Logo
শিরোনাম

কু‌মিল্লায় স্ত্রী’র ইজ্জত রক্ষায় পত্রিকা বিক্রেতাকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

কু‌মিল্লা ব্যুরো ঃ

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পত্রিকা বিক্রেতা জসিম উদ্দিনের (৪৫) স্ত্রী’র ইজ্জত রক্ষার চেষ্টায় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রী, সন্তান ও লোকজনের সামনে কিল-ঘুষি মেরে প্রকাশ্যে জসিমকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নাঙ্গলকোট পৌরসভার কেন্দ্রা গ্রামের আবুল কালাম সওদাগর নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।                              এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম।                                  জসিম কেন্দ্রা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম ও থানায় অভিযোগ পত্র থে‌কে জানা যায়, নাঙ্গল‌কোট উপজেলার পৌর সদরের কেন্দ্রা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে পত্রিকা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন প্রতিদিনের ন্যায় পত্রিকা বিক্রি করে বাড়ীতে গিয়ে খাবার শেষে আছরের নামাজ পড়তে কেন্দ্রা দিঘির পাড় মসজিদে যায়। নামাজ শেষে জসিম কেন্দ্রা দোকানের সামনে আসলে সেখানে একই গ্রামের আবুল কালাম সওদাগরের সাথে দেখা হলে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে জসিমের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রীকে কেন ডেকেছে এবং কেন সবসময় তার স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী কালাম সওদাগর তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এসময় জসিম প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে তাকে আবার মারধর করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী মাহমুদা বেগম। পরে স্থানীয়রা জসিম উদ্দিন জীবিত আছে ভেবে তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত জসিমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন, কালাম সওদাগর আমাকে সবসময় তার সাথে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিতো এবং টাকার লোভ দেখাতো। আমি তাকে আমার স্বামী আছে বললেও সে অনেক সময় রাতে আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করতো।             শনিবার গভীর রাতে কালাম সওদাগর আমাদের বাড়িতে গিয়ে টচ লাইট মারলে আমার স্বামীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় আমার স্বামী কালাম সওদাগরকে ধরার চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিকেলে আমার স্বামী কালাম সওদাগরের নিকট জানতে চাইলে সে আমার স্বামীকে আমি ও আমার ছেলে’সহ দোকানে উপস্থিত লোকজনের সামনে কিল ঘুষি মেরে হত্যা করে। আমি কালাম সওদাগরের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন জানান এ ঘটনায় এক‌টি মামলা প্রক্রিয়ার্ধীন র‌য়ে‌ছে। পু‌লিশ নিহ‌তের লাশ ময়নাতদ‌ন্তের জন‌্য কু‌মেক হাসপাতা‌লে পাঠা‌বে।


আরও খবর



গজারিয়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন চিহ্নিত মাদক কারবারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল,জেলা প্রতিনিধি  মুন্সিগঞ্জ :

আসন্ন ০৮ এপ্রিল প্রথম ধাপে দেশের কয়েকাংশে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই যাত্রায় অনুষ্ঠিত হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডোনেশন তৎপরতা বেড়েছে স্থানীয় মাদক কারবারীদের। স্থানীয় সূত্র জানা যায় ক্ষমতায় যেতে মড়িয়া মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয়  চক্রটি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও সরাসরি মাদক কারবারে সাথে জড়িত বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আতংক ২২ মামলার আসামি,  উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু। এই নির্বাচনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পেয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীক। বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন ও তার আশেপাশে এলাকায় তার পেশীশক্তির প্রভাবে চালান রমরমা মাদক ব্যবসা। নিজের আপন বড় ভাই বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বর্তমান ও দুইবারের চেয়ারম্যান সেই সুবাদে তার এলাকায় মাদক কারবার ও পেশীশক্তির সংশ্লিষ্ট আধিপত্যতা রয়েছে দীর্ঘদিনের।


মাদক কারবার জমি দখল চাঁদাবাজি করে বাগিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করার মাধ্যম হিসেবে এই পরিবার বেছে নিয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে। অভিযোগ রয়েছে নিজের আপন বড় ভাইয়ের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে খরচ করেছেন মাদক কারবার হতে বাগিয়ে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা।

বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম মন্টু মানেই একটি ভয়াভয় অংতকের নাম। এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় তীব্রভাবে দাবী করে বেড়াচ্ছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যান্ডিডেট হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ-০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী মোঃ ফয়সাল বিপ্লবের নিজস্ব ব্যাক্তিগত প্রার্থী হিসেবে এবং তিনিই তাকে এই নির্বাচনে পাশ করিয়ে দিবেন এমন গুঞ্জন ও আংতক বিরাজ করছে স্থানীয় ভোটাদের মাঝে।  এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকরা ও তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে ভয় পায়। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় এলাকায় এমন সংবাদ হারহামেশাই বলাবলি হচ্ছে সাইফুল ইসলাম মন্টুর মাদক কারবার ও পেশীশক্তির মাধ্যমে আয় করা অর্থের ভাগ পান বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লব। তাই এই মর্মেই বোধহয় এমন পেশীশক্তি অধিপত্যেতা বজায় রেখেছেন তিনি। বারবার নানারকম অপকর্ম প্রশাসনের নাকের ডগায় করেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেড়িয়ে যান সদম্ভে।

এই প্রার্থী ছাড়াও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গজারিয়া উপজেলায় চিহ্নিত মাদক কারবারিদের ডোনেশন (বিনিয়োগ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় একাধিক প্রার্থী পক্ষে। মাদক কারবারিদের নির্বাচনে লগ্নি করা অর্থ লুফে নিচ্ছেন একাধিক প্রার্থী বিনিময়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পাশ করলে করতে পারবেন নিরাপদ মাদক ব্যবসা।


এই তালিকায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু শীর্ষে অবস্থান করলেও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে একাধিক প্রার্থীর পক্ষে।

এই তালিকায় মাদক কারবারী না হলেও মাদকসেবী হিসেবে এলাকায় খ্যাতি রয়েছে আরেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুনায়েত হোসেন মনির পেয়েছেন তালা প্রতীক।

মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশে পরের অবস্থানে রয়েছে বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও এই নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি পেয়েছেন পদ্মফুল প্রতীক তিনিও মুন্সীগঞ্জ -০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লবের নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা চালাচ্ছেন জনসংযোগ কালে। তার একাধিক কোটিপতি মাদক কারবারি ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশীশক্তিশালীদের সাথে রয়েছে নানা সম্পর্ক।

এই তালিকায় তারপরের অবস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেসা উত্তরা ও আরেকজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুসরাত বেগম মিতু তাদের নির্বাচনী প্রচরনা ও গনসংযোগ কালে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তারাও গুপ্তসন্ধি করেছেন এলাকাবেধে স্থানীয় মাদক কারবারিদের সাথে এমন খবর চাউর হয়েছে স্থানীয় ভোদের মাঝে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম ও মনসুর আহাম্মেদ খান জিন্নাহ্ শিবিরেও ভয়ংকর মাদক কারবারিদের আঁতাত করা সর্ম্পক ও যোগসাজশ রয়েছে এবং এই সব মাদক কারবারিদের দেখা যায় তাদের নির্বাচনী প্রচারনায় সরব উপস্থিতি হিসাবে।

এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত ও আংতকিত গজারিয়া উপজেলাবাসী মাদক ব্যবসায়ী ও পেশীশক্তিশালীরা ক্ষমতায় গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করবে সারা গজারিয়া উপজেলা জুড়ে।

স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানতে পারি ভালো প্রার্থী না থাকায় সচেতন ভোটাররা ভোট বয়কট করবেন সেই হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে গজারিয়া উপজেলার এই নির্বাচন স্মরনকালের সব থেকে কম ভোটার উপস্থিতি হবে।


আরও খবর



ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। এতে বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এদিকে শেষ মুহূর্তের দিন ট্রেন যাত্রায় ভেঙে পড়েছে রেলের নিয়মশৃঙ্খলা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর।

এছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



দশমিনায় সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন ,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীতে আইএফডিসি ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ফিট দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এক্টিভিটি এর উদ্যোগে সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী নিজ হাওলা গ্রামে প্রায় আর্ধশতাধিক কৃষক-কৃষানীর অংশ গ্রহনে সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। সুর্যমুখি চাষি মো. মকবুল হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন-আইএফডিসি প্রকল্পের ফিল্ট সুপার ভাইজার মো. নাজমুল হক, সিএফডিসও মো. হাবিবুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রবি ফয়সাল ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় গন্যমান্যব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগ এবং দুই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এর মধ্যেই সোমবার (১৫ এপ্রিল) পটুয়াখালির খেপুপাড়ায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান এই তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়েও থাকবে বলেও জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। মাঝখানে বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় তাপমাত্রা সহনীয় ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা এ মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। এ মাসে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।

এছাড়াও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ২০ এপ্রিলের পর দেশের কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস, ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ও বজ্রপাত হতে পারে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর, তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে আবার বলে তীব্র তাপপ্রবাহ।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, কোনো জায়গার দৈনিক যে গড় তাপমাত্রা, সেটি পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেলে এবং পরপর পাঁচদিন তা চলমান থাকলে তাকে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ বলা হয়।


আরও খবর



আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল সংঘাত চলছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর। শিগগিরই দেশটিতে চলমান এ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসেই মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে সন্ত্রাসী দল বা গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে। মিয়ানমারের পাশাপাশি আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে। সেইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান পণ্যের সরবরাহ আরও বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে আরও কয়েকটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে পর্যুদস্ত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিপির পাঁচ শতাধিক সদস্য। এর মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর সবশেষ গত ২৫ এপ্রিল নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ২০৭ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালি বর্ধিত ক্যাম্পে রয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৬ জন। অন্যান্য ক্যাম্পে রয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৪ জন রোহিঙ্গা। এর বাইরে ৬ হাজার ৮২৭ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে হোস্ট কমিউনিটি তথা কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশি সমাজের সঙ্গে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।


আরও খবর