Logo
শিরোনাম

কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর



উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

চৈত্র সংক্রান্তির রাতে আলপনা উৎসবে মাতলো রাজধানীবাসী। একসঙ্গে দুই শতাধিক শিল্পী আর কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে রঙিন হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পিচঢালা পথ। আনন্দ ভাগাভাগি করে অংশগ্রহণকারীদের শপথ, সাম্প্রদায়িকতার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ষড়ঋতুর ছয়টি রঙয়ে রঙিন পিচঢালা রাজপথ। বুকজুড়ে আলপনা, তাতে জ্বলজ্বলে প্রিয় বাংলা ভাষার অমূল্য অক্ষর। চাঁদের আলোয় বিশাল আকাশের নিচে একমনে শিশুদের হাতে হাতখড়ি বাংলা নতুন বছর বরণের আলপনা।

তুলির নকশায় শুধু সৌন্দর্যই ফুটে ওঠেনি, এতে মিশেছে বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।

শুধু কি শিল্পীর হাতে তুলি? ১৪৩১ কে বরণ করতে নিয়ন আলোতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নামে হাজারো মানুষের ঢল। নিজ হাতে রঙ-তুলি টেনে নিয়ে ভালোবাসা আর আনন্দ ভাগাভাগিতে শামিল হন নগরবাসী। অবাক হয়ে তারাই জানালেন শেষ যে কবে এমন উৎসবে শামিল হয়েছেন তা ঠাহর করা মুশকিল। বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে শিশু, তরুণ-তরুণীরা।

আলপনা উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরচেনা সংস্কৃতি বজায় রাখার ডাক দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

আলপনার পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা গানের সুর আর নাচের তালে শামিল হন নগরবাসী।


আরও খবর



দুই দশকে প্রোস্টেট ক্যান্সার হবে দ্বিগুণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

 বিশ্বব্যাপী নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যা আগামী দুই দশকে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। কারণ দরিদ্র দেশগুলো ধনী দেশগুলোর বার্ধক্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে। শুক্রবার প্রকাশিত ল্যানসেটের প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে।

জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে মেডিক্যাল জার্নালে বলা হয়েছে, আমাদের অনুসন্ধানগুলো বলেছে যে বার্ষিক নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২০২০ সালে ১৪ লাখ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ২৯ লাখে দাঁড়াবে।

সমীক্ষার পেছনে গবেষকরা বলেছেন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি সারাবিশ্বে বর্ধিত আয়ু এবং বয়সের পিরামিডের পরিবর্তনের সাথে যুক্ত।

গবেষকরা বলেছেন, প্রোস্টেট ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক। আক্রান্ত প্রায় ১৫ শতাংশ। এটি বেশিভাগই ৫০ বছর বয়সের পর আবির্ভূত হয় এবং পুরুষদের বয়স হিসাবে এর আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি পায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।

তারা জোর দিয়েছিলেন, জনস্বাস্থ্য নীতিগুলো ফুসফুসের ক্যান্সার বা হৃদরোগের ক্ষেত্রে পরিবর্তনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

গবেষকরা আরো বলেছেন, কার্যকর চিকিৎসা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আগে স্ক্রীনিংয়ে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। কারণ, এই রোগটি প্রায়শই খুব দেরিতে নির্ণয় করা হয়।


