Logo
শিরোনাম
লালমনিরহাটে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান গ্রেফতার নওগাঁয় ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত হাতীবান্ধায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ; সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর- আহত ১০ আলোকিত সেরা নারীর সম্মাননা পেলেন মাধবদীর আমেনা বেগম জোৎস্না রামগড় সীমান্তে দেড় লক্ষ টাকার ভারতীয় মাদকদ্রব্য জব্দ অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু বাইডেনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিল জাপান যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়

নওগাঁয় কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৩ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৩ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দাউদপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে। পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার নিয়োগ দেখান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান। 

অনুসন্ধানে যানা যায়, গত ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা কর্মী, আয়া, সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার সহ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এরমধ্যে উপরের ৩টি পদ শুন্য হলেও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আসাদুজ্জামান নামের একজন কর্মরত আছেন। পরবর্তীতে ঐ বছরের ১৮ মার্চ তারিখ দেখিয়ে নিয়োগ এর কাগজ-পত্র তৈরি করা হয়েছে। সেই কাগজ পত্রে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী গয়ড়া তেতুলিয়া ডি এ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবদুল রশিদ সেই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসাবে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু তিনি ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী মারা যান। এরপর ঐ বছরের মে মাসের ৫ তারিখে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন আ.ন.ম. লুৎফর রহমান। 

মাদ্রাসার রেজুলেশন ও নিয়োগ বোর্ডের ফলাফল সীটে আবদুল রশিদ ছাড়াও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান ও ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোবারুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। সেই নিয়োগ বোর্ডের সম্পর্কে এই কর্মকর্তাগণ কিছুই জানেন না বা কোন কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করেননি। অথচ নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে দেখা যায়, নিরাপত্তা কর্মী পদে উপজেলার দাউদপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ ইসাহাক আলী, আয়া পদে দাউদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে মোছাঃ শারমিন সুলতানা ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ পেয়েছেন মাধবপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু মুস্তাকিম। যারা এখন পর্যন্ত মাদ্রাসায় কোন দিন যাননি বা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেননি। এরমধ্যে আয়া পদে শারমিন সুলতানার বেতনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন মাদ্রাসার সুপার। 

এবিষয়ে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান বলেন, আমি ওই উপজেলায় থাকতে এই পদ গুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে গত বছর তারা আমার কাছে এসেছিলো ব্যাকডেটে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি এর বেশি আর কিছু জানিনা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ আবু মুস্তাকিম বলেন, আমি কোন নিয়োগ বোর্ডে বসিনি। আমার কাছে টাকা আর কাগজ পত্র চেয়েছিলো সেগুলো আমি দিয়েছিলাম। আমি শুধু যোগদান পত্রে স্বাক্ষর করেছি। সেই যোগদান পত্র সুপার আমাকে বানিয়ে দেন। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি, আয়া পদে নিয়োগ প্রাপ্ত শারমিন সুলতানার বাবা পাশ্ববর্তী উপজেলা পত্নীতলা উপজেলার বামনকুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা। আমরা ডিজির প্রতিনিধি নিয়ে এসেছিলাম। পরবর্তীতে সেই সময় নিয়োগ বোর্ড বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার স্বাক্ষর কে জাল করেছে তা আমি জানিনা।

মাদ্রাসার সুপার মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। কে বা কাহারা তা করেছে সেটা আমি জানিনা। তবে এবিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি।

জানতে চাইলে বর্তমান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ দিলে বা আমার উর্ধতন কেউ আমাকে নির্দেশ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এ বিষয়টি আমি জানিনা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

গত সপ্তাহে ইসরাইলি ভূখণ্ডে তেহরানের নজিরবিহীন হামলার ছয় দিনের মাথায় একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দাবি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনছে। শুক্রবার সকালে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্ফাহানের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানের গণমাধ্যমে এসেছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার মাধ্যমে তিনটি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।

ইরানি গণমাধ্যম এবং দেশটির কর্মকর্তারা ইস্ফাহান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরে হামলার খবরটিকে হালকাভাবেই উপস্থাপন করছেন।
ইরানিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি একজন কর্মকর্তা হোসেইন দালিরিয়ানের দাবি, সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের পুরোপুরি বিপরীত। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।

কিন্তু ইস্ফাহানকে কেন টার্গেট করা হয়েছে?

একজন পারমাণবিক এবং রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর ইস্ফাহানকে বেছে নেয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন উল্লেখ করেছেন, শহরটির আশপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু।

(আলোচিত আক্রমণ) যথেষ্ট নিকটে ছিল, যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, বলে আমরা ধারণা করি সেই স্থানটির। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি, বিবিসিকে বলেন তিনি।

ডি ব্রেটন হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, মূলত সামর্থ্যের এবং সেইসাথে সম্ভবত লক্ষ্য সম্পর্কেও জানান দেয়ার চেষ্টা।

ইরান ইসরাইলের দিকে তিন শর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, প্রায় সবগুলোকেই ভূপাতিত করা হয়। ইসরাইল ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ছুঁড়েছে মাত্র একটি বা দুটি - যা প্রতিরক্ষা ভেদ করে আঘাত হেনেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।

তিনি আরো দাবি করেন, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইসরাইল ইরানের চেয়ে এগিয়ে আছে। সেই জন্যই তেহরান প্রক্সি ওয়্যারে (ছায়াযুদ্ধ) বেশি আগ্রহী এবং ইসরাইলের সাথে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলে। কারণ, তারা জানে নিদারুণ পরাজয় হবে তাদের।

ইরানিদের পক্ষ থেকে হামলার গুরুত্বকে খাটো করে দেখা প্রসঙ্গে ডি ব্রেটন গর্ডন বলেন, তারা স্বীকার করতে চাইবে না যে কোনো ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের পুরনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে এবং লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রণীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ দিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১র ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতি বর্হিভূত এবং গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন।

 এই অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজাজামানকে স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর হয়ে ওঠে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দুঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, সরকারের প্রতিনিধিগণ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

নবজাত রাষ্ট্রের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের লক্ষে অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।

 এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বরাবরের মতো স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার সাথে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে স্মরণ ও পালন করবে।


আরও খবর



সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ দিন ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তীব্র গরমের কারণে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মাউশির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরসহ টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে করণীয় ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে ওইদিনের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দাবদাহের মধ্যে না খুলে আগামী সাত দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। এমন অবস্থার মধ্যে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় মাউশি।

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




নওগাঁয় পুলিশের উপর হামলা, ৬ পুলিশ আহত, গ্রেফতার ৮ জন

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন মাতাজীহাট ফাঁড়ি পুলিশের উপর হামলা ও ৬ জন পুলিশ আহত ঘটনায় ২শ জনকে আসামী করে মহাদেবপুর থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুর থানাধীন রাইগাঁ মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত ৮ জন হলেন, কুড়াইল গ্রামের পরেশের ছেলে প্রতাপ (৩৫), সুপথ মন্ডলের ছেলে রাম গোপাল (২৬), সনজিতের ছেলে বিশু (২৭), সুরেনের ছেলে সুচিত্র (৩০), সুরেনের ছেলে সুপথ (৪২), নিবাসের ছেলে সুইট (৩০), সবুজ (২৫), পরেশের ছেলে রিপন (৩০)। 

জানা গেছে, কুড়াইল গ্রামের বুলন চন্দ্রে'র ছেলে হিলন একই গ্রামের বিপ্লব চন্দ্রের কন্যা স্কুল ছাত্রী বন্যা রাণীর (১৩) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বুধবার বন্যা রানীকে পালিয়ে নিয়ে প্রেমিক হিলন বাড়িতে তোলেন। বন্যা রাণীর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই লালন কুমার দাস এর নেতৃত্বে পুলিশ মেয়েটি কে উদ্ধারের জন্য হিলন এর বাড়িতে যায়। এ সময় হিলন এর বাড়ির লোকজন পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করেন এক পর্যায়ে ঐ গ্রামের প্রতাপ এর নেতৃত্বে গ্রামের একদল মানুষ পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করেন। এসময় আত্নরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাদের মারধর করে আটক করে রাখেন। 

খবর পেয়ে দ্রুত (মহাদেবপুর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ গিয়ে আটক করে রাখা পুলিশ সদস্যদের আহত অবস্থায় উদ্ধার পূর্বক এস আই লালন কুমার দাস, পুলিশ সদস্য মোঃ মাইনুল ইসলাম, তজারুদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, টুটুল হোসেন, রুবেল হোসেন কে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ সহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।পুলিশের উপর হামলা কারীদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ।


আরও খবর



হাতীবান্ধায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ; সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর- আহত ১০

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট,প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে দুই চেয়ারম্যান প্রাার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও করতে গেলে কালের কন্ঠের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মাহমুদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাংচুর করে। সংঘর্ষে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমাসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধী আছেন।

শুক্রবার (৩ মে) রাত ১টার দিকে উপজেলা মেডিকেল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে প্রচারণা নিয়ে দিনভর উত্তেজনা ছিল দুপক্ষের মধ্যে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, কাপ পিরিচ প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থক হাফিজুল অপর আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌস সীমাকে নিয়ে নির্বাচন প্রচারণার সময় অশ্লীল মন্তব্য করেন। বিষয়টি জানতে পেরে শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত প্রতিবাদ করেন। এর প্রেক্ষিতে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। এক পর্যায় পুলিশে উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সাহানা ফেরদৌসী সীমা তার সমর্থকদের নিয়ে মেডিকেল মোড় ত্যাগ করার সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চু সমর্থকরা শাহানা ফিরদৌসী সীমার গাড়ী ভাংচুর করে। সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনার ভিডিও করতে গেলে কালের কন্ঠের সাংবাদিক হাসান মাহামুদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাংচুর করে বাচ্চুর সমর্থকরা। এতে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা হাতে ও শরীরে আঘাত পান। পরে আহতরা হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী মজিবুল আলম সাদাত বলেন, মেডিকেল মোড় এলাকায় হ্যান্ড মাইক দিয়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে নানা কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করেছে এবং আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর লোকজন। বিষয়টি অনেকেই সাক্ষী দিয়েছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এ ধরনের ঘটনায় আমরা সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কিত।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (কাপ-পিরিচ) লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের সাথে কোন কথা নাই। আপনারা অন্য প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন বলেই রেগে যান।

এ বিষয়ে দৈনিক কালের কন্ঠের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থক চিহিৃত মাদক কারবারি মোতাহার আমার উপর হামলা করে। এ সময় আমার ক্যামেরা কেড়ে নেয় ও ভাংচুর করে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই কোন অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।


আরও খবর