অসহযোগ আন্দোলনেই সরকারকে
সরানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকাতে অসহযোগ আন্দোলনে পক্ষে
লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির এ নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনদের বিদায়
না দেয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে বিএনপি।
এর আগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর)
দুপুরে অনলাইন ব্রিফিংয়ে আসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম
মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অপরদিকে একইদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ
সমাবেশে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় গণতন্ত্র মঞ্চ। বাধা দিয়ে গ্রেফতার করে আন্দোলন
থামানো যাবে না বলে হুঁশিয়ার করে; ভোট বর্জনের অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে সাধারণ
মানুষের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির শরিকরা।
আন্দোলনকারীদের ভাষায়
দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি
নেতাকর্মীদের মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও
সরকার পতনের দাবি। দীর্ঘদিন ধরেই সভা-সমাবেশ, হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন
করছে বিএনপি ও তার শরিকরা।
১১ দফায় অবরোধ আর ৪
দফায় ৫ দিন হরতালও পালন করেছে দলটি। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এবার অসহযোগ
আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও তার সমমনারা।
বিএনপির অসযোগ আন্দোলনে যা রয়েছে : রিজভী ব্রিফিংয়ে সাধারণ মানুষ এবং বিএনপি ও
সমমনা দলের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এতে বলা হয়- ১. ৭
জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন করুন। ‘নির্বাচনের
নামে’ বানর খেলার আসরে অংশ নেবেন না। আপনারা কেউ কেন্দ্রে যাবেন না। এটি
আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। ২. নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি কাকে এমপি ঘোষণা করবে, গণভবনে
সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। সুতারং ‘ডামি নির্বাচনে’
ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। ৩. বর্তমান অবৈধ
সরকারকে সব ধরনের ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্য বিল দেয়া থেকে স্থগিত রাখুন।
৪. ব্যাংকগুলো অবৈধ সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম। সুতরাং, ব্যাংকে টাকা জমা রাখা
নিরাপদ কি না ভাবুন। ৫. মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক
নেতাকর্মী আদালতে মামলায় হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের প্রতি সুবিচারে
আদালতের স্বাধীনতা ফ্যাসিবাদী সরকার কেড়ে নিয়েছে।