সূত্র : বাসস


আরও খবর



বান্দরবানে থমথমে পরিস্থিতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বান্দরবানে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কেএনএফের সন্ত্রাসী হামলা, ব্যাংক লুটের পর সেনা-পুলিশের যৌথ চেকপোস্টে আক্রমণের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রুমায় তিনটি ও থানচিতে একটি। এ মামলাগুলোতে পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। থানচি বাজারে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দোকানপাট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সব বন্ধ রয়েছে। রুমার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও জনমনে আতঙ্ক এখনো কাটছে না।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো: সৈকত শাহীন জানিয়েছেন, রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পুলিশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রুমার সোনালী ব্যাংকে হামলা অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট, সেই সাথে ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ এবং পরপর থানচি উপজেলায় আরো বেশ কয়েকটি হামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে রুমা উপজেলার ব্যাথেলপাড়া থেকে অপহৃত ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের একটি সশস্ত্র দল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হামলা করে। সেখান থেকে ১৪টি অস্ত্র গোলাবারুদ লুটের পর ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন সকালে থানচি উপজেলায় হানা দিয়ে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে থানচি বাজারে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় আবার হামলা করে কেএনএফ। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির সাথে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময় হয়। এছাড়া গভীর রাতে থানচি-আলীকদম ডিম পাহাড় সড়কে সেনা-পুলিশের একটি যৌথ চেকপোস্টে গুলিবর্ষণ করে তারা। তবে এসব হামলার ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আবার হামলা হতে পারে এ আশঙ্কায় অনেকেই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে গেছে।


যৌথ অভিযান শুরু : এদিকে গতকাল বেলা ১১টায় বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজামউদ্দিনের উদ্ধার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে র্যাব। এ সময় পাহাড়ের নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার থেকেই যৌথ সাঁড়াশি অভিযান শুরুর কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ এই অভিযান কেএনএফ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে। সন্ত্রাসীদের দমনে পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মতো সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে। সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের জানান, র্যাবের কৌশল ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারণে অপহৃত ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে কেএনএফ আগামীতে আরো বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা অপহৃত ম্যানেজারের ল্যাপটপ ব্যবহার করে সাইবার হামলা চালাতে চেয়েছিল বলেও জানান তারা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা। এ সময় পরিচালক জানান, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পর পাহাড় ও ঝিরি পথে দীর্ঘক্ষণ পায়ে হেঁটে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অভিযানে নামে র্যাব।

 

একটানা ৩০ ঘণ্টা অভিযানের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা র্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেয় এবং অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে রুমার একটি জায়গায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে র্যাব তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় তিনি আরো বলেন ব্যাংক ম্যানেজারকে জীবিত উদ্ধারের কারণে আমরা হার্ডলাইনে যাইনি তবে আজ থেকে আমরা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করব বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতায়। কারণ কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতে হয়তো তারা আরো বড় ধরনের হামলা করতে পারে। সন্ত্রাসীদের ছাড় দেয়া হবে না সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।


যৌথ তল্লাশি চৌকিতে আক্রমণ, থানচিতে গোলাগুলি : আলীকদম থেকে আমাদের সংবাদদাতা মমতাজ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে আলীকদম-থানচি সড়কের ২৬ কিলোমিটার এলাকায় আলীকদম জোনের আওতাধীন একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রাত পৌনে ১টার দিকে ২৬ কিলোমিটার এলাকার এ যৌথ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসীরা গাড়িতে করে এসে চৌকি ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তারা গুলি চালায়। এ সময় চৌকিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন। পরে হামলাকারীরা পিছু হটে।

এছাড়া যৌথ চেকপোস্টে হামলার আগে থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সাথে সন্ত্রাসীদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টার বেশি এ গোলাগুলি চলে। স্থানীয় সাংবাদিক অনুপম মার্মা ও শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা ভালো নেই। স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে অনেকটা গৃহবন্দীর মতো অবস্থায় রয়েছেন।


অস্ত্রধারীরা এখনো দেড় কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে : বান্দরবানের থানচি থানার এক থেকে দেড় কিলোমিটারে মধ্যে এখনো বিভিন্ন পাড়ায় কেনএনএফ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এ কথা জানান থানচি থানার ওসি জসীম উদ্দিন।

গতকাল দুপুরে সরেজমিন থানচি থানা ঘুরে দেখা গেছে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। থানার প্রবেশমুখে ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন পুলিশ সদস্যরা। জানতে চাইলে ওসি জসীম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলার পর সন্ত্রাসীরা থানার এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আমাদের ধারণা, পুলিশের ওপর হামলা করে তারা নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে ও অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা করছে। থানার জন্য বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে এবং আরো ফোর্স আনা হচ্ছে। সবাই অস্ত্র নিয়ে থানায় চার পাশে সতর্ক অবস্থানে আছে।


আরও খবর



ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে অনীহা বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকায় প্রতি বছর যে পরিমাণ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় তার প্রায় অর্ধেকই পথচারী। সংখ্যার হিসাবে বছর শেষে যা ২৫০ থেকে ২৮০। সড়কে বেপরোয়া বাহনের পাশাপাশি সমানতালে বেপরোয়া পথচারীও। যত্রতত্র পারাপার আর ফুটওভার ব্রিজে অনীহা বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা। তবে ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়ক আর ফুটপাতের অব্যবস্থাপনা উসকে দেয় এমন দুর্ঘটনা। নগর কর্তৃপক্ষ এর জন্য দায়ী করছে অসচেতনতাকে।

ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩- খবরের এমন শিরোনাম যেন নিত্যদিনের। বলতে গেলে প্রতিদিনই এই নগরের কোথাও না কোথাও ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

তবু থামছে কই। কারণে অকারণে নানা অজুহাতে একটু সময় বাঁচাতে প্রাণ হাতে নিয়েই পাড়ি দিচ্ছে নগরের পথ। যেনো দুই এক মিনিট সময় বাঁচিয়েই করা যাবে বিশ্বজয়। সবই জানা, তবু যেনো মানতে মানা।

পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানী ঢাকায় প্রতিবছর অর্থাৎ প্রতি ৩৬৫ দিনে পাঁচ থেকে সাড়ে ৫০০ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে অবার করার মতো তথ্য হচ্ছে এর ৪৭ থেকে ৪৯ ভাগই পথচারী। অর্থাৎ চলার পথে পেছন থেকে ধাক্কা কিংবা সড়ক পারাপারেই প্রাণ রাজধানীতে ঘটছে অধিকাংশ দুর্ঘটনা। এরপরেই ২৪ ভাগ দুর্ঘটনার কারণ পেছন থেকে ধাক্কা যা বিশৃঙ্খল গণপরিবহনেরই চিত্র তুলে ধরে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, পথচারীদের সঙ্গে দুর্ঘটনার জন্য বেশিরভাব সম্পৃক্ত বাস-ট্রাকের মতো ভারী যানবাহনগুলো। অনুপাত হিসাব করলে ২২ থেকে ২৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেল আরোহী বা মোটরসাইকেল কেন্দ্রিক।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এমন দুর্গটনার অন্যতম কারণ রোড ইঞ্জিনিরয়ারিং। তার মানে গলদ আছে সড়ক ব্যবস্থাপনায়। তাছাড়া বেদল আর পথচারী বান্ধব না হওয়ায় ফুটপাত, পুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহারেও রয়েছে অনীহা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান বলেন, সড়ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলো আমাদের জন্য আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি ফুটপাতগুলোও পথচারী বান্ধব নয়।

তবে নগর কর্তৃপক্ষ সরাসরি দায়ী করছে অসেচতনাকে। বলছে, কাজ করতে হবে সব পক্ষের সচেতনতায়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে হঠাৎ করেই রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌড় দেয়। শর্টকাট করলে কিন্তু হবে না। গাড়ির চালক ও পথচারী সবাই নিয়ম মেনে চললে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অনেকখানি রক্ষা পাওয়া যাবে। দেশে মোট সড়ক দুর্ঘটনার ২৩ ভাগই হয় শহরে। আর তার ৭৪ ভাগই রাজধানী ঢাকায়।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে। বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

বুধবার (০১ মে) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৯৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য মাঝারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু ; ১৭১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ইন্দোনেয়ার মেদান , ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পাকিস্তানের করাচি শহর। এ ছাড়া ১৬০ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর