ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।