Logo
শিরোনাম

"হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) মানুষের অন্তর জয় করেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,"সুফিরা জ্ঞানের গরিমা দিয়ে নয় ; তাদের সুন্দর ব্যবহার, চরিত্র, নম্রতা, বিনয় ও হেকমতের মাধ্যমে মানুষের অন্তর জয় করতে পেরেছেন বলেই, কোটি কোটি মানুষ তাদের মাধ্যমে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছে। অন্য ধর্মের মানুষরা পবিত্র কুরআন বা ইসলাম সম্পর্কে জানতো না ; কিন্তু সুফিদের প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে তারাও সুফিদের জীবনাচরণ ও ধর্মকে গ্রহণ করেছিলো। যুগে যুগে সুফিদের মাধ্যমেই ইসলামের খেদমত হয়েছে। সুফিরা অন্ধকার হৃদয়কে আলোকিত করতে পারেন। কারণ তারা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত। বাহ্যিক জ্ঞানের চেয়ে অপ্রকাশ্য জ্ঞান অনেক বেশি মহিমান্বিত। সুফিরা সেই জ্ঞানে জ্ঞানী। হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) ছিলেন বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুফি। সমগ্র বিশ্বে যেমন তার সম্মান মর্যাদার সাথে বিচরণ ছিলো, তেমনি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে তিনি আল্লাহ্ ও নবীপ্রেমের ঢেউ তুলেছেন। অভাবী, অসহায়, দরিদ্র মানুষকে তিনি পরম মমতায় বুকে জড়িয়েছেন। তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনেছেন।

স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসাই ছিলো তার দর্শন। এভাবে তিনি মানুষের অন্তর জয় করেছেন বলেই তার হাতে হাত রেখে হাজারো মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আবার অজস্র প্রাণে তিনি নবীপ্রেমের আলো জ্বেলেছেন। মানবতার জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। ইসলাম, সুফিবাদ, তরিকা ও মানবতায় তার অনন্য অবদানের জন্যই তিনি মহাকালকে জয় করতে পেরেছেন।"

২৯শে মার্চ, ২০২৪ মিরপুর-১ মাইজভাণ্ডার মইনীয়া খানকাহ্ শরীফে হুযুর গাউসুল ওয়ারা, হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রিয় নবিজী, (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার বংশধরগণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে ফিলিস্তিনের জনগণসহ দেশ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়।


আরও খবর

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শনিবার থেকে বেকার হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের অর্ধলক্ষ জেলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মো: আতোয়ার রহমান মনির,লক্ষ্মীপুর :

প্রজনন মৌসুমে‘ মা ইলিশ’ রক্ষায় উপকূলীয় মেঘনার লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত  ঘোষিত অভয়াশ্রম এলাকায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশসহ সকল ধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এ সময় ইলিশ ধরা বন্ধে অভিযান চালাবে নৌ-পুলিশ,কোস্টগার্ডসহ মৎস্য বিভাগ।

জাটকা সংরক্ষন ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার মধ্যরাত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতি জেলে ভিজিএফের চাল পাবে ২৫ কেজি। এই সময়ে বরাদ্ধকৃত চাল লুটপাট না  করে সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত তা বাস্তবায়নের দাবী জানান জেলেরা। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন,নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ,উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। গত বছরের অভিযান সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়ছে বলে দাবী করেন তিনি।


 এরইমধ্যে মেঘনা নদী থেকে তীরে ফিরতে শুরু করেছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। জালসহ অন্যান্য মালামাল গুছিয়ে তুলছেন অনেক জেলে। ২২ দিন সব ধরনের মাছধরা বন্ধ ধাকবে এ কারনে এর মধ্যে জাল সারাইয়ের কাজ করছেন কেউ কেউ। 

জানাগেছে, বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় মেঘনা উপকূলে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ৫২ হাজার জেলে কর্মহীন থাকবে। এদের অধিকাংশই বিকল্প কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় জাল বুনে দিন পার করছেন। এখানকার জেলেরা বলছেন, তাদের কেউ কেউ জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ মাছ ধরার যাবতীয় সরঞ্জাম মেরামত করছেন। বিগত সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে চাল না পাওয়ায় কেউ আবার পুর্নবাসনের দাবী হিসেবে নিষেজ্ঞার আগেরই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সঠিক জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের করার দাবী তুলেছেন।


কমলনগরের জেলে তাফাজ্জল  হোসেন,একেতো উপার্জন বন্ধ,তার উপর সরকারি প্রণোদনা পান না তারা। আর পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটানোর চিন্তায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন এতে দু'বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। এ সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় কর্মহীন বেকার সময়ে সংসার চালানোর দুশ্চিন্তার ভাঁজ বলছেন তিনিসহ অসংঙ্খ জেলেরা। 

মতির হাট এলাকার ট্রলারের মালিক সাহাজালাল বলেন, আমার এই ট্রলারে ২১ জন লোক আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত, মাছ ধরে সেই ঋণ পরিশোধ করে। এখন এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মাছ ধরতে না পারলে তাদের এই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবে। তাই এই জেলেদের অভিযানের আগেই দ্রুত চাল দিলে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট দূর হবে।


 জেলে রফিজল হাওলাদার বলেন, বিগত অভিযানে সরকার চাউল দেছে। তা পাই নাই। এবার ২২ দিনের অভিযান । জেলে সন্তান নিয়ে কিভাবে চলবে ২২ দিন। এ জন্য  দ্রুত চাল দেয়ার দাবি তার।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। মেঘনা নদী নির্ভরশীল সরকারি তালিকায় এদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৪ শত ৭২ জন জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। এদের অধিকাংশই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর নিষেধাজ্ঞা সময়ের ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ঘোষিত এলাকায় সকল ধরণের মাছ ধরা,সংরক্ষণ,আহরণ,বাজারজাতকরণ, মজুদকরণ ও পরিবহন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ। এর মধ্যে খাদ্য সহায়তা এসেছে ৩৯ হাজার ৭ শত ৫০ জন জেলে পরিবারের জন্য ৯ শত ৯৩ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। যথা শীঘ্রই চালু পেয়ে যাবে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলছেন, ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা। এসময় ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি আরো বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরাই বেশি বেকার হয়। এখানে কোনো কলকারখানা না থাকায়, তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থান নেই। নির্দিষ্ট সময়ে জেলেদের ২০ কেজির চালের পরিবর্তে ২৫ কেজি করে ৩৯ হাজার ৭ শত ৫০ জন জেলে পরিবারের জন্য ৯ শত ৯৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল, জরিমানা সহ বিভিন্ন শাস্তির কথা জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ইতিমধ্যে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাল জেলেদের মাঝে বিতরন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি হারে চাল দেয়া হবে। কেউ বাধ যাবেনা। নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না বলে আশা করেন তিনি। বলেন, যারা আইন অমান্য করবে,তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জেল-জরিমানা করা হবে। এটি বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।


আরও খবর



বছরের প্রথম দিন বই পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাবে বলে নিশ্চিত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ১ জানুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সবাই নতুন বছরের বই পাবে। বইয়ের মানের ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। কর্ণফুলী পেপার মিলের মতো ভালো মানের কারখানার কাগজ দিয়ে এবার বই ছাপা হবে

অবশ্য অন্য বছরগুলোর মতো এবার বই উৎসব হবে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেননি অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বছরের প্রথমদিন সবাই বই পাবে

তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বইয়ের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি বলেও জানান ড. সালেহউদ্দীন

অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেড় লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ফয়েল পেপার কেনার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে


আরও খবর

এইচএসসি ও সমমানের ফল মঙ্গলবার

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪




মেট্রোরেলের আয়ের সঙ্গে আগের আয় তুলনা অযৌক্তিক

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল চালুর প্রাথমিক পর্যায়ের আয়ের সঙ্গে বর্তমান আয়ের তুলনা করা যুক্তিসংগত নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

সম্প্রতি মেট্রোরেলের ১৮ দিনের আয়ের সঙ্গে এর প্রথম ছয় মাসের আয়ের তুলনা করে বিভিন্ন পোস্ট ও গ্রাফিকস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ডিএমটিসিএল-এর কোম্পানি সচিব খোন্দকার এহতেশামুল কবীর বলেন, শুরুতে যাত্রীরা বাংলাদেশে এই প্রথম এ ধরনের পরিষেবা ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন এবং এতে অভ্যস্তও ছিলেন না। তখন মেট্রোরেল অল্প সময়ের জন্য চালু থাকতো। এ ছাড়া উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সীমিত দূরত্বে চলাচল করতো।

তিনি বলেন, মেট্রোরেল এখন আরও বেশি যাত্রী নিয়ে পূর্ণ সক্ষমতায় চলছে। সার্ভিসটি এখন সময় ও দূরত্ব উভয় ক্ষেত্রেই বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ যাত্রী মেট্রো ব্যবহার করছেন, যা থেকে গড়ে এক কোটি টাকারও বেশি আয় হচ্ছে। এ পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ ১৯ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে চলতি মাসের (১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) আয় প্রকাশ করার পর এ তুলনাটি সবার নজর কাড়ে। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৪৯ জন যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছেন। এতে আমাদের আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ টাকা।

