Logo
শিরোনাম

মেসিকে চোখের আড়াল হতে দেন না যিনি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

৩৬ বছর বয়সে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি পায়ের কারিকুরি দেখিয়ে চলেছেন। মাঠের খেলার কারণে খবরের পাতায় নিয়মিতই আসছে তার নাম। তবে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মেসি নিজে নয়, আলোচনায় উঠে ব্যক্তিগত বডিগার্ডের তথ্য।

জানা গেছে, বিশ্বসেরা ফুটবলারের জন্য আলাদা দেহরক্ষীকে নিয়োগ দিয়েছে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামি। খেলার মাঠের সাইডলাইনে আর বাইরের জীবনে খানিক দূরত্ব রেখে মেসিকে দেখে রাখেন এই বডিগার্ড। যার নাম ইয়াসিন। তিনি একজন প্রফেশনাল মুইথাই ফাইটার। শুধু মুইথাই নয়, মিক্স মার্শালআর্টে রয়েছে ইয়াসিনের সমান দক্ষতা। প্রফেশনাল বক্সার হিসেবেও সুনাম আছে তার। ইয়াসিনকে ইনস্টাগ্রামে ফলোও করেন মেসি নিজেও।

অনুশীলন মাঠ কিংবা ড্রেসিংরুম, সবসময় লিওর পাশেই থাকেন এ নিরাপত্তাকর্মী। মাঠে প্রবেশ এবং মাঠ ছাড়ার সময়ও চোখের আড়াল হতে দেন না তিনি। খেলা চলাকালীন মাঠের সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করেন নিরাপত্তা। মাঠে কোনো দর্শক মেসির সান্নিধ্যে যেতে হলে তাকে প্রথমে ডিঙাতে হবে সেই নিরাপত্তাকর্মীর বাধা। শুধু মাঠ নয়, মেসির ব্যাক্তিগত জীবনেও দেখা গিয়েছে এই বডিগার্ডকে। ফ্লোরিডার রাস্তা ও শপিংমল যেখানেই মেসি পরিবার নিয়ে যান তাকে চোখে চোখে রাখেন ইয়াসিন।

মেসি আসার আগেই আলোচনার বিষয় ছিল, এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামি মেসিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে কিনা। মেসির জন্য মায়ামি এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়, এমন কথা শোনা গিয়েছিল বেশ আগে থেকেই। এরপরেও অবশ্য থামেনি মেসির এমএলএস যাত্রা। এমনকি গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা বলে চুক্তিও হারিয়েছেন মায়ামির সাবেক গোলরক্ষক নিক মার্সম্যান। তার নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছিলেন লিগের বিভিন্ন দলের কোচরাও।

মায়ামিতে ৮ ম্যাচে ১০ গোল আর তিন অ্যাসিস্ট। সঙ্গে আছে এক শিরোপা। আগে থেকেই মেসির জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। সাম্প্রতিক ফর্ম সেই জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে। এমন অবস্থায় অনেকেই চান মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে বা অটোগ্রাফ নিতে। মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে এসব পরিস্থিতিতে নিয়মিত পড়তে হচ্ছে মেসিকে। এ রকম সময়ে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই মূলত বডিগার্ড ইয়াসিনকে নিয়োগ দিয়েছে ক্লাবটি।


আরও খবর



ভারত কাশ্মীরে নিরাপত্তা ত্রুটির কথা স্বীকার করল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ভারত কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার কারণ হিসেবে নিরাপত্তাব্যবস্থায় ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার রুদ্ধদ্বার সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের কাছে নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করেছে। সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবার হামলায় ২৬ জন নিহতের পর পরিস্থিতি সম্বন্ধে বিরোধী দলগুলোর নেতাদের অবহিত করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার এ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃশ্যমান ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যা মেনে নেয় মোদি সরকার।

সূত্র বলছে, বৈঠকে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা বিরোধীদলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদি কিছুই ভুল না হয়, তাহলে আমরা এখানে বসেছি কেন? কোথাও না কোথাও ত্রুটি হয়েছেই, আর সেটাই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

সরকারের কাছে তারা জানতে চান, ‘কোথায় ছিল নিরাপত্তা বাহিনী? সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী কোথায় ছিল?’

এর জবাবে সরকারের ঊর্ধ্বতনরা বলেছেন, অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের কাছে বৈসরণ এলাকাটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার আগে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে কিছু জানায়নি। সাধারণত, জুনের অমরনাথ যাত্রা পর্যন্ত বৈসরণে যাতায়াতে বিধিনিষেধ থাকে।

ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছানোর নিয়েও বৈঠকে উদ্বেগ জানানো হয়।

প্রত্যুত্তরে সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থলটি এমন জায়গায় যেখানে পৌঁছাতে উঁচু পাহাড়ি পথে ৪৫ মিনিট হেঁটে যেতে হয়, এবং এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো প্রস্তুতিও ছিল না।

বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু সাংবাদিকদের জানান, ভারতকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালাতে হবে—এ ব্যাপারে সব দল একমত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই লড়াইয়ে সরকারের সঙ্গে আছে বলে জানিয়েছে সব দল। সরকার যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তাতে তারা সমর্থন দেবে বলে সব দল এবং তাদের নেতারা এক সুরে জানিয়েছেন। ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈঠকটি শেষ হয়েছে।’

লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সবাই পেহেলগামে হামলার নিন্দা জানিয়েছে। যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বিরোধীরা।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে এ সর্বদলীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু, রাজ্যসভার নেতা জেপি নড্ডা, রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুলসহ আম আদমি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, এনসিপি, শিবসেনা, এসপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সরকার নগদ পরিচালনায় স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ পরিচালনায় স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর এ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দুই জনই কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত সরকারের আমলে নগদে যত অনিয়ম যা হয়েছে, ইতোমধ্যে তা বের করা হয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে আরেকটা গ্রুপ ঢুকে নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যাদের নামে মামলা রয়েছে। তারা কেউ নগদে ঢুকতে পারবে না। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নগদকে পুনর্গঠন করে আলাদা স্বতন্ত্র বোর্ডের কাছে দেওয়া হবে। এটা বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগ পরিচালনা করবে না। পুরোপুরি স্বতন্ত্র বোর্ড পরিচালনা করবে। অর্থ উপদেষ্টার মতে, নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ভূমিকা গ্রহণকারী মো. শাফায়েত আলমকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ তারা অবৈধভাবে এটি দখল করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক যার নামে মামলা করেছে তাকেই আবার নগদের সিইও করা হয়েছে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। তবে সরকার তা মানবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক তার (সাফায়েত আলমের) বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তা চলমান। তাহলে কি ডাক বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরোধ সৃষ্টি হবে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কোনো বিরোধ হবে না।

গভর্নর বলেন, তার (সাফায়েত আলমের) সিইও পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। অবশ্যই উনি জালিয়াতি করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী শুনানির দিন উপস্থিত হননি। এর কারণ কী? এমন প্রশ্নে আহসান এইচ মনসুর বলেন, কারণ বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে জানানো হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগে আট সপ্তাহের জন্য যে, স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তা ছিল হাতে লেখা।

এর আগে গতকাল শনিবার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, নগদের আগের বোর্ডে যারা ছিলেন তারা বিপুল আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কোটি কোটি জনগণের সম্পৃক্ততা আছে এবং শত শত কোটি টাকার আমানত এখানে জড়িত- তাই বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িক প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেয়।

আরিফ হোসেন খান বলেন, নগদে অর্থ তছরুপের ঘটনায় যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, তাঁদের মধ্যে একজন আসামিকে প্রধান নির্বাহী নিয়োগ করা হয়। তাঁকে নগদের পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ দেয়নি, নিয়োগ দিয়েছেন পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধান নির্বাহী। তাঁরা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের সব ধরনের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেন। ফলে গ্রাহকেরা ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছেন। এ জন্য দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। ১৯ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

চীনের উপহারের একটি হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ এবং ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে নলছিটি বাসস্ট্যান্ডের চায়না কবরস্থানের সামনে মানববন্ধন ও বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ইজিবাইক শ্রমিক নেতা আল-আমিন হাওলাদার, বিডি ক্লিন সমন্বয়কারী মারজান, সমাজকর্মী বালী তূর্য প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় অথবা কুমারখালি মরা নদীর ১২০ একর খাসজমিতে চীনের উপহারে একটি ১০০০ শয্যার “চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল” স্থাপন সময়ের দাবি। তারা আরও বলেন, মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেন সড়ক বাস্তবায়ন এই অঞ্চলের পর্যটন, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য তার বক্তব্যে বলেন, ভারত সবসময় বন্ধু পরিচয়ে আমাদের শোষণ করেছে, কিন্তু চীন বরাবরই বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। নলছিটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো—যার সাক্ষ্য মেলে “চায়না বাজার”, “চায়না ফিল্ড” এবং “চায়না কবর” এর অস্তিত্বে।

জনশ্রুতি অনুযায়ী, সপ্তম শতাব্দীতে চীনের তাং রাজবংশের এক ব্যবসায়ী নলছিটিতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁকে চায়না ফিল্ড সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়। সেই কবরস্থান আজও স্থানীয়রা শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করে আসছেন।

এছাড়া বক্তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, দপদপিয়া এলাকাটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযুক্ত ও একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্রস্থল হওয়ায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থান। তারা জানান, হাসপাতাল স্থাপনে জমি ও স্থানীয় সহযোগিতা প্রদানে নলছিটির জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসে প্রেরণ করা হয়। প্রায় শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



কে এই মাসুদ আজহার? ভারতের কেন এত ভয়?

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও চার সহযোগী। একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা লক্ষ্য করে চালানো হামলায় তারা প্রাণ হারান। প্রশ্ন উঠেছে কেন ভারত এই মসজিদ ও মাদ্রাসা লক্ষ্য করে হামলা চালালো। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার ও সহচরদের হত্যা করা। তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

কে এই মাসুদ আজহার? 

ভারতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার পর বারবারই উঠে আসে মাওলানা মাসুদ আজহারের নাম। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে বেড়ে ওঠা মাসুদ আজহারের ভয় গত ৩৫ বছর ধরে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভারতকে। নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে মুক্ত করতে ভারতীয় বিমান ছিনতাই করেন অনুসারীরা। যা সেসময় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাকে দায়ী করে আসছে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি পাকিস্তান মাসুদ আজহারকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। যদিও পাকিস্তান তা বরাবরই অস্বীকার করেছে।

অন্যদিকে দিল্লির পাল্টা দাবি, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ্য জনসভা করে বেড়ান আজহার। কিন্তু কীভাবে জইশ প্রধান হয়ে উঠলেন মাসুদ আজহার?

মাওলানা মাসুদের বেড়ে ওঠা

পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ১৯৬৮ সালে জন্ম তার। বাবা আল্লা বক্স সাবির ছিলেন সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার। বাড়ির প্রত্যেকে যুক্ত ছিলেন ডেইরি ও পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে। ছোটবেলার স্কুল ছেড়ে জামিয়া উলুম-ই-ইসলামি স্কুলে ভর্তি হন মাসুদ। তখন থেকেই কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য মন কাঁদত তার। ভারতের নিপীড়নের ব্যাপারে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। পড়াশোনায় মেধাবী মাসুদ আজহার কুরআনের হাফেজ। পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েও।

নিজে স্কুলে পড়াতেন মাসুদ আর বাড়ির ব্যবসাও দেখতে। জিহাদ বিষয়ে লিখেছেন অসংখ্য বইও। পত্রিকার সম্পাদনা করার সূত্রেই অল্পবয়সীদের মধ্যে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

ভারতে গ্রেপ্তার ও বিমান ছিনতাইয়ে আলোচিত ঘটনা

১৯৯৪ সালে হরকত উল মুজাহিদিন নামে কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে ভারতে গ্রেফতার হন মাসুদ। পরে তাকে মুক্ত করতে পরিকল্পনা ছক কষেন অনুসারীরা। ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান আইসি ৮১৪ কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি আসছিল। বিমানটিকে ভারতের আকাশ থেকে ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যান মাওলানা মাসুদের অনুসারীরা। ১৫৪ জন যাত্রীর প্রাণের বিনিময়ে মাসুদ আজহার, মুস্তাক আহমেদ ‌জ়ারগর ও আহমেদ উমর সঈদ শেখের মতো ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন ভারতের অটলবিহারী সরকার, যাদের জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

জইশ-ই-মহম্মদ গঠন

মুক্তি পাওয়ার পর ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠী গড়ে তোলা শুরু করেন মাসুদ। ভারতের অভিযোগ, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ সক্রিয় করা থেকে সংসদে হামলা, সবকিছুতেই প্রধান মাথা ছিলেন মাসুদ। ২০০২ সালে গৃহবন্দি দশা থেকে মাসুদকে পাকিস্তান মুক্তি দেওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তালিবান ও লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মাসুদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থার গোয়েন্দারা।

২০০২ সালে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে শেখ আহমেদ সইদ ওমর নামে মাসউদ আজহার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেই। এর পরই আমেরিকা মাসুদ আজহারের নাগাল পেতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। আমেরিকা তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে এও জানায়, কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় এক মার্কিন নাগরিকও সেই বিমানে ছিলেন। যদিও পাকিস্তান বলে আজহার হাইজ্যাকার নন।

