Logo
শিরোনাম

রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে বিএনপি নেতার নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক প্রভাষক রাসেল আল ইসলাম সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নেতাকর্মীরা।

  বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় নব্বইরশী বাসষ্ট্রান্ডে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে এ প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন। বক্তৃতা করেন উ পেজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শহিদুল হক বাবুল, পৌর বিএনপির সভাপতি শিকদার ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন,  শ্রমীক দল নেতা মাসুদ খান চুন্নু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, বিএনপি নেতা আবজাল হোসেন জোমাদ্দার, মতিউর রহমান বাচ্চু, আব্বাস মুন্সী, খেলাফত হোসেন খসরু, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি নেতা দলের দক্ষ সংগঠক রাসেল আল ইসলামের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় ঈদের পরে দলীয় কর্মীরা গণ আন্দোলনের কর্মসূচি দিবেন।  


আরও খবর



বিশৃঙ্খলা ও ক্ষোভ থেকে পদত্যাগ ভাবনা ড. ইউনূসের!

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূস ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে পৌঁছলে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সে সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতা নাহিদসহ অন্যান্যরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এক সংকটময় পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা সামনে আসায় এ সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়েই অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসকে কেন পদত্যাগের চিন্তা করতে হচ্ছে, সক্রিয় সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে গঠিত এই সরকারকে কেন এমন সংকটে পড়তে হলো-এসব প্রশ্ন এখন সব মহলে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

এ ঘটনা এমন সময়ে ঘটছে যখন বিএনপি রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে এবং এ সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন আর অব্যাহত না রাখার ইঙ্গিতও দিচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি, এই তিনটি দলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে।

অন্যদিকে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত বুধবার বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে নির্বাচন, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর প্রসঙ্গ এবং মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়সহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। যা সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে।

এমন এক পটভূমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৃহস্পতিবার অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে নানা পক্ষের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতায় তার সরকার কাজ করতে পারছে না বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূসের এমন ভাবনার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। নাহিদ ইসলামের মাধ্যমেই প্রধান উপদেষ্টার এই ভাবনার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতিটাকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছে। বিএনপি বলছে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগের তাদের দাবি এড়াতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনার কথা সামনে আনা হয়েছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, "দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে আবেগ সৃষ্টি করার কিছু নেই"।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা এ-ও বলছেন, সরকারের দুর্বলতার কারণে পরিস্থিতি সামলাতে যখন ব্যর্থতার প্রশ্ন আসছে, তখন পদত্যাগের এই ভাবনার কথা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এক ধরনের হুমকি বা সতর্কতা বলে তারা মনে করছেন।

এখন অন্তর্বর্তী সরকারের এই সংকট সামলাতে জামায়াতে ইসলামী সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার পরামর্শও দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো দেওয়া হয়নি।

কেন সংকটে সরকার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সেই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্ব, বিএনপি ও জামায়াতসহ সব দল এবং সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছিল।

এতবড় সমর্থন পাওয়ার পরও সেই সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ কেন আসছে, এমন প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতিক ও বিশ্লেষকেরা।

তারা বলছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের দুর্বলতা রয়েছে; যা তিনি নিজে বিভিন্ন সময় প্রকাশও করেছেন।

সেই ছাত্র নেতৃত্ব যখন রাজনৈতিক দল এনসিপি গঠন করল, এই দলের প্রতিও তার পক্ষপাতিত্ব রাজনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে। যা বিএনপিকে ক্ষুব্ধ করেছে।

যদিও উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের একজন পদত্যাগ করে দলটির হাল ধরেছেন। কিন্তু আরও দুজন ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা পদে রয়ে গেছেন। তাদের পদত্যাগের দাবিতে এখন রাজপথে কর্মসূচি রেখেছে বিএনপি।

সরকারের গত নয় মাসে প্রথম দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে এনসিপির ব্যানারে বিভিন্ন ইস্যু তুলে রাজপথে অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভনের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সরকার দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। বিএনপি বিভিন্ন সময় সরকারের বিরুদ্ধে এনসিপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে। এখন তারা সেই অভিযোগকে সামনে এনেছে।

অন্যদিকে, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়টি আলোচিত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মব সৃষ্টি করে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দাবি তুলে তা আদায়ের চেষ্টাও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বা সমর্থনের বিষয়ও বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ যেমন রয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতার বিষয়ও আলোচনায় আসছে।

সরকারের একাধিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা গত বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন, সেখানে অধ্যাপক ইউনূস নিজেও অংশীজনদের অসহযোগিতার কথা বলে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বিশ্লেষকেরা রাজনীতিতে বিভক্তি, দলগুলোসহ সরকারের অংশীজনদের বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থ নিয়ে বিরোধ এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। সেকারণে অসহযোগিতার বিষয় প্রকট হয়েছে।

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি, এই তিনটি দলের এখন প্রভাব রয়েছে। তিনটি দলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে। ফলে রাজনীতিতে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে।

তিনি মনে করেন, সরকারের দিক থেকেও করিডর ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপিসহ দলগুলো ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ফলে বিএনপি ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা ক্ষুব্ধ হয়েছে।

একইসঙ্গে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি আছে। সবমিলিয়ে সরকার কাজ করতে পারছে না। আর সেকারণে সরকারের জন্য সংকট গভীর হয়েছে বা সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

সরকারের ভেতর থেকেও করিডরসহ বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যু যখন সামনে আনা হচ্ছে, তখন সরকারের ভেতরেও কোনো গোষ্ঠী স্বার্থ বা ব্যক্তি স্বার্থ কাজ করছে কিনা- সেই প্রশ্নও রয়েছে বিশ্লেষকদের।

বিএনপিসহ দলগুলোর অবস্থান কী

দলগুলো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে মনে হচ্ছে।তবে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনাকে তার আবেগের বিষয় হিসেবে বর্ণনা করছে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় আবেগ সৃষ্টি করার কিছু নেই। তারা মনে করছেন, যখন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করা হচ্ছে, তখন এ ধরনের আবেগের কথা বলা হচ্ছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার উপদেষ্টাদের সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলতে গিয়ে গত সপ্তাহে বিএনপির রাজপথের কর্মসূচি নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে একজন উপদেষ্টা বিবিসিকে জানান।

তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসাবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আদালতের রায় পেয়েছেন। এরপরও তাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সেকারণে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবি মানার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতার কথা বলা হচ্ছে।

বিএনপি অবশ্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম, এই দুই ছাত্র প্রতিনিধির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের পদত্যাগের দাবি তুলেছে। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার দাবির সঙ্গে অন্যান্য দাবি যুক্ত করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বলছে বিএনপি।

দলটির নেতারা বলছেন, এনসিপি বিভিন্ন সময় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে চাপের মুখে দাবি আদায়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। সেখানে বিএনপির যৌক্তিক দাবি মানা হচ্ছে না। এনসিপির নেতারা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

তবে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দুজন ছাত্র প্রতিনিধি সরকারে থেকে যেসব কর্মকাণ্ড করছে, তারা দায় এখন সরকারকেই বহন করতে হবে।

এছাড়া নির্বাচনসহ বিএনপির সব দাবি যৌক্তিক বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব দাবি এড়িয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের ভেতরেও নানা আলোচনা রয়েছে। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সংকট উত্তরণে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে দলগুলোকে বেশ সতর্ক মনে হয়েছে। নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরলেও দলগুলো দলগতভাবে কোনো বক্তব্য এখনো দেয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, অধ্যাপক ইউনূস চলে যেতে পারেন অথবা দলগুলোসহ অংশীজনদের আস্থায় এনে নির্বাচনের দিকে যেতে পারেন, এই দুটি পথ খোলা রয়েছে।

লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সরকার এখন নির্বাচনমুখী হলে বিএনপিসহ দলগুলো আবারও সহযোগিতা বাড়াবে এবং সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




সবজি ও মুরগির দাম কমেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ |

Image

রাজধানীর বাজারে সবজি ও মুরগির দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দামও। অন্য মুদি পণ্যগুলোর দামও স্থিতিশীল। শুক্রবার সকালে রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও তালতলা ও সেগুনবাগিচা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটোল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ও কাঁকরোল আছে এই তালিকায়। এছাড়া বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন, ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নেমেছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। কিছু বাজারে দাম ১৭০ টাকা হাঁকলেও দরদাম করলে ওই দামে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা কম। একইভাবে কমে সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির দাম কম থাকলেও ডিমের দাম মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৪০-১৪৫ টাকা হয়েছে। এখনো সে দামেই পাওয়া যাচ্ছে। নতুন করে দামের কোনো হেরফের হয়নি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজারগুলোতে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন দরে। পাড়া-মহল্লায় এক ডজন ডিম ১৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

পুরোনো মিনিকেট চাল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে বাজারে নতুন আসা মিনিকেট। পুরোনো মিনিকেট চাল যেখানে সর্বনিম্ন ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নতুন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। তবে ভালো মানের বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের পুরনো মিনিকেট চাল এখনো সর্বোচ্চ ৮৫-৮৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল চিনি ডালের দামে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায়নি। তবে মাছের বাজারে চড়াভাব দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাষের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম।

বাজারে প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে।

এ ছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দাম বাড়তি। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশও আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই, কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক ভর্তি শুরু২২ জুন

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২২ জুন। চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমসহ আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১২ জুন।

‎সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে  গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

‎গুচ্ছের আহ্বায়ক আরো জানান , গুচ্ছের প্রাথমিক ভর্তি (নন-প্রাকটিক্যাল বিষয়) শুরু হবে ২২ জুন এবং চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। অপরদিকে বিশেষায়িত বিষয়গুলির (চারুকলা, সংগীত, নাট্যকলা ও পরিবেশনা‌ বিদ্যা, চলচ্চিত্র ও মিডিয়া এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান) প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা ও কোটার ভেরিফিকেশন শুরু ২১ জুন থেকে ২৮ জুনের মধ্যে।

‎ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে ৩০ জুনের মধ্যে। তিনি আরো বলেন, চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে ২৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত‌ এবং ক্লাস শুরু করার সম্ভাব্য দিন নির্ধারিত হয়েছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে।

‎এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবছরও দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে।  বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য—এই তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি মেধাতালিকা তৈরি করা হয়, যার ভিত্তিতে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।

‎গুচ্ছ পদ্ধতির এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

‎ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তি সংক্রান্ত নোটিশ এবং অন্যান্য নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ও গুচ্ছের অফিশিয়াল পোর্টালে প্রকাশ করা হবে।

‎বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ যাতে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও জটিলতা-মুক্তভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ব্যাংকে ফিরল ১৯ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরের পরের মাসেই ব্যাংকে ফিরেছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। ঈদের মাসে সাধারণত বাড়তি খরচের কারণে নগদ টাকা তোলার প্রবণতা দেখা যায়। এ কারণে মার্চ মাসে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ বেড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। তবে এর পর তা দ্রুত ব্যাংকে ফিরে এসেছে। এ ছাড়া আমানত পরিস্থিতিরও উন্নতি হতে শুরু করেছে। সর্বশেষ এপ্রিল মাসে ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরা

বলছেন, ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে অর্থনীতির জন্য তা ক্ষতিকর হয়। এতে টাকার লেনদেন বা হাত বদলের গতি কমে এবং মানি ক্রিয়েশন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, ব্যাংকে টাকা ফেরার অর্থ হলো তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি এবং বিনিয়োগে সহায়ক পরিবেশের সৃষ্টি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুদের হার বৃদ্ধি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। বিশেষ করে পতিত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকার দায়িত্ব নিলে আগের আমলের ব্যাংক খাতের লুটপাট ও অনিয়মগুলো প্রকাশ্যে আসে, যা জনগণের আস্থার সংকটে বড় প্রভাব ফেলেছিল। ফলে ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার চাপ ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নগদ অর্থ ব্যাংকে ফেরার ধারা শুরু হয়, যা এখনও অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিল শেষে ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ কমেছে ১৯ হাজার ৬৫ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তবে ঈদের কারণে মার্চ মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ বেড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। তার আগের ছয় মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা কমেছিল।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি, মার্চে ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি, এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, মে মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, জুনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি, জুলাইয়ে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ কোটি এবং আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সেটি কমতে শুরু করে।

অন্যদিকে, গত এপ্রিল শেষে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এক মাস আগে মার্চে যার পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ১৮ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। আগের মাস মার্চে ব্যাংকগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ আমানত বেড়েছিল, প্রায় ২৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। এদিকে গত এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। মার্চে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মাত্র ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।


আরও খবর