Logo
শিরোনাম

পেরুর বিপক্ষে ব্রাজিলের কষ্টসাধ্য জয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে এর আগে কখনোই পেরুর বিপক্ষে হারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ১৩ বারের দেখায় ব্রাজিল ৯টিতেই জিতেছিল, বাকি চার ম্যাচ ড্র হয়। আরও একটি ম্যাচ নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকেই আগাচ্ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে নেইমার জুনিয়রের দারুণ ক্রসে হেড দিয়ে বল জালে জড়ান ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস। একমাত্র গোলেই ব্রাজিল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

আজ (বুধবার) লিমার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পেরুর বিপক্ষে খেলতে নামে নেইমারের দল। ম্যাচের আগেই পেরুর ওঝারা জানিয়েছিলেন, ‌‘তুকতাক’ কৌশল অবলম্বন করে তারা নেইমারের পা বেঁধে ফেলেছে। যাতে ম্যাচে তিনি গোল না করতে পারেন। তবে মাঠে এই ব্রাজিল তারকাকে বেশ প্রাণবন্ত-ই দেখা গেছে। বেশ কিছু সুযোগ তৈরির পাশাপাশি প্রায় গোলের কাছাকাছিও গিয়েছিলেন নেইমার। তবে পেরু গোলরক্ষকের দারুণ প্রচেষ্টায় তাকে হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। গোলখরায় ভোগা রিচার্লিসন কয়েকজনের মাঝখানে ঢুকে হেড দিয়ে বল জালে জড়িয়েছিলেন। তবে সেটি ভিএআরের কল্যাণে বাতিল করে দেন রেফারি। ফলে ম্যাচের জয় নির্ধারক গোলের জন্য সেলেসাওদের ৯০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ নিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত রইল ব্রাজিল।

বল দখলে বেশ এগিয়ে থাকলেও ম্যাচজুড়ে গোল পেতে ভুগতে হয়েছে লাতিন জায়ান্টদের। তবে ভিএআরে বাতিল হওয়া গোলটিসহ মোট দুবার পেরুর জালে বল পাঠিয়েছিল ব্রাজিল। অফসাইডের বাধায় দুটি গোলই বাতিল হয়েছে। ফিরতি বল পাওয়ার পর ১৭ মিনিটে যেমন রাফিনিয়া বল জালে জড়ান। এরপর আগের ম্যাচেও দারুণ প্রভাব রাখা ব্রুনো গিমারেসের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রিচার্লিসন। সেই গোলটি ভিএআরের পাঁচ মিনিটের পরীক্ষার পর বাতিল হয়ে যায়, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে এরপরও ৪৪ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। সতীর্থদের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ার মাধ্যমে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি জোরালো শট নেন নেইমার। আগের ম্যাচেই তিনি ব্রাজিলের হয়ে কিংবদন্তি পেলেকে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যায় ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে তার শটটি পেরু গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালাসের দেয়ালে বাধা পেয়ে ফিরে যায়!

দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা না পাওয়ায় কোচ ফার্নান্দো দিনিজ রিচার্লিসনের জায়গায় গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে নামান। রাফিনিয়া ৭২ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে শট নিয়ে গোলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গ্যালাসে এ যাত্রায়ও হতাশ করেন ব্রাজিলকে। বিরতির পর ম্যাচের ৮৩ মিনিট পর্যন্তও পেরুর বক্সের ভেতর থেকে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে ব্রাজিল। মূলত পেরু কোচ হুয়ান রেইমোসো ম্যাচে নেইমার যাতে কম সুযোগ পায়, সেজন্য দারুণ কৌশল দেখিয়েছেন।
তবে ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে কর্নার পেয়ে যায় ব্রাজিল। সেখানে কর্নার থেকে ইনসুইংয়ে দারুণভাবে বল ভেতরে ক্রস করেন নেইমার। যাতে মাথা ছুঁয়ে দিয়ে মার্কিনিয়োস সফল লক্ষ্যভেদ করেন। ১-০ গোলেই ব্রাজিলের জয় নির্ধারণ হয়।

এর আগের ম্যাচে নেইমার ও রদ্রিগোর জোড়া গোলে সেলেসাওরা ৫-১ গোলের বড় জয় পেয়েছিল। আজকের জয়ে দিনিজের দল ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইয়ের টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল ব্রাজিল। সমান পয়েন্ট পেলেও আর্জেন্টিনার অবস্থান দুইয়ে।


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




আ’লীগ আমলে বছরে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির খসড়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। তবে প্রতিবেদনের বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২৮ আগস্ট দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক চিত্র জানতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় এই কমিটিকে।

ইতোমধ্যে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামী রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন দেবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। আগামী সোমবার প্রতিবেদনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে কমিটি। অর্থনৈতিক খবরের সাবস্ক্রিপশন

জানা যায়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, সরকারি নথি ও বৈশ্বিক প্রতিবেদন ব্যবহার করে অর্থ পাচারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে শ্বেতপত্রে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে অর্থ পাচারের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেনি কমিটি। কীভাবে অর্থ পাচার হয় এবং কীভাবে তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায় না। তবে গবেষণা ও ধারণাভিত্তিক কিছু তথ্য দিয়ে আসছে বিভিন্ন সংস্থা। সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির তথ্য অনুযায়ী, কর ফাঁকি দিতে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ভুল চালানের কারণে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রায় ৮ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে বাংলাদেশ।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শ্বেতপত্রে দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্রটিই তুলে ধরা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র’ শীর্ষক ২৫০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে থাকছে অর্থনীতির নানা দিক নিয়ে ২২টি অধ্যায়।

এতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক খাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পরিস্থিতি, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, সরকারের ঋণ, পরিসংখ্যানের মান, বাণিজ্য, রাজস্ব আয়, ব্যবসার পরিবেশ, দারিদ্র্য ও বৈষম্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলোর ওপরও থাকছে বিশ্লেষণধর্মী পর্যবেক্ষণ।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরো ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৩ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা জুড়ে কমপক্ষে আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ভূখণ্ডটির দক্ষিণে আল-মাওয়াসি এলাকায় একটি ক্যাফেতে বসে থাকা অবস্থায় লোকদের ওপর ড্রোন হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

এতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এর আগে এই এলাকাকে “নিরাপদ অঞ্চল” হিসাবে ঘোষণা করেছিল।

গাজায় আল জাজিরার সংবাদদাতা বলছেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই ছিটমহলের দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের পশ্চিমে অবস্থিত ছোট তাঁবুর ওই ক্যাফেতে ইসরায়েলি ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সোমবার গভীর রাতে কমপক্ষে ১০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

আল জাজিরার হানি মাহমুদ মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে বলেছেন, এই হামলা এটিই প্রমাণ করছে যে, ‘নিরাপদ এলাকা’ সম্পর্কে ইসরায়েলি দাবিগুলো কেবলই মিথ্যা বর্ণনা ছাড়া আর কিছুই নয়। লোকেরা ইন্টারনেট এবং বাইরের বিশ্বের সাথে যুক্ত হতে বা বড় পর্দায় ফুটবল খেলা দেখতে এই কফি শপে যায়। গভীর রাতে ড্রোন থেকে ওই ক্যাফেতে অন্তত দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় যখন লোকেরা সেটির ভেতরে ছিল। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, সেসময় এই ক্যাফটি মানুষে পূর্ণ ছিল।

হামলায় আহত সাতজনের অস্ত্রোপচার চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা ভুক্তভোগীরা সম্পূর্ণরূপে বিকৃত হয়ে গেছে।

এর আগে মধ্য গাজায় অবস্থিত নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, সোমবার ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো পশ্চিম দিক থেকে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের দিকে অগ্রসর হওয়া এবং বাসিন্দাদের ওপর গোলাবর্ষণসহ একাধিক বিমান ও স্থল হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শরণার্থী শিবিরে ট্যাংক হামলায় বাসিন্দারা অবাক হয়ে গেছে। জাইক মোহাম্মদ নামে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেছেন, কিছু লোক বের হতে পারেনি এবং তারা তাদের বাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

সর্বশেষ এই হামলার ফলে গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৬০৩ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরের জনপদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পৌষ মাস শুরুর আগেই জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে উত্তরের জনপদ। পর্যায়ক্রমে যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তরের জনপদের পাশাপাশি শীত নেমেছে রাজধানীতেও। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।

শীতের কারণে উত্তরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে গ্রামগ্রঞ্জে বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের অবস্থা কাহিল। ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা আরও করুণ। সবচেয়ে বিপদে আছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় অবশ্য বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা। আর বর্ধিত ৫ দিনেও একই অবস্থা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ঘনকুয়াশায় ঢাকা ঠাকুরগাঁও : তীব্র শীতে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় প্রতিবছর এই জেলায় শীতের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে। এবছর অক্টোবর মাসে শীতের আমেজ শুরু হলেও নভেম্বরের দিকে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতো। তবে ডিসেম্বরের শুরুতে হালকা কুয়াশা ও হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকলেও হঠাৎ করে ৯ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ঘনকুয়াশার দাপট অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক থেকে শুরু করে পথচারী ও জনসাধারণ পড়েন চরম বিপাকে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় উত্তরের এই জেলা। কুয়াশার এতোই ঘনত্ব যে যানবাহনের হেডলাইটও হার মেনেছে। লাইটের আলো ১০-১৫ গজ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারছে না। সড়কে গাড়ি চালানো প্রায় অনোপুযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে চালকদের।

গাড়ি চালক স্বপন সরকার বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।

এর আগে কখনো এতো ঘন কুয়াশা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ দেখেনি। আগামী দিনগুলোতে আরও কুয়াশা ও শীত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষগুলো। রাস্তার ধারেই যে যা পারছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতার জন্য আগুন পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে ঠান্ডার প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডার কারণে নবজাতক ও কমবয়সী শিশুরা বেশি ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতিনিয়ত প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনের ওপর রোগী ভর্তি থাকেন। সচরাচর শীতের সময় রোগীর বেশি চাপ থাকে। তবে এবার আগের মতোই রোগীর চাপ থাকলেও বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালটিতে ৪০ শয্যার শিশু ওয়ার্ড হলেও সোমবার রাত ১১ টার দিকে ১৩০ জনেরও বেশি রোগী ভর্তি ছিলেন। যা ধারণ শয্যার থেকে তিন গুণ বেশি বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশু ওয়ার্ডে ভতিকৃত বেশিরভাগ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান রোগীর অভিভাবক ও স্বজনরা।

শীতকালে নবজাতক শিশুদের ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ পানসহ অন্যান্য বয়সী শিশুদের পুষ্টিকর তাজা খাবার খাওয়ানোর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে দেরি না তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু মো. রাজিব-উল-দোজা (তূর্য)’র।

তিনি বলেন, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি। এটা আমাদের পেশা ও দায়িত্ব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তার তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এমন আবহাওয়ায় কৃষিক্ষেত্রেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের শীত সহনশীল পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের পরামর্শসহ কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকরা শীত সহনশীল পদ্ধতি অবলম্বন করলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার তেমন সুযোগ নেই।

ইতোমধ্যে চাহিদা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠকুরগাঁও জেলার জন্য ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দফতরের পাঠানো হয়েছে। সেগুলো পেলে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা।

তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন : উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলছে শীতের দাপট। হিমালয়ের হিম বাতাসে এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে। মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে রয়েছে পুরো জেলা। তীব্র শীত অনুভূত না হলেও ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। সে কারণেই এই অঞ্চলে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়ায় ১১ ডিগ্রির নিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আহসান হাবীব নামে একজন জানান, রাতে তীব্র ঠান্ডা লাগছে। আজও ভোরে কুয়াশা ছিল, তবে গতকালের মতো না। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসার মতো অবস্থা। রাতে এখন ডাবল কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পৌষ মাসের ঠান্ডা শুরু হয়েছে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে,সুইয়ের ফোঁড়ে স্বাবলম্বী নারী রাজিয়া সুলতানা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী :

জীবন জীবিকার তাগিদে নিজের ইচ্ছে শক্তি আর সুঁই-সুতার বুননের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এখন স্বাবলম্বী নারী মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হস্ত শিল্পের উপর হাতেখড়ি নিয়ে নিজে স্বাবলম্বীর পাশাপাশি তার হস্ত শিল্প পণ্য এখন এলাকার গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সারা দেশে।


এই এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক নারী বর্ধন মুলক এ কাজ করে সংসারে এনেছেন ‌স্বচ্ছলতা রাজিয়া সুলতানা এখন উপজেলার প্রথম সারির নারী উদ্যোক্তা। যিনি নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজ এলাকা সহ-দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিচিত লাভ করেছেন।


কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের অজপাড়া গাঁয়ে সরে জমিনে গিয়ে জানাযায়,২০২৩ সালে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হস্ত শিল্পের উপর এক মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতে ব্লক বাটি, হ্যান্ড পেইন্টিং,ও সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন রাজিয়া সুলতানা। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পেয়ে যান সাফল্য তার নিজের সফলতার পর এলাকার বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে ৫০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন।


রাজিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুঁচের ফোঁড়ে ফোঁড়ে নকশিকাঁথার উপর ফুটিয়ে তুলছেন নানা রংয়ের ফুল,পাখি, লতাপাতা সহ-বিভিন্ন কারুকাজ,আবার কেউ কেউ করছে রংয়ের কাজ এতে যা মজুরি পাচ্ছে তা দিয়ে তাদের সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। দোকান থেকে কাপড়, রং ও মেডিসিন ক্রয় করে তারা তৈরি করছেন থ্রিপিচ,চাদর, বেডশিট, পাঞ্জাবি ,শাড়িসহ অনেক কিছু। তৈরিকৃত প্রতিটি থ্রিপিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পাঞ্জাবি ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে।


রাজিয়া সুলতানার কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া নারী সাথী আক্তার,লুনা,শাহনাজ পারভীন,হ্যাপি বেগম বলেন,আমাদের মতো সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের আইডল হলো রাজিয়া আপা।ওনার অনুপ্রেরণায় আমরা কাজ শুরু করেছি তাতে আমাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছি।এবং আমাদের মতো অনেকেই আপাকে দেখে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে।


রাজিয়া সুলতানার স্বামী মোঃ রাজীব মিয়া বলেন দৃঢ় মনোবল এবং আত্নবিশ্বাস থাকলে যথোপযুক্ত কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে সংসার করার পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হত্তয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন আশাকরি আত্ম তৃপ্তির পাশাপাশি এটি আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথকে আরও মসৃণ করবে।


নারী উদ্যোক্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন,আমি জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে এক মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমার নিজ বাড়িতে ব্লক বাটি,হ্যান্ড পেইন্টিং,ও সেলাইয়ের কাজে সফলতা অর্জন করার পর আমার গ্রামের বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করি এখন আমার বাড়িতে ৫০ জন বেকার নারী কাজ করে তাদের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে।এখান থেকে প্রতি বছরে আমার প্রায় এক লাখ টাকা আয় হচ্ছে তিনি আরও জানান শুধু আমার গ্রামেই নয় আমার ইচ্ছে আছে আমি পুরো উপজেলার বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।


এব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ললিত মোহন রায় জানান,যব উন্নয়ন থেকে রাজিয়া সুলতানা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এক জন সফল উদ্যোক্তা হয়ে বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন সেই তিনি বছরে এক লাখের ও বেশি টাকা আয় করছেন। আমি নারী উদ্যোক্তা রাজিয়া সুলতানার সফলতা কামনা করছি।


আরও খবর



কোন কোন বিষয় দেখে আপনার পছন্দের মনিটর কিনবেন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বর্তমান সময়ে আমরা কম্পিউটার কিংবা সিসিটিভি সহ বহুবিধ কাজের ক্ষেত্রে আউটপুট ডিভাইস হিসাবে মনিটর  ব্যবহার করে থাকি।এই মনিটর এর সুন্দর প্রদর্শিত চিত্র আমাদের কাজকে করে তুলে গুনগত মান সম্পন্ন।কিন্তু আমরা পিসি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে হারে গবেষণা অনুসন্ধান করে থাকি, কিন্তু মনিটর কেনার ক্ষেত্রে ঐরকমভাবে গবেষনা বা অনুসন্ধান আমাদের হয়ে উঠে না।তাই আজ আমরা জানবো যেসব বিষষে লক্ষ্য রেখে মনিটর কিনলে আপনি আপনার সঠিক মনিটর খুঁজে পাবেন।আসুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয় গুলোঃ

মনিটর কেনার আগে জানা জরুরি বিষয়গুলো:

প্যানেল টাইপ:

TN (Twisted Nematic): সাধারণত সস্তা এবং ফাস্ট রেসপন্স টাইম থাকে, কিন্তু ভিউইং এঙ্গেল খুব ভালো হয় না। গেমিংয়ের জন্য উপযুক্ত।

IPS (In-Plane Switching): ভালো কালার একুরেসি এবং ভিউইং এঙ্গেল থাকে, কিন্তু TN এর তুলনায় ধীর রেসপন্স টাইম থাকতে পারে। ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং বা সাধারণ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

VA (Vertical Alignment): ভালো কনট্রাস্ট রেশিও এবং কালো রং গভীর হয়। কিন্তু ভিউইং এঙ্গেল মাঝারি।

রেজোলিউশন:

1080p (1920x1080): সাধারণ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

1440p (2560x1440): গেমিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ভালো।

4K (3840x2160): অত্যন্ত উচ্চ রেজোলিউশন, ভিডিও এডিটিং এবং গেমিংয়ের জন্য আদর্শ।

রেফ্রেশ রেট:

হার্জ (Hz) এককে পরিমাপ করা হয়। উচ্চ রেফ্রেশ রেট মানে স্মুথ ভিজুয়াল এক্সপেরিয়েন্স। গেমিংয়ের জন্য কমপক্ষে 144Hz রেফ্রেশ রেট ভালো।

রেসপন্স টাইম:

পিক্সেলগুলি একটি রং থেকে অন্য রং পরিবর্তন করতে যে সময় নেয়। কম রেসপন্স টাইম মানে ভালো মুভমেন্ট ক্লিয়ারিটি।

পোর্ট:HDMI, DisplayPort, VGA ইত্যাদি পোর্টগুলো থাকা জরুরি।

আকার: আপনার ডেস্ক এবং ব্যবহারের ধরনের উপর নির্ভর করে মনিটরের আকার নির্বাচন করুন।

অতিরিক্ত ফিচার:

এডজাস্টেবল স্ট্যান্ড, ভেসা মাউন্ট, স্প্লিট স্ক্রিন, আই কেয়ার টেকনোলজি ইত্যাদি।


কোন মনিটরটি কিনবেন?

গেমিং: উচ্চ রেফ্রেশ রেট, কম রেসপন্স টাইম এবং ভালো কালার একুরেসি বিশিষ্ট TN বা IPS প্যানেলের মনিটর।


ভিডিও এডিটিং: উচ্চ রেজোলিউশন, ভালো কালার একুরেসি এবং বড় আকারের IPS প্যানেলের মনিটর।


অফিস ওয়ার্ক: ভালো ভিউইং এঙ্গেল এবং কম্পোর্ট বিশিষ্ট IPS প্যানেলের মনিটর।

কিছু জনপ্রিয় মনিটর ব্র্যান্ড: Dell, Asus, Acer, LG,Hp,Samsung.


- লেখক,

মোঃকাউসার আহমেদ 

বি,এস,সি (অনার্স) ইন  সি,এস,ই, এম,এস,সি ইন পি এম আইটি (অধ্যয়ন),জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। 

আইটি অফিসার

বি,কে,এস,পি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।


আরও খবর