এর পরই ভারতের গোয়েন্দাদের কাছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্ট’-এ চলে আসে মাসুদ আজহারের নাম। জাতিসংঘের ঘোষিত সন্ত্রাসী তালিকাতেও নাম উঠেছে তার। সম্প্রতি ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে গুলি করে ২৬ পর্যটক হত্যার ঘটনায় আবার ভারতীয় গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাসুদ আজহার। এই হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ভারতের অভিযোগ। এর প্রতিশোধ নিতেই ‍বুধবার গভীর রাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। হামলায় পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাসুদ নিজেই।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলেছে, ভারত পাকিস্তানের যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় তার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদ। এই মসজিদ ও সংশ্লিষ মাদ্রাসায় হামলায় মাওলানা মাসুদের পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু। হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা’ও নিহত হয়েছেন।

জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।

হামলায় স্বজন হারানোর প্রতিক্রিয়ায় মৌলভি আজহার বলেন, ‘আমার মনে কোনো অনুশোচনা নেই, হতাশাও নেই। বরং, বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই ১৪ জনের সুখী কাফেলায় শামিল হতাম।’

তিনি বলেন, ‘তাদের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাদের শহীদ করেছেন।’ আজহার হামলায় নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে জনগণকে আহ্বান জানান।


আরও খবর



পাকিস্তানি হামলায় ভারত সীমান্তে ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বর্মমানে দেশ দুটর মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চলছে। উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা নিয়মিত একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং যুদ্ধবিরতির মেয়াদও বাড়াচ্ছেন।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ কমে এলেও সাম্প্রতিক সংঘর্ষে সীমান্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির ছাপ খুব স্পষ্ট। মূলত পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সীমান্ত এলাকায় ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে শত শত গ্রাম। ঘরছাড়া হয়েছেন অসংখ্য পরিবার। সোমবার (১৯ মে) ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অপারেশন সিন্দুর ও তার পাল্টা পাকিস্তানি হামলায় কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর শত শত গ্রাম বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। গত কয়েক দিন ধরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এই সব এলাকা ঘুরে যা দেখেছেন, সেই ছবি মর্মান্তিক।

জানা গেছে, পাকিস্তানি হামলায় ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে। ঘরছাড়া অসংখ্য পরিবার। সীমান্তবর্তী পুঞ্চ, কুপওয়ারা, বারামুলা ও রাজৌরির গ্রামগুলো সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর মধ্যে সব থেকে শোচনীয় অবস্থা জম্মুর পুঞ্চ জেলার। পাকিস্তানি হামলায় নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৪ জনই পুঞ্চের।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সংসদ সদস্য আজাজ জান জানান, এই জেলার ৯০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬০টিতে হাজার হাজার বাড়ি ও ভবন গুঁড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এত বড় মাপের হামলা এর আগে এই এলাকায় হয়নি। পুরো এলাকায় একটিও বাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। পাহাড়ি এলাকায় টিনের চালের বাড়ি কি এই হামলা রুখতে পারে! শেল ফেটে যে একটা বাড়ির ক্ষতি হয়েছে তা নয়, শ্র্যাপনেলে চারপাশের বাড়িরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে।

ভারতীয় এই এমপি জানান, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৪০ শতাংশ নিজে ঘুরে দেখেছেন। এলাকাটি ভূকম্পনপ্রবণ বলে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বাড়ির কাঠামোগুলো এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত, যে-কোনও মুহূর্তে একটি মৃদু কম্পনেই ভেঙে পড়তে পারে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে তার আবেদন, বাড়ি-ঘর পুনর্নিমাণের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

অনেকে এখনো নিজ ঘরে ফিরতে পারেননি এবং অদূর ভবিষ্যতে একটা ভূমিকম্প হলেই ভয়ঙ্কর বিপদে পড়বেন এলাকাবাসী।

তার দাবি, পাকিস্তানি হামলায় নিহত মানুষকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ পুঞ্চে এসে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছ থেকেও ক্ষতিপূরণের আশা করছি।

এদিকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত এলাকার উরি ও কারনা অঞ্চলও। কারনায় একশোটিরও বেশি এবং উরিতে ৪৫৮টি বাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ জাভিদ আহমেদের কথায়, সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়ির জন্য ১০ লাখ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়েছি।

স্থানীয় তাংদার গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ রাশিদের কথায়, গোলাবর্ষণ শুরু হওয়ায় আমরা বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলাম। শেলিং থামার পরে বাইরে এসে দেখি সব বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গিয়েছে। তার মতো অসংখ্য মানুষ এখন আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছেন।

এদিকে পাকিস্তানের হামলায় এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মাসির আসলাম ওয়ানি। তিনি জানান, দুর্গতদের আর্থিক সাহায্যের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।


আরও খবর