Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

শীর্ষ মাদক কারবারিদের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ডিজিকে এক মাসের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মাদক ব্যবসার কারণে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়ার ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৮ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার মাদক ব্যবসার কারণে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়ার ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। রিটে অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, এনবিআরকে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ১১ জুন মাদক কারবারের কারণে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলো সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে রয়েছে।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯টি দেশের মাদকসংশ্লিষ্ট অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক হিসাব তুলে ধরেছে সংস্থাটি। অন্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নেপাল ও পেরু।

তখন ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ফেনসিডিল ঢুকত। একসময় ফেনসিডিলের জায়গা দখল করে হেরোইন। এখন দেশে ইয়াবার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবার চেয়ে ভয়ঙ্কর মাদক আইস দেশে ঢুকছে।

আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদকের অবৈধ অর্থপ্রবাহের দিক থেকে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এরপর যথাক্রমে রয়েছে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু ও বাংলাদেশ। মাদক এবং অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসির সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক এই হিসাব করেছে আঙ্কটাড।

তালিকায় এশিয়ার যে পাঁচটি দেশের নাম রয়েছে, এর মধ্যে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের পরেই আছে মালদ্বীপ ও নেপাল। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে আফগানিস্তান ও মিয়ানমার।


আরও খবর



তেহরানে থাকা ২৮ বাংলাদেশি পাকিস্তান সীমান্তে পৌঁছেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইরান ও ইসরায়েলের যুদ্ধে তেহরানে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানোর তালিকার ২৮ বাংলাদেশি পাকিস্তান সীমান্তে পৌঁছেছেন। সড়ক পথেই তারা সীমান্তে আসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতায় তারা সীমান্ত হতে শিগগিরই করাচি পৌঁছাবেন। সেখান থেকে বিমান যোগে দুবাই হয়ে তারা বাংলাদেশ ফেরার কথা রয়েছে।

দেশে প্রত্যাবর্তনের এ প্রক্রিয়ার শুরুতে আগ্রহী ৯২ বাংলাদেশির তালিকা তৈরি করে পাকিস্তান সরকারকে দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ২৮ বাংলাদেশি নাগরিকের ঢাকায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ২৮ জনের মধ্যে অসুস্থ, নারী, শিশু এবং ইরানে চিকিৎসা নিতে যাওয়ারা অগ্রাধিকার পাবেন। আপাতত তেহরানের বাংলাদেশের দূতাবাস দেশে ফিরতে আগ্রহীদের জড়ো করবে।


আরও খবর



প্রশংসায় ভাসছে ব্যতিক্রমী গল্পের নাটক 'সম্মান'

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

ঈদ মানেই আনন্দ। এই আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে প্রচার হয় নানা গল্প আর আমেজের নাটক। যার বেশিরভাগই থাকে হাস্যরস, রোমান্স আর থ্রিলারে ভরপুর। এসবের ভিড়ে আলাদা করে দাগ কাটে ব্যতিক্রমী কিছু কাজ। এবারের ঈদুল আজহায় প্রচার হওয়া তেমনি একটি নাটক 'সম্মান'।

একজন নীতিবান শিক্ষক ও তার প্রতি এক আদর্শ ছাত্রের সম্মান প্রদর্শন করার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এ নাটক৷ আকবর হায়দার মুন্নার গল্প অবলম্বনে নাটকটির চিত্রনাট্য করেছেন লিমন আহমেদ। দারুণ মুন্সিয়ানায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা তপু খান।

ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হওয়া এই নাটকে শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বরেণ্য অভিনেতা তারিক আনাম খান। তার ছাত্রের ভূমিকায় আছেন ফারহান আহমেদ জোভান। এতে জোভানের বিপরীতে জুটি বেঁধেছেন কেয়া পায়েল। মূল তিনটি চরিত্রই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে দর্শকের মনে।

১৩ জুন প্রচার হওয়া নাটকটি এরইমধ্যে ৫ লাখেরও বেশি দর্শক উপভোগ করেছেন। অদ্ভুত বিষয় হলো ১৬ হাজারেরও বেশি লাইক পড়া নাটকটিতে একটিও ডিজলাইক নেই৷ সাড়ে ৯ শতাদিক মন্তব্যের সবই নাটকটির বাস্তবধর্মী গল্প ও প্রধান তিনটি চরিত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিশেষ করে শিক্ষক চরিত্রে তারিক আনাম খান ও ছাত্রের চরিত্রে জোভানের অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটেছে।

নাটকটির প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে নির্মাতা ও লেখক ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন, ‘মুন্না ভাই ও তপু খানের ‘সম্মান’ দেখলাম। দারুণ গল্প। জোভান অভিনেতা হিসেবে তার শতভাগ দিয়েছেন। কেয়া পায়েল সবসময়ই সাবলীল, প্রাণবন্ত। আর যার কথা বলতে একটু আয়োজন করে নিতে হয়, তিনি তারিক আনাম খান। আমি সবসময়ই ওনাতে মুগ্ধ। এখানে কেবল বাড়িয়েছেন সেটা। সব মিলিয়ে ‘সম্মান’ এই ঈদের ভালো নাটকের তালিকার একটি।

ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেলে নাটকটির মন্তব্যের ঘরে রাফি আহমেদ নামে এক দর্শক লিখেছেন, 'সম্মান নাটকটি এক কথায় বাস্তব জীবনে আমাদের শিক্ষক এবং গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও তাদের গুরুদক্ষিণা দেওয়ার পরিপূর্ণ দৃষ্টান্ত প্রকাশ করে।

কৌস্তব সান্ত্রা নামে ভারতীয় এক দর্শক নাটকটি দেখে মুগ্ধতা জানিