Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবিতে নবগঠিত ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

২০ নভেম্বর,  (সোমবার) বিকাল ৩.৩০ মিনিটে  বিশ্ববিদ্যালয়ের  তৃতীয় একাডেমিক ভবনের টপ ফ্লোরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক শীল এবং সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। এছাড়াও এতে  উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীবৃন্দ।  

উক্ত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক শীল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে ভোট উৎসবের মাধ্যেম সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পঞ্চমবারের মত বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে আজকের আমাদের এই মতবিনিময় সভা। আজকের স্মার্ট ছাত্রসমাজ স্মার্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের উন্নয়নের জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপার জন্য লড়ে যাবে৷

সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৌকাকে জয়ী করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে । আমরা প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত ভোটারদের নিয়ে কাজ করা সহ বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজের মধ্য দিয়ে এদেশের গণতন্ত্রের চলমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপার বিজয় সুনিশ্চিত করব।

প্রসঙ্গ, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাওলানা  ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ  এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে নাজমুল হাসান পাপনের নাম জড়িয়ে আছে অনেক দিন ধরেই। ক্রিকেটের উত্থান-পতনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। তবে এবার ক্রিকেট বোর্ড ছাড়ার ঘোষণাই দিয়ে রাখলেন নাজমুল হাসান। বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নিজের ব্যাপারে ঘোষণা দিয়ে রাখলেন বোর্ড সভাপতি।

নিজ বাসার সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, এই টার্ম তো আর বেশিদিন নাই। আমি আর বেশিদিন নাই। আমার প্ল্যান হচ্ছে, আর একটাবছর আছে। এবং এরমধ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই টিমকে ঠিক করে যাব। যা যা করা দরকার এটা আমি করে যাব। সেটা ঠিক হবে কিনা আমি জানিনা। আমি যেটা মনে করি, এটা করা দরকার, সেটা যদি অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও হয়, সেটাও নিব।

নিজের শেষ সময়ে খানিক কঠোর হবেন, সেই আভাসও দিয়ে রেখেছেন বোর্ড সভাপতি, 'একেকজন একেকটা কথা বলবে। সেটা শুনে একটা ডিসিশন নিব এসবের মধ্যে আমি নাই। আমি নিজে ভেতরে ঢুকব, আগে যেমন সব জানতাম। আমি জানিনা অনেক কিছু। সেটা তামিমও স্বীকার করলো সে জানেনা। আমি বললাম আমি আগে সব জেনে নিই। কেবল তোমার সঙ্গে কথা বললে তো হবে না, আমি সবার সঙ্গে কথা বলি। ভেতরে যেয়ে ক্রিকেটের স্বার্থে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি নিব।

নিজের সিদ্ধান্তের ফলাফল নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন পাপন, 'সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কে পছন্দ করলো বা না করলো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ক্রিকেটের স্বার্থে যা যা সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেটা যদি খুব কঠিনও হয়, আমি নিব।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ই অক্টোবর চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ড পরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। নাজমুল হাসান পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। চতুর্থ মেয়াদে ২০২১ থেকে বোর্ড সভাপতির পদে আছেন তিনি।

এর আগে, নিজ বাসায় বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে লম্বা সময়ের জন্য বৈঠক করেছিলেন বোর্ড সভাপতি। আলাপের পর তামিম কথা না বললেও নাজমুল হাসান পাপন কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। জানিয়েছেন কবে নাগাদ মাঠে ফিরবেন তামিম। বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, বিপিএলের পর তামিমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে সে ফিরবে না। আমার মেয়াদ শেষের দিকে, দায়িত্ব ছাড়ার আগে বেশকিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাই।


আরও খবর



বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবস্থান 'স্পষ্ট' করেছে ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। শুক্রবার ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের টু-প্লাস-টু বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ভিনয় কোয়াত্রা।

তিনি বলেছেন, একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সেদেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভিশনকে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে। তিনি এটাও বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সেদেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিবৃতি দেয়নি।

নিজেদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে তুলে ধরার বিষয়টিকে বিশ্লেষকরা ব্যাখ্যা করছেন যে- আমেরিকা যাতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশি চাপ না দেয়, সেই বার্তাই শুক্রবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে ভারত।

আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি


টু প্লাস টু বৈঠকের পরে শুক্রবার বিকেলে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি আমরা। তৃতীয় কোনো দেশের নীতিমালা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার জায়গা নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেদেশের মানুষ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এক বন্ধু এবং সঙ্গী দেশ হিসাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাই আমরা। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সেদেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভিশনকে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে, বলছিলেন কোয়াত্রা।

তিনি একটু জোর দিয়েই বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি, আমরা যেভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি, সেটা খুব স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের এই অবস্থান নতুন নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যেভাবে নানা মন্তব্য করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা, তার বিপরীতে গিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে মার্কিন সচিবদের সামনে তুলে ধরার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

টু প্লাস টু বৈঠকের পরে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যুক্তরাষ্টের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি বা সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি।

ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার দরকার ছিল


বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নানা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবারের বৈঠকে ভারত তাদের অবস্থান যে স্পষ্ট করে দিয়েছে, সেটাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী বলছেন, ভারতের অবস্থান স্পষ্টই ছিল, কিন্তু সেটা খুব স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিবের সামনে তুলে ধরাটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে আমাদের।

তার কথায়, ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে একটা স্থিতিশীল সরকার থাকা খুবই জরুরি আমাদের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের কারণে। সেদেশের ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে শেখ হাসিনার সরকারের ওপরে নানাভাবে চাপ বাড়াচ্ছে, সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও তারা যুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে, সেগুলো তো ঘটনা। তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যাতে তারা বেশি মাথা না ঘামায়, সেটা ভারত স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। যদিও যৌথ বিবৃতি জারি করা হলে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানটা জানা যেত।

ভারত কেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বন্দ্বে যাচ্ছে ?


সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক অনেক দৃঢ় হয়েছে। প্রতিবছর টু প্লাস টু বৈঠক যেমন করছেন দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা, তেমনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আর নরেন্দ্র মোদির মাঝে-মধ্যেই সাক্ষাত হয়।

এরকম একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কেন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়বে ভারত?

পররাষ্ট্র সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ শশাঙ্ক মাট্টু তার এক্স (আগেকার টুইটার) হ্যাণ্ডেলে পর পর বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রর ভূমিকা ও ভারতের অবস্থান নিয়ে।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্বন্দ্বে যাচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের মাথা গলানোর কারণে ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রথম এই পোস্টের সাথে ভারত আর বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর একটা ছবি দিয়েছেন মাট্টু।

এর পরবর্তী পোস্টগুলিতে মাট্টু ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ওয়াশিংটন প্রকাশ্যেই হাসিনা সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাসিনা সরকার আর আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে মানবাধিকার ইস্যুতে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমেরিকার অবস্থান একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।

তিনি এও বলেছেন যে- ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শরিক হলেন শেখ হাসিনা। তিনি যদি নির্বাচনে পরাজিত হন, তাহলে প্রতিবেশীদের নিয়ে ভারতের নীতিমালাতেও সমস্যা হবে।

শুক্রবারের বৈঠকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই কথা হয়েছে ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ নিয়েও, এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

আবার প্রতিরক্ষা খাতেও দুই দেশের সহযোগিতা, যৌথ উৎপাদন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি- উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবি ছিল সেশনজট নিরশন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন যোগদানের পর ২০২৩ সাল থেকে যথাযথভাবে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করার প্রতি জোর দেন। 

আজ ১৮ নভেম্বর ২০২৩ (শনিবার) একাডেমিক ক্যালেন্ডারের ২য় দফা অনুযায়ী ১ম দিনে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ইন্ট্রোডাকটরি বায়োকেমিস্ট্রি-২ কোর্সের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন। এসময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে আমার অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল সেশনজট নিরসন। বিগত সেমিস্টারগুলো প্রায় চার মাসে সম্পন্ন করা গেছে। ২০২৩ সালের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে যথাযথ সময়ে সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু করেছি। আমরা বলতেই পারি, সেশন জট নিরসনে আমরা সফল হতে পেরেছি।

পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে ভাইস-চ্যান্সেলরের সাথে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিনসহ বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি না : টিআইবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশেষ প্রতিনিধি :

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। 

এ পর্যবেক্ষণে আমাদের ধারণা হচ্ছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বলতে যা বোঝায়, তা আমরা এবারো দেখতে পাচ্ছি না।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার: টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হয়তো এই নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ক্ষমতায় কারা অধিষ্ঠিত থাকবেন সেটিও নির্ধারণ করার সুযোগ হবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে জনগণের ভোটের অধিকারের যে নির্বাচন সেটি নিশ্চিত করা যাবে না। 

এই নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা বা ভোটের ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে বলে মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে বহাল থাকায় নির্বাচনে দলীয় বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যখন একটি দল ক্ষমতায় নির্বাচিত হয়, সেই দলটি দেশের সরকার হিসেবে নির্বাচিত হয়। তখন সেই সরকার আর কোনো দলের সরকার থাকে না। 

কিন্তু সেই সরকারের প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে প্রতীকী অর্থে হলেও সবার সরকারপ্রধান হিসেবে বা সব দলের সরকার হিসেবে নিজেকে তার ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়। 

সংসদের স্পিকারের ক্ষেত্রেও একই কথা। স্পিকার যখন নির্বাচিত হন তখন আর কোনো দলের প্রতিনিধি থাকেন না। তখন তিনি সব এমপির স্পিকার।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে পরবর্তী ৫২ বছরে দারিদ্র বিমোচন, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

 তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। স্বাধীনতার পরে বিভিন্ন সময়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে।

 দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট দ্বারা একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়।

 রূপরেখায় স্বাক্ষর করার মাধ্যমে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ, সার্বভৌম সংসদ গঠন, জবাবদিহিমূলক নির্বাহী বিভাগ প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিল।

 পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার ঘাটতির ফলে বারবার গণতান্ত্রিক পথ থেকে বিচ্যুতি ও নির্বাচনকালীন সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনসহ তথ্য অধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে নয়টি ক্ষেত্রে ৭৬টি সুপারিশ করেছে টিআইবি।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




একদিনে ১৮০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

 ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া হামলায় আহত হয়েছেন এক হাজারের মতো বেসামরিক মানুষ। খবর রয়টার্সের।

কর্তৃপক্ষ জানায়, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার ভোর থেকেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে অনবরত বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। আকাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।

খান ইউনিস ও রাফা শহরসহ গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে চলছে হামলা। পাশাপাশি দক্ষিণ গাজার কয়েকটি অঞ্চলে লিফলেট ফেলে ফিলিস্তিনিদের এলাকা ছাড়তে বলে ইসরায়েল। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দারা পশ্চিমাঞ্চলে পালাতে শুরু করেছে। ভোর থেকেই গাড়িতে জিনিসপত্র বোঝাই করে তারা রাস্তায় নেমে পড়ে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলির নিহত হয়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নারী ও শিশুসহ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।

হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরায়েল। টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দেয়।

প্রায় দেড় মাস সংঘাতের পর গত ২৪ নভেম্বর চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় বাড়ানো হয় সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। যুদ্ধবিরতি চলাকালে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকে উপত্যকায়।

যুদ্ধবিরতি সাত দিনে হামাসের হাতে বন্দি ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইসরায়েলে বন্দি ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেওয়া হয়।

নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আগেই শুক্রবার থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।


আরও খবর