এর আগে মেট্রোরেলের প্রথম ছয় মাসের মোট আয় সংসদে উপস্থাপন করেছিলেন তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। গত ৪ মার্চ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মেট্রোরেলের আয় সম্পর্কে বলেছিলেন, অডিট ফার্মের নিরীক্ষা করা ২০২২-২৩ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট আয় ছিল ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা।

দেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল চালু হয়েছিল ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। শুরুতে মেট্রোরেল চার ঘণ্টার জন্য উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়। পরের বছরের ৫ এপ্রিল সেটা বাড়িয়ে ছয় ঘণ্টা করা হয় (সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা)।

পরে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ চালু হয়। তখন চলাচলের সময়ও বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ঘণ্টা করা হয়। চলাচলের সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে ৮টা ৪০ পর্যন্ত করা হয়। বর্তমানে মেট্রোরেল সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করছে।

মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত চালু হওয়ার পর, বিশেষ করে মতিঝিল ও সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়গুলো মেট্রো ট্রেন কাভারেজে চলে আসায় যাত্রী ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের আয়ও বাড়ে। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁওয়ের ভাড়া ৬০ টাকা। অন্যদিকে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সচিবালয়ের ভাড়া ৯০ টাকা, আর মতিঝিলের ভাড়া ১০০ টাকা।


আরও খবর



পাহাড়ি ঢল আর ব্যাপক বৃষ্টি, শেরপুরে ভয়াবহ বন্যা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পাহাড়ি ঢলে ডুবেছে শেরপুর-ময়মনসিংহের ১৬৩ গ্রাম, নিহত ৪ :

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুর ও ময়মনসিংহের বেশ কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় কমপক্ষে ১১৩টি গ্রাম এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৫০টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বাঁধ ভেঙে ও পানি উপচে পড়ছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নদী দুটির পানি বাড়তে শুরু করে। রাতে পানির তোড়ে পোড়াগাঁও, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড় ইউনিয়নসহ পৌরসভার গড়কান্দা ও নিচপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়। ঝিনাইগাতীতে উপজেলা পরিষদ চত্বর, সদর বাজারসহ ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে

আকস্মিক এ বন্যায় গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) নালিতাবাড়ীতে বৃদ্ধ ও নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাতে ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে উজান থেকে ভেসে এসেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির মরদেহ। তবে এখন পর্যন্ত তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি

ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমীন বলেন, পাহাড় থেকে ভেসে আসা মরদেহটি দুর্গম এলাকার। শুক্রবার রাতে ওটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, আমাদের ফোর্স মরদেহ উদ্ধারের জন্য সকালে রওনা হয়েছে

এছাড়া মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা রানীশিমুল ও সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঢলের পানিতে অনেক সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। আমনের খেত নিমজ্জিত হয়েছে

এদিকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদের বাঁধ ভেঙে উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিল জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নেতাই নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে আগামী দুদিনের মধ্যে এলাকার পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পুনর্নির্মাণ করা হবে

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন জানান, যেসব এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে সেসব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে


আরও খবর



কোমর ব্যথায় নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, সপ্তাহে পাঁচবার আধা ঘণ্টা করে হাঁটলে ও ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী চললে কোমর ব্যথা ফিরে আসার সময়টা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ নিয়মিত হাঁটা ব্যক্তিরা, যারা হাঁটেন না, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যথামুক্ত থাকতে পারেন।

বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ লো ব্যাক পেইন বা কোমরের ব্যথায় ভোগেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজনের ব্যথা সেরে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে আবারও ব্যথা ফিরে আসে

গবেষণার প্রয়োজনে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া ৭০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে অর্ধেক ব্যক্তির জন্য হাঁটা কর্মসূচি ও ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাকিদের নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল

তবে হাঁটা কেন কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করে, তার নির্দিষ্ট কারণ জানতে পারেননি গবেষকরা

এছাড়া হাঁটার কারণে কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ, হাড়ের ঘনত্ব, শারীরিক ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়েও সুবিধা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষণা প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপির অধ্যাপক মার্ক হ্যানকক।

 সূত্র : ডিপিআরসি হাসপাতাল


আরও খবর