Logo
শিরোনাম
আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মতবিনিময়

প্রকাশিত:রবিবার ২২ মে 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

 মো নূরুল্লাহ  খান, আরব আমিরাত থেকে 

 সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে  বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সঙ্গে গতকাল সাক্ষাত করেছেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী।

এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বাত্মক সহযোগিতাসহ দু দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস।  দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাগণ প্রবাসীদের পাশে আছে এবং থাকবে।

সাক্ষাতকালে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মহাসচিব ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী বলেন, বিদেশে অবস্থানরত সকল দূতাবাসসমুহ প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করলে তারা আরো উৎসাহিত হবে এবং দেশের প্রতি প্রবাসীদের ভালোবাসা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পরিচালক  ড. মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী, সার্ক ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ইউএইর যুগ্ন আহবায়ক ওসমান চৌধুরী,  চট্টগ্রাম জেলার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ইউএইর সদস্য সচিব এস এম মোদাচ্ছের শাহ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর



কুয়েটের ভিসির পদত্যাগ দাবিতে গর্জে উঠলো মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

মো:হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) কুয়েটের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতিতে বলেন, কুয়েট প্রশাসনের স্বৈরাচারী আচরণ শুধু শিক্ষার পরিবেশকেই কলুষিত করছে না, বরং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকারও হুমকির মুখে ফেলছে। তারা কুয়েট প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও দমনমূলক আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের গণ-অনশনের সাথে সংহতি জানিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছেন। বিক্ষোভ চলাকালে তারা “কুয়েট ভিসির গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে”, “দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ”, “শিক্ষা ও সন্ত্রাস একসাথে চলে না”—এমন বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখর করে তোলেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কুয়েটের উপাচার্য ড. মাছুদ স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী মনোভাব নিয়ে পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়, যা মুক্ত চিন্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী। তার প্রশাসন একটি দমন-পীড়নের সংস্কৃতি তৈরি করেছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের জবাবদিহিতা এবং শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অপরিহার্য। ড. মাছুদের মতো উপাচার্যের মাধ্যমে তা কখনোই সম্ভব নয়।

তারা কুয়েট ভিসির অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যাতে আহত হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে একের পর এক বিক্ষোভ, হল বন্ধ, শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার এবং সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে।বর্তমানে কুয়েটের পরিস্থিতি থমথমে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।


আরও খবর



এক মুঠো চালের জন্য জেলেদের বুক ফাটা কান্না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ভোরের সূর্য ওঠার আগেই বরগুনার আমতলি ফকিরঘাটে ভিড় জমায় সাগরের সাহসী সন্তানরা। একসময় যাদের হাতের জালে ধরা পড়তো সাগরের সোনা, আজ তাদের হাতে কিছুই নেই। চোখে শূন্যতা, মুখে হতাশা। ট্রলারগুলো নিশ্চুপ, জালগুলো ছেঁড়াআর মানুষগুলো নীরব, অথচ বুকের ভেতর চলছে কান্নার তীব্র গর্জন।


সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে যারা জীবন কাটিয়েছেন, আজ সেই জীবনের সামনে শুধুই অনিশ্চয়তা। ১৫ দিন ধরে চলা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা হাজারো জেলের ঘরে এনেছে হাহাকার, আর পাতে এনে দিয়েছে ফোঁটা ফোঁটা ক্ষুধা। প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে আজ বাঁচার জন্য তাকিয়ে আছেন এক মুঠো সাহায্যের দিকে। কিন্তু এখনো তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি সহায়তার চালের এক দানাও।


ষাটোর্ধ্ব মোশাররফ হোসেন এক কোণে বসে আকাশের দিকে চেয়ে কাঁদছেন। তার কণ্ঠ রুদ্ধ, চোখের জল অবিরাম গড়িয়ে পড়ছে।


"ঝড়-তুফান, সাগরের কাঁচা ঢেউসবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজ... আজ তো নিজেরই যুদ্ধ জীবন বাঁচানোর। সরকার যদি চাল না দেয়, আমরা না খেয়ে মরে যাবো।" তার কাঁপা কণ্ঠের এই মর্মস্পর্শী আহাজারি যেন আঘাত হানে মানবতার শেষ প্রাচীরে।


আরেক কোণে দাঁড়িয়ে শহিদুল ইসলাম, ছোট্ট মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। মেয়ের ক্ষুধার্ত চোখ যেন হাজারটা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে তার দিকে। মাথা নিচু করে শহিদুল ফিসফিস করে বলেন, "মাছ ধরতে জীবন বাজি রাখি। আজ মেয়েটার ভাতের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। একজন বাবার চেয়ে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে?" 

মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তালতলীতে প্রায় আট হাজার নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন, যাদের কেউই এখন সাগরে যেতে পারছেন না। সাগরের হাওয়ায় এখন আর মাছের ঘ্রাণ নেইভেসে আসছে দুর্ভিক্ষের গন্ধ। প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু খাদ্য সহায়তা মিললেও, এবারের নিষেধাজ্ঞায় এখনো কোনো বরাদ্দ এসে পৌঁছায়নি। সাগরের গর্জন আজ আর তাদের কাছে রোমাঞ্চ নয়, বরং মৃত্যুর সুর হয়ে বাজছে।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "নীতিমালা অনুযায়ী সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আগেরবার খাদ্য সহায়তা ছিল, এবার বিলম্ব হয়েছে। চাল আসলে দেওয়া হবে।" কিন্তু তার কথাগুলো যেন ক্ষুধার্ত পেটের গহীন আর্তনাদের সামনে একটি তুচ্ছ আশ্বাসমাত্র। চাল কবে আসবে, তা কেউ জানে না। আর ততদিন ক্ষুধা আগুন হয়ে পুড়িয়ে দেবে তাদের শরীর ও আশা।


ফকিরঘাট নয়, উপকূলের সবখানেই একই ছবি। শীর্ণকায় জেলেরা ছেঁড়া গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করছে। শিশুদের কান্না মিলিয়ে যাচ্ছে সাগরের বাতাসে। "ভাত দে মা, ক্ষুধা পেয়েছে"শত শত শিশুর এই চিৎকার যেন আকাশকেও ভারী করে তুলেছে।

এই বাস্তবতা কেবল দারিদ্র্যের গল্প নয়এ হলো লজ্জার গল্প। যেখানে রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা আর মানবতার ব্যর্থতা মিলেমিশে একটি জাতির বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জীবনের যুদ্ধ তো তারা জিতেছে বারবার, কিন্তু আজতালতলীর সাগরপাড়ে বসে থাকা এই হাজারো জেলে হারছে ক্ষুধার কাছে।


আরও খবর



সুফি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান মহোদয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সকল সুন্নী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবাদ ও বিবৃতি আশা করছি। সংক্ষিপ্ত তাফসীরসহ কুরআনে কারিমের বিশুদ্ধ বাংলা অনুবাদ "রুহুল কুরআন", ফার্সি ভাষায় লিখিত হাজার বছর আগের তাসাউফ দর্পন "কাশফুল মাহজুব" এর বাংলা অনুবাদ, হাদিস সংকলন, ৪০ হাদিস সহ অনেক কিতাব কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জাতির খেদমতে উপহার, সিহাহ সিত্তাহ [হাদিসের বিশুদ্ধ ছয়টি গ্রন্থ]কে অধিকতর বিশুদ্ধ অনুবাদ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি দিয়ে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তুলে ধরা, সত্যিকারের মুফতি তৈরির মানসে বছর মেয়াদি ইফতা কোর্স, আরবি ভাষা শেখানোর জন্য এরাবিক ল্যাংগুয়েজ সেন্টার, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক শাহাদাত-এ কারবালা মাহফিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকসহ বহু একাডেমিক এবং নন একাডেমিক, সামাজিক, মানবিক, দেশে - বিদেশে  সর্বত্র নিজেকে বিলীন করে দিয়ে যে মহান খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছেন তা সত্যিই অতুলনীয় এবং এর  দৃষ্টান্ত এ যুগে বিরল। পাশাপাশি শিল্প জগতে সততার সাথে বিপ্লব ঘটিয়ে চলছেন। অসংখ্য পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলছেন। তাছাড়া দেশে- বিদেশের ওলামা, পীর মাশায়েখদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। যেখানেই যান ৮৩তম বয়সে উপনীত হয়েও ছাত্রের মত কাগজ- কলম নিয়ে বসে পড়েন। এরকম নানান গুনের অধিকারী বিনয়ী একুশে পদকপ্রাপ্ত আলহাজ্ব মোহাম্মদ সুফি মিজানুর রহমান প্রতিহিংসার শিকার হবেন না তাতো হতেই পারেনা।  যার কারণে জুলাই আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী করা হলো উনাকে। ঢাকা আলিয়ার এক শিক্ষার্থীকে পতিত স্বৈরাচারের পালিত প্রশাসন ও সন্ত্রাসীরা আক্রমন করেছে, সেখানে এ রকম মহান মানুষের সম্পৃক্ততা কিভাবে সম্ভব? আল্লাহকে ভয় করুন। একমাত্র তিনিই যাকে ইচ্ছে ক্ষমতা দান করে ইজ্জত দান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেন। আমরা অনতিবিলম্বে সুফি সাহেবের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা অবলোকন করছি, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যেখানে উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কিছু উগ্রবাদী ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ পোষণ করছি। আমি বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, সুন্নী জনতা আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়, তাদেরকে জোর করে প্রতিপক্ষ বানানোর পরিণাম ভালো হবে না। সুন্নীয়তের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত চলমান এই ষড়যন্ত্র বন্ধ নাহলে সুন্নী জনতা রাজপথে ফায়সালা করে ফিরবে। অবিলম্বে এই মামলা বানিজ্য বন্ধ করুন। 


আরও খবর

মাইজভান্ডারির মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫




শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

চাঞ্চল্যকর শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চার্জ গঠন করেছে। আগামী ২৭ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হলো।

২৩ এপ্রিল সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে মামলার যেসব ডকুমেন্টস আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট হয়ে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন।

তিনি জানান, ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে তিনি নিজেই আজ এ মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।

জেলার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। গত ৬ মার্চ যখন শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তখন তার জ্ঞান ছিল না। পরে এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন হলে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়।

গত ৮ মার্চ শিশুটির মা চারজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে তার সঙ্গে হত্যার অভিযোগও যুক্ত হয়। মামলার আসামিরা এখন কারাগারে আছেন।


আরও খবর



ঈদে চলবে যাত্রীবাহী বিশেষ ১০টি ট্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ট্রেনগুলো ঈদের আগে তিন দিন (৪-৬ জুন) এবং ঈদের পরে ছয় দিন (৯-১৪ জুন) পর্যন্ত চলবে। রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত অংশীজন সভায় এ তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।

ফাহিমুল ইসলাম জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ সুবিধার্থে বাড়তি ৫ জোড়া অর্থাৎ ১০টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এ সময় নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনগুলো আগের মতোই চলবে।

বিশেষ ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী, যাত্রীবাহী চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ ও ২ চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৪-৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯-১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ চট্টগ্রাম থেকে দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ছেড়ে চাঁদপুর পৌঁছাবে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে। চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-২ চাঁদপুর থেকে রাত সাড়ে ৩টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে।

তিস্তা ঈদ স্পেশাল-৩ ও ৪ ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৪-৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯-১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। তিস্তা ঈদ স্পেশাল-৩ ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে দেওয়ানগঞ্জ পৌঁছাবে দুপুর সাড়ে ৩টায়। তিস্তা ঈদ স্পেশাল-৪ দেওয়ানগঞ্জ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে।

শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৫ ও ৬ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৫ ভৈরববাজার থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৬ কিশোরগঞ্জ থেকে বেলা ১২টায় ছেড়ে ভৈরববাজার পৌঁছাবে দুপুর ২টায়।

শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৭ ও ৯ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৬ ময়মনসিংহ থেকে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮টায়। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৮ কিশোরগঞ্জ থেকে বেলা ১২টায় ছেড়ে ময়মনসিংহ পৌঁছাবে দুপুর ৩টায়।

পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-৯ ও ১০ জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৪-৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯-১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-৯ জয়দেবপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে পার্বতীপুর পৌঁছাবে রাত আড়াইটায়। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-১০ পার্বতীপুর থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে জয়দেবপুর পৌঁছাবে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে।

তবে ঈদের পর পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-৯ জয়দেবপুর থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে পার্বতীপুর পৌঁছাবে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-১০ পার্বতীপুর থেকে রাত ১০টা ২০ মিনিটে ছেড়ে জয়দেবপুর পৌঁছাবে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১ মে'র আসন বিক্রি হবে ২১ মে; ১ জুনের আসন বিক্রি হবে ২২ মে; ২ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৩ মে; ৩ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৪ মে; ৪ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৫ মে; ৫ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৬ মে এবং ৬ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৭ মে।

যাত্রীদের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করার সব আন্তঃনগর ট্রেনের আসন সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা সব ট্রেনের আসন ২টায় বিক্রি শুরু হবে।


আরও খবর