Logo
শিরোনাম

রামগড় থানায় ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির ঘটনায় মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি খাস খতিয়ানের প্রায় ২৬ একর ভূমি ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং সৃজন করে ভূমি অধিগ্রহণে সুবিধা নেয়ার অভিযোগে ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় ভূমি জালিয়াতির ছয়টি মামলা রুজু করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে রামগড় উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কবির আহম্মদ বাদী হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে এসব মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসকের তদন্তে জালজালিয়াতির প্রমান পাওয়ায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই ছয়টি ভুয়া বন্দোবস্তি মামলা বাতিল করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ছয়টি ভুয়া বন্দোবস্ত হওয়া ৩৬ জন কথিত ভূমির মালিক, ক্রেতা ও বিক্রেতার বিরুদ্ধে রামগড় থানায় পৃথক পৃথকভাবে ছয়টি মামলা রুজু করা হয়। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ধারা ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ৩৪ পেনাল কোডে এই ছয়টি মামলা রুজু করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়,  বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য একটি ভূমি জালিয়াত চক্র ভূমি বিভাগের উপজেলা ও জেলা অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিংয়ে ২৫ দশমিক ৯১ একর ভূমির ভুয়া বন্দোবস্ত নেয়। রামগড় পৌরসভার ২২৯ নং রামগড় মৌজার অধীনে বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়কের সোনাইপুল থেকে রামগড় বাজার পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার দুইপাশের ১ নং সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত ২৫ দশমিক ৯১ একর ভূমি দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং সৃজন করে। 

জালিয়াত চক্রটি ২০২১ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে রামগড় উপজেলা ভূমি অফিস ও ২২৯ নং রামগড় মৌজার হেডম্যানের কার্যালয়ের জমাবন্দিতে কাটাকাটি, ঘঁষামাজা ও ওভাররাইটিং করে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ভুয়া বন্দোবস্ত মামলা উল্লেখ করে ভুয়া হোলিংয়ে বিভিন্ন পরিমাণে ২৫ দশমিক ৯১ একর ভূমি বন্দোবস্তের ভুয়া নোটিং করা হয় এবং মালিকানা স্বত্বের প্রতিবেদনে ওই ভূমি সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে অধিগ্রহণভূক্ত করা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, ভূমি জালিয়াতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ, সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের গঠিত কমিটির তদন্তে এসব জাল-জালিয়াতির ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হয়। ওই তদন্তে  উপজেলা ভূমি অফিস বা জেলা প্রশাসকের মহাফেজখানা শাখায় উল্লেখিত ছয়টি বন্দোবস্ত মামলার মূল নথি, কবুলিয়তসহ অপরাপর রেকর্ডপত্রের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

মামলায় রামগড় পৌরসভার মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল আলম কামাল ও তার তিন ভাই, সাবেক মেয়র মো. শাহজাহান কাজী রিপন সহ তার ৭ভাই বোন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফেজ আহাম্মদ ভূঁইয়া সহ তার ভাই ভাতিজা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক সদস্য ভুবন মোহন ত্রিপুরা সহ সংশ্লিষ্ট ১০ জন ছাড়াও নুরুল ইসলাম, মোস্তফা ভুইয়া, নুরের নবী চৌধুরী, দীলিপ চন্দ্র রক্ষিত, কামিনী রঞ্জন ত্রিপুরাসহসহ অন্যান্যদের আসামী করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মঞ্জুরুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকায় রামগড় ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা কানুনগো দেলোয়ার হোসেন ও রামগড় ভূমি অফিসের চেইনম্যান নুরুল আফসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ২২৯ নং রামগড় মৌজার হেডম্যান মংসাপ্রু চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফকে চিঠি দেয়া হয়েছে। 

রামগড় থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ছয়টি মামলা রুজুর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনজন আইও এসব মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।


আরও খবর



স্বতন্ত্রদের পাশে শেখ হাসিনা : ভয়ভীতি প্রচারণায় বাধা দিলেই ব্যবস্থা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :এবার নির্বাচনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রায় ৮০০ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে শতাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। 

 যারা বাতিল হয়েছে তারাও আপিল করেছেন আর যে ৭০০ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন তারা এবার নির্বাচনে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।

আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকে বিভিন্ন নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে বসিয়ে দেওয়া বা একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করছিলেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে স্ববিরোধিতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

 আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান যেমন বলেছেন যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোন অস্তিত্ব নাই, তাদের বিরুদ্ধে দলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেমন বলছেন যে, স্বতন্ত্র প্রার্থী যে কেউ হতে পারবে না, এটা দল ঠিক করে দেবে, তেমনটি বলেননি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং তিনি স্পষ্টতই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

 যারাই তার কাছে আসছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নালিশ করতে তারাই উল্টো ধমক খাচ্ছে। কারণ তিনি বারবার বলে দিয়েছেন যে যার খুশি সে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে। যাদের প্রার্থী করা হয়েছে, তারা নিজ যোগ্যতায় জিতে আসবে। 

শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভয়ভীতি দেখালে, তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিলে বা পেশিশক্তির প্রয়োগ করে তাকে ঠান্ডা করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 একই বার্তা প্রশাসনে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বলেছে যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন করে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে স্বস্তিতে এবং ফুরফুরে অবস্থানে রয়েছে।

 বহু আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের জন্য রীতিমতো হুমকি হয়ে আছে এবং অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না যদি একটা বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের বিভিন্ন নেতাদেরকে যারা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তাদেরকে সুস্পষ্ট ভাবে তিনটি বার্তা দিয়েছেন। 

কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া যাবে না। এমনকি আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় পার্টি ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও তাদেরকে স্ব স্ব প্রতীক নিয়ে উন্মুক্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

 প্রধানমন্ত্রী ১৪ দলের নেতাদের বলেছেন, আপনারা ১৫ বছর ক্ষমতায় আছেন, আপনাদের সংগঠন কোথায়? আর শেষ পর্যন্ত করুণা করে হলেও ১৪ দলের শরিকদের কিছু আসন দেওয়া হলেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে সম্মত নন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

 বরং তিনি চান বেশি সংখ্যক প্রার্থী অংশগ্রহণ করুক বেশি ভোটাররা ভোট দিক। এর ফলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এক বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজের জন্য তিরস্কৃত বা বহিষ্কৃত হবেন না। 

 তাদেরকে প্রচারণা করার ক্ষেত্রে দলের প্রার্থীরা বাধা দেবেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে বসিয়ে দেওয়ার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। এই সমস্ত কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে একটা বিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতির কৌশলের একটি অংশই হল স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রার্থী করা। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেন নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকেন, শক্তপোক্ত করতে পারেন সেটা তিনি মনেপ্রাণে চাইছেন।

 তার প্রধান লক্ষ্য হল নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা এবং জনগণের অভিপ্রায়ের যেন প্রতিফলন ঘটে সেটা নিশ্চিত করা। এর ফলে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্রতা সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চায় জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের শিডিউলের মধ্যে তারা এলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে।

১২ নভেম্বর সচিবালয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

দেশ কি বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, নাকি আপনারা শেষ পর্যন্ত বিএনপির অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাদের এত জনপ্রিয়তা তারা বলেন, সেটি যাচাই করুক। তাদের এত উদ্যোগী কর্মী যারা ২০ মিনিটে ময়দান ছেড়ে চলে গেছেন, তারা কতটুকু নামে আমরা একটু দেখি। তাদের এত জাদরেল নেতা, পুলিশের আওয়াজে- কোনো গুলি হয়নি, কোনো টিয়ারগ্যাসও (নিক্ষেপ) হয়নি, ছোটবেলায় যে বড় বাজি ফোটাতাম সেই বাজির আওয়াজ হয়েছে, সেই আওয়াজে মঞ্চ ছেড়ে চলে গেলেন। তারা নির্বাচনে আসুক, এসে দেখুক তাদের কতটুকু জনপ্রিয়তা। কর্মীরা কতটুকু নামে, এই নেতাদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখে। আমরা চাই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে। নির্বাচনের শিডিউলের মধ্যে তারা এলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে।

যদি তারা না আসে? এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন হতে হবে। কোনো একটি দল না এলেও আরও অনেক দল তো অংশগ্রহণ করবে। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি শহর প্রতিটি গ্রাম বদলে যাচ্ছে, অন্যদিকে দেশ ধ্বংসের জন্য পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে জনগণের ওপর, জনগণের গাড়ি-ঘোড়ার ওপর এবং তারা কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না।

সবাই মিলে সোচ্চার হয়ে এগুলো বন্ধ করতে হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

অবরোধ ডেকে আগের দিনই বিএনপি হামলা চালাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে? এগুলোকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বললেও কম বলা হয়।

তারা রাস্তায় নেমে এসে ব্যারিকেড দিক। আমরা অবরোধ দেখেছি, আপনারা পালন করুন। সেটি তো তারা করে না, চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। বলেন হাছান মাহমুদ।

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের বিবৃতির বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, তাদের (বিএনপি) আন্দোলন করার অধিকার আছে। সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে, আমার পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। সেই অধিকার মানে তো গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো নয়। এটিকে কেউ সমর্থন করেনি, করে না। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের অনেকে তাদের এ কর্মকাণ্ডকে কনডেম করেছে। তারা অনেককে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডকে কেউ সমর্থন করে না করতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বৈঠকের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে যে বৈঠকটি হয়েছে সেটি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। সেই বৈঠকের বিষয় একান্তই তাদের। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি পত্রপত্রিকায় এসেছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন, উন্নয়ন- এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অবশ্যই ভারত যেটি বলেছে, যথার্থ বলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ঠিক করবে নির্বাচনের মাধ্যমে কারা ক্ষমতায় আসবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছে- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের হাতে নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের হাতে, আদালতের হাতে। সরকার চাইলেই তো মুক্তি দিতে পারবে না। সরকারের কাছে যেটুকু ক্ষমতা ছিল সেটা দিয়ে তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে ঘরে থাকার ব্যবস্থা সরকার করে দিয়েছে, বাকিটা আদালতের বিষয়।

বিএনপি নির্বাচন করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া সেটি যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারো নেই। নির্বাচন প্রতিহতের কথা বলা মানেই দেশবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা। সুতরাং দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্য যারা রাখবে কিংবা অপচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। সরকার, জনগণ, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখা। সেজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, সেগুলো করা হবে।

 


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




অবরোধ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, যানবাহনে আগুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার:সারা দেশে আবারও বুধ, বৃহস্পতিবার পঞ্চম দফার অবরোধ ডেকেছে বিএনপি-জামায়াত। অবরোধকারীদের রাজপথে সেভাবে দেখা না গেলেও অবরোধের নামে গত কয়েক দিনে যাত্রীবাহী বাসসহ অসংখ্য যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। এতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি তো হচ্ছেই, এই হরতাল-অবরোধ নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে ত্রাস-আতঙ্ক। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতির মাঠে দাবি আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে অবরোধ একটি শক্তিশালী কর্মসূচি হলেও এখন সেটি রূপ নিয়ে অগ্নিসন্ত্রাসে। রাজনৈতিক মাঠের পাশাপাশি এই অগ্নিসন্ত্রাসরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক খাতকেও অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।

দেশে মাস দুয়েকের মধ্যেই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আজকালের মধ্যে ঘোষণা হবে নির্বাচনের তফসিল। এ অবস্থায় দেশের রাজনীতিকে সংঘাতের পথে হাঁটাতে চাইছে অবরোধ ডাকা রাজনৈতিক দল দুটো।

রাজধানীতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ আহ্বান করেও তা সফল করতে পারেনি রাজনীতির মাঠে প্রধানবিরোধী দল বিএনপি। তার জেরে পরদিন ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে দলটি। হরতালে জনগণের সাড়া না পেলেও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে দফায় দফায় অবরোধ ডাকছে দলটি, সঙ্গে চালাচ্ছে আগুন সন্ত্রাস।

প্রথম দফায় ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলে। তারপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা অবরোধ ডাকে তারা। একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর দুদিনের জন্য তৃতীয় দফায় অবরোধ ডাকা হয়। এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে চতুর্থ দফায় ১২ ও ১৩ নভেম্বর অবরোধ ডাকা হয়। পঞ্চম দফায় আগামীকাল বুধবার ও পরদিন অবরোধ ডাকা হয়েছে।

সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হচ্ছে, অবরোধ মানেই এখন অগ্নিসন্ত্রাস, যানবাহনে আগুন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, ৩১ অক্টোবর অবরোধ শুরুর আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে আগুন সন্ত্রাস। বিএনপি-জামায়াতের মহাসমাবেশের দিন (২৮ অক্টোবর) থেকে শুরু করে সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল পর্যন্ত ১৫৩টি অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১০৫টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৭৩টিই যাত্রীবাহী বাস।

সর্বশেষ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শনিরআখড়া চৌরাস্তা সেতুর ওপর মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় নাশকতাকারীরা। সোমবার ভোর ৪টায় ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর দিকে নতুন বাস টার্মিনালের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা সাউদিয়া পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় বাসের আসনগুলো। এ সময় বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা চালকের সহকারী লাফিয়ে নেমে প্রাণ বাঁচান।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্র জানিয়েছে, ১২ থেকে ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট (অবরোধের দুদিন) পর্যন্ত অবরোধের নামে মোট ১৪টি আগুন সন্ত্রাসের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮টি, ঢাকা বিভাগে (নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ফরিদপুর) ৩টি, বরিশাল সদরে ১টি, রাজশাহী বিভাগের নাটোরে ১টি, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১১টি বাস, ১টি ট্রাক, ২টি নছিমন পুড়ে গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বিডিটুডেসকে বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে পরিবহন খাতে ক্ষতি হয়েছে ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অবরোধে প্রতিদিনই পরিবহন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, বাসে আগুন দেওয়ায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মালিকরা। সরকারের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছি। যারা রাজনীতির নামে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, তাদের দ্রুত শাস্তি চাই আমরা।

তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারির মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ছয় দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর একমাসের মধ্যে ২৪ দিন বিএনপির অবরোধ ছিল। সঙ্গে ছিল জামায়াত ইসলামী। ওই সময় হরতালও পালন করা হয়। এসব কর্মসূচি চলাকালে কমপক্ষে ১২৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের বেশির ভাগই ছিল পরিবহন শ্রমিক।

ওই বছর ২৬ নভেম্বর শুরু হওয়া প্রথম দফা অবরোধের তৃতীয় দিন রাজধানীর শাহবাগে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা ছোড়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে। ১২ বছরের শিশুকেও প্রাণ দিতে হয়েছে গুলিবিদ্ধ হয়ে। এভাবে ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও অবরোধের নামে সহিংসতা চালায় বিএনপি-জামায়াত।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যেই সহিংসতা ও নাশকতায় প্রাণহানি ঘটে ২৮ ব্যক্তির। তাদের মধ্যে ১১ জন পরিবহন শ্রমিক, ছয়জন রাজনৈতিক কর্মী ও বাকিরা যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও অবরোধের নামে আগুন-সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।

এদিকে অবরোধ ডাকা রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। তারপরও অবরোধ ডাকা হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। যানবাহনে চড়তে গিয়ে যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় গণপরিবহনে সংকট তৈরি হয়েছে। পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে অবরোধে। অবরোধের প্রভাবে বাজারে নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে।

কক্সবাজার ও সুন্দরবনের মতো পর্যটনকেন্দ্রেও ধস নেমেছে ব্যবসায়। পর্যটকদের অনেকে কর্মসূচি বাতিল করছেন। ভরা মৌসুমে বিদেশ থেকেও পর্যটকরা আসার সাহস পাচ্ছে না। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানও বাতিল হচ্ছে আতঙ্কের কারণে। এমন পরিস্থিতিতে সচেতন নাগরিকরা প্রশ্ন করছেন, এভাবে আগুন সন্ত্রাসের নামই কি রাজনীতি?

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে এরই মধ্যে অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। আমরা অবরোধ চাই না। অবরোধ অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। হরতাল বা অবরোধে দিনে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, এখনকার রাজনৈতিক কর্মসূচি সংকটময় অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেই। সামষ্টিক অর্থনীতির কোনো সূচকই ইতিবাচক অবস্থায় নেই। তাই সচল অর্থনীতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




অসঙ্গতির কারনে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থির প্রার্থিতা বাতিল করতে যাচ্ছে ইসি

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন : সংসদ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষরসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থাপন করতে হয়।

 এ সম্পর্কিত একটি বিধিমালা রয়েছে যা স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা ২০১১ হিসেবে পরিচিত। 

ওই বিধিমালার বিধি ৪ অনুযায়ী প্রার্থীতার সমর্থন সূচক তালিকা যাচাই করবেন রিটার্নিং অফিসার। 

বিধি ৪(২) এর বিধান অনুযায়ী এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। এক শতাংশের কম হলে রিটার্নিং অফিসার প্রার্থিতা বাতিল করবেন। 

বিধি ৪(৩) এর বিধান অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থীর জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন এবং নির্বাচন কমিশন একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে দৈব চয়নের ভিত্তিতে দশটি নাম রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন।

 রিটার্নিং অফিসার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে এই দশটি নাম যাচাই-বাছাই করবেন। 

বিধি ৫ অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের কাছে ১ শতাংশ ভোটারের তালিকায় কোন গরমিল কিংবা জালিয়াতি ধরা পড়লে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন।

সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, যেসব ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাদের কেউ কেউ সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারে না। 

এক্ষেত্রে তারা অনেক ভোটারের স্বাক্ষর জাল করে তালিকা পাঠায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভোটারের শুধুমাত্র নাম ঠিকানা থাকে, কোনো স্বাক্ষর থাকে না। 

এসব ক্ষেত্রে বিধিমালা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে পণ্য সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ।

বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) দুপুরে আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের সহযোগীতায় তেলিগাতী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উক্ত খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো: শামসুল ইসলাম, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুহা: জিয়াউর রহমান, সহকারী শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাজহারুল আলম, সম্রাট মিয়া সহ  সমিতির অন্যান সদস্যরা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।

২০২১ সালে  প্রতিবন্ধীদের কে নিয়ে  করে তুলা হয় প্রতিবন্ধীদের  সহায়তায় তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতি। সমিতির সদস্য প্রায় চারশত।নিয়মিত এই সমিতিটির প্রতিবন্ধী পরিবারদের সহায়তায় করে যাচ্ছে।


আরও খবর