দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তারা নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনের পরের পরিবেশও দেখবে।
ইইউয়ের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের আগামী ১০ ডিসেম্বরের জনসভার বিষয়ে তিনি বলেন, জনসভা করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি না নিলে কী হবে তা আইনে বলা আছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে তারা কেউ এখনো ইসির অনুমতি নেননি বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, তাদের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন। আমরা বসেছিলাম। তারা আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে থেকে নির্বাচনের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন। এনিয়ে তাদের কিছু জানার ছিল। আমরা তা জানিয়েছি। তারা নির্বাচনে প্রার্থী কত, পর্যবেক্ষক কত আসছে, এগুলো নিয়েও জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে। নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ হচ্ছে কি-না, তারা সব বিষয় দেখবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা মূলত আইনগুলো দেখতে চেয়েছেন। এছাড়া বাংলা আইনের ইংরেজি চেয়েছেন। তারা বাংলাদেশ ঘুরবেন। প্রয়োজনে তারা কমিশনের সঙ্গেও বসবেন।
ইসির এই কর্মকর্তা বলেন, তারা সকল বিষয় জানতে চেয়েছেন, নির্বাচনী ভায়োলেন্সসহ। তারা দেশব্যাপী ঘুরবেন। এজন্য নিরাপত্তা বিষয়টিতে আমরা হেল্প করবো। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। ঢাকার বাইরে গেলে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে যাবে। একটা সিকিউরিটি ইস্যু আছে। তাই তারা আগে জানিয়েই যাবে।
হরতাল বা অবরোধ সম্পর্কে তারা কিছু জানতে চেয়েছেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। হরতাল বা অরবোধ নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নাই।
এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে দুই হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।