Logo
শিরোনাম

নতুন রূপে সেজেছে সাগরকন্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল :  পর্যটনের অপার সম্ভাবনা সত্বেও যোগাযোগ অবকাঠামোর অভাবে পিছিয়ে ছিল । কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এই ‘সাগরকন্যা’ সেজেছে নতুন রূপে। বেড়েছে পর্যটকও। তবে অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় পর্যাটকদের ভোগান্তি রয়ে গেছে।

পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটার প্রতি পর্যটকদের কাছে আগ্রহ বেড়েছে জানিয়ে রুম্মান ইমতিয়াজ বলেন, এবার চট্টগাম, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর থেকেও পর্যটকর আসছেন। তার যুক্তির বাস্তবতাও পাওয়া গেল। নেত্রকোনা থেকে যাওয়া পর্যটক সোহেল, নাদিম, বিনয় ও বিপ্লব বলেন, ১১ ঘণ্টায় আমরা নেত্রকোনা থেকে এখানে এসেছি। নাদিয়া জানালেন, প্রাইভেটকারে ১০ ঘণ্টার কম সময়ে তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে পৌঁছান।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত হোটেল-মোটেল আছে ৭৪টি। এর বাইরে আছে ৫৬টি হোটেল-মোটেল। প্রথম শ্রেণির হোটেল রয়েছে ১৫টি। এসব হোটেল-মোটেলে সর্বোচ্চ ১৫ হাজারের মতো পর্যটক রাত যাপন করতে পারেন।

মোতালেব শরীফ আরো বলেন, আগে শুধু শীতকালে কুয়াকাটায় বেশি পর্যটক বেড়াতে আসতেন, এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সারা বছরই কুয়াকাটায় পর্যটকেরা আসতে পারবেন। সেভাবেই আমরা সবকিছু ঢেলে সাজাচ্ছি।

এদিকে কুয়াকাটাসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে বেড়ানোর জন্য ৩০০-৩৫০ ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল রয়েছে। এসব মোটরসাইকেলচালক সমিতির সভাপতি আব্বাস কাজী। তিনি বলেন, পর্যটক বেড়ে যাওয়ায় একেকজন মোটরসাইকেলচালক এখন দিনে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। তাতে হিসাব করলে দেখা যায়, ৩৫০ মোটরসাইকেল থেকে দিনে গড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় হচ্ছে।

কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যটন পুলিশের বেশ কয়েকটি দল এ কাজ করছে। সৈকতে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্যও তৎপর রয়েছে পর্যটন পুলিশ।

সৈকতের পাশেই দেড় শতাধিক একর জমিতে অবস্থিত নারিকেল বাগান যা ‘নারিকেল কুঞ্জ’ নামেই পরিচিত। ১৯৬০ সালে ১৬৭ একর খাস জমি লীজ নিয়ে জনাব ফয়েজ মিয়া ‘ফার্মস এন্ড ফার্মস’ নামে এ বাগান করেন। সৈকতের পূর্ব দিকে রয়েছে মনোরম ঝাউ বাগান। ১৯৯৭/৯৮ অর্থ বছরে বন বিভাগ ১৫ হেক্টর জমিতে সি বিচ সংলগ্ন ঝাউ বাগান গড়ে তোলে। এর পরেই রয়েছে আর এক বিশাল বনাঞ্চল চরগঙ্গামতি। বনের মধ্যে রয়েছে ছৈলা, কেওড়া ও কড়াই বাগান ও একটি নয়নাভিরাম লেক। কুয়াকাটা সমূদ্র সৈকত থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে লেম্বুর চরে বন বিভাগের একটি বাগান আছে। বনে রয়েছে কড়াই, গেওয়া, ছৈলা ও কেওড়া গাছ। বেড়াতে আসা পর্যটকরা এখানে যায়। আন্ধারমানিক নদীর মোহনার পূর্ব দিকে লেম্বুর চর আর পশ্চিম দিকে রয়েছে ফাতরার চরের বিশাল বনাঞ্চল।

ভৌগোলিক ভাবে বরগুনা জেলায় বাগানটির অবস্থান থাকলেও কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা বিনোদনের জন্য সেখানে ট্রলার যোগে যাতায়াত করেন। কুয়াকাটা সৈকতের ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে রয়েছে শুটকি পল্লী। সেখানে পর্যটকরা তাজা মাছ কেটে শুটকিজাত করার দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান। সরকারিভাবে গঙ্গামতিতে ইকোপার্ক ও বিমানবন্দর করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কুয়াকাটা উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্লানের কাজ চলমান।

পর্যটকরা জানিয়েছেন, ভোরে ঢাকা থেকে যাত্রা করে দুপুরের আগেই কুয়াকাটা পৌঁছে দিনভর ঘোরাঘুরি শেষে বিকেলে সূর্যোদয় দেখে রাতে আবার ঢাকায় ফিরতে পেরেছেন তারা। এক সময় ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪টি ফেরি সার্ভিস ছিল। সে কারণে কুয়াকাটায় পৌছাতে ২৪ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতো। সর্বশেষ ভোগান্তি ছিল মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টের ফেরি। পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় মাত্র ৫ ঘণ্টায় কুয়াকাটা পৌছতে পেরে আনন্দিত পর্যটকরা।

পদ্মা সেতুর সুফলে এবার চট্টগ্রাম, জামালপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলার পর্যটকরা আসছেন সাগরকন্যা কুয়াকাটার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ১৩টি দর্শনীয় স্পট দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সমুদ্রে ঢেউয়ের তালে তালে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে তরুণ তরুণীসহ নানান পেশার মানুষ। সমুদ্রে গোসল, ফুটবল খেলাসহ নানা আনন্দ উল্লাসে মেতে আছে পর্যটকরা।

একাধিক পর্যটকরা জানান, আগে কেবল মাত্র ভোগান্তির জন্যই সাগরকন্যায় আসার আনন্দ ধুলোয় মিশে যেতো। সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্ত কোনোটাই দেখা সম্ভব হতো না। পরিবার-পরিজন নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, এবার ছুটির মধ্যেই পরিবার নিয়ে সাগরকন্যার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছেন। ঈদ উল আযহার দিন বিকেল থেকেই কুয়াকাটার একাধিক পর্যটন স্পট পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটারের সমুদ্র সৈকতে রাখাইনদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক স্থাপনা নিদর্শন দেখতে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। পর্যটকদের চাপে এবার শতভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে যাওয়ায় অনেকেই ৪/৫ কিলোমিটার দূরবর্তী হোটেলে কক্ষ ভাড়া নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমরা সারা দেশে ১ হাজার ১০০ ট্যুরিস্ট অ্যাট্রাকশন পয়েন্ট আইডেন্টিফাই করেছি। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাট্রাকশন পয়েন্টের আর্কিটেকচারাল ডিজাইন আমরা করব। আমরা ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানও করব।

মুহাম্মদ জাবের আরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলকে আমরা প্রায়োরিটি দেব, কারণ ওখানে যাওয়াটা আগে কষ্টসাধ্য ছিল। এখন সেটা সহজ হয়েছে। কুয়াকাটা, পিরোজপুরসহ বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলকে আমরা অগ্রাধিকার দেব। এখানে কিছু নতুন ট্যুরিস্ট অ্যাট্রাকশন তৈরির জন্য কাজ করছি। এর মধ্যে আছে সোনাদ্বীপ, আরেকটা সোনারচর। ১০-১৫ দিন আগে আমরা দেখে এসেছি। কীভাবে এগুলো ডেভেলপ করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।

তবে পর্যটন ব্যবসায়ী ও প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব মো. তৌফিক রহমান মনে করছেন, দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটনকেন্দ্রিক সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, এতদিন মূল সমস্যাটা ছিল যাতায়াত। আরেকটা বড় সমস্যা থাকার ভালো ব্যবস্থাপনা নেই। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। ভালো খাবারের জায়গাও নেই। ট্যুরিস্ট অ্যাট্রাকশনের জন্য এসব ক্ষেত্রেই সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।


আরও খবর



দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক হামলার মহড়া চালাল উত্তর কোরিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক হামলার অনুকরণে মহড়া চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পূর্ব এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটি বলছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পারমাণবিক হামলার অনুকরণে দুটি স্বল্প-পাল্লার কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি হিসেবে কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এই পরীক্ষাগুলো চালানো হয়েছে।বিবিসি বলছে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র সাগরে পড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিম জং উনের দেশটি এমন এক সময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল যখন দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সামরিক মহড়া চলছে।একে অপরের মিত্র এই দুই দেশের এই ধরনের সামরিক মহড়াকে অবশ্য যুদ্ধের মহড়া হিসাবে দেখে থাকে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে ‘দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান কমান্ড সেন্টার এবং অপারেশনাল এয়ারফিল্ডে’ হামলার অনুকরণে কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়া হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়।দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ‘শত্রুদের কাছে স্পষ্ট একটি বার্তা পাঠানোও ছিল এই মহড়ার উদ্দেশ্য।’

বিবিসি বলছে, চলতি আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করে। উভয় দেশের ১১ দিনের সম্মিলিত এই সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার একদিন আগেই এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই মহড়ায় অন্তত একটি মার্কিন বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান কোরীয় উপদ্বীপের ওপরে উড্ডয়ন করে।উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মঙ্গলবার তার শীর্ষ কমান্ডারদের দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার জন্য মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মহড়ায় আকস্মিক আক্রমণ প্রতিহত করার পাশাপাশি ‘দক্ষিণ কোরিয়ার পুরো অঞ্চল’ দখল করার জন্য পাল্টা আক্রমণ শুরু করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভিসানীতি নিয়ে বিব্রত, বিভ্রান্ত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নাই

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, ভিসা নীতি  নিয়ে বিব্রত, বিভ্রান্ত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নাই। আমেরিকা তাদের দেশে কাকে যেতে দেবে আর কাকে যেতে দেবে না সেটা একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। 

তবে আমরা বলতে পারি আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোন ঘাটতি নেই। দুই দেশের সম্পর্ক আগে যা ছিলো এখনো তাই আছে। একটি মহল আমেরিকার এই ভিসা নীতিকে পুঁজি করে বাংলাদেশ এর মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

তিনি বুধবার বিকালে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানাধীন নব-নির্মিত শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, ভিসা নীতিতে কোন বাহিনী, দল কিংবা গোষ্ঠির কথা আমেরিকা উল্লেখ করেনি। তারা নিয়মিত ভাবেই সকলকে ভিসা দেন না। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। 

এ নিয়ে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন ভাবেই উদ্বিগ্ন নয়। বর্তমান সময় ও নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই পরিচালনা করবে। দেশের  নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে আধুনিক এবং কার্যকর পুলিশ বাহিনী  গড়ে তোলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে পুলিশ বাহিনীর স্বপ্ন দেখেছিলেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলেছেন। গুজবে কান না দিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানান তিনি।

নওগাঁ জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ফয়সল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ  ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁ-৬ (আত্রাই- রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মাওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক প্রমুখ।


আরও খবর



ব্যালন ডি’অরের দৌঁড়ে অষ্টমবারের মতো মেসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : লিওনেল মেসিকে বিশ্ব ফুটবলের জন্য সম্পদ আখ্যায়িত করে একবার কিংবদন্তী ডাচ ফুটবলার ইয়োহান ক্রুইফ বলেছিলেন, ‘মেসি পাঁচটা, ছয়টা এমনকি সাতটা পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর জিততে পারে।’

তার সেই কথাকে মেসি প্রমাণ তো করেছেনই, তার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভবিষ্যদ্বাণীকেও যেন ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে রয়েছেন। ক্যারিারে অষ্টমবারের মতো ব্যালন জেতার দৌঁড়ে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ৩০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম এসেছে। পাশাপাশি রয়েছেন সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ী আর্লিং হালান্ড এবং বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিলিয়ান এমবাপ্পেও।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রকাশ হওয়া ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তারা তিনজনই ঠাঁই করে নিয়েছেন। খবর স্পোর্টস ব্রিফ, স্পোর্টস কিডা ও ইউরো স্পোর্টের।

তবে এই তালিকায় ঠাঁই পাননি দুই তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার জুনিয়র। গতবারের শীর্ষ দুইয়ে থাকা সাদিও মানেও প্রাথমিক তালিকায় নেই এবার। তিনজনেই এখন সৌদি লিগে যোগ দিয়েছেন। প্রদীপ্ত শিখার আলো থেকে তাই অনেকটাই দূরে রয়েছেন তারা।

এর আগে ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের তালিকায় ছিলেন রোনালদো। পাঁচবার পুরস্কার জয়ী এই পর্তুগিজ তারকা এবার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। ইউরোপ ছেড়ে এখন সৌদি ক্লাব আল নাসরে খেলছেন তিনি।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাদেশে সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলার পৌরসভায় সপ্তাহব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী যুবলীগ।

রোববার বিকেলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাদেশে সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলার পৌরসভায় সপ্তাহব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি পালনের জন্য যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

যুবলীগ ঘোষিত কর্মসূচি

* সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ।

* মশারি বিতরণ।

*ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ দেশের সকল মহানগর ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

*ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সহযোগিতার জন্য রক্ত দান কর্মসূচি।

* চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে কেন্দ্র এবং সকল মহানগর ও জেলায় মেডিকেল টিম গঠন।

* ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ দেশের সকল মহানগর ও জেলাসমূহে একটি হটলাইন চালু করতে হবে (এই হটলাইনটি ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির বিনামূল্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা ও রক্তদান কার্যক্রমে সহায়তা করবে)।

* সচেতনতামূলক বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ই-পোস্টার প্রকাশ ও প্রচার।


আরও খবর



যমুনা ও আত্রাই নদীর ৬ স্থানে ভাঙ্গন,

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

বুধবার নওগাঁর রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ি ও কৃষ্ণপুর নামক স্থানের বেরিবাঁধ এবং মঙ্গলবার মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর উভয় তীরের ছয় স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত আড়াই হাজার পরিবার। এরই মধ্যে ভেঙেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের ক্ষেত। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার হাজারো মানুষ। 

সরেজমিনে রাণীনগর গিয়ে জানা যায়, কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ছোট যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসছিল। এতে আতঙ্কে ছিলেন বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এরই মধ্যে বুধবার ভোররাতে উপজেলার গোনা ইউনিয়নের নান্দাইবাড়ি-মালঞ্চি মাদ্রাসা সংলগ্ন এবং মালঞ্চি-কৃষ্ণপুর ভাটা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। ফলে প্লাবিত হয় বেড়িবাঁধ এলাকার নান্দাইবাড়ি, মালঞ্চি ও কৃষ্ণপুর তিন গ্রাম এবং ভেঙেছে মালঞ্চি মাদ্রাসার একটি দেওয়াল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন তিন গ্রামের প্রায় ৯শ’ পরিবার।

নান্দাইবাড়ি গ্রামের ফারুক ও একই এলাকার এছাহক বলেন, সকাল হওয়ার আগে আমার ঘরের ভিতর হাটু পানি হয়ে যায়। পুকুরে গিয়ে দেখি সব পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। এতে আমার প্রায় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। একই এলাকার এছাহক আলী জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের কারণে তার দু'টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। প্লাবিত হয়েছে ফসল, সবজির ক্ষেতসহ বাড়িঘর।

তারা আরো বলেন, প্রতি বছরই এই বেড়িবাঁধ ভাঙে। নাম মাত্র করা হয় মেরামত। এতে করে প্রতি বছরই ৩ গ্রামের মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। তারা বলছেন, গত বছর এবং তার আগের বছর ভাঙলে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নান্দাইবাড়ি-মালঞ্চি ও কৃষ্ণপুর বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়। কিন্তু সঠিকভাবে মেরামত কাজ না হওয়ায় এবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্রতি বছর ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের দাবি- বস্তাভর্তি বালু দিয়ে বেড়িবাঁধ মেরামত না করে সিসি ব্লক এর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ মেরামত করা হলে আমরা বন্যা থেকে রক্ষা পাবো।

অপরদিকে মঙ্গলবার নওগাঁর মান্দা উপজেলায় বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৪শ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৬শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫শ পরিবার। দীর্ঘদিন যাবত নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধ সংস্কার না করার কারণে বেশকিছু অংশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধের ঝঁকিপূর্ণ অংশে নতুন করে ভেঙ্গে যাওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে অন্যান্য স্থানের নদীপাড়ের মানুষরা।

মান্দা উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এই ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের অন্তত ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকা গুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, বেড়ি বাঁধের আর কোথাও যেন নতুন করে ভেঙে না যায় এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা নিয়ে ভেঙে যাওয়া অংশে বস্তায় বালি ফেলে বন্ধ করার কার্যক্রম চলছে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল বলেন, রবিবার সকাল থেকে ছোট যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভেঙে যাওয়া অংশগুলো আমরা উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে জিওব্যাগের মাধ্যমে মেরামতের চেস্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে নদীতে আরও পানি বাড়তে পারে। নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর