Logo
শিরোনাম

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সংবাদ বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ২৭১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উৎসব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অসম্মান করায় অনুষ্ঠান বর্জন সহ অনির্দিষ্টকালের জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকান্ড ও সংবাদ বর্জন ঘোষনা করেছেন সংবাদকর্মীরা। সোমবার দিবারাত সাড়ে ৯টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 

জানা যায়, গত রবিবার ৮মে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকীর ৩দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবার মূল অনুষ্ঠান ছিল সেখানে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে,এম খালিদ। এই অনুষ্ঠানের সংবাদ কভারের জন্য সংবাদকর্মীরা সেখানে গেলে তাদের বসার কোন নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। শেষ পর্যন্ত তারা বাধ্য হয়ে নিচে বসে পড়েই পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চলে আসেন। এ নিয়ে জেলা ও উপজেলা সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

শুধু সাংবাদিকরাই নয় জেলার আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকদের জন্যও অনুষ্ঠানস্থলে নির্দিষ্ট কোন বসার ব্যবস্থা না করায় জাতিগঠনের কারিগররাসহ অন্যান্য সুধী ব্যক্তিরা এলোমোলো ভাবে হ য ব র ল অবস্থায় অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এতে করে এই দুই উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিক্ষকদের মাঝেও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে এবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনটি স্মরনকালের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ছিলো বলে মন্তব্য করেছে অনুষ্ঠানে আগত অধিকাংশ দর্শকরা।  

নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক কায়েস উদ্দিন বলেন, রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তীর মতো এমন জাতীয় আয়োজনে সাংবাদিকদের জন্য কোন নির্দিষ্ট আসনের ব্যবস্থা না থাকা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারাই সামনের সারিতে বসে ছিলেন। আর জেলার সকল সাংবাদিকরা নিচে বসে সংবাদ কভার করেছেন। যা পুরো সাংবাদিক সমাজকে অপমান করা হয়েছে। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ ও কর্মকান্ড বর্জন ঘোষণা করা হলো।


আরও খবর



দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমানো কি স্বাস্থ্যকর ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

দুপুরে খাওয়ার পর অনেক সময় ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসে। কেউ আবার দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর পরই একটু ঘুমিয়ে নেন। তবে দুপুরে খাবার খাওয়ার পর ঘুমানো আদৌ কি স্বাস্থ্যকর?

প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমানো মোটেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খাওয়ার পর ঘুমালে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে কফের সমস্যা হয়। পেটেরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। যত দিন যায় এই সমস্যা আরও বাড়তেই থাকে। কারও কারও মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়, মাথা ভারি হয়ে যায়। এর পাশাপাশি রাইনাটাইটিস, নার্ভ ব্লক হয়ে যাওয়া, শরীর ফুলে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এটাও বলছেন, সবারই যে অভ্যাস এড়িয়ে যাওয়া উচিত, তা নয়। বরং কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দুপুরে খাবার খাওয়ার পর ঘুম দিলে উপকার হয়। বিশেষ করে যারা অত্যধিক পরিমাণে পরিশ্রম করেন তাদের দুপুরে একটু ঘুমালে উপকারই হয়। আবার খুব দুর্বল লাগলে কিছুক্ষণের জন্য দিনেও শুয়ে পড়া যায়। কিন্তু সেই ঘুম হতে পারে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো। এর থেকে বেশি ভালো নয়।

 বৃদ্ধ ব্যক্তিরা ও শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরা দুপুরে ঘুমাতে পারেন। তবে যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, ওজন অনেক বেশি, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, তারা ভুলেও দুপুরে ঘুমোবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা দুপুরে ঘুমাবেন খাবার খাওয়া ও শোয়ার মধ্যে অন্তত ৩০ মিনিটের ব্যবধান রাখবেন। এর সময়ের মধ্যে ১০০ স্টেপ হেঁটে নিতে পারেন। এরপর ক্লান্ত বোধ করলে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিন। এতে শরীরে স্বস্তি মিলবে।


আরও খবর



নওগাঁয় শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ফুল মোহাম্মদ (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে আটক পূর্বক সোমবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ। 

নওগাঁর নিয়ামতপুর থানা পুলিশ রবিবার উপজেলার ছয়ঘাটি দিঘির বাড়ি থেকে অভিযুক্ত কে আটক করেন।

আটককৃত বৃদ্ধ ফুল মোহাম্মদ নিয়ামতপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত হযরত আলির ছেলে।


অভিযোগ ও থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার রাজাপুর ছয়ঘাটি এলাকায় শিশুটি খেলা করছিলো । এসময় শিশুটিকে আঁখ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ফুল মোহাম্মদ। এক পর্যায়ে শিশুটি চিৎকার দিলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে থানা পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেন।

সত্যতা নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরই থানা পুলিশ অভিযুক্ত কে আটক পূর্বক সোমবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়।


আরও খবর



এনআইডি সংশোধন নিয়ে সংকটে ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

গাজী শাহনেওয়াজ :নাগরিকের বিদ্যমান তথ্যের সঙ্গে চাহিদার তথ্যের গরমিল থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে প্রতিনিয়ত সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। কারণ নিবন্ধনকালে যে তথ্য দিয়েছেন, পরবর্তী সংশোধনের সময় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন তথ্য ও দলিল উপস্থাপন করেছে সংশ্লিষ্ট ভোটার।

দেখা গেছে, আগের তথ্যের সঙ্গে পরের দেওয়া তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এনআইডি কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশেষ করে শিক্ষা সনদ, ভূমির দলিল ও মুক্তিযোদ্ধা সনদের ভিন্নতা বেশি দেখা যায়। এ নিয়ে গত ১২ এপ্রিল একটি সভা করেছিলেন। সভায় এনআইডি কর্তৃপক্ষ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা করে শিক্ষা সনদ সংক্রান্ত পাঁচটি কারণ যেমন- নিজ নামের সম্পূর্ণ বা আমূল পরিবর্তন, ধর্মান্তর, পিতা-মাতার নাম সংশোধন, জন্ম তারিখ পরিবর্তন ও চাকরির দলিল উপস্থাপন করে আইডি সংশোধন, মুক্তিযোদ্ধা সনদ সংক্রান্ত তিন কারণ এবং ভূমির দলিল সংক্রান্ত চার কারণ; যেমন- নিজ নামের ভিন্নতা (নিজ নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তন, নামের আংশিক বা টাইটেল পরিবর্তন, ধর্মান্তরজনিত কারণে নিজ নামের পরিবর্তন) এবং একই ব্যক্তির দুই নাম যেমন- পারিবারিক ডাকনাম ও শিক্ষা সনদের মূল), পিতা-মাতা ও জন্ম তারিখ এবং স্বামী-স্ত্রীর নাম পরিবর্তন।

জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এ কে এম হুমায়ুন কবীর প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নাম, জন্ম তারিখ ও পিতা-মাতার নাম সংশোধন নিয়ে আমরা বিড়ম্বনার মধ্যে আছি। এটি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেছি। সভার রেজুলেশন কমিশন সভায় উপস্থাপনের আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত রেজুলেশনে স্বাক্ষর হয়েছে।

শিক্ষা সনদ সংক্রান্ত নথির তথ্যনুযায়ী এনআইডির বক্তব্যে দেখা গেছে, আবেদনকারীরা ভোটার নিবন্ধনের সময় যে তথ্য লিপিবদ্ধ করে নিবন্ধিত হয়েছেন পরবর্তীতে আবার ভিন্ন নাম ব্যবহার করে মাদরাসা-কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক বা সমমানের পাসের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন।

এখান থেকে পাস করা সনদ দিয়ে নিজ নাম, জন্ম তারিখ ও স্বাক্ষর সম্পূর্ণ পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন, যা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তির সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব হয় না। ফলে সংশোধনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা জটিল হয়। একইভাবে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা সমমান সনদটি ধর্মান্তরের পূর্বে অর্জনকৃত এবং সনদে ধর্মান্তরের আগের নামটি লিপিবদ্ধ থাকে। সনদ সংশোধন ছাড়া ধর্মান্তরজনিত কারণে নিজ নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা জটিল হয়ে যায়। এ ছাড়া নিবন্ধনকালে পিতা-মাতার নাম এক রকম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির দীর্ঘ সময় পর চাকরির দলিল অনুযায়ী পিতা-মাতার নাম বা সম্পূর্ণ পরিবর্তনের আবেদন পাওয়া যায়। আবেদনের সঙ্গে মাদরাসা-কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ যুক্ত করা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত পিতা-মাতার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। অনুরূপভাবে শিক্ষা সনদটি আবেদনকারীর নিজের কি না বিষয়টি স্পষ্ট হয় না। তা ছাড়া অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র গোপন করে বয়স কমিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করেন। পরে উন্মুক্ত বা এ ধরনের সনদ দেখিয়ে আইডি সংশোধন চান- এগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইডি সংশোধন করতে গিয়ে ইসি সর্বদা সংকটে পড়ে।

ইসির এ ধরনের পর্যবেক্ষণের জবাবে বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৮ম শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন; সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পাসের বয়সসীমা থাকে সর্বনিম্ন ১৪ বছর বা তদূর্ধ্ব। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ৯ শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। কিন্তু পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য বর্তমানে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৬ বছর বা তদূর্ধ্ব (০১-০১-২০০৭ বা তার পূর্বে জন্ম ধরে), যার কারণে সনদের সঠিকতা নির্ণয় করা দুরুহ হয়ে পড়ে।

আর বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মীর মোশাররফ হোসেন তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, রেজিস্ট্রেশন করার সময় নাগরিকরা যে পিএসসি ও ৮ম শ্রেণির সনদ দাখিল করেন এবং নাম, পিতা-মাতার নাম ও জন্ম তারিখের গরমিল থাকলে, তা পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে ম্যানুয়ালি সংশোধন করে নিয়ে আসেন। এ কারণে সঠিক বা ভুল নির্ণয় করা জটিল হয়ে পড়ে।

সব পক্ষের আলোচনার পর সাত ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন সভায় উপস্থিত পক্ষগুলো; যেমন- আবেদনকারীর আগের পিএসসি-জেএসসি সনদের ভিত্তিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করা, পিএসসি সনদ যাতে সহজে শুধুমাত্র উপজেলা-থানা শিক্ষা কর্মকর্তা সহজে সংশোধন করতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম ১-১-২০০৭ বা তার আগে (যেহেতু তারা ২০২২ সালে কমিশন কর্তৃক পরিচালিত নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় এনআইডি প্রাপ্ত হয়েছেন) তাদের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে এনআইডি কার্ড লিপিবদ্ধ জন্ম তারিখ আমলে নিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা এবং যেহেতু মাধ্যমিক পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৪ বছর, সেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিতব্য হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে জন্ম তারিখের সীমারেখা এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেন ১৩+ বয়সি শিক্ষার্থীরা নিবন্ধনের আওতায় চলে আসে।

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি যুগ্ম সচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত বলেন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) এ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের (জীবিত-মৃত) পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। জীবিত ১ লাখ ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৯৮ হাজার জনকে এমআইএস নম্বরসহ স্মার্টকার্ড এবং ডিজিটাল সনদ প্রদান করা হয়। বাকি ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার স্মার্টকার্ড বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে।

আর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তানিয়া আফরোজ বলেন, জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে যেখানে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভূমি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এবং জমি রেজিস্ট্রেশনের যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সভায় ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগ-দপ্তরের এনআইডির অনলাইন যাচাই নিশ্চিত করতে হবে ইসির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের ফেরাতে নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন চাইলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, আমরা জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে গৃহীত পাইলট প্রকল্পকে সমর্থন করতে এবং এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের সমাজে পুনরায় একীভূত হতে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানাই।

নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ২০ মে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

রাষ্ট্রদূত মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন, উভয় পক্ষ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

এই প্রকল্পের অধীনে একদল রোহিঙ্গা প্রথম ব্যাচে মিয়ানমারে ফিরে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের প্রত্যাবাসন করা হবে।

তিনি আরও জানান, গত ৫ মে ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যান। সেখানে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।

পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এর আওতায় রোহিঙ্গাদের পারিবারিক ইউনিটে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর আবার যেন তারা সেখানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের সম্মুখীন না হয় সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত।

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলিকেও রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।

রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ অংশগ্রহণ করে।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা, অন্যান্যদের মধ্যে, ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

তারা মিয়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।


আরও খবর



ইন্দুরকানীতে ইট বোঝাই ট্রলি উল্টে চালক নিহত; আহত-২

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ইট বোঝায় ট্রলি উল্টে মো: জাকারিয়া হোসেন (১৮) নামের এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার ইন্দুরকানী- কলারন সড়কের  চন্ডিপুর-বটতলা এলাকার সুধীরের দোকানের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত জাকারিয়া হোসেন উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের পূর্ব চর বলেশ্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আবু তালেবের আবুর ছেলে।  এসময়  ট্রলিতে থাকা সানু  (১৫) ও নাঈম  (১৬) নামে  আরো দুই শ্রমিক আহত হন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: দুলাল ফকির সাংবাদিকদের কাছে এ দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেন। 

স্থানীয়রা জানান, ট্রলি চালক জাকারিয়া তার দুই হেল্পার নাইম এবং সানুকে নিয়ে উপজেলার কলারণ ইট ভাটা থেকে ট্রলি গাড়িতে ইট বোঝায় করে বালিপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। সকাল  নয়টার  দিকে  চন্ডিপুরের বটতলা নামক স্থানে পৌঁছলে ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে উল্টে পড়ে যায়। এ সময় জাকারিয়া হোসেন ট্রলির নিচে চাপা পড়ে গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইন্দুরকানী থানার ওসি মো: এনামুল হক জানান,  ইট বোঝাই ট্রলি গাড়ি উল্টে জাকারিয়া নামে এক ট্রলি চালক  নিচে চাপা পরে  গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। 



আরও খবর