Logo
শিরোনাম

গভীর সমুদ্রে ৯০০ ফুট গর্তের সন্ধান !

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

সমুদ্রের মাঝে গভীর গর্ত। দূর থেকে দেখলে মনে হবে ঘন নীল চোখ। এর তলের খোঁজ মেলে না। সমুদ্রবিজ্ঞানীরা বলেন, অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে সমুদ্রে তৈরি হওয়া গভীর রন্ধ্রে। একে বলে ব্লু হোল (নীল গর্ত)।

মধ্য আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলের বেলিজ সিটি এলাকায় এমন ব্লু হোল আছে যাকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। এমন আরও একটি গভীরতম ব্লু হোলের খোঁজ মিলল মেক্সিকোতে।

দ্য ওয়ালের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর চেটুমাল সাগরে ৯০০ ফুট গভীর এক গর্তের খোঁজ মিলেছে। যার আয়তন অন্তত এক লাখ ৪৭ হাজার বর্গফুট। মেরিন সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই প্রতিবেদন। বিজ্ঞানীরা এটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল বলে উল্লেখ করছেন।

মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের কোস্টাল মেরিন সায়েন্টিস্ট ক্রিস্টোফার জি স্মিথ বলেন, সমুদ্রের মাঝে বা কোনও দ্বীপের আশেপাশে দৈত্যাকার রন্ধ্রকে বলে ব্লু হোল। সমুদ্রের স্বাভাবিক গভীরতার চেয়ে এই ব্লু হোলগুলোর গভীরতা অনেক বেশি হয়। বড়সড় গর্তের আকারের এই সব ব্লু হোলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছয় না। ফলে এর গর্ভ অন্ধকার থাকে এবং তার জলকে দেখে মনে হয় অনেক বেশি গাঢ় নীল। এর ভেতরে অক্সিজেনও পৌঁছয় না।

১৯৭১ সালে সমুদ্রের মাঝে বেলিজ সিটি এলাকায় এমন ব্লু হোলের খোঁজ পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের গাঢ় নীল পানির মধ্যে প্রবাল-শৈবাল দিয়ে ঘেরা সেই জায়গাটি দেখতে অনেকটা গর্তের মতো। ৪০০ ফুট গভীর সেই গর্তে অক্সিজেনের পরিবর্তে পানির মধ্যে ছিল হাইড্রোজেন সালফাইড। যে ডুবুরিরা রহস্য উদঘাটনে নেমেছিলেন তারা কেউ ফিরে আসেননি। পরে তাদের মৃতেহ উদ্ধার হয়।

মেক্সিকোর ব্লু হোলে এখনও অভিযান চালানো হয়নি। তবে এর গভীরে কী রহস্য লুকিয়ে আছে তা দেখতে শিগগিরই অভিযান চালাবেন ডুবুরিরা।


আরও খবর

জিমেইলে আসছে নীল টিক

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




রোহিঙ্গারা কেড়ে নেওয়া গ্রাম ফেরত চান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পজুড়েই এখন মিয়ানমারে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে। কিন্তু দুই বারের ব্যর্থতার পরে এবারও প্রত্যাবাসন সফল হবে কিনা, তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা। তারা তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে আগ্রহী। তবে পুর্নবাসন ক্যাম্পে নয়, ফিরে পেতে চান তাদের গ্রাম ও ভেটেমাটি। খবর বিবিসির।

টেকনাফের নেসার পার্ক এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবু শামার বাসাটি আর দশটি ঘরের মতোই বাঁশের বেড়া আর ছাদে মোটা ক্যানভাস কাপড় দিয়ে তৈরি। ১০ ফুট বাই ১০ ফুট সেই ঘরের দরজার সামনে বসে তার সঙ্গে কথা বলার সময় একটু পর পর আসা বাতাসে ঘরের ছাদ নড়াচড়া করছিল। এখানে এভাবে থাকতে কষ্ট হয়, বাড়ির কথা মনে পড়ে - বলছিলেন আবু শামা। কিন্তু মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যেসব কথা বলে তাদের নিয়ে যেতে চাইছে, তাতে তিনি যাবেন না।

আঞ্চলিক রোহিঙ্গা ভাষায় আবু শামা বলেন, ‘’তারা আমাদের নিয়ে ক্যাম্পে রাখবে। সেখানে তারা এই রকম ছোট ছোট ঘর বানিয়েছে। আমাদের নাগরিকত্ব দেবে না, অতিথির মতো একটা কার্ড দেবে। সেখানে গেলে তো আমাদের সেই ক্যাম্পেই আটকে রাখা হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ দেখাতে বাংলাদেশ থেকে যে বিশ জনকে গত শুক্রবার মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন আবু শামা। সেখানে পরিবেশ ঘুরে দেখে তার কাছে স্বস্তিকর মনে হয়নি। কারণ তার মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গিয়ে তাদের আবার আটকে রাখার একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে জমি-জমা, নাগরিকত্ব দেয়ার যেসব কথা বলছে, তাতেও তিনি কোন ভরসা পাচ্ছেন না।

এমনকি তাকে নিজের ফেলে আসা গ্রামেও যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। দূর থেকে তিনি শুধুমাত্র দেখতে পেয়েছেন যে একসময় যেখানে তার গ্রাম ছিল, সেই কাউয়ার বিল এখন ফাঁকা মাঠ। ঘাস-জঙ্গল গজিয়ে গিয়েছে।

একই রকম বক্তব্য মিয়ানমার ঘুরে আসা আরেকজন রহিমা বেগমেরও। মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই ১১ সন্তানের মা-হওয়া রহিমা বেগম বলছেন, ‘’তারা যদি আমাদের নিয়ে ক্যাম্পেই রাখে, তাহলে তো আমরা এক ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে গিয়ে পড়লাম। এখানে তাও তো ভালো, কেউ ভয়ভীতি দেখায় না।‘’ রহিমা বেগমের ছয় সন্তান মারা গেছে। জীবিতদের মধ্যে এক মেয়ে এখনো মিয়ানমারে রয়েছে, বাকি চারজন তার সঙ্গেই থাকে। এদের সবাইকে নিয়ে তিনি ক্যাম্পের একটি কক্ষে থাকেন। এই ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি মিয়ানমারে যেতে চান। কিন্তু সেজন্য তার রয়েছে আলাদা দাবি।

রহিমা খাতুন বলেন,‘‘ আমাকে আমার বাড়িতে যেতে দিক। আমাকে কোন রেশন, কোন টাকাপয়সা দেওয়া লাগবে না। আমাদের ঘরবাড়িও আমরাই তৈরি করে নেবো। খালি আমাদের সেই গ্রামে গিয়ে নিরাপদে বসবাসের সুযোগ দিক আর নাগরিকত্ব দিক, তাইলেই হবে। মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের ফ্র্যাংকপুরে তার একটি ছোট ভিটে-বাড়ি ছিল, বাড়িতে গাছপালা, গরু-ছাগল ছিল। কিন্তু এখন সেখানে আর কোন ঘরবাড়ি নেই। পুরো জায়গাটি জঙ্গলের মতো হয়ে রয়েছে বলে তিনি দেখতে পেয়েছেন।

মংডু শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে অনেকটা বাংলাদেশের গুচ্ছগ্রামের আদলে মডেল ভিলেজ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে চার হাজার রোহিঙ্গা থাকতে পারবে, এমন ১৫টি মডেল ভিলেজ তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যেই এরকম দুটি গ্রাম তৈরি করা হয়েছে, যা প্রতিনিধি দলকে দেখানো হয়।

মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে তাদের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট (এনভিসি) দেওয়া হবে। পরবর্তীতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মোহাম্মদ সলিম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’আমাদের গ্রামগুলোয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যারাক, ফাঁড়ি ও চৌকি তৈরি করা হয়েছে। আর আমাদের থাকার জন্য কিছু জায়গায় ক্যাম্পের মতো করে শেড তৈরি করা হয়েছে। একটা রুম আর একটা টয়লেট। তারা যদি আমাদের সত্যিই নিয়ে যেতে চায়, তাহলে আমাদের গ্রামেই আমাদের থাকার সুযোগ করে দিক। আমাদের মেহমান করে না নিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে দিক।

উখিয়ার ইউনুস মাঝি বলছেন, ''এর আগে দুইবার আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। শেষবার মেরে কেটে ঘরবাড়িতে আগুন দিয়েছে। আবার গিয়ে আবার মারধর খেয়ে ফেরত আসতে চাই না। তারা যদি নিতেই চায়, অন্যসব জাতির মতো আমাদেরও সমান অধিকার দিয়ে, নাগরিকত্ব দিয়ে নিয়ে যাক।

মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে নানারকম মত থাকলেও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন, প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া এবার শুরু করা যাবে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) কমিশনার মিজানুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘’মিয়ানমারের সদিচ্ছা রয়েছে বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। বাংলাদেশের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে প্রত্যাবাসন। আমরা চাই সেটা যেন টেকসই হয় এবং স্বেচ্ছামূলক হয়। 

রোহিঙ্গাদের দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, যে সংকট দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়েছে, সেটা তো একদিনে সমাধান হবে না। আস্তে আস্তে সবকিছুর সমাধান হবে।

রোহিঙ্গা নেতারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলের অসন্তোষের বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শনিবার কয়েকজন রোহিঙ্গা সদস্যকে কক্সবাজারে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজ দেশে ফিরে যেতে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তারা এই রোহিঙ্গা সদস্যদের বলেছেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতেই হবে, যদিও কাউকে জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো হবে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আট লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল।

এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি ফিরতি তালিকা পাঠানো হয়। ওই তালিকা থেকে পরিবার ভিত্তিক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৪০ জনকে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মতি দিলেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে তাদের আপত্তি ছিল। গত মার্চে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল এসে এদেরসহ মোট ৪৮০ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করে দেখেছে।

২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মুখে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা সে দেশের রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। আগে আসা রোহিঙ্গা মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় দেড় কেজি গাঁজাসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ মাদক কারবারি দম্পতি ফরহাদ হোসেন (৩৪) ও তার স্ত্রী মনি আক্তার (২৫) কে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃত স্বামী-স্ত্রীকে সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজাতে পাঠানো হয়।

নওগাঁর রাণীনগর থানা পুলিশ রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে গাঁজাসহ তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন। 

গাঁজাসহ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, আটককৃত মাদক কারবারি স্বামী-স্ত্রীর বাড়ি রাণীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামে।

তিনি আরো জানান, আটককৃত স্বামী-স্ত্রী নিজ বাড়িতে মাদক বেচা-কেনা করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে থানার এসআই কল্লোল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি ফরহাদ ও তার স্ত্রী মনিকে আটক করা হয়। আটককালে তাদের হেফাজতে বাড়িতে রাখা দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন পুলিশ। আটককৃত দুইজনের বিরুদ্ধে রাতেই থানায় মাদক মামলা রুজু করা হয়। সোমবার দুপুরে তাদের দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



২ দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, রান্নার চুলা, শিল্পকারখানায় সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আর আগামী দুই দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দুই দিন ধরে চুলা জ্বালাতে সমস্যায় পড়ছেন ভোক্তারা। গ্যাসসংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তাই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের একটি বড় অঞ্চলে লোডশেডিং চলছে। শনিবার রাজধানীতে একেক এলাকায় গড়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হয়েছে। রবিবারও লোডশেডিং ছিল ঢাকায়।

নসরুল হামিদ বলেন, দুটি ভাসমান টার্মিনালের মধ্যে একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেটি থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। আর যেটি কাছাকাছি আছে, তা থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। এতে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে ভালো হবে।

বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রভাবটা থাকবে, তবে খুব বেশি নয়। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যে তৈরি হয়েছিল, এই সমস্যাটা আর থাকবে না। আগামী দুই দিনের মধ্যেই লোডশেডিং পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়।

 গত শুক্রবারও এখান থেকে ৬২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় শুক্রবার রাত ১১টায় দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় গড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট। এতে সব সময়ই সরবরাহ ঘাটতি থাকে। এক খাতে বন্ধ করে অন্য খাতে সরবরাহ বাড়ানোর (রেশনিং) মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয় করা হয়। এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে আসে ২১৫ থেকে ২২০ কোটি ঘনফুট। এলএনজি বন্ধ হওয়ায় গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি বেড়ে গেছে।


আরও খবর



যুবলীগনেতা জামাল হত্যার খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা :

কুমিল্লায় পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক আধিপত্য  বিস্তারের  তিতাসে যুবলীগনেতা জামাল হত্যাকান্ডের একদিন পার হলেও মামলা হয়নি। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা মিলে জামালের মৃত্যু নিশ্চিত করে বোরখা পড়ে পালিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশের স্পেশাল টিম কাজ করছে। এখনো কেহ আটক হয়নি।।

কুমিল্লা দাউদকান্দির গৌরীপুর পশ্চিমবাজার ঈদগাহ এলাকায় রোববার ফিল্মি স্টাইলে বোরখা পড়ে এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মসজিদর সামনের সড়কে বোরকা পড়া তিনজন সন্ত্রাসীর পিস্তলের গুলিতে নিহত হন তিতাস যুবলীগের আহবায়ক ন জামাল।হত্যাকান্ডের ঘটনায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে । শোকে কাতর বাকরুদ্র যুবলীগনেতার পরিবারের সদস্যরা। নিহত যুবলীগ নেতা জামালের বাড়ীতে স্বজনদের আহাজারিতে ভাড়ি হয়ে উঠেছে এলাকার বাতাস। জামালের ছোট দুই সন্তান বাবা হারানোর ব্যাথা বুঝে উঠার বয়স হয়নি এখনো। জামালের লাশ ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি তিতাসের জিয়ারকান্দি এলাকায় আসার সাথে সাথে হাজার মানুষ ভিড় করে। স্বজন ও রাজনৈতিক সহচরদের কান্নায় ভাড়ি হয়ে পরে এলাকার বাতাস।

 নিহত যুবলীগ নেতা জামালের স্ত্রী, স্বজনসহ পরিবারের দাবী হত্যার পেছনে পুরনো শত্রুতা 

 প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা বলছেন-এঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ পায় সামাজিক মাধ্যমে । বোরকা পড়া অবস্থায় থাকা তিনজন এসে বাজারের সবার সামনে এলোপাতাড়ি গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যান সন্ত্রাসীরা। জামাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। গুলির শব্দ শুনে আশপাশ ও বিভিন্ন বাড়ি থেকে মানুষ বের হয়ে আসে স্থানীয়রা।

তিতাস উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হত্যার জেরে এ হত্যা বলছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা। 

কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, পিপিএম(বার) বলেন- সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে পুলিশ। পুলিশের স্পেশাল টিম কাজ করছে। অতিদ্রুত  এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।

দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছে। পুলিশ হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযার অব্যহত রয়েছে।নিহত হওয়ার ঘটনায় একদিন পরও হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়নি নিহতের ভাই কামাল হোসেন বাদী হয়ে ওই ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। 

এদিকে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় একদিন পার হলেও হত্যার মামলা দায়ের কনেনি নিহতের পরিবার । রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতাসহ একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ডই বলছেন প্রশাসন। প্রকাশ্যে এ কান্ডের সাথে জড়িরদের গ্রেপ্তারের দাবী দাউদকান্দিবাসির।গৌরীপুর বাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান নিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার সিসি ক্যামার ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ঘটনাটি চাঞ্চল্য কর হয়েছে।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




মে দিবসে নওগাঁয় বর্নাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার

বর্নাঢ্য ‍র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নওগাঁয় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে নওগাঁ জিলা স্কুল মাঠ থেকে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়। র‌্যালীটির নেতৃত্ব দেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। পরে শহরের পার-নওগাঁস্থ আব্দুল জলিল ট্রাক টার্মিনালে নওগাঁ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ি ও কার্ভাডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি রওশন জালাল এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এসএম জাকির হোসেন, নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা প্রমুখ।


আরও খবর