Logo
শিরোনাম

জাপানে আলু রপ্তানির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

জাপানে যাবে দেশের আলু। বাংলাদেশ উৎপাদিত ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আমদানিতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানের একটি কোম্পানি। নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানিকৃত ভ্যালেন্সিয়া জাতটি দেশে এসিআই কোম্পানি প্রচলন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে টোকিওতে ওয়েস্টইন হোটেলে সাক্ষাৎ করেন জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা। এ সময় জাপানি কোম্পানির কর্মকর্তা এ আগ্রহের কথা জানান। এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফ এইচ আনসারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশে বছরে ১ কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হয়। চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টন। দেশে বর্তমানে যেসব জাতের আলু উৎপাদিত হচ্ছে, তার চাহিদা বিদেশে অনেক কম। সেজন্য রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনেক উন্নত জাত আনা হয়েছে, সেগুলো কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ চলমান। পাশাপাশি, আলুকে আমরা অনিয়ন্ত্রিত ফসল বা ডিনোটিফায়েড ঘোষণা করেছিলাম যাতে বেসরকারিভাবে উন্নত জাত আনা সহজ হয়। এ ঘোষণার পর থেকে বেসরকারিভাবেও আলুর অনেক উন্নত জাত দেশে এসেছে, নিবন্ধিত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রপ্তানিযোগ্য এসব আলুর জাত চাষের ফলে আলু রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলুর নমুনা নিয়ে জাপানের ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করা হয়েছে বলে জানান জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদৌ। তিনি কৃষিমন্ত্রীকে জানান, এ জাতের আলু মানসম্পন্ন ও সুস্বাদু।

উল্লেখ্য, আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল ঘোষণা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এরই প্রেক্ষাপটে এসিআই সিড ২০২০ সালে এসিআই আলু-১০ (ভ্যালেন্সিয়া) নামক আলুর বীজ নিবন্ধন পায়, যা নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি করা। জাতটিতে প্রায় ২১% ড্রাই মেটার আছে বিধায় এটি শিল্পে ব্যবহার উপযোগী।


আরও খবর



বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় প্রশিক্ষিত আনসার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশের এসকর্ট সুবিধা গত ১৪ মে প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। পুলিশের পরিবর্তে তাদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত করা হয়েছে আনসারের বিশেষ প্রশিক্ষিত জনবল। তবে এসব আনসার সদস্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিতে গেলে অর্থ খরচ করতে হবে কূটনীতিকদের। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি আনসার সদস্যকে ৩০০ ডলার করে দিতে হবে।

আগে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হতো না বিদেশি কূটনীতিকদের। মূলত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিনামূল্যে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হতো। তবে গত ১৪ মে বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় সরকার পুলিশের এসকর্ট সুবিধা তুলে নেওয়ায় এখন থেকে অর্থ খরচ করে নিরাপত্তা নিতে হবে তাদের।

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছ থেকে গাড়ি নিলে জ্বালানি খরচ ছাড়াও সঙ্গে দিতে হবে আরো এক হাজার ডলার। এছাড়া অন্য কোনো লজিস্টিক সাপোর্ট লাগলে তাও বহন করতে হবে ওই দূতাবাসকেই।

গত ১৭ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কূটনীতিকদের আনসার বাহিনী কীভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেবে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। নোট ভার্বালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার বাহিনীর সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দূতাবাসগুলোতে কূটনৈতিকপত্র পৌঁছে গেছে। পত্রে এসকর্ট সুবিধা পেতে হলে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ডিরেক্টরের (অপস) ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি কোনো বিদেশি কূটনীতিক।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দূতাবাসে ছয় বছর নিরাপত্তায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি)। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত লোকবল সরবরাহের সক্ষমতাও রয়েছে বাহিনীটির।

১৭ মে বৈঠক শেষে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বলেন, কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আছে আনসার বাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থিত কোনো বিদেশি দূতাবাস থেকে কূটনীতিক নিরাপত্তার জন্য আনসারের এসকর্ট সুবিধা পেতে আনুষ্ঠানিক আগ্রহ দেখানো হয়নি, এমনকি জানানো হয়নি লিখিত চাহিদাও।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন-এজিবি ইউনিট গঠন করা হয়। গঠন করা হবে আরো একটি ব্যাটালিয়ন, সে প্রক্রিয়া চলছে।

আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একজন পরিচালকের নেতৃত্বে আটজন কর্মকর্তা ও ৪১৬ জন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এজিবি। এজিবির মতো প্রশিক্ষিত জনবলে রয়েছেন আরো তিন হাজার সদস্য। কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় এজিবিকে ব্যবহার কিংবা প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের নিয়ে আলাদা ব্যাটালিয়নও গড়া যেতে পারে। এতে পোশাকসহ কাঠামোগত পরিবর্তনও প্রয়োজন হবে না।

আনসার সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি) সদস্যদের দেশে-বিদেশে কুইক রেসপন্স ট্রেনিং (কিউআরটি), স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল ট্রেনিং (এসটিটি), স্পেশাল প্রটেকশন ট্রেনিং ও বিশেষ অস্ত্র চালনার ট্রেনিংও রয়েছে। আনসারের কর্মকর্তারা এসএসএফ ও র‌্যাব, সচিবালয়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিজিএফআই) এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে প্রেষণে কর্মরত থেকে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।

বুধবার (২৪ মে) সকালে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (অপারেশনস) সৈয়দ ইফতেহার আলী বলেন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আমাদের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

 


আরও খবর



অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ইইউ : রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছা নেই।

মঙ্গলবার (৯ মে) বিকালে নগরীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় দিবস উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ইইউ বাংলাদেশে কোনো সহিংসতা ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, কারণ সব বাংলাদেশিও তাই দেখতে চায়।

তিনি বলেন, আমরা এখানে (বাংলাদেশ) অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ করতে আসিনি। আমরা পরিস্থিতি বোঝার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের কথা শুনতে এসেছি।

ইইউ'র অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরাও ব্রিফিংয়ে যোগ দেন। হোয়াইটলি বলেন, ইইউ জুলাই মাসে একটি অনুসন্ধানমূলক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠাবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে লিখিত আমন্ত্রণ পেয়েছি।

আসন্ন বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইউরোপীয় কমিশনের হাইকমান্ড।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর



বেতন-বোনাস বন্ধ করায় মানসিক চাপে শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

অসুস্থজনিত কারণে দুই দফায় ৬ মাসের ছুটিতে ছিলেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার আলালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এম রেজাউল হক। সুস্থ হয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনি বিদ্যালয়ে নিয়মিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানের অপর শিক্ষকরা।

এর পরও তাঁর যোগদানকালিন নিয়মিত বেতনভাতা বন্ধ করে দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকতা আবুল বাশার সামসুজ্জামান। সদ্য ঈদ-উল-ফিতরেও তাকে দেওয়া হয়নি বেতন-বোনাসের আদেশ। এমতাবস্থায় স্ত্রী ও দুটি শিশু সন্তান নিয়ে ঈদ উৎসব পালন করতে পারেননি তিনি। এমন প্রচন্ড মানসিক চাপে এক পর্যায়ে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। গত শনিবার স্ট্রোক করলে তাকে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বিকেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

নিহত শিক্ষক রেজাউল হক মান্দা উপজেলার বিলকরিল্যা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১০ ইং সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আলালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবা মৃত বসরতুল্যা প্রামাণিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রেজাউল হক এর উপর শিক্ষা কর্মকর্তার এমন আচরণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষক রেজাউল হকের স্ত্রী পান্না খাতুন সংবাদকর্মীদের বলেন, অসুস্থজনিত কারণে স্বামী রেজাউল হক গত বছরের ২২ আগস্ট তিন মাসের ছুটির আবেদন করেন। সুস্থ না হওয়ায় ছুটি আরও তিন মাস বাড়ানো হয়। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চাকরিতে যোগদান করেন।

চাকরিতে যোগদানের পর বেতন ভাতার জন্য স্বামী রেজাউল হক উপজেলা শিক্ষা অফিসে দিনের পর দিন ধর্ণা দিয়েছেন কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে তাকে হয়রানী করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিল বেতন পাসের জন্য অফিস আমার স্বামীর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করলে বাড়িতে থাকা ছোট্ট একটি ছাগল বিক্রি করে টাকা তুলে দেওয়া হয় অফিসের সেই ব্যক্তির হাতে। দাবি পুরন না হওয়ায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাস করেননি।

তিনি আরো বলেন, বেতন-বোনাস উত্তোলন করতে না পেরে স্বামী রেজাউল হক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। প্রচন্ড মানসিক চাপে স্ট্রোক করলে তাকে রাজশাহী হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বিকেলে মারা যান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার সামসুজ্জামান হয়রানী সহ সব অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলেন, মেডিক্যালের কাগজপত্র ও ছুটির আবেদন ছাড়াই ছয় মাস ধরে প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তার কাগজপত্র সঠিকভাবে উপস্থাপন করায় তা অনুমোদনের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়াই তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারেন না বলেও তিনি জানান।

এবিষয়ে জানতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইউসুফ রেজার মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



পাংশায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

রাজবাড়ী প্রতিনিধি :  রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের চর লক্ষীপুর গ্রামে বজ্রপাতে আব্দুল খালেক মোল্লা (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত কৃষক ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত সৈয়দ আলী মোল্লার ছেলে। শনিবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে দশটায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে হাসান আলী (৩২) বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার সময় আমার বাবা খাবার খেয়ে মাঠে ধান কাটতে যায়, আগে থেকেই কাটা ধানগুলো মহিষের গাড়িতে সাজাতে থাকে এ সময় বৃষ্টি শুরু হয় এবং বিদ্যুৎ চমকাতে থাকে ভয়ে আমার বাবা ও মহিষের গাড়িওয়ালা দুজনে মহিষের গাড়ির নিচে পালায় তখনই বজ্রপাতে আমার বাবার মৃত্যু হয়।


আরও খবর



দুই বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরল ১০ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

দুই বছর সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলো ১০ বাংলাদেশি যুবক। ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসারা হলেন, আরিফ মোল্লা (২৭), কোরবান আলী (৩৫), পান্নু মোল্লা (৩৮), সোলাইমান (৩০), শরিফ (২৪), সাইফুল ইসলাম (২৪), ইয়াছিন শেখ (২৪), নজিবুল ইসলাম (২২), সুমন্ত মন্ডল (২৩) ও সোহেল হাওলাদার (২৬)। ফেরত আসাদের বাড়ি রাজবাড়ি, বগুড়া, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ১০ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিক এন্ড কেয়ার নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

জাস্টিক এন্ড কেয়ারের ফিল্ড অফিসার রোকেয়া পারভিন বলেন, ফেরত আসারা ভালো কাজের আশায় ভারতের চেন্নাই শহরে গিয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সময় তারা সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেন। সেখান থেকে ত্রিজি নামের একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে তারা। তাদের যশোরে নিয়ে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে।


আরও খবর

সহায়ক হতে পারে মার্কিন ভিসা নীতি

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