Logo
শিরোনাম

পেরুর বিপক্ষে ব্রাজিলের কষ্টসাধ্য জয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে এর আগে কখনোই পেরুর বিপক্ষে হারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ১৩ বারের দেখায় ব্রাজিল ৯টিতেই জিতেছিল, বাকি চার ম্যাচ ড্র হয়। আরও একটি ম্যাচ নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকেই আগাচ্ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে নেইমার জুনিয়রের দারুণ ক্রসে হেড দিয়ে বল জালে জড়ান ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস। একমাত্র গোলেই ব্রাজিল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

আজ (বুধবার) লিমার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পেরুর বিপক্ষে খেলতে নামে নেইমারের দল। ম্যাচের আগেই পেরুর ওঝারা জানিয়েছিলেন, ‌‘তুকতাক’ কৌশল অবলম্বন করে তারা নেইমারের পা বেঁধে ফেলেছে। যাতে ম্যাচে তিনি গোল না করতে পারেন। তবে মাঠে এই ব্রাজিল তারকাকে বেশ প্রাণবন্ত-ই দেখা গেছে। বেশ কিছু সুযোগ তৈরির পাশাপাশি প্রায় গোলের কাছাকাছিও গিয়েছিলেন নেইমার। তবে পেরু গোলরক্ষকের দারুণ প্রচেষ্টায় তাকে হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। গোলখরায় ভোগা রিচার্লিসন কয়েকজনের মাঝখানে ঢুকে হেড দিয়ে বল জালে জড়িয়েছিলেন। তবে সেটি ভিএআরের কল্যাণে বাতিল করে দেন রেফারি। ফলে ম্যাচের জয় নির্ধারক গোলের জন্য সেলেসাওদের ৯০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ নিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত রইল ব্রাজিল।

বল দখলে বেশ এগিয়ে থাকলেও ম্যাচজুড়ে গোল পেতে ভুগতে হয়েছে লাতিন জায়ান্টদের। তবে ভিএআরে বাতিল হওয়া গোলটিসহ মোট দুবার পেরুর জালে বল পাঠিয়েছিল ব্রাজিল। অফসাইডের বাধায় দুটি গোলই বাতিল হয়েছে। ফিরতি বল পাওয়ার পর ১৭ মিনিটে যেমন রাফিনিয়া বল জালে জড়ান। এরপর আগের ম্যাচেও দারুণ প্রভাব রাখা ব্রুনো গিমারেসের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রিচার্লিসন। সেই গোলটি ভিএআরের পাঁচ মিনিটের পরীক্ষার পর বাতিল হয়ে যায়, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে এরপরও ৪৪ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। সতীর্থদের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ার মাধ্যমে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি জোরালো শট নেন নেইমার। আগের ম্যাচেই তিনি ব্রাজিলের হয়ে কিংবদন্তি পেলেকে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যায় ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে তার শটটি পেরু গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালাসের দেয়ালে বাধা পেয়ে ফিরে যায়!

দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা না পাওয়ায় কোচ ফার্নান্দো দিনিজ রিচার্লিসনের জায়গায় গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে নামান। রাফিনিয়া ৭২ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে শট নিয়ে গোলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গ্যালাসে এ যাত্রায়ও হতাশ করেন ব্রাজিলকে। বিরতির পর ম্যাচের ৮৩ মিনিট পর্যন্তও পেরুর বক্সের ভেতর থেকে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে ব্রাজিল। মূলত পেরু কোচ হুয়ান রেইমোসো ম্যাচে নেইমার যাতে কম সুযোগ পায়, সেজন্য দারুণ কৌশল দেখিয়েছেন।
তবে ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে কর্নার পেয়ে যায় ব্রাজিল। সেখানে কর্নার থেকে ইনসুইংয়ে দারুণভাবে বল ভেতরে ক্রস করেন নেইমার। যাতে মাথা ছুঁয়ে দিয়ে মার্কিনিয়োস সফল লক্ষ্যভেদ করেন। ১-০ গোলেই ব্রাজিলের জয় নির্ধারণ হয়।

এর আগের ম্যাচে নেইমার ও রদ্রিগোর জোড়া গোলে সেলেসাওরা ৫-১ গোলের বড় জয় পেয়েছিল। আজকের জয়ে দিনিজের দল ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইয়ের টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল ব্রাজিল। সমান পয়েন্ট পেলেও আর্জেন্টিনার অবস্থান দুইয়ে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নেপালে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

চলতি বর্ষায় বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপালেও দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু। হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির প্রায় সব জেলাতেই মশাবাহিত এই রোগটি হানা দিয়েছে।

নেপালের মহামারি ও রোগ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কর্মকর্তা উত্তম কৈরালা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী চলতি বছর বর্ষায় নেপালের ৭৭টি জেলার ৭৫টিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ২শরও বেশি রোগী এবং মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৩ জনের।

তবে কৈরেলা আরও বলেছেন, আক্রান্ত-মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি বলে ধারণা করছেন তারা।

২০০৪ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় নেপালে। তারপর থেকে প্রতি বছরই বর্ষাকালে এ রোগে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই দেশটিতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল ২০২২ সালে। ওই বছর ৫৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন মশাবাহিত এই রোগটিতে এবং মারা গিয়েছিলেন ৮৮ জন।

তবে নেপালের জাতীয় স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা নেপাল হেলথ রিসার্চ কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা মেঘনাথ ধিমাল জানিয়েছেন, চলতি বর্ষায়ে যে হারে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে দেশটিতে তাতে গত বছরের রেকর্ড পেরিয়ে যেতে পারে দেশটি।

মেঘনাথ ধিমালের মতে, নেপালে ডেঙ্গুর বিস্তারের প্রধান কারণ আবহাওয়াগত পরিবর্তন। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের এই দেশটিতে সাধারণত শরৎকাল থেকেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে এবং শীত পড়া শুরু করে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ও বৃষ্টিবহুল শরৎ দেখছে নেপাল।

ফলে বর্ষা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডেঙ্গুর একমাত্র পরিবাহী এডিস মশার বংশবিস্তারের পরিবেশ বজায় থাকছে; আর এই ব্যাপারটিকেই নেপালে ডেঙ্গুর বিস্তারের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেছেন মেঘনাথ।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




মহান সাধক সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী (রহ.)

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

অধ্যাপক ড. এস. এম. রফিকুল আলম : আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে খলিফা হিসাবেই প্রেরণ করেছেন। মানুষের প্রতি আল্লাহর খলিফা বিশেষণের মাহাত্ম্য যথাযথ অনুধাবন না করার কারণে আল্লাহর গুণ ও মানুষের যোগ্যতার মধ্যকার ব্যবধান একাকার করে গোলিয়ে ফেলি এবং কথায় কথায় শিরক-বিদআতের ফতোয়া দিই। আল্লাহর নিরানব্বই বা ততোধিক গুণবাচক নাম যেমন, সত্য ও বাস্তব; সে গুণবাচক নামের প্রতি আমাদের ঈমান যেমন যথাযথ থাকা আবশ্যক তেমনি মানুষ নামক সৃষ্ট জীব দুনিয়াতে আল্লাহর খলিফা (প্রতিনিধি) সেটাও সত্য। খলিফা হিসাবে দুনিয়াতে মানুষকে মেনে নেয়াও ঈমানের অংশ।

ইবলিশ মানুষকে দুনিয়াতে খলিফা হিসাবে মেনে সিজদা না করাতে অভিশপ্ত হয়েছে।
আল্লাহ কে? আল্লাহপাক হচ্ছেন তাঁর নিরানব্বই বা ততোধিক গুণে অসীম শক্তির অধিকারী। আল্লাহর পবিত্র জাত ও গুণের অস্তিত্বকে অকপটে সন্দেহাতীতভাবে স্বীকার করা একজন মুমিনের জন্য ঈমানের প্রধান শর্ত। কোন মানুষ আল্লাহর পবিত্র জাত কিংবা গুণের কোন একটিকে অস্বীকার বা সন্দেহ করলে তাকে ঈমানদার বা বিশ্বাসী বলা যাবেনা। মানুষ সৃষ্টি করা না হলে কিন্তু এ বিশ্বাসের প্রতিফলন সম্ভব ছিলনা। কেননা আল্লাহ নিরাকার, আল্লাহকে দেখা, কল্পনায় চিত্রায়িত করা, তাঁর গুণের বাস্তব চিত্রায়ণ মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। নিরাকার আল্লাহর অস্তিত্ব বা গুণ কোনটাই মানুষের পক্ষে বাস্তবে বিশ্বাস করাও সম্ভব ছিলনা; যদিনা সে গুণ খলিফা তথা
মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি। খলিফা বা প্রতিনিধির কাজ কি? পৃথিবীতে আল্লাহর কাজের আন্জাম দেয়াই প্রতিনিধির কাজ।

পৃথিবীতে আল্লাহর কাজ কি? আল্লাহর নিরানব্বইটি গুণই আল্লাহর কাজ। আল্লাহর খলিফাগণ পৃথিবীতে তাঁর নিরানব্বই গুণের প্রতিফলন ঘটাবে।

তাহলে কি তারা আল্লাহ হয়ে গেল ? নাউযু বিল্লাহ। খলিফা আল্লাহ হতে যাবেন কেন? খলিফা তো সৃষ্ট আলাদা সত্তা। খলিফার মধ্যে আল্লাহর গুণের প্রতিফলন তো আল্লাহ প্রদত্ত যোগ্যতা। যিনি যোগ্যতা দান করেছেন কৃতিত্বতো তাঁরই। খলিফার মধ্যে আল্লাহ গুণের প্রতিফলন তো কৃত্রিমভাবে। গুণের মৌলিকত্বতো আল্লাহর সাথে। সুতরাং বান্দার মধ্যে আল্লাহর গুণের বা আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিফলন মানলে বা বিশ্বাস করলে আল্লাহর সাথে বান্দাকে শরিক করা হবেনা বরং বান্দাকে আল্লাহর প্রকৃত খলিফা হিসাবে স্বীকার করা হবে।


খলিফার অর্থ বা সংজ্ঞার ব্যপারে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে খলিফা ও আল্লাহর মধ্যকার পার্থক্য নির্ণয় করার যোগ্যতা অর্জিত হয়না। যার ফলে বান্দা কখন শিরক করে আবার কখন ইবাদত করে তা আমাদের বোধগম্য হয় না। তাই আমরা যখন তখন, যাকে তাকে, যেখানে সেখানে, শিরকের ফতোয়া দিয়ে ফেলি। সুতরাং যে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকবে না সে বিষয়ে সাবধানে কথা বলা উচিত। আল্লাহর গুণের প্রতিফলন মানুষের মধ্যে অস্বিক্বার করলে দুনিয়া অর্থহীন হয়ে যাবে। মানুষ সৃষ্টির আসল রহস্যই অস্পষ্ট থেকে যাবে। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে আল্লাহর গুণের প্রতিফলনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। তাই কোন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কোন গুণের প্রতিফলন দেখার বর্ণনা দিলেই তিনি শিরক করেছেন বলে ফতোয়া দেয়া জগন্য অন্যায়। বরং দেখা উচিৎ তিনি কি ঐ মানুষকে আল্লাহর আসনে সমাসিন করছেন নাকি তাকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে স্বীকার করেই তাঁর গুণের বর্ণনা দিচ্ছেন। তাই যদি হয়, তাহলে তিনি তো আল্লাহর প্রিয় বান্দার খিলাফতকে স্বীকার করেছেন মাত্র। এতে তো তার ঐ বান্দার দোষের কিছু নেই। বরং তা আল্লাহ ও আল্লাহর বান্দার যোগ্যতা ও উদ্দেশ্যকে তুলে ধরেছেন।


এ তো গেলো আল্লাহর খিলাফত। এ খিলাফতের আহাল দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষ।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, “আল্লাহর খিলাফতও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফত কি এক? নাকি ভিন্ন ভিন্ন? এর উত্তর হচ্ছে, ভিন্ন ভিন্ন। কেন না, আল্লাহর খলিফা পৃথিবীর সব মানুষ- যাদের মধ্যে আল্লাহর নিরানব্বই গুণের প্রতিফলন আছে। এরা সবাই কিন্তু, আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের অনুসারী বা ওয়ারিশ নন। শুধুমাত্র তারাই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খলিফা (প্রতিনিধি, উত্তরাধিকার-ওয়ারিশ) হবেন। যিনি আল্লাহকে ইলাহমেনে আনুগত্য স্বীকার করে, নিজের স্বাধীন সত্তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার আনিত দ্বীনের প্রতি সোপর্দ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাঁর মধ্যকার আল্লাহ প্রদত্ত খিলাফতকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের প্রতি সোপর্দ করেছেন, কেবল মাত্র তার খিলাফতই আল্লাহর নিকট গৃহিত হবে, অন্যথায় হবে না। আমাদের সমাজের ওলামায়ে কিরামগণ যে কোন কারণে হউক না কেন আল্লাহর খিলাফত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফত কে একাকার করে ফেলার কারণে, কথায় কথায় শিরকের ফতোয়া দিয়ে থাকেন। এটা এক ধরনের অজ্ঞতা বৈ কিছু নয়।


আল্লাহর খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবার উপায় কি? সব মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা হলেও সবার খিলাফত কি আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, না? সবার খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। তা হলে কোন্ খিলাফত আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য, আর কোন্ খিলাফত নয়? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, আল্লাহর খিলাফত যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার খিলাফতের আলোকে হবে, তখন তাঁর খিলাফত (প্রতিনিধিত্ব) আল্লাহর নিকট গৃহিত হবে, অন্যথায় হবেনা। যাঁরা আল্লাহর খলিফা হয়ে আল্লাহর রাসূলের খিলাফতের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন আমার আজকের আলোচ্য ব্যক্তি হচ্ছেন তাদের অন্যতম।


নিম্নে হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের উপর কিঞ্চিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হলো। আমাদের হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার সাধারণ কোন খলিফা নন। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার উত্তরাধিকারও বটে। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার বংশধরদেরও একজন। তিনি সাধারণ অর্থে আল্লাহর রাসূলের খলিফা ছিলেন না; তিনি তাঁর যুগে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার আশেক ও জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিমলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের একনিষ্ঠ খাদেম হিসাবে বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি আল্লাহর রাসূলের ক্বদম ব-কদম অনুসারী ছিলেন। তিনি একমাত্র ওলি যিনি জাতিসংঘ নামক বিশ্ব দরবারে প্রিয়নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার শানকে সম্মানের সাথে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশে মিলাদুন্নবী উদযাপনের মত সাহসী কর্মসূচি বা বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি বিশ্বব্যাপী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা-বিশ্বাসকে বিশ্ব মুসলিম জনতার মধ্যে প্রতিস্থাপন করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি তাঁর যুগে মুজাদ্দিদের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।


তিনি আচরণের দিক থেকে অসম্ভব বিনয়ী, ভদ্র ও নম্র ছিলেন। তিনি হুবহু রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামার পদাংক অনুসরন করতেন। তিনি মেহমানদারীতেও আল্লাহর রাসূলের সুন্নাতের অবিকল আদর্শ ছিলেন। তিনি নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিতেন। তাঁর চেহারা মোবারক ও আচরণ দেখলে আল্লাহর রাসূল ও তাঁর সাহাবীগনের কথা স্মরণ হয়ে যেত। তাঁর সুঠাম উজ্জ্বল দেহ, নূরানী চেহারা, পরনে ধবধবে সাদা লুঙ্গী বা পাজামা, গায়ে সাদা পাঞ্জাবী, মাথায় টুপী, ইত্যাদি মিলিয়ে যেই ব্যক্তিত্তের প্রকাশ ঘটত, তা সত্যিই অভাবনীয়। তাঁর পৌরুষ দীপ্ত ও বীরোচিত আচরণ যে কোনো ধর্মের কিংবা দলের- মতের লোককে কাবু করে ফেলত। তাঁকে দেখা মাত্র মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সবাই মাথা নত করে ফেলত। ভক্তবৃন্দ সুবোধ বালকের মত শান্তশিষ্ট নিবেদিত প্রাণ হয়ে যে কোনো হুকুম কালবিলম্ব না করে তামিল করতে কোনো রকম কুণ্ঠাবোধ করতো না। হুজুরের যে কোনো নির্দেশ তামিল করাকে নিজের জন্য সৌভাগ্য মনে করত।


তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত অকর্ষণ ক্ষমতা, উষ্ণ হে প্রবণতা, দায়িত্ববোধ, উন্নত জীবনাদর্শ, সেবামূলক মনোভাব, জ্ঞানপিপাসু মন, ভক্ত ও শাগরিদদের প্রতি মমত্ত, নৈতিক আদর্শ, মানষিক সুস্থতা, ধৈর্য, দৃঢ়চেতা মনোভাব, সমাজ সচেতনতা, ব্যক্তিগত অধিকার ও মর্যাদায় বিশ্বাস, নির্ভীকতা, দল মত জাতি নির্বিশেষে সবার প্রতি স¤প্রীতি ও সদ্ভাব সারা জীবন অক্ষুণœ ছিলো। তাঁর খোদাভীরুতা, রসুল-প্রেম, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন বলয়ে নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক সফলতা দেশ, জাতি ও আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির দিশা হিসাবে ভূমিকা পালন করত। তাঁর উপস্থিতি যে কোনো মজলিশ বা অনুষ্ঠানকে নক্ষত্রের মত উদ্ভাসিত ও আলোকিত করত।


অনেক সময় আল্লাহ তাআলা তাঁর বিশেষ বান্দাকে দিয়ে বিশেষ কোন গুণের বিশেষ প্রতিফলন ঘটিয়ে ঐ বান্দার মর্যাদাকে বাড়িয়ে দেন। উদ্দেশ্য ঐ বান্দার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা। যখন কোন মকবুল বান্দার মধ্যে এ ধরনের কোন গুণের অস্বাভাবিক প্রতিফলন ঘটে তখন সাধারণ বান্দার কাজ হচ্ছে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তাকে অনুসরণ করা। তাঁকে অবহেলা বা তাঁর সমালোচনা করা নয়। এতে আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন। কারণ কোন বান্দার অস্বাভাবিক ঘটনা; কারামাত, অলৌকিক ঘটনা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছাতে ঘটে। এর দ্বারা হিদায়ত উদ্দেশ্য। গোমরাহী নয়। আমরা হেদায়তের পথেই থাকি। গোমরাহীর পথে নয়। ঈসা আলাইহিস সালামের অনুসারীরা গোমরাহীর পথকে বেছে নিয়েছে। আমরা যেন তা না হই।


বান্দা যখন তাঁর দাসত্ব দ্বারা আল্লাহর অধিক নিকটে হয়ে যান তখন তাঁকে স্বাভাবিকতার ঊর্ধ্বে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দুনিয়বাসীর জন্য মডেল (আদর্শ) হিসাবে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে তাঁকে দিয়ে তাঁর (আল্লাহর) শক্তির বিশেষ প্রদর্শন ঘটান। উদ্দেশ্য তাঁকে দুনিয়াবাসীর নিকট বিশেষ মর্যাদার আসনে আসীন করানো এবং অন্য বান্দাগণকে আল্লাহর দাসত্বে তাঁর অনুগত ও অনুসারী বানানো। অদূরদর্শিরা এটা গ্রহণে ব্যর্থ হয়। ফলে তারা তাঁর অনুগত হতেও বঞ্চিত হয়। অবশ্য কিছু সুবিধাবাদী এর জন্য দায়ী। যারা নিজেদের দুনিয়াবী সুবিধার জন্য আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের এ ধরণের অলৌকিক ঘটনাকে ব্যবহার করে নিজেদের দুনিয়াবী সুবিধা আদায় করে নেয়। তাঁদের ব্যাপারে সাবধান হওয়া প্রয়োজন আছে।
হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ অন্তরদৃষ্টির অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন মানুষকে দেখে তাঁর অন্তরের অবস্থা বুঝে নিতেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করতেন। অলি-আল্লাহগণের অন্তরদৃষ্টি সম্পর্কে আল্লাহর রাসূলের একটি পবিত্র হাদীস নিরূপ: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা তাঁর পবিত্র যবানীতে বলেন, উচ্চারণ: ইত্তাকু ফিরাসাতিল মুমিনি ফায়িন্নাহু ইয়ানজুরু বিনুরিল্লাহি

 

(অর্থাৎ, তোমরা মুমিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দৃষ্টিপাত করেন।) পুরা হাদিছটি নিম্নরূপ:


উচ্চারণ: আন আবি সাঈদিল খুদরী ক্বালা ক্বলা রাসূলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামা ইত্তাকু ফিরাসাতিল মুমিনি, ফায়িন্নাহু ইয়ানজুরু বিনূরিল্লাহি ছুম্মা ক্বারা আ- ইন্না ফী জালিকা লাআইয়াতিল লিল মুতা ওয়াস সিমিন। অর্থাৎ, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা ইরশাদ করেছেন, তোমরা মুমিনগণের অন্তরদৃষ্টিকে ভয় কর, কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা দৃষ্টিপাত করেন। ইমাম তিরমিযী রহমাতুল্লাহি তায়ালা আলাইহি তাঁর সহীহ গ্রন্থের ৩১২৭ নম্বরে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।


আমার আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট ছোট্ট একটি ঘটনার বিবরন দিয়ে আমার লেখার ইতি টানবো। চট্টগ্রামস্থ আল্লামা রুমী সোসাইটির একটি তাসাউফের প্রোগ্রামে হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন। সময়টি ছিল রমজান মাস। উক্ত তাসাউফের প্রোগ্রামে অন্যান্য সদস্যদের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড.গিয়াসুদ্দীন তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজকে কৌতুহলের বসে ভালোভাবে অনুধাবন করছিলেন।

 

 হুজুর কেবলা সাধারণ ইফতারী গ্রহণে মাজুর ছিলেন বিধায় তিনি নিজ বাসা থেকে নিজের ইফতারী নিয়ে এসেছিলেন। তাও আবার অসাধারণ কিছু নয়; দুধ-ছিড়া-কলা মাত্র। উক্ত ধরনের খাবার বর্ণিত প্রফেসর সাহেবেরও প্রিয় ছিল। তিনি খাবারের লোভে নয়; বরং কৌতুহলী হয়েই হুজুর কেবলার দিকে একটু দৃষ্টি দিয়েছিলেন। কিন্তু এতেও হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের দৃষ্টি এড়ায়নি। তিনি তাঁর অন্তরদৃষ্টি দিয়ে উল্লেখিত প্রফেসর সাহেবের মনের অবস্থা দেখে ফেলেন, তাই তিনি তাঁর বাসা থেকে আনিত ইফতারি অল্পকিছু খেয়ে বাকী সবটুকু প্রফেসর সাহেবকে দিয়ে খাবার অনুরোধ করেন। প্রফেসর সাহেব হুজুর কেবলার এহেন উদার আচরণ দেখে কিছুটা অবাক হন। অন্যরা তাঁকে বাহবা দিয়ে বলেন, আপনার জীবন ধন্য। আমরা যা পাওয়ার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষায় থাকি, আপনি তা সৌভাগ্য বসত: পেয়ে গেলেন। এ ছোট্ট ঘটনাতে হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজের উদারতা, ইছার ও অন্তরদৃষ্টিসম্পন্ন হবার প্রমাণ পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাঁর অলিগণের ব্যাপারে সতর্ক হবার তৌফিক দান করুন।

 

লেখক : আরবী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


আরও খবর



নওগাঁয় নদীর পানিতে পড়ে ৩ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নওগাঁয় নদীর পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর ৩ বছর বয়সি রামিশা আক্তার নামে এক শিশুর মৃতদেহ বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার করেছে সার্ভিসের ''ডুবুরি দল''

উল্লেখ্য- গত বুধবার বিকেল পনে ৩ টারদিকে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বালুভরা (পালশা) গ্রাম এলাকায় নদীর পানিতে পড়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। 

সত্যতা নিশ্চিত করে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান নিহত শিশুর স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন,

বুধবার দুপুরের দিকে নদীর পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া ৩ বছর বয়সী শিশু রামিশা'র মৃতদেহ বৃহস্পতিবার বিকেলে ডুবরি দলের চেষ্টায় কটকবাড়ী চন্তরামপুর ব্রীজের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত শিশু রামিশা আক্তার বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউপির পলশা গ্রামের আব্দুল রউফ মন্ডল এর মেয়ে।

স্থানিয়রা ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, ঘটনার দিন ও সময় শিশুটি তাদের বাড়ীর পাশে নদীর ধারে খেলা করতে গিয়ে অ-সাবধানতা বশত নদীর পানিতে পড়েন। পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে নদীতে নেমে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে এক পর্যায়ে বদলগাছী থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। বুধবার রাত পর্যন্ত নদীতে ডুবে যাওয়া শিশুর সন্ধান না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ''ডুবুরির একটি দল'' ঘটনাস্থলে পৌছে দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে বিকেলে (পড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল থেকে দূরে) কটকবাড়ী চন্তরামপুর ব্রীজের নিকট থেকে শিশু রামিশা আক্তার এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার, স্বজন সহ এলাকাবাসীর মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া।


আরও খবর



নওগাঁয় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় চালক ও আরোহী ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনা। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২ জনই নিহত হয়েছেন। 

নিহত দু' জন হলেন, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার হাজিরহাট (ভবানীপুর) এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার আরিয়ান খান ওরফে রকি (২৪) ও বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমহনী এলাকার আবু মুসার ছেলে শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম (১৯)।

নিহত রবিউল দুপচাঁচিয়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে এসএসসি পাশ করেছে এবং নিহত আরিয়ান খান ওরফে রকি একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দু' জনের মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল ১০ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিজয়পুর মোড় নামক স্থানে।

নিহত রবিউল এর স্বজনরা জানান, আরিয়ান আমাদের প্রতিবেশী মেয়ে জামাই। তারা দু' জন রাজশাহীতে ব্যাক্তিগত কাজ শেষে একই মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি চার্জার ব্যাটারী চালিত ভ্যানের সাথে ধাক্কা লেগে সড়কের উপর সিটকে পড়ে গুরুতর জখম হোন। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এর টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে, হাসপাতালে নেওয়ার পথে 

আরিয়ান খান ওরফে রকি ও হাসপাতালে নেওয়ার পরই রবিউল ইসলাম দু' জনের মৃত্যু হয়। 

মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দু' জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার পক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও পুষ্টির স্তর উন্নয়ন প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ২০২৩ সালের সিকিউরিটি মনিটরিং অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দারিদ্র্য অপুষ্টি এখনও হাত ধরাধরি করে চলছে নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজার অঞ্চলে অপুষ্টির হার অত্যন্ত বেশি, যেখানে ২৯% শিশু কম ওজনসম্পন্ন এবং ৩৫ শতাংশ শিশুই খর্বাকৃতিতে ভুগে থাকে এই প্রেক্ষাপটে অপুষ্টি দূর করে জনসাধারণকে সচেতন করবার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে

কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তারা উল্লিখিত মত তুলে ধরেন। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি (বিএইচপি)- অ্যাডোপ্টিং মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ ফর নিউট্রিশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। পুষ্টি উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাল্টিসেক্টরাল মিনিমাম নিউট্রিশন প্যাকেজবাস্তবায়নে করণীয় ঠিক করতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাব উদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অসীম বরন সেন, সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতিকুর রহমান মিঞা, বিএইচপি- পল্লী কর্মসূচির অপারেশন প্রধান ডা. মনোয়ারুল আজিজ প্রমুখ। প্রশিক্ষক ছিলেন নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প কর্মকর্তা অমিত কুমার মালাকার। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএইচপি- এরিয়া ইনচার্জ মেহনাজ বিনতে আলম

ডা. মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টির মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি বার্তাসমূহ সকলের নিকট পৌছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সকল মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের আরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে

ডা. মনোয়ারুল আজিজ বলেন, পুষ্টি উন্নয়ন খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় দরিদ্র পরিবারের জন্য পুষ্টিকর খাবার অপরিহার্য। সেজন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের পাশাপাশি পুষ্টিগুনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রচারণা বাড়াতে হবে। তিনি অপুষ্টি দূরীকরণ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ বেসরকারি সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান


আরও খবর