Logo
শিরোনাম

ওজন কমাতে ভেষজ উপাদান খাবেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ওজন কমাতে ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজকাল মানুষের মধ্যে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এই ধরনের খাবার ওজন বাড়ায়। সেক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু ভেষজ রাখতে পারেন। এসব ভেষজ ওজন কমাতে সাহায্য করে। এগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে। এসব ভেষজ রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে যেসব ভেষজ

দারুচিনি : দারুচিনি ওজন ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। এটি বিপাকক্রিয়া বাড়াতে ও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এলডিএল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসেরাইড কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যেভাবে খাবেন : দেড় চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া বা ১টি দারুচিনির ছাল সারারাত একটি গ্লাসে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে প্রতিদিন এই পানি পান করলে ৪ সপ্তাহে আপনি আপনার কাঙ্খিত ফল পাবেন। এছাড়া একটি পাত্রে গরম পানির সাথে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে চায়ের মতো করে প্রতিদিন পান করতে পারেন। দারুচিনির চা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

মেথি : মেথি শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলে কমায়, হজমশক্তি বাড়ায় এবং ইনসুলিন তৈরির সমস্যা দূর করে।

যেভাবে খাবেন: একটি বাটিতে ১ চা চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি খালি পেটে নিয়মিত পান করলে দ্রুত ওজন কমবে এবং হজমশক্তি বাড়বে। এছাড়া মেথি গুঁড়া করে বিভিন্ন খাবারে যেমন- তরকারি, ডাল বা স্মুদিতে দিয়ে খেতে পারেন।

রসুন : রসুনে থাকা অ্যালিসিন উপাদান কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ, বিপাকের সমস্যা এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণা বলছে, রসুন বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, চর্বি জমা রোধ করে এবং শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

যেভাবে খাবেন : ওজন কমাতে প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খেতে পারেন। এছাড়া রস করেও খেতে পারেন। এজন্য প্রথমে ১ টুকরো রসুন নিয়ে হামানদিস্তায় ভালো মতো ছেঁচে নিন। এরপর ১ কাপ পানি ও ১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ছেঁকে নিন। এই পানীয়তে ভিটামিন-সি থাকার জন্য শরীরে জমে থাকা মেদ কমাতে সহায়তা করে। এটি হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

গ্রিন টি : গ্রিন টিতে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যাকে বলা হয় ক্যাটেচিন। এতে থাকা ক্যাফিন উপাদান চর্বি গলাতে ও মাংশপেশির স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে সাহায্য করে।

যেভাবে খাবেন: ১ কাপ পানি ফুটিয়ে তাতে গ্রিন টির পাতা দিন। এর সঙ্গে সামান্য দারুচিনির গুঁড়া মেশালে দ্রুত ওজন কমে।

গোলমরিচ: গোল মরিচে প্রচুর পরিমাণে পাইপেরিন রয়েছে। এই উপাদান গোল মরিচের স্বাদ বাড়ায়। সেই সঙ্গে ফ্যাট কোষ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে গোল মরিচ খাওয়া ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও গোল মরিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য অন্ত্রের কার্যকারিতা-উন্নত করে।

কীভাবে খাবেন: ওজন কমাতে প্রতিদিন ৫ টি করে গোলমরিচ চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া এক কাপ গরম পানিতে এক চামচের এক চতুর্থাংশ পরিমাণে গোল মরিচের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু যোগ করে খেতে পারেন।

তথ্য সূত্র: রিমিস ড্রিম 


আরও খবর

এখন দরকার নানারকম শীতের পোশাক

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শীতে বিয়ের কনের স্কিন কেয়ার রুটিন

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




ঠাকুরগাঁওয়ে খজুরের গুড়, গাছিরা ব্যস্ত রস সংগ্রহে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শীতে অন্যতম উপদেয় খাবার খেজুরের গুড়। দেশের উত্তরের জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকে, আগেভাগেই শীত নামে সেখানে। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে খেজুরের রস সংগ্রহের কাজ। ওই রস থেকে তৈরি হচ্ছে উপাদেয় খেজুরের গুড়। রস সংগ্রহ ও রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মৌসুমী গাছিরা। গাছ থেকে মোশারি মোড়ানো হাঁড়িতে ফোটায় ফোটায় পরছে রস, শীতের হালকা কুয়াশার মধ্যে এমনি মনমুদ্ধকর দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানকার খেজুর বাগান থেকে গাছিরা রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছন। প্রতিবারের মতো এবারো ওই গ্রামে শুরু হয়েছে খেজুরের গুড় উৎপাদন।

সুগার মিলের মোহন ইক্ষু খামার খেজুর বাগানে এবারে ৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় ৭ শতাধিক গাছ বাৎসরিক নির্দিষ্ট পরিমানের টাকায় লিজ নিয়ে গুড় তৈরি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো.সেলিম। তার এই বাগানে কাজ করছেন নাটর লালপুর থেকে আসা ৬ জন চাষি। প্রায় ১৩ একর জমিতে গড়ে উঠেছে এই খেজুরের বাগান। সারারাত গাছের আগায় লাগানো হাঁড়িতে সারারাত ফোটা ফোটায় রস পড়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সূযোদয়ে ওঠার আগেই গাছ থেকে নামিয়ে টিনের পাত্রে জ্বাল দিয়ে চাষিরা তৈরি করছেন পাঠালি গুড়। ভোরে গুড় তৈরির এমন মন-মুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রকৃতীপ্রেমীরা আসছেন দূরদরান্ত থেখে।

যানা যায়, অক্টোবর মাসের শুরু থেকে গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন গাছিরা। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে সিমিত পরিষরে গুড় বানারো কাজ শুরু করেন চাষিরা। বর্তমানে গুড় তৈরীতে এখন নিয়মিত এখানে কাজ করছেন শুমিকেরা। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ কেজির বেশি গুড় উৎপাদন করেন গাছিরা। সেই সাথে ১শ টাকা লিটারে খেজুরের রস বিক্রি ও গুড় প্রতি বিক্রি করছেন ৩শ’ টাকা কেজি করে।

খেজুর বাগানে রস খেতে এসেছেন প্রকৃতীপ্রেমী রাসেল ইসলাম, মাসুদ রানা সহ বেশ কয়েকজন বলেন, অনেক ভোরে এসেছি এই বাগানে। সরাসরি রস সংগ্রহ ও রস দিয়ে কিভাবে গুড়টি তৈরী হচ্ছে তা দেখলাম। গ্রামীন ঐতিহ্য এটি, দেখে অনেক ভালো লাগলো। রস কিনেছি ১শ টাকা লিটারে আর গুড় কিনেছি ৩শ টাকা কেজি দরে। অনেক ভালো লাগলো এখানকার পরিবেশটি। আরেক প্রকৃতীপ্রেমী সারমিন আক্তার ও আরফিনা বলেন, বান্ধবীরা মিলে এসেছি এই বাগানে। এইবারেই প্রথম আসা। পরিবেশটি অনেক সুন্দর। বিশেষ করে কুয়াশার সকালে খেজুর গাছের দৃশ্যটি অসাধারণ লাগে। আর গুড় বানানো এই প্রথম দেখলাম। খেলাম বেশ মজাদার ছিলো।

এ বিষয়ে বাগানের বর্তমান মালিক মো সেলিম মিয়া বলেন, আমরা অক্টোবর মাস থেকেই গাছের পরিচর্যা শুরু করি। নভেম্বরের শুরু থেকেই রস সংগ্রহ করছি। সেই সাথে অল্প পরিষরে গুড় বানানোর কাজ চলছে। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী আসছেন। তবে শীত এখনো সেভাবে পড়েনি। রস উৎপাদন তেমন হচ্ছেনা। আমরা প্রতিটি হাঁড়ি মশারি দিয়ে ঢেকে দিয়েছি যাতে করে কোন পাখি মুখ দিতে না পারে। আশা করছি শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রসের উৎপাদনও বাড়বে।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




কোনও ব্যাংক বন্ধ হবে না, বললেন গভর্নর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশে কোনও দুর্ভিক্ষ হবে না। আমরা শ্রীলঙ্কা হয়ে যাইনি। আমাদের গ্রোথ কমেনি। বিনিয়োগ হার ও পরিবেশ ঠিক করছি। আমরা আশাবাদী, সামনে বিনিয়োগ আসবে, বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, যেকোনও পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করলেও মূল্যস্ফীতি এক বছরের আগে কোনও দেশেই কমে না। মাত্র ৪ মাস সময় পার করছি। আমাকে আরও ৮ মাস সময় দিতে হবে। আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। সব প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলা রয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে শুল্ক শিথিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেক্সিমকো কয়েক মাস ধরে তাদের শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছিল না। সরকার অর্থ দিয়ে তাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে। এখন গ্রুপটিতে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাতে এটি (বেক্সিমকো) সচল করা যায়। কোনও বিজনেস (আর্থিক) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়নি। বেক্সিমকোয় রিসিভার দেওয়া মানে কোম্পানি বন্ধ নয়, বরং এটা সচল করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের ব্যাংক খাত। এখন যদি দ্রুত সংস্কার বা সমাধান চাওয়া হয়, আমার চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। কারণ, এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার অ্যাসেট এক পরিবারের হাতে ছিল। তারা ২৩ হাজার কোটি নিয়েছে। আমার হাতে ম্যাজিক নেই। তবে আমি বলতে পারি কোনও ব্যাংক বন্ধ হবে না। কারণ তাদের তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

অর্থপাচার নিয়ে তিনি বলেন, দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এটা ফিরে পাওয়া কঠিন। তবে আমাদের জাল ফেলা হয়েছে। এখন গোটানো বাকি। এরইমধ্যে আমরা দেশ ও দেশের বাইরেও যোগাযোগ করেছি। আমাদের সহযোগিতার জন্য চলতি সপ্তাহে আমেরিকার প্রতিনিধি আসছেন, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি আসবেন, বিশ্বব্যাংক আসবে এবং সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও কথা হবে। আমরা চাই না কোনও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বা শিল্প বন্ধ হয়ে যাক। কারণ, সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আবার কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাবও জব্দ করা হয়নি, হবেও না। ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। ঢাকায় টোটাল ব্যাংকিংয়ের ৫৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৭ শতাংশ, বাকিটা অন্য জায়গা। আমরা এটাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের এজেন্ট ব্যাংক বড় কাজ করছে। তাদের মাধ্যমে এমএফএস সেবা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

গভর্নর বলেন, কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। কিন্তু তাদের নগদ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে গত ৩ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে কোনও নগদ সহায়তা দেওয়া হয়নি। কারণ ম্যাক্রো ইকোনমি স্ট্যাবল রাখতে হবে। এটা স্ট্যাবল না হলে কোনও বিনিয়োগ হবে না। এজন্য ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য—যারা ব্যাংকের টাকা মেরেছে, তারা ব্যাংকের সঙ্গে থেকে যেন টাকা ফেরত দেয়। বাইরে যে টাকা চলে গেছে সেসব কীভাবে আইনগত প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ শর্টেজ এখন নেই। আমি মনে করি সাপ্লাই সাইডে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট নিয়ে আসতে চাইছি। ব্যাংকিং খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর পাকিস্তানের থেকেও দুর্বল। এটা ঠিক হতে ২-৩ বছর সময় লাগবে।

বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিসহ প্রায় চার শতাধিক অতিথি ।


আরও খবর



নির্বাচনী চাপ বাড়াতে তৎপর বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনী পথে দ্রুত হাঁটাতে তৎপর বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষ থেকে নানা সভা-সেমিনারে ক্রমাগতভাবে নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি মনে করে, বিপ্লব-পরবর্তী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনী কাজও চলমান রাখুক সরকার। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে সহসাই নির্বাচন না দেওয়ার কিছু ইঙ্গিত বিএনপির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি টেবিল টকের পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপও বাড়াতে চায়। তাতে জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও একটা পরিষ্কার বার্তা যাবে।

বিএনপি একটি সূত্র জানায়, নিজেদের পক্ষে জনমত জনমত আছে সেটি শতভাগ প্রমাণ করতে পেরেছে বিএনপি। এবারের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালির জনসমাগম দেখে দলের শীর্ষ নেতারাও বেশ আশাবাদী। সে আশাবাদকে ধরে রেখে দলটি আরো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসতে চায়। চলতি সপ্তাহের একটি স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক আগামী ডিসেম্বর মাসে একই রকম বিজয় র‌্যালি ও ১০ বিভাগে বড় জনসভার পরিকল্পনার নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাস ও ডিসেম্বরজুড়ে এই সমাবেশগুলোর আয়োজন করা হবে। দলটির নেতারা বলছেন, গত সরকারের শেষ দিকে সারা দেশে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে জন বিস্ফোরণ ঘটেছিল। গণপরিবহন বন্ধসহ সরকারের নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সভার জনসমাগম বেশ আলোচিত ছিল। কিন্তু এবারের অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে নতুন সমাবেশগুলোতে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ইতিহাস তৈরি করতে চায় বিএনপি। এ ধরনের সমাবেশগুলোর মাধ্যমে বিএনপি দেশে একমাত্র জনবান্ধব দল এটা যেমন প্রমাণ করবে, সেই সঙ্গে দ্রুত নির্বাচনের দাবিটি আরো জোরালো হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল, পরিবর্তিত সময়ে দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসাটা বেশ চ্যালেঞ্জের। এটা নিয়ে আমাদের দলের সবাই কাজ করছেন। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সামনের নির্বাচনে ভালোভাবেই অংশ নেবে, নির্বাচিত হলে বিএনপি কী করবে এ বিষয়গুলো দেশব্যাপী তুলে ধরতে আমরা আবার তৃণমূলে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে দলের সংশ্লিষ্ট নেতারা কাজ করছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাসেও নির্বাচনী রোডম্যাপের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। অন্যথায় আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি। গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া দুটিই সমান্তরালভাবে চলা উচিত। এজন্য সরকারকে অবিলম্বে একটি রোডম্যাপ দিয়ে সামনে এগোনো দরকার। যত দিন পর্যন্ত এই রোডম্যাপ দেওয়া না হবে, তত দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার যে শঙ্কা’ রয়েছে, সেটা কাটবে না।

নেতারা বলছেন, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারের সব কার্যক্রমের ফোকাস হওয়া উচিত নির্বাচন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই নির্বাচন নিয়ে জনমনে বিভিন্ন সময় যে শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা কাটাতে এই সরকারকে দ্রুত রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা দরকার।

বিএনপি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা- এই দুই ইস্যুতে মাঠের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। তাই আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আরেকটি বড় র‌্যালিও করবে দলটি।

বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি তিনজনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন যে, এদের মধ্যে দুজনকে নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তারা আন্দোলন করছে। এই নিয়োগ নিয়ে বিএনপিও বিস্মিত। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও চিন্তাভাবনা করে এদের নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া। বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা। এর আগে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে উপদেষ্টা করায় প্রশ্ন তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছিল বিএনপি।


আরও খবর



এবারও সরকারি স্কুলে ভর্তি আবেদন বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন চলছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে এ আবেদন করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সরকারি স্কুলে আবদেনের পরিমাণ বেশি।

এর মধ্যে প্রথম ৫ দিনে (১২-১৬ নভেম্বর) মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪১৯ জন শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৯টি স্কুলে ভর্তির জন্য পছন্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। সরকারি স্কুলের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি আসন। এর বিপরীতে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন করেছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা ২ লাখ ২৩৭টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিয়েছে। এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

প্রতি বছর ন্যায় এবারও সরকারি স্কুলে ভর্তিতে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা কম হলেও আবেদন পড়ে তুলনামূলক বেশি। এবার ৬৮০টি সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে মোট আসন ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি। এর বিপরীতে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী— একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিতে পারবে। তবে এ পর্যন্ত আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২টি চয়েজ ফরম পূরণ করেছে।

বেসরকারি আসন বেশি আবেদন কম

লটারির জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসনের চেয়েও কম আবেদন জমা পড়ে। এবারও সেই ধারা দেখা যাচ্ছে। প্রথম ৫ দিনে বেসরকারি স্কুলে মাত্র ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা ২ লাখ ২৩৭টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিয়েছে।

মাউশি সূত্র জানায়, এ বছর সারাদেশের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি স্কুলে মোট ভর্তিযোগ্য আসন ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি। সেই হিসেবে তুলনামূলক আবেদনের হার কম।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালক আজিজ উদ্দিন জানান, টেলিটক ভর্তি আবেদনের সংখ্যা আমাদের জানায়। তারা প্রতি দু-দিন পর পর তথ্য দেয়।

তিনি জানান, প্রথম দিনের আবেদনের সংখ্যা কম থাকে। শেষের দিকে এ আবেদনের সংখ্যা বাড়বে।

আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর একটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের বাছাই ও ভর্তি করা হবে। এ বছর ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। টেলিটক সিম ব্যবহার করে এই ফি পরিশোধ করতে হবে। ডিজিটাল লটারির পর আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া; চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রথম ধাপে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ২২-২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি চলবে এবং দ্বিতীয় ধাপের তালিকা থেকে ভর্তি চলবে ২৬-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

https://gsa.teletalk.com.bd/ এই লিঙ্কে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে পারবে।


আরও খবর



গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নারী-শিশুসহ আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত ১৪ মাসে গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ উপত্যকার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল দক্ষিণ গাজা উপত্যকার আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি অস্থায়ী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নারী, শিশুসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্য উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। হামলায় নারী ও শিশুরা ‘পুড়িয়ে মারা’ গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বসতিগুলোতে নজিরবিহীন হামলায় চালিয়ে অন্তত ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।

তারপর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৪ হাজার ৫৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। আর ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