Logo
শিরোনাম

কাজে আসছে না বাজার মনিটরিং

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল :রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং টিম গঠন করলেও ক্রেতা এবং বাজারসংশ্লিষ্টরা বলেছেন সরকারের বাজার মনিটরিং কোনো কাজে আসছে না। তাই চাহিদার তুলনায় পণ্যের মজুদ বেশি থাকলেও রমজানের আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পর্যবেক্ষণেও এই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সরকারি পর্যবেক্ষণে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ মিলেছে।

প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণের এই তদারকির অভিযোগ শুরু হয়। তবে এ অভিযান শুধু রমজানেই নয়, পুরো বছরেই বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করেন ক্রেতারা। আর অভিযান পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজান এলে নয়, পুরো বছরই অনিয়ম ও খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে তৎপর থাকেন তারা। রমজানে এসব বিষয় প্রচারে গণমাধ্যম বেশি সক্রিয় হয় বলে এর প্রচারণাটা বেশি হয়। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ভেজাল ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এতে তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

প্রতি বছরই রমজানে বিভিন্ন কাঁচাবাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁয়, ইফতারির দোকানে, বিপণিবিতান, মুড়ি ও সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন সংস্থা। তাদের নির্ধারিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে নানা অভিযোগে জেল-জরিমানা করা হয়ে থাকে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম নয়।

সাধারণত পুলিশ, র‌্যাব, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), শুল্ক গোয়েন্দা ও স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ, বিআরটিএ, বিএসটিআই, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথ অভিযান পরিচালনা করে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারো রমজান শুরুর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পবিত্র

রমজানে খাদ্যদ্রব্যে নিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্যবিরোধী কার্যকলাপের জন্য কী শাস্তি সেটাও প্রকাশ করা হয়। তবে এ বছর সরকারি ১৪ সংস্থা বাজার মনিটরিং করতে অভিযানে নামে। অভিযানে জরিমানা ও বিক্রেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-সহ মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে এসব অভিযান শুধু রমজান মাসে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরো বছরে দেখতে চান ক্রেতারা। তারা মনে করেন, বিক্রেতারা শুধু রোজায় না সব সময় বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা।

রমজানে অভিযান চালানো ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি, এটা ঠিক নয়। ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। রমজান এলেই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। দুনিয়ার যত নষ্ট মাল আছে সেগুলো বাজারে ছাড়া হয়। শুধু রমজানে নয়, আমরা সারা বছরই এসব অনিয়ম ও ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে থাকি।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট ও মনিটরিং টিম সদস্যদের আসতে দেরি হয় বলে টিমের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হয়। তিনি বলেন, বাজার পরিদর্শন করে টিম লিডাররা রিপোর্ট প্রদানে প্রায়শই বিলম্ব করেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদনে পরামর্শ বা স্পষ্ট মতামত দেন না। পরিদর্শিত বাজারে উদ্ভূত সমস্যাগুলোর কথা উল্লেখ করলে মন্ত্রণালয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু মনিটরিং টিম এসব করে না। তাই বাজার মনিটরিংয়ের তেমন কোনো সুফল পাওয়া যায় না।


আরও খবর

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৩৪২৬

রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩

রমজানে জাল নোট নিয়ে সতর্কতা

শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩




কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলেন সাংসদ ছলিম উদ্দিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারে 'আদর্শ বিদ্যা নিকেতন' এর কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া সহ একই বাজারের 'তাযীবুল বানাত্ (বালিকা) মাদরাসা' (লিল্লাহ্ বোডিং) এর ২৬  জন (বালিকা) শিশু শিক্ষার্থীর হাতে কোরআন তুলে দিলেন (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম।

এউপলক্ষে বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ বেলা ১১টায় 'আদর্শ বিদ্যা নিকেতন' প্রাঙ্গনে আয়োজিত সমাবেশে জাতীয় সংসদ-৪৮, নওগাঁ-৩(মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের এমপি সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা  (ক্রেস্ট) বিতরণ করেন। আলহাজ্ব এস এম আফাজ উদ্দিন (অবঃ) সহকারি শিক্ষা অফিসার এর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন, ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ ভদ্র, চেরাগপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র, স্থানিয় ইউপি সদস্য ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোঃ রাশেদুজ্জামান চৌধুরী রাশেদ, সাবেক ইউপি মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, ভীমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান, সহ-সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু ও আদর্শ বিদ্যা নিকেতন এর পরিচালক মোঃ তারিকুল প্রমুখ। অপরদিকে দুপুর ১২টায় একই বাজারে 'তাযীবুল বানাত্ (বালিকা) মাদরাসা' (লিল্লাহ্ বোডিং) এ আয়োজীত কোরআন সবক অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপি ঐ মাদরাসা'র  ২৬ জন (বালিকা) শিক্ষার্থীদের হাতে কোরআন তুলেদেন এবং শিশু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এসময় আরো অতিথি সহ শিক্ষার্থী অভিভাবক ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ,নিজস্ব  প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় হামলাকারীদেরকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। (২ মার্চ বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫ টার দিকে সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কে পল্লীমঙ্গল বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেন। 

 উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে পল্লীমঙ্গল বাজরের ব্যবসায়ী মো. সুমন বয়াতীকে(৩০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় মোটরশ্রমিক আব্দুর রহমান খান(৩৮) ও তার সহযোগীরা। পাওনা টাকা চাওয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সুমন খানক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এ ঘটনায় সুমনের বড় ভাই রুবেল বয়াতী বাদি হয়ে আব্দুর রহমান সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে রহমান পলাতক রয়েছে। পুলিশ এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারনি।

মানববন্ধনে বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সহসভাপতি মহিউদ্দিন মন্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার, মাষ্টার জালাল হাওলাদার, শফিকুল ইসলাম বয়াতী, যুবলীগ নেতা নাজিব হাওলাদার প্রমুখ বক্তৃতা করেন। 


আরও খবর



নওগাঁয় ইরো-বোরো ধান চাষে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ,ধানের মূল্য বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

শস্য-ভান্ডার নামে সারা দেশে পরিচিত উত্তরাঞ্চল এর নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলায় এবার ইরি-বোরো ধান উৎপাদন (চাষে) খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। ধান চাষি কৃষকরা বলছেন, বিগত ধান চাষের মৌসম থেকে এবার চলতি ইরি-বোরো ধান চাষে দ্বিগুণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দিন মজুর ও ধানের চারা রোপন কাজের শ্রমিকের মূল্য যেমন বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ তেমনি বাজারে ডিজেল এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি চাষের খরচও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ, এছাড়া সার এর মূল্য কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে পানি সেচ মূল্য, বীজ, কীটনাশক সহ কৃষি শ্রমিকের মজুরি। যার ফলে বিগত বছরের থেকে এবার প্রতি বিঘা ইরি-বোরো ধান চাষে ৪-৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। একই সাথে কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান - কাটা মাড়াই এর শুরু থেকেই বাজারে প্রতি মণ ধান সর্বনিন্ম ১৫-১৬ শ’ টাকা দরে যদি বিক্রি করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তারা কিছুটা লাভমান হতে পারেন। এরনিচে কম মূল্যে বিক্রি করলে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বেন।

তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বর্গাচাষিরা। ইউরিয়া সার, শ্রমিক, চাষের খরচ সহ পানি সেচ বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়ায় জেলায় এবার গত বছরের চেয়ে ৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে করতে হচ্ছে কৃষকদের। 

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নওগাঁ জেলার সদর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মান্দা, বদলগাছী, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭শ' ৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পরিমাণ জমিতে ধান চাষে পানি সেচ ও সার বাবদ খরচ হবে ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গত বছর এক লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদে সার ও সেচে খরচ হয়েছিল ২১৩ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা। চলতি বছর এ বাড়তি খরচ প্রান্তিক চাষি (কৃষকদের) জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা সার, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে এনে ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছেন কৃষকরা।

নওগাঁ জেলার পল্লী গ্রামের মাঠ গুলোতে এবার চিকন ধান জিরাশাইল, কাটারিভোগ, সম্পা কাটারি, ব্রি-২৮, ২৯, ৮১, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতে সবুজের সমারোহ নজর কাড়ব যে কারো মনে। ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন মন্ডল, খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বাবু সহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবার ইরি-বোরো ধান চাষে খরচ অনেক বেড়েছে। তারা বলেন, শ্রমিকের খরচ, পানি সেচ খরচ ও ডিজেল এর মূল্য রাড়ানোর ফলে জমি চাষ খরচ সহ কিটনাশকের মূল্যও ব্যাপক বৃদ্ধি হওয়ায় চলতি ইরিবোরো ধান চাষে বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ বৃদ্ধি হয়েছে, এজন্য বাজারে ধানের মূল্য ও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকরা। অপরদিকে আত্রাই উপজেলার দমদমা গ্রামের পোস্ট মাস্টার আব্দুল লতিফ চাকরির পাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। এবার তিনি সারে ৪ বিঘা জমিতে ইরো বোরো ধান লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে কীটনাশকের দাম, জমি চাষ, ধানের চারা লাগানো, নিড়ানিসহ বিভিন্ন খরচ গত বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে। প্রতি মণ ধান ১৫শ' টাকা থেকে ১৬' টাকায় বিক্রি করা না গেলে ধানে লোকসান গুণতে হবে।

বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের কৃসক ওয়াহেদ আলী এবার সারে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ইরি বোরো ধান রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, গতবছর ধানের চারা রোপণ ৭০০-৮০০ টাকা বিঘা হিসেবে শ্রমিকের মজুরি ছিল। এবার তা বেড়ে ১৫০০ টাকা দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া একজন শ্রমিক এক বেলা খাওয়া দিয়ে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৬-১৭ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধান পাবো ২০ মণ। এর মধ্যে জমির মালিককে প্রতি বিঘাতে ৭ মণ করে ধান দিতে হবে। ৭ মন ধান দেওয়ার পর বিঘাতে ১৩ বা ১৪ মন ধান পাবো, তাহলে ধান চাষ করে কী লাভ হবে। এবার ধানের মন বিগত বছরের থেকে ৩০০-৪০০ টাকা বেশি না করা হলে আমরা ক্ষতির মুখে পড়বো।

রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের ধান চাষি কৃষক শুকবর আলী বলেন, এবছর ধার-দেনা করে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বিঘা বোরো আবাদের শুরুতেই খরচ বেড়েছে ২হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিকের মজুরি গত বছর ছিল ৩শ' টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫শ' থেকে সারে ৫শ' টাকায়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ ও জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করায় খরচ বেড়েছে। এই ধার-দেনার টাকায় ধান কাটার পরেই তা বিক্রি করতে হয়। তখন (ধান-কাটা মাড়াই এর) সময় আবার ধানের দামও পাওয়া যায় না। ধান ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিকদেরকে বেশি টাকা দিয়ে ধান কাটাতে হয়। তাই এবার ধানের দাম না বাড়লে ধান চাষি কৃষকরা মাঠে মারা যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একে এম মঞ্জুরে মাওলা জানান, ইতিমধ্যেই জেলায় মতভাগ আবাদি ধান চাষের জমিতে ধান রোপন সম্পূর্ণ করেছেন কৃষকরা। এখন ধান নিরানি, কিটনাশক, সেচ সহ ধান ক্ষেতের পরিচর্যা নিয়ে ব্যাস্ত কৃষকরা। তবে এখন পর্যন্ত জমিতে ইরি বোরো পরিবেশ ভালো রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি আরো বলেন, এবছর বিদ্যুৎ খরচ ও সেচ খরচ বেড়েছে, বেড়েছে শ্রমিকের মূল্যও। আর যেকোনো বিষয়ে উৎপাদন খরচ বাড়লে সেটি শেষ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে বেড়ে যায়। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করার সময় বর্তমান বাজার দরের সমন্বয় করবেন। তবে বাজারে ধানের দামও ভালো পাবেন কৃষকরা এবং কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এই কৃষি কর্মকর্তার।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে নিভৃত পল্লীতে গড় উঠেছে মিনি তাঁত কারখানা তৈরি হচ্ছে গামছা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে নিভৃত পল্লী অঞ্চলে  গড়ে উঠেছে মিনি তাঁত শিল্প কারখানা।সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সেই মিনি তাঁত মেশিনের খট খটানি শব্দে মুখরিত পুরো গ্রাম এলাকা।সেখানে সুন্দর সুন্দর গামছা তৈরি করে নজর কাড়ছে এলাকাবাসী সহ দর্শনার্থীদের।উৎপাদন বাড়াতে এই মিনি কারখানায় যন্ত্রচালিত পাওয়ার লুম দিয়ে গামছা তৈরি করা হয়। কারখানার মালিক শহিদুল্লাহ সামনে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদুল ফিতর কে সামনে রেখে কর্ম ব্যস্ত হয়ে পরেছে।

উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সিমান্তঘেঁষা গজের কুটি গ্রামে এই মিনি তাঁত শিল্পটি দেখতে গিয়ে জানাযায়,ওই এলাকার কৃষক মোঃ আমির হোসেন ছেলে মোঃ শহিদুল্লাহ দীর্ঘদিন তাঁত শিল্প কারখানায় কাজ করতেন তার স্বপ্ন ছিল বাড়িতে ফিরে গিয়ে ছোটকরে হলেও নিজেই কারখানা তৈরি করবে তার স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে নিজ বাড়ির উঠানে ছোট্ট একটি টিন সেটের ঘরে এই মিনি তাঁত শিল্প কারখানাটি গড়ে তোলেন ।প্রথমত তিনি গামছা তৈরি করছেন একমাসে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তার এই মিনি তাঁত শিল্প কারখানাটি দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে যেন গজের কুটি গ্রামে। সেখানে গামছা তৈরি করা সময় এক নজর দেখার জন্য এলাকাবাসী সহ অন্যান্য এলাকায় মানুষের ঢল নামে।তাঁত সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে তাঁতপল্লি গড়ে উঠার লক্ষ্যে শুধু প্রথম পর্যায়ে গামছা তৈরি করছেন উদ্যেক্তা শহিদুল্লাহ।কারখানায় উৎপাদিত গামছার কদর বাড়ছে গোটা উপজেলা জূরে।

স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল ইসলাম,অতুল চন্দ্র রায় ও রফিকুল ইসলাম গংরা বলেন,আমরা যতটুকু জানি, তাঁত কারখানার মালিক শহিদুল্লাহ খুব পরিশ্রমী ছেলে টানা ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত জীবন জীবিকার তাগিদে দেশে বিদেশে বিভিন্ন কলকারখানায় কাজ কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। শুনেছি সে তাঁত কারখানায় কর্মচারী হিসেবে অনেক দিন কাজ করেছেন।ছোট বেলা থেকেই শহিদুল্লাহ ছিল কঠিন পরিশ্রমী ছেলে। তার স্বপ্ন ছিল বাড়িতে ফিরে গিয়ে সে নিজেই একটি কারখানা তৈরি করবে এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হবে ব্যাস ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় তার অদম্য ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন একটি মিনি তাঁত শিল্প কারখানা। হয়ে যান নিজে কারখানার মালিক এখন প্রতিদিনই তার কারখানায় গামছা তৈরি হচ্ছে বাজারজাত হচ্ছে গোটা উপজেলায় খবর ছড়িয়ে পরছে।তার স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে গত এক মাস যাবৎ তিনি গামছা তৈরি করছেন শতশত মানুষ কারখানা দেখতে যাচ্ছেন।আবার কেউবা স্বল্প মূল্যে গামছা ক্রয় করছেন।


