Logo
শিরোনাম

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

তাপজনিত আঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হলো হিটস্ট্রোক। এটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রে একটি জরুরি অবস্থা হিসেবে অভিহিত করা হয়। ফলে যখন কারও হিটস্ট্রোক হয় তখন তাকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিতে হয়।

হিটস্ট্রোকের কারণে মৃত্যু, ব্রেন এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রতঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাধারণত ৫০ বছর বা তারও বেশি বয়সী মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে স্বাস্থ্যবান মানুষও ভয়াবহ এই অবস্থায় পড়তে পারেন।

অতি উচ্চ তাপমাত্রা ও পানিশূন্যতার কারণে হিটস্ট্রোক হয়ে থাকে। হিটস্ট্রোক হলে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়। এরফলে শরীর অস্বাভাবিক গরম হয়ে পড়ে।

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো হলো

  • মাথা ঝাঁকুনিসহ ব্যথা
  • মাথা ঘোরা এবং হালকা মাথাব্যথা
  • গরম থাকা সত্ত্বেও শরীর দিয়ে ঘাম বের না হওয়া
  • লালচে, গরম এবং শুষ্ক চামড়া
  • পেশী দুর্বলতা
  • বমি বমি ভাব এবং বমি
  • হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, যেটি শক্তিশালী হতে পারে আবারও দুর্বলও হতে পারে
  • দ্রুত ও অগভীর শ্বাসপ্রশ্বাস (পর্যাপ্ত বাতাস গ্রহণ করতে না পারা)
  • আচরণগত পরিবর্তন: যেমন বিভ্রান্তি ও হতভম্ব হওয়া
  • খিঁচুনি
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তবে হাসপাতালে নিতে যদি দেরি হয় তাহলে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। 

প্রতিরোধের উপায়


গরমের দিনে কিছু সতর্কতা মেনে চললে হিটস্ট্রোকের বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়। এগুলো হলো : হালকা, ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। সুতি কাপড় হলে ভালো। যথাসম্ভব ঘরের ভিতর বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। বাইরে যেতে হলে চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন। বাইরে যারা কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন, তারা ছাতা বা কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন। প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন। মনে রাখবেন, গরমে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। তাই পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয় যেমন খাওয়ার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি পান করুন।

আক্রান্ত হলে করণীয়


দ্রুত শীতল কোনো স্থানে চলে যান। ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিন। ভেজা কাপড়ে শরীর মুছে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করুন। প্রচুর পানি ও খাওয়ার স্যালাইন পান করুন। চা বা কফি পান করবেন না। যদি হিটস্ট্রোক হয়েই যায়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, ঘরে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে রোগীর আশপাশে যারা থাকবেন, তাদের করণীয় হলো : রোগীকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে যান। গায়ের কাপড় খুলে দিন। শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করুন। সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুচকিতে বরফ দিন। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাওয়ার স্যালাইন দিন। খেয়াল রাখবেন, হিটস্ট্রোকে অজ্ঞান রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস ও নাড়ি চলছে কিনা। প্রয়োজন হলে কৃত্রিমভাবে নিঃশ্বাস ও নাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হতে পারে। হিটস্ট্রোকে জীবন বিপদাপন্ন হতে পারে। তাই এ বিষয়ে অবহেলা না করে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।


আরও খবর



ভয়াবহতার পথে এগুচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। দুই সপ্তাহের মধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দক্ষিণ সিটির মানুষ ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে। যদিও সিটি করপোরেশন দাবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ঠিক নয়।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে ২০০০ সালে। এরপর সময় পেরিয়েছে দুই যুগ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ বা লাগাম টানতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে প্রতি বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুও

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৭৯ জন। এ সময় প্রাণ গেছে ১১৯ জনের। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকাতেই মারা গেছে ৬৭ জন। তবে এই তথ্য মানতে নারাজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ঢাকা উত্তরে যে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় তাদেরকে ঢাকা দক্ষিণের রোগী হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জানুয়ারি থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণে মৃত্যু ১২ জন। গত বছরের তুলনায় এই বছরে মৃত্যু এবং রোগী অনেক কম। আমরা পুরো পরিস্থিতি খুব সিরিয়াসলি নিয়ন্ত্রণ করছি। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আক্রান্তের দিক থেকে নারীদের সংখ্যা কম হলেও মৃত্যু হচ্ছে তাদেরই বেশি। আর বয়সের দিক থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী আর মৃত্যুও বেশি এই বয়সীদের

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, এবছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে থেমে থেমে অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে এডিস মশা প্রজননে যে উৎস তা বেড়েছে। এছাড়া জুলাই মাসের আন্দোলনের পর সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মীদেরও দেখা যায়নি

আগামী ২ সপ্তাহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

বে-নজীর আহমেদ বলেন, যদি সিটি করপোরেশন কাজ করে তাহলে অক্টোবর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিম্নগতি দেখা যাবে। সেপ্টেম্বরের এই কয়েকদিন সিটি করপোরেশন যদি গুরুত্ব নিয়ে কাজ না করে তাহলে গতবারের মত এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদে কাজে লাগানোর পরামর্শ জনস্বাস্থ্যবিদদের


আরও খবর



পীরগাছায় পূজামন্ডব পরিদর্শন করলেন জামায়াতের নেতৃবৃন্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


রংপুরের পীরগাছার পূজামন্ডব পরিদর্শন করে খোঁজ-খবর নেন উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন দূর্গা মন্দির পরিদর্শন শেষে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোস্তাক আহমেদ বলেন, প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ধর্মীয় সংস্কৃতি আছে। হিন্দু ভাইয়ের সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে এই দূর্গা পুজা। ইসলাম ধর্ম  শিক্ষা দিয়েছে যার যার ধর্ম তারা সঠিকভাবে পালন করবে। রাসূল্লাহ (সা.) বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম দেশে সংখ্যালঘিষ্টরা হচ্ছে একটা আমানত। তারা যদি তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে কোন বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে রাসূল্লাহ (সা.) কেয়ামতের দিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন।

ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুর জব্বার বলেন, এদেশে যত ধর্মের মানুষ বসবাস করি না কেন? সকলেই আমরা এদেশেরই নাগরিক। নাগরিক সূত্রে আমরা একে অপরের ভাই। এই শারদীয় দূর্গা পুজা যাতে করে তারা নির্বিঘ্নে, নিঃসংকোচে, শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে সক্ষম হয়। এব্যাপারে আমাদেরও কিছু দায়দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। কোন কুচক্রি মহল যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে এজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, থানা ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. আলতাফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী আবু সুফিয়ান, ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারী জিল্লুর রহমান, সাবেক শিবির নেতা জহির উদ্দিন জুয়েল, রাজু মুন্সী, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।


আরও খবর



ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যার বর্ণনা দিলেন গ্রেপ্তার ৬ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয় শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন এই ছয় শিক্ষার্থীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে রাত ৯টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়

আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন, মো. জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম। এরা সবাই ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছয় শিক্ষার্থীর জবানবন্দি অনুযায়ী তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন ১৫ থেকে ২০ জন। তারা সবার নাম প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, চোর সন্দেহে তিন দফায় তোফাজ্জলকে মারধর করা হয়। তারা বলেছেন, ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ছাত্রদের ছয়টি মুঠোফোন ও মানিব্যাগ চুরি হয়েছিল। তোফাজ্জল সেদিন রাত আটটার দিকে হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাকে আটক করে হলের অতিথিকক্ষে নিয়ে যান। পরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে স্টাম্প দিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তাকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। খাওয়া শেষে আবার তাকে হলের অতিথিকক্ষে এনে ব্যাপক মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তিন ধাপে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মারধরে জড়িত

আসামিরা বলেন, সেদিন অতিথিকক্ষে মারধরের পর রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তারা জানতে পারেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল মারা গেছেন

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাদী শাহবাগ থানায় মামলা করেন। পরে বিকেলে ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিম ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে থাকলে কিছু ছাত্র তাকে আটক করেন। প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে তিনি মোবাইল চুরি করেছেন অভিযোগ তুলে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসা করলে তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাওয়ানো হয়। পরে ফজলুল হক মুসলিম হলের দক্ষিণ ভবনে গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে পেছনে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তোফাজ্জল অচেতন হয়ে পড়েন

বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে জানালে তাদের সহায়তায় তোফাজ্জলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ১২টা ৪৫ মিনিটের সময় তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 


আরও খবর



তাবাসসুম ঊর্মিকে কেন ওএসডি করা হলো?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গোলাম মাওলা রনি :

মাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মিকে কেন ওএসডি করা হল এমন একটি প্রশ্ন করেছিলাম যা নিয়ে মুল ধারার গন মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে । 

ঊর্মিকে কেবল ওএসডি নয় - ইতিমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ! আমি ঊর্মির পক্ষে কিছুই বলিনি - শুধু কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম ! কেন প্রশ্ন করেছিলাম তা এখন আপনাদেরকে জানাচ্ছি ! 

আমি ২০১২ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার মধ্যে যে গনতান্ত্রিক মনভাব এবং আচরণ দেখেছি তা ২০১৩ সালের পর থেকে ভয়াবহ রূপ নেয় । কিছু আমলার প্ররোচনা এবং তেলবাজদের চক্রান্তের কারনে শেখ হাসিনার যে মানসিক বিবর্তন ঘটে সেখানে তাঁকে নিয়ে বা তার পরিবার নিয়ে কেউ টু শব্দ উচ্চারণ করলে তিনি সমালোচনাকারীকে শায়েস্তা করার জন্য পাগল হয়ে যেতেন । 

ডঃ ইউনুস আমাদের স্বপ্ন-ভালবাসা-ঘাম-শ্রম এবং রক্তের ফসল ! তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করলে বা তার সমালোচনা করলে কেন আমলারা শেখ হাসিনার জমানার মতো আচরণ করবেন । ঊর্মির বক্তব্য নিয়ে তাকে প্রথমত শো কজ করতে হবে । তার উত্তর সন্তোষজনক না হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে । অপরাধ বেশি গুরুতর হলে - ফৌজদারি মামলাও হতে পারে । কিন্তু এসব না করে - এক কথায় ওএসডি করা এবং তারপর সাময়িক বরখাস্ত করার মাধ্যমে যে দৃষ্টান্ত তৈরি হল তার সঙ্গে শেখ হাসিনার জমানার পার্থক্য কতোটুকু !  

ঊর্মি যে বিভাগের কর্মকর্তা সেই বিভাগে ইতিমধ্যে বহু লংকা কাণ্ড ঘটেছে । ডিসি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির খবরে সারা দেশে তোলপাড় হয়েছে । কাউকে ঊর্মির মতো শাস্তি দেয়া হয়েছে এমন খবর আমি এখনো শুনিনি । 

বাংলাদেশে নতুন করে বিরাজনীতিকরন, মাইনাস টু এবং মব জাস্টিস নিয়ে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে । এখানে হঠাৎ হুট হাট করে অনেক কিছু ঘটছে যা নিয়ে প্রশ্ন না করলে শেখ হাসিনার চেয়েও জঘন্য ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়ে যাবে । 

গন হারে মামলা, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়োগ বা চাকুরী থেকে বাদ দেয়ার পরের ধাপ হবে - রাজনীতিবীদদের উপর অত্যাচার । আর তখন যদি বিএনপি-জামাতের শীর্ষ নেতাদেরকে ধরা হয় - আদালতে উঠানোর সময় সাবের হোসাইন চৌধুরীর মতো লাথি গুঁতো কিল ঘুষি মারা হয় তখন প্রশ্ন করার মতো সাহস কারোরই থাকবে না ।


আরও খবর



রাজশাহীতে সাবেক এমপি ডা. মনসুর সহ ৭৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

রাজশাহীর দুর্গাপুরে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ও নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাংচর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি বর্ষন ও বোমাবাজির অভিযোগে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ডা. মনসুর রহমান সহ আওয়ামীলীগের ৭৩ নেতাকর্মীর নামীয় ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বিরুদ্ধে আদালতে মামলা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ জুলাই দুর্গাপুর উপজেলার হাটকানপাড়ায় আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. মনসুর রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. নাদিম মোস্তফার নির্বাচনী প্রচারনায় ও নির্বাচনী অফিসে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের মারপিট, নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর দুর্গাপুর উপজেলার ক্ষিদ্রখলশী গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলী সরদারের পুত্র ইয়াদ আলী বাদী হয়ে ৭৩ জন নামীয় ও ১৫/২০ জন অজ্ঞাত আসামী করে রাজশাহীর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, দুর্গাপুর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান শরিফ, পৌর মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, সবেক ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মোজাহার আলী সহ ৭৩ জনকে মামলার আসামী করা হয়েছে।

আরও খবর