Logo
শিরোনাম

মেয়রের হাতে লাল নীল ক্যাপসুল খেলো শিশুরা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কুমিল্লা ব্যুরো :

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন সি‌টি‌মেয়র আরফানুল হক রিফাত। শিশুদের লাল নীল ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কুসিক কার্যালয়ে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন মেয়র আরফানুল হক রিফাত। এসময় শিশুদের চকলেট বিতরণ করেন মেয়র রিফাত। 


অনুষ্ঠানে মেয়র আরফানুল হক রিফাত বলেন, আগামীতে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যবান করে গড়ে তুলতে হবে। আর সেই চিন্তা থেকেই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। অভিভাবকদের কাছে শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর অনুরোধ জানাই। 


প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, সারাদিনে নগরীর ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সাত হাজার ৮২৫ জনকে নীল ক্যাপসুল ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪৭ হাজার ৩৬৬ জন শিশুকে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ৯৮টি কেন্দ্রে এবং ভ্রাম্যমাণ সাতটি কেন্দ্রে চলবে টিকাদান কার্যক্রম। প্রতি কেন্দ্রে দুইজন স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতি ওয়ার্ডে দুইজন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সাথে সমন্বয় করবেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।


দিনব্যাপি এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  ড. সফিকুল ইসলাম , প্যাণেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদি, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী জিপি চৌধুরী, সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু সায়েম ভূঁইয়া, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) জহিরুল ইসলামসহ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা। 


কুমিল্লা সিটি করপোরেশন  এলাকায় ৫৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলবে এ ক‌্যাম্পেইন।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন টিউলিপ সিদ্দিক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। টিউলিপের পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের শর্টলিস্ট করাও শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য টাইমস।

টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি)। এ পদে দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে আছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন বলে টাইমসকে বলা হয়েছে।

ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তারা গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাজ্যের এই ট্রেজারি মন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন এমন প্রার্থীদের চিহ্নিত করেছেন বলেও জানা গেছে। গত সোমবার টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানানোর প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়ার আগেই কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করেন।

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস বলছে, যদিও প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন— তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্রও টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ বলে দাবি করেছেন, কিন্তু তারপরও টাইমসকে বলা হয়েছে— টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে কে তার উত্তরসূরি হতে পারেন তা প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ অন্তত অনানুষ্ঠানিকভাবেই বিবেচনা করছেন।

বাংলাদেশে ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ, তার খালা শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মাসে এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া গত শুক্রবার টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তাতে বলা হয়, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে টিউলিপের মালিকানায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০০৪ সালে সেটি আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনা মূল্যে পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল আবদুল মোতালিফের।

এসব অভিযোগ নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়লেও অতীতে তার পাশেই ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বেড়েছে শীতের তীব্রতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড়ে ফের ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমেছে। তাপমাত্রার এ ওঠানামায় বেড়েছে শীতজনিত রোগ। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় জ্বর, সর্দি, কাঁশিসহ শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ঘরে ঘরেই আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা শতকরা ৯৯ ভাগ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ।

জানা যায়, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতোই হালকা কুয়াশা ভেদ করে রোদ উঠেছে। শীতের কারণে আয় রোজগার কমেছে নিম্নআয়ের মানুষদের। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এই মেঘলা দিনে রয়েছে কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। আবার রোদ উঠলেও সকালে কনকনে শীত হাড় কাঁপাচ্ছে। এমন শীতে পরিবারের কেউ না কেউ জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, দুদিন তাপমাত্রা বাড়ার পর আজকে আবার তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। এ তাপমাত্রায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। গতকাল সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে কঠোর হতে বলল বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। অথচ জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানা ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে যখন তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে, যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুন্সিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে যার উপসর্গ এরই মধ্যে দৃশ্যমান।

সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যথায় দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে। সুতরাং কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আলুচাষীদের মাথায় হাত, লাভের চেয়ে লোকসান বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুমাস আগেই বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম উঠেছিল ৭৫/৮০ টাকা পর্যন্ত। এতে ৩৩ শতক জমিতে আলু চাষ করে ভালো লাভ করেছিলেন ঠাকুরগাঁও সদরের আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা আলুচাষি শমসের আলী। বেশি লাভের আশায় এবার তিনি মাহাজন থেকে টাকা ধার নিয়ে এক একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। কিন্তু বাজারে এখন আলুর দাম কমছে। ২০ দিন আগে শমসের আলী আড়তে যে আলু প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন সেই আলু গত সপ্তাহে বিক্রি করেন ১৩ টাকা কেজিতে। এতে লাভের আশা তো দূরে, চাষের দেনা পরিশোধ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

শুধু শমসের আলী নন, আগাম আলু চাষ করে জেলার শত শত কৃষক এখন লোকসানের মুখে পড়েছেন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে এই জেলায় ২৬ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। গতবার ভালো লাভ পাওয়ায় চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।

ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকার আলুচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাভের আশায় এবারও চাষিরা নানা জাতের আগাম আলুর চাষ করেছেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষে আলু রোপণ করে নভেম্বরে তা বাজারে বিক্রি করা হয়। তবে এবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বৃষ্টির কারণে খেতের বীজ নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের। এ কারণে নতুন বীজ রোপণ করতে হয়েছে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাষের খরচও বেড়েছে। কিন্তু আগাম জাতের সেই আলু বিক্রি করে এখন লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা।

কৃষকেরা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। এখন মাঠে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজিতে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ভাঙাকোয়াটার এলাকার কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু আবাদে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার বেশি। আলু পাওয়া গেছে ২ হাজার ৬০০ কেজি। তাতে প্রতি কেজি আলু চাষে খরচ পড়েছে ২৩ টাকার বেশি। সেই আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকায়। তাতে কেজিতে ১২ থেকে ১৩ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জেলার বালিয়াডাঙ্গী বড় পলাশবাড়ি এলাকার আলুচাষি মাজেদূর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে গ্র্যানুলা জাতের আলু আবাদে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার টাকার বেশি। আলু পেয়েছেন ১৯৫ মণ। ১২ টাকা দরে সেই আলু বিক্রি করে পান ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা। তাতে তার লোকসান হয়েছে ৮৭ হাজার ৪০০ টাকা।

রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের কৃষক নাজমুল বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এর মধ্যে দুই বিঘার আলুর বিক্রি করেছি। তখন অল্প কিছু লাভ হয়েছে। কিন্তু এখন ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারছি না। প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। আলু যে রেখে দেব, তারও উপায় নেই। কারণ, আগাম আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা যায় না।

সদর উপজেলার ছোট বালিয়া এলাকার আলুচাষি মোস্তফা বলেন, বাজারে দাম বাড়লে মানুষ কত কথা বলে। সরকারও দাম বেঁধে দেয়। এখন প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। কিন্তু কারও মুখে কোনো কথা নেই। সরকারেরও কোনো পদক্ষেপ নেই।

কৃষকের মাঠ ঘুরে ঘুরে আলু কেনেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে এক কেজি আলু ৮০ টাকায় কিনেছি। গত সপ্তাহেও মাঠ থেকে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। এখন সেই আলু কিনছি ১৩ থেকে ১৪ টাকায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার কৃষক যখন একটি ফসলে লাভ পান, তখন অন্যরাও সেটাতেই ঝোঁকেন। চলতি বছরে আলুর ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচটাও একটু বেশি পড়ছে। কিন্তু বাজারে দাম কম। এতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে শৈত্যপ্রবাহের পরিধি বেড়েছে। শুক্রবার দেশের ১০ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা নেই অনেক জায়গায়। কুয়াশা ও ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। তবে এমন অবস্থায় আজ থেকে আগামী দুদিন জেলার কয়েক জায়গায় দিন এবং রাতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ ও তৎসংলগ্নএলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিন (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শনিবারের (১১ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন সকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

রবিবারের (১২ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন সকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, এ সময়ের শেষের দিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