ওজন কমাতে ডায়েট খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজকাল মানুষের মধ্যে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এই
ধরনের খাবার ওজন বাড়ায়। সেক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু ভেষজ রাখতে
পারেন। এসব ভেষজ ওজন কমাতে সাহায্য করে। এগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে। এসব ভেষজ রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে ও
হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিকভাবে
ওজন কমাতে সাহায্য করে যেসব ভেষজ
দারুচিনি : দারুচিনি ওজন
ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। এটি বিপাকক্রিয়া বাড়াতে ও রক্তে শর্করার পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এলডিএল কোলেস্টেরল ও
ট্রাইগ্লিসেরাইড কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যেভাবে খাবেন : দেড় চা চামচ দারুচিনির
গুঁড়া বা ১টি দারুচিনির ছাল সারারাত একটি গ্লাসে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে প্রতিদিন
এই পানি পান করলে ৪ সপ্তাহে আপনি আপনার কাঙ্খিত ফল পাবেন। এছাড়া একটি পাত্রে গরম
পানির সাথে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে চায়ের মতো করে প্রতিদিন পান করতে পারেন।
দারুচিনির চা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মেথি : মেথি শরীরের মেদ ঝরাতে
সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলে কমায়, হজমশক্তি বাড়ায় এবং ইনসুলিন তৈরির সমস্যা দূর করে।
যেভাবে খাবেন: একটি বাটিতে ১ চা চামচ
মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি খালি পেটে নিয়মিত পান করলে দ্রুত ওজন
কমবে এবং হজমশক্তি বাড়বে। এছাড়া মেথি গুঁড়া করে বিভিন্ন খাবারে যেমন- তরকারি, ডাল বা স্মুদিতে
দিয়ে খেতে পারেন।
রসুন : রসুনে থাকা অ্যালিসিন
উপাদান কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ, বিপাকের সমস্যা এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ
করে। গবেষণা বলছে, রসুন বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, চর্বি জমা রোধ করে এবং শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
যেভাবে খাবেন : ওজন কমাতে প্রতিদিন এক
কোয়া রসুন খেতে পারেন। এছাড়া রস করেও খেতে পারেন। এজন্য প্রথমে ১ টুকরো রসুন নিয়ে
হামানদিস্তায় ভালো মতো ছেঁচে নিন। এরপর ১ কাপ পানি ও ১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে
ছেঁকে নিন। এই পানীয়তে ভিটামিন-সি থাকার জন্য শরীরে জমে থাকা মেদ কমাতে সহায়তা
করে। এটি হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
গ্রিন টি : গ্রিন টিতে উচ্চ পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যাকে বলা হয় ক্যাটেচিন। এতে থাকা ক্যাফিন উপাদান চর্বি
গলাতে ও মাংশপেশির স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে সাহায্য করে।
যেভাবে খাবেন: ১ কাপ পানি ফুটিয়ে তাতে
গ্রিন টির পাতা দিন। এর সঙ্গে সামান্য দারুচিনির গুঁড়া মেশালে দ্রুত ওজন কমে।
গোলমরিচ: গোল মরিচে
প্রচুর পরিমাণে পাইপেরিন রয়েছে। এই উপাদান গোল মরিচের স্বাদ বাড়ায়। সেই সঙ্গে
ফ্যাট কোষ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে গোল মরিচ খাওয়া ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও
গোল মরিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি,
অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য অন্ত্রের কার্যকারিতা-উন্নত করে।
কীভাবে খাবেন: ওজন কমাতে
প্রতিদিন ৫ টি করে গোলমরিচ চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া এক কাপ গরম পানিতে এক চামচের
এক চতুর্থাংশ পরিমাণে গোল মরিচের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু যোগ করে খেতে পারেন।
তথ্য সূত্র: রিমিস ড্রিম