তাঁত কারখানার মালিক শহিদুল্লাহর সাথে কথা বলে জানাযায়, অনেক স্বপ্ন নিয়ে কারখানাটি শুরু করেছি।আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি।এই কারখানাটি শুরু করতে দুইটি পাওয়ার লুম(মেশিন) সিরাজগঞ্জ থেকে ২লক্ষ্যে ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করি নিয়ে আসা ক্যারিং খরচ আরো ১৫ হাজার টাকা লাগে।সেখান থেকে প্রায় ৭০হাজার টাকার সুতা ক্রয়করি,ঘড় তৈরী করতে ৩৫ হাজার,অন্যান্য খরচ আরো ২০হাজার টাকা সহ সর্বমোট প্রায় ৪লক্ষ্যে টাকা ব্যয়ে তার স্বপ্নের তাঁত শিল্প কারখানাটি চালু করেন। তবে বড় পরিতাপের বিষয় তার মূলধন ছিল মাত্র ১ লক্ষ্যে টাকা বাকি টাকাটা তিনি বিভিন্ন সংস্থা বা ইনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন।তিনি সহ আরো দুইজন তাঁত শ্রমিক সহ গত একমাস থেকে গামছা তৈরি করে আসছেন।

উদ্যোক্তা শহিদুল্লাহ আরো জানান, তৈরি করা গামছা গুলো স্থানীয় বাজারে পাইকারি হিসেবে এক থান( ৪পিচ গামছা) ৪২০থেকে ৪৪০টাকায় বিক্রি করছেন। এই মাসে ৭০থেকে৮০ হাজার টাকার গামছা বিক্রি করছেন। তিনি এও বলেন সব খবর দিয়ে টিয়া মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় হয় আরকি। পরিশেষে তিনি বলেন, বড় ধরনের ব্যাংক ঋণ পেলে কারখানাটি বড় পরিসরে করে যেমনি ভাবে আয় বাড়ানো যেতো তেমনি ভাবে আমাদের এই অবহেলিত এলাকার কিছু বেকার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতো।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব সুমন দাস জানান,মিনি কারখানা হলেও ফুলবাড়িতে তাঁত শিল্পের মাধ্যমে গামছা তৈরি হচ্ছে এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ওই উদ্যোক্তাকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি তিনি জেলা বিসিক শিল্প নগরীর মাধ্যমে প্রোণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন। 


আরও খবর



নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক সহ দু' জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image


শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক সহ দু' জনের মৃত্যু।

নওগাঁর রাণীনগরে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ঐ ট্রাকের চালক আমির হোসেন (৫৮) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বান্দায়খাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাক চালক আমির নাটোর জেলার বড়ই গ্রামের মৃত দিলবর রহমানের ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ট্রাক নিয়ে বান্দাইখাড়া বাজারে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে দূর্ঘটনাস্থলেই চালক আমির গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। দূর্ঘটনা কবলীত ট্রাকটি উদ্ধারের কাজ চলছে।

অপরদিকে নওগাঁর পত্নীতলার বাকরইল রুপগ্রাম মোড়ে সকাল ১১ টায় ট্রলির সাথে মোটরসাইকেল এর সংঘর্ষে  মোটরসাইকেল আরোহী তুহিন হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত তুহিন হোসেন পত্নীতলা উপজেলার বড় মহোরন্দি গ্রামের সারওয়ার হোসেন এর ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, নিহতের পরিবার বা কারো কোন অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের  নিটক মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, নিহত তুহিন হোসেন দীর্ঘ দিন প্রবাসে থাকার পর প্রায় দু মাস পূর্বে দেশে (বাড়িতে) আসেন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। বিবাহের মাত্র কয়েক দিন পরই তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে নিহতের পরিবার-স্বজন সহ গ্রামজুড়ে লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া।


আরও খবর