Logo
শিরোনাম

নেত্রকোনায় প্রথমবারের মত স্কুল পর্যায়ে দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মির্জা হৃদয় সাগর (নেত্রকোনা) :

শিশুদেরকে মেধাবী করে তোলার লক্ষ্যে এই প্রথম স্কুল পর্যায়ে বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে নেত্রকোনায়। নেত্রকোনা করিম দাবা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

ফেডারেশন অনুমোদিত প্রথম স্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন দাবা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাবাড়ু তৈরিতে খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শতবর্ষী পুরনো শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তন্ময় মজুমদার। রানার্সআপ হয়েছে আঞ্জুমান সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়ন্ত সরকার ও তৃতীয় হয়েছে সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভ রজক।আজ রবিবার দুপুরে টুর্নামেন্ট পরিচালক দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ. বি. এম শাহজাহান কবীর সাজু প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

এসময় হিমু পাঠক আড্ডার পরিচালক সাংবাদিক আলপনা বেগম,  একাডেমির পরিচালক (কোচ) জাতীয় পর্যায়ের দাবাড়ু আজাহারুল করিম ও সহকারী পরিচালক দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে শরীর চর্চা বিষয়কবশিক্ষক আরিফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।  

এসময় দাবা একাডেমির পরিচালক জানান, ক্ষুদে দাবাড়ু তৈরি করতেই এই প্রতিযোগিতা। এটি খেলে বুদ্ধি বাড়াবে। বিভিন্ন অপকর্ম থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারবে। এই খেলায় পারদর্শী হলে শিশুরা ভালো মন্দ দুটোর পার্থক্য করতে পারে। এইটা মূলত ব্রেনের খেলা। 

এই খেলায় বুদ্ধি বাড়ে। তাই এটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা হিসেবে জানে সবাই। টুর্নামেন্ট পরিচালক দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.বি.এম শাহজাহান কবীর সাজু বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক এই খেলা খেললে শিশুদের বুদ্ধির চর্চা হয়। 

এটি পড়াশোনার জন্য ভীষণ সহযোগী হয়। যে যত বেশি দাবা খেলবে সে তত বেশি মেধাবী হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি মেধার চর্চার মাধ্যমে এক পর্যায়ে রাজনৈতিক সামাজিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে নতুন প্রজন্ম।  আর তাই প্রতিটি স্কুলে দাবা খেলার চর্চা করানোটাই জরুরি বলে তিনি মনে করেন। এই খেলার মাধ্যমে ধৈর্য শক্তির উন্নতি ঘটে। ছেলে মেয়েরা কু পথে ধাবিত হয় না। 


আরও খবর



নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত রিকশার দখলে রাজধানী

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দুঃসহ যানজটে ভুগছে রাজধানীবাসী। কোথাও এতটুকু রাস্তা ফাঁকা নেই। এই যানজটের প্রধান কারণ অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশের পট পরিবর্তনের পর সুযোগ বুঝে রাজধানীর সীমান্ত এলাকার অলিগলিসহ আশপাশের এলাকা থেকে ঢাকায় ঢুকে পড়ে লাখ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ
যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। গত দুদিনে ২৯২১টি ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা হয়েছে ৮৮৮টি। জরিমানা করা হয়েছে ৩৫ লাখ ৭ হাজার টাকা। ভুক্তভোগিদের মতেট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত না রাখলে যানজট কমবে না। ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের একজন নেতা বলেন৬ লাখ ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইকের মধ্যে ২৯২১টি রিকশা আটক কোন প্রভাব ফেলবে না। পুলিশকে আরও জোরালো অভিযান চালাতে হবে। বিশেষ করে এগুলোর কারখানায় অভিযান চালিয়ে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে


ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন নগরের এক অন্যরকম এক আতঙ্কের নাম। জানা গেছেনগরীর রামপুরাবনশ্রীবাড্ডা,শনির আখরা, দনিয়া, রাযেরবাগ, যাত্রাবাড়িবাসাবোবৌদ্ধ মন্দিরমুগদাসিপাহীবাগমানিকনগরমান্ডাসায়েদাবাদকোনাপাড়াবসিলাসহ বিভিন্ন এলাকাতেই আগে থেকেই চলতো হাজার হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। দেশের পট পরিবর্তনের পর পুলিশ নিস্ক্রিয় হওয়ায় এগুলো ঢাকার ভিআইপি এলাকাতেও প্রবেশ করে। শুধু তাই নয়বিমানবন্দর সড়ক এমনকি এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়েতেও এগুলো চলতে দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় হওয়ার পর ভিআইপি সড়ক ও এলাকাতে এগুলোর চলাচল কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরেও বনানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলতে দেখা গেছে। একই চিত্র ছিল মতিঝিলগুলিস্তানআরামবাগকাকরাইলপুরানা পল্টনসহ ব্যস্ততম এলাকাগুলোতেও


নগরীর নিম্ন এলাকাগুলোয় এই ব্যাটারিচালিত রিকশা নামানোর ব্যাপারে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয় না। যেমন- গুলশান-বনানী কিংবা বারিধারায় চাইলেই এসব গাড়ি হুট করে নামানো যায় নাকিন্তু যাত্রাবাড়িসায়েদাবাদমুগদামানিকনগরমান্ডা কিংবা সিপাহীবাগের মতো এলাকাগুলোতে যে কেউ যখন-তখন নামিয়ে ফেলতে পারে এসব রিকশা। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এসব এলাকায় আরও যানজট বাড়ছেবাড়ছে রাস্তায় বিশৃঙ্খলাও। অথচনিয়ম রয়েছে রাস্তার হিসাব করে যেকোনো নামানো বিষয়টি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যেন রাস্তায় নামানোই এখন সহজ একটি প্রক্রিয়া


রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকালালবাগহাজারীবাগআজিমপুরসহ ধানমন্ডিমোহাম্মদপুরমিরপুর এবং উত্তরাতেও ব্যাপক সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে অবাধে
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়প্রায় প্রতিদিন রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকদের বেপরোয়া চলাচলে প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। কিছু কিছু ঘটনা আলোচনায় আসছে। বাকি অনেক ঘটনা জানতেও পারছে না মানুষ


জানা গেছেএসব রিকশা থেকে প্রতি মাসে বড় অঙ্কের চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। যা স্থানীয় থানাসহ রাজনৈতিক পরিচয়ধারী নেতা-কর্মীরা ভাগ পেয়ে থাকে। ঢাকা শহরের মতো দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন রাস্তার বিষফোঁড়া। এলাকার ভেতরের রাস্তায় এসব রিকশা চলাচলের কথা থাকলেও এগুলো সব সময় মহাসড়কে উঠে আসে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা


বিশেষজ্ঞদের মতেএসব নিয়ন্ত্রণ করা যায় না রাজনৈতিক কারণেই। কারণ দিনশেষে এ থেকে বড় অঙ্কের চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। যার ভাগ রাস্তার পাতি নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত পেয়ে থাকে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চাঁদাবাজি বন্ধ রয়েছে। অনেকের মতেএগুলো নির্মুল করার এখনই উপযুক্ত সময়
দেশের অনেক সড়কেই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলে থাকে ধীরগতির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাভ্যানইজিবাইকনসিমনকরিমনমাহিন্দ্রা গাড়িগুলো। অন্যদিকেদূরপাল্লার পরিবহনগুলো দ্রুত গতির হয়ে থাকে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। সরু রাস্তা ও ধীরগতির অবৈধ যানবাহনের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্ভোগও


অনুসন্ধানে জানা গেছেট্রাফিক বিভাগের কাছে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও পুরো দেশজুড়েই চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। ধারণা করা হয় এ সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকাসহ দেশের জেলা শহরগুলোতে চলাচল করছে। সারা দেশে এই অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার অটোবাইকের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। এতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের খরচ হচ্ছে। সাধারণত একটি ইজিবাইক চালানোর জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে এক লাখ ইজিবাইক বা ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন অন্তত ১১০ মেগাওয়াট এবং মাসে ৩৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কথা


খোঁজ নিয়ে জানা গেছেঅধিকাংশ গ্যারেজ চুরি করে ও লুকিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব ব্যাটারি রিচার্জ করায় সরকার বিদ্যুতের বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করেন বুয়েটের প্রফেসর ও গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক। গণমাধ্যমকে তিনি বলেনরেজিস্ট্রেশনবিহীন যেসব গাড়ি যেমন- ব্যাটারিচালিত অটোরিকশানছিমনকরিমন সেগুলোর বিষয়ে করণীয় কী এগুলো কেউ ভাবছেন বলে মনে হচ্ছে না। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর হাদিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেনসিঙ্গেল সড়কগুলো যখন সরাসরি মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয় আর আইন করা হয় এসব তিন চাকার যান মহাসড়কে ওঠা নিষেধতাহলে বিকল্প রাস্তা প্রয়োজনের জন্য। তিনি বলেনগত ১৫ বছরে কয়েক লাখ মানুষের কর্মনির্ভর করে এখানে। তিনি বলেনসব মহাসড়কের দুই পাশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সার্ভিস রোড চালু করতে হবে। এতে মহাসড়ক একদিকে ঝুঁকিমুক্ত হবে এবং থ্রি-হুইলারসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে। আনফিট যানবাহন সরিয়ে নিতে হবে


ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক)  বলেনরাজধানীর যত্রতত্র চলছে ব্যাটারিচালিক রিকশা। ট্রাফিক পুলিশ নগরীর ১০৯টি পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। কোন কোন দিন প্রায় ৩হাজার ব্যাটারিচালিক রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে
খোন্দকার নজমুল হাসান আরও বলেনশুধু আইন প্রয়োগ করে এ ধরনের রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব নয়। এ জন্য নগরীর সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যাটারিচালিক রিকশা দ্রুতগতির হওয়ায় দুর্ঘটনাও ঘটছে। সাধারণ মানুষ ব্যাটারিচালিক রিকশা ব্যবহার বন্ধ করলে বা কমিয়ে দিলে চালকদের মধ্যে আগ্রহ কমবে। সকলের সহযোগিতা থাকলে ব্যাটারি চালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে সফল হবে পুলিশ


আরও খবর



উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিকদের বিচার হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বযারা ফ্যাসিবাদে জড়িত ছিলেন কিংবা গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, মামলাগুলো সরকার করছে না, জনগণের জায়গা থেকে করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি যে এই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করা হবে। অভিযোগ না থাকলে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে

তিনি আরও বলেন, গতকালও প্রেসক্লাব ও সচিবালয় সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে বসেছি। আমি বলেছি, যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় থাকে, তথ্য মন্ত্রণালয়ে তার বিষয়ে বিস্তারিত পাঠাবেন। আমরা দেখবো

নাহিদ ইসলাম বলেন, পাশাপাশি এটাও বলেছি, কেবল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিক ও কবি পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবেন না। যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বৈধতা উৎপাদনে কাজ করেছেন, লেখনী ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করেছেন, গণহত্যার পক্ষে কাজ করেছেন, উসকানি দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে

সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের গুজব সেল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে ফ্যাক্টচেকিং বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, জননিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়, আমরা যেহেতু একটি জরুরি পরিস্থিতিতে আছি, দেশ পুনর্গঠন করা লাগছে, সেহেতু সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্ণ রিফর্ম (সংস্কার) করে আরও শক্তিশালী ও আস্থার জায়গায় নিয়ে এসে তাদের মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই সিনেমা জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপৎকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছিলাম

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০২৩ সালে যেহেতু একটি আইনের গেজেট হয়ে গেছে, সেটি পর্যালোচনা করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সেন্সর যে শব্দটি সেটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যে ২০২৩ সালের আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন সেই আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডটাকে পুনর্গঠন করব


আরও খবর



কোমর ব্যথায় নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, সপ্তাহে পাঁচবার আধা ঘণ্টা করে হাঁটলে ও ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী চললে কোমর ব্যথা ফিরে আসার সময়টা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ নিয়মিত হাঁটা ব্যক্তিরা, যারা হাঁটেন না, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যথামুক্ত থাকতে পারেন।

বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ লো ব্যাক পেইন বা কোমরের ব্যথায় ভোগেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজনের ব্যথা সেরে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে আবারও ব্যথা ফিরে আসে

গবেষণার প্রয়োজনে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া ৭০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে অর্ধেক ব্যক্তির জন্য হাঁটা কর্মসূচি ও ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাকিদের নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল

তবে হাঁটা কেন কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করে, তার নির্দিষ্ট কারণ জানতে পারেননি গবেষকরা

এছাড়া হাঁটার কারণে কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ, হাড়ের ঘনত্ব, শারীরিক ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়েও সুবিধা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষণা প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপির অধ্যাপক মার্ক হ্যানকক।

 সূত্র : ডিপিআরসি হাসপাতাল


আরও খবর



দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ এবং বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা

তাদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান ড. ইউনূস। চার দিনের সফরকালে খুবই কর্মব্যস্ত সময় পার করেন তিনি

সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ১২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস। এছাড়া সাইডলাইনে ৪০টি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন


আরও খবর



রাজশাহীতে সার্ভেয়ারদের বেতন ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 


 রাজশাহীতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং  সার্ভেয়ারদের অন্যান্য ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ন্যায় বেতন স্কেল দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

মঙ্গলবার (১লা অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অর্ধ দিবস কর্ম বিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন। 

সমন্বয়করা বলেন আমরা চাই অন্যান্য ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ন্যায় আমাদের ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দশম গ্রেডের করা হোক। তারা বলেন আমাদের সাথে যখন প্রতিষ্ঠান জড়িত আছে তারা সকলেই আমাদেরকে সাপোর্ট করেছে ।
তারা বলেন যেমন এলজিডি বিভাগ পানি উন্নয়ন বিভাগ এছাড়াও আমাদের সাথে যে সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদেরকে মোবারক জানিয়েছেন। 

উক্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটে রাজশাহীর ডিপ্লিমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভেয়ারের ছাত্র-ছাত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর