মুক্তিযুদ্ধের
অন্যতম সংগঠক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খান আর নেই। শুক্রবার (৯ জুন)
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের তিনি মারা যান।
এর আগে
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের
আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে।
এর আগে
গত ৭ মে রাতে শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা নিয়ে ঢাকার পান্থপথে শমরিতা
হাসপাতালে ভর্তি হন সিরাজুল আলম খান। চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ২০ মে ঢামেক
হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এই প্রবীণ রাজনীতিবিদকে।
শারীরিক
জটিলতা দেখা দেওয়ায় সিরাজুল আলম খানকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার
আরও অবনতি হওয়ায় নেওয়া হলো লাইফ সাপোর্টে।
৮৩ বছর
বয়সী সিরাজুল আলম খানকে দেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’
হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৪১ সালে তাঁর জন্ম।
বাংলাদেশের
স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন-সংগ্রামের লক্ষ্যে ষাটের দশকের প্রথমার্ধে সিরাজুল আলম
খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা
‘স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস’ গঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে ছিলেন এই ছাত্র নেতারা।
বাংলাদেশের
রাজনীতিতে সিরাজুল আলম খানকে ‘রহস্য পুরুষ’
আখ্যা দেওয়া হয়। ‘দাদাভাই’
নামেও তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত। ষাটের দশকে ছাত্রনেতাদের নিয়ে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী
পরিষদ গড়ে তুলেছিলেন তিনি, যা ‘নিউক্লিয়াস’
নামেও পরিচিতি পায়।
সিরাজুল
আলম খানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আমি সিরাজুল আলম খান: একটি
রাজনৈতিক জীবনালেখ্য’ থেকে জানা যায়, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের
অন্যতম সংগঠক হিসেবে তিনি এবং তার গড়ে তোলা ‘নিউক্লিয়াস’
ভূমিকা রেখেছিল। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আস্থাভাজনও ছিলেন।