Logo
শিরোনাম

রাণীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ২ জনের ছয় মাসেরকারাদন্ড

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে আঞ্জুয়ারা বিবি (৪১) এবং রবিউল ইসলাম (২১) নামে মাদক কারবারী ও মাদক সেবি এই দুই জনকে ৬মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে নওগাঁ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই দন্ড প্রদান করেন। দন্ডিতরা হলেন উপজেলার চককুতুব গ্রামের সোরার্দীর মেয়ে আঞ্জুয়ারা বিবি এবং খট্রেশ্বর পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাফিজুর প্রামানিকের ছেলে রবিউল ইসলাম।

আদালত সুত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটর খলিলুর রহমান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হুসেইন যৌথভাবে উপজেলার চক কুতুব গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মাদক কারবারী আঞ্জুয়ারার নিকট থেকে ৭০গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই সাথে দুই হাজার টাকা অর্থ দন্ড, অনাদায়ে আরো তিন দিনের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এর পর একই এলাকার খট্রেশ্বর পশ্চিম পাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবি রবিউল ইসলামের নিকট থেকে সামান্য পরিমান গাঁজা,গাঁজা সেবনের সরংঞ্জমাদি উদ্ধার পূর্বক তাকেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৬মাসের কারাদন্ড,একই সাথে তিন হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো ৫দিনের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। অভিযানে নওগাঁ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট অন‍্যান‍্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মাদক নিয়ন্ত্রনে এঅভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



খরতাপে পুড়ছে দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

দিনভর বৈশাখ তথা ভরা গ্রীষ্মের প্রখর রোদে যেন সূর্য থেকে মাটিতে আগুন ঝলসে পড়ছে। রাতের বেলায়ও গরমে-ঘামে অস্বস্তি। গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রার আগের সব রেকর্ড অতিক্রম করেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণের জনপদ বাগেরহাট জেলার মোংলায় ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সে.। চলতি এপ্রিল মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পারদ ৪২ ডিগ্রি সে. অতিক্রমের পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।

 বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল-মে) মাস উচ্চ তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। আগের দিন সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ছিল দক্ষিণের জনপদ পটুয়াখালী উপজেলার খেপুপাড়ায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি। যা উক্ত এলাকায় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। গতকাল রাজধানী ঢাকায়ও তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে দিনের বেলায় ৩৮.৪ এবং রাতেও ২৮.৬ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। অবশ্য গতকাল রাজধানী ঢাকা, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জে হঠাৎ কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির সাথে সাময়িক বৃষ্টি স্বস্তি এনে দেয়। এ সময় ঢাকায় ১২, ফরিদপুরে ২৩, চাঁদপুরে ১৪ ও কিশোরগঞ্জে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এছাড়া সারা দেশের কোথাও ছিঁটেফোঁটাও বৃষ্টিপাত হয়নি। বৈশাখের শুরুতেই সমগ্র দেশে অসহ্য খরতাপের দহনে দুর্বিষহ পড়েছে জনজীবন। আবহাওয়া বিভাগ আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে তাপপ্রবাহ আরো বৃদ্ধি এবং বিস্তারের সতর্কবার্তা (হিট এলার্ট) জারি করেছে। টানা কয়েক সপ্তাহের অনাবৃষ্টি-খরা ও উচ্চ তাপমাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচের দিকেই নামছে দ্রুত। নদ-নদী-খাল, পুকুর-জলাশয়-দীঘি, হাওড়-বাওড়সহ ভূ-উপরিভাগের পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে মাঠ-ঘাট-বিল ফেটে চৌচির। তীব্রতর গরম ও খরার কবলে ইরি-বোরো, আম-লিচুর ফলন ব্যাহত হওয়ারর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের ফলে বিভিন্ন জায়গায় হিট স্ট্রোক, শরীরে পানিশূন্যতায় এবং সর্দি-কাশি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা রোগব্যাধিতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দিনের প্রখর রোদের তেজে জরুরি কাজ ছাড়া কেই ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।

গতকাল মঙ্গলবার আবহাওয়া বিভাগ আরেক দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা বা হিট এলার্ট জারি করেছে। এতে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৬ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায়ও (তিন দিনে) অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। বাতাসে অত্যধিক হারে জলীয়বাষ্প থাকার কারণে গরমের তীব্রতায় অস্বস্তি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬, মোংলায় ৪০.৩ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াও দেশের অন্যত্র উল্লেখযোগ্য দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও পাবনায় ৩৯.৮, খুলনায় ৩৯.৫, রাজশাহীতে ৩৯.৩, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায় ৩৯.২, রাঙ্গামাটিতে ৩৯, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও পটুয়াখালীতে ৩৮.৫ ডিগ্রি সে.।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪১ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। দিনের তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্থানভেদে এখন ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রির ঘরে। তাতে খরতাপ অসহ্য হয়ে উঠেছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্তসহ আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামীকাল  সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ দেশের কিছু কিছু জায়গায় কমে আসতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এর পরের ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন গত সোমবার ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত কিছুদিন ধরে রাজশাহীতে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়া। রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া রাতের তাপমাত্রাও দুএক ডিগ্রি কমতে পারে। তবে এ কয়েক দিনের মধ্যে খুব একটা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর আগে তাপপ্রবাহ বাড়ার কারণে রাজশাহী আরও তিন বিভাগে এসব অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। এপ্রিল মাসে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতর। তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। ঈদের পর তাপপ্রবাহের ফলে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্মে ফিরতে পারেনি। অনেকটা কর্মহীন দিন পার করছে তারা।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৩ শতাংশ। তিনি আরো জানান, এপ্রিল মাসব্যাপী মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে এ আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভবনা রয়েছে।

ভ্যাপসা গরম, আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া সকাল থেকে কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেনা। রিকসা ও ভ্যান এবং ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালকদের যাত্রী হচ্ছে না। এছাড়া গরম আবহাওয়ায় কেউ কাজ না করায় দিন হাজিরায় কর্মজীবী বিপাকে পড়েছে। 


আরও খবর



সংশোধনী আসছে কাবিননামায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

হাইকোর্টের নির্দেশে মুসলিম বিয়ে নিবন্ধন ফরম বা কাবিননামা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। চলতি মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে এ নিয়ে।

সংশোধনীতে কাবিননামার ফরম থেকে নারীর জন্য অবমাননাকর কুমারী শব্দটি বাদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বরের বর্তমান স্ত্রী কতজন, তা-ও জানাতে হবে সংশোধিত ফরমে। এর আগে বরের বিয়ে বা বউ আছে কি না, এমন তথ্য চাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এরই মধ্যে খসড়া (সংশোধিত) ফরম প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া নিকাহ রেজিস্ট্রারদের (কাজি) শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম থেকে বাড়িয়ে ফাজিল এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সুবিধাজনক স্থানে নিজ খরচে একাধিক অফিস স্থাপনের পরিবর্তে একটি কাজি অফিস করতে বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪-এর আলোকে ২০০৯ সালে নিকাহনামা বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। নিকাহনামা ফরমে ২৫ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়। ফরমের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না তথ্য চাওয়া হয়।

২০২২ সালে এক রায়ে এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খসড়া ফরমে এটি সংশোধন করে কন্যা অবিবাহিত, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না? লেখা হয়েছে।

এছাড়া বর্তমান নিকাহনামা ফরমের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়, বরের কোনো স্ত্রী বর্তমানে আছে কি না এবং থাকিলে অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কি না?

খসড়া ফরমে এই অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়েছে, বর বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত কিংবা বিপত্নীক কি না? স্ত্রী থাকিলে কতটি এবং অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কি না? এছাড়া বরের যে কজন স্ত্রী বর্তমান থাকবে, তাদের বিষয়েও তথ্য দিতে হবে নতুন ফরমে।

উল্লেখ্য, কাবিননামা ফরম সংশোধন চেয়ে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নারীপক্ষ ও মহিলা পরিষদ। এর প্রেক্ষিতে ওই বছরই সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট রায়ে মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে কাবিননামায় ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে থাকা কুমারী শব্দটি লেখা বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করেন।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কি.মি. দীর্ঘ যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে মহাসড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় বিকেলের দিকে শ্রমিকদের স্রোত নামে মহাসড়কে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে যানজটও। এতে চরম দুর্ভো‌গে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সেতুর ওপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে। এ ছাড়াও সেতুর ওপর প‌রিবহনের দীর্ঘ সারি তৈ‌রি হয়েছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর ওপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫‌ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে।

এদিকে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এক দেড় সপ্তাহ আগে পরিকল্পনা নিয়েছি মহাসড়কের ওপর যত্রতত্র কোনো গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। এখন তার বাস্তবায়ন করছি। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আমাদের হাইওয়ে পুলিশ তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স আছে। সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করতেছি, যেখানেই অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আজকে ৬০ শতাংশের বেশি পোশাক কারখানা ছুটি হয়েছে। শ্রমিকদের একটি বড় চাপ আছে, এ কারণেই গাড়ির সংখ্যা বেশি। কোথাও গাড়ি থেমে নেই, চলছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ি চলছে, কোথাও থেমে নেই।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ এই গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ফসল এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ বিশেষ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা

টানা খরায় পুড়ছে ঈশ্বরদীও। চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। আকাশে মেঘ নেই বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাসও নেই। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ছিল। 

ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শহরের পূর্বটেরী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়

নামাজে ইমামতি করেন ঈশ্বরদী সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল হান্নান। ইসতিসকার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান দেন ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ওয়ালিউল্লাহ

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি এম এস জোহা বলেন, অতি তীব্র তাপদাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তার জীবদ্দশায় এরকম ইসতিসকার সালাত আদায় করতেন। আমরাও ইসতিসকার নামাজে আজ অংশ নিয়ে আল্লাহ কাছে বৃষ্টি গরমের তীব্রতা নিরসনের জন্য দোয়া কামনা করেছি।  

কুমিল্লা : তাপদাহ থেকে রক্ষা রহমতের বৃষ্টির জন্য ঢাকার পর এবার কুমিল্লায় ইসতেসক্বার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা ওলামায়ে ক্বেরামের উদ্যোগে সকাল ১০টায় নগরীর রেসকোর্স নূর মসজিদ তাবলিগ মার্কাজে ওই সালাতের আয়োজন করা হয়। নামাজ মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী। নামাজে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা

মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী বলেন, ‘আমরা অপরাধী এই অপরাধের কারণে আজ আজাব নেমে এসেছে তাই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টির জন্য নামাজ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে

মানিকগঞ্জ : প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত। অবস্থায় বৃষ্টির জন্য মানিকগঞ্জে বিশেষ নামাজ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা। সকাল ১০ টার দিকে শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে ইস্তিসকার সালাতের আয়োজন করে  জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই নামাজে ইমামতি করেন হযরত মাওলানা মহিবুল্লাহ

ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সাঃ) তৎকালীন সময়ে অনাবৃষ্টি খরার সময় সাহাবীদের সাথে নিয়ে খোলা ময়দানে দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। আমরা আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নাহকে অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। মহান আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা

চুয়াডাঙ্গাচুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। তীব্র গরম তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে। সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় শতাধিক মুসুল্লি নিয়ে এই নামাজের জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়

ঝিনাইদহতাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে একফোঁটা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লিরা সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয় এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন

নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি চেয়েছি খোদার কাছে। নবী করিম (সাঃ) খোদাতাআলার কাছে বিশেষ নাময়ের মাধ্যমে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা তার রহমত পাব


আরও খবর



সুন্দরবনে খালে ভাসছে বাঘের দেহ !

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: সাধারণত উল্টো খবরটিই বেশি পাওয়া যায়। সুন্দরবন এলাকায় বাঘের আক্রমণে মৃ্ত্যু হয়েছে সাধারণ মানুষের বা মধু সংগ্রহের সময়ে বাঘের অতর্কিত আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে স্থানীয় মানুষের। কিন্তু বাঘের মৃত্যু? সেই খবরই মিলল এবার। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় সুন্দরবনের জোংড়া আর মরাপশুর খালের মাঝামাঝি এলাকা জোংড়া খালের অন্তর্গত আন্ধারিয়া খালের মুখ থেকে ভাসমান অবস্থায় মিলল এক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত দেহ। মৃত দেহটি উদ্ধারে গেছেন বনরক্ষীরা।

সুন্দরবনের কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (সিএফ) মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, খবর পাওয়ার পর বনরক্ষীরা গেছেন। বাঘটিকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বেশ কয়েক দিন আগে মারা গেছে বাঘটি। 

তিনি আরো বলেন,বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি, মৃত্যুর কারণ জানার জন্য বাঘটির বয়স-সহ অন্যান্য বিষয়গুলিও বন বিভাগ অনুসন্ধান করবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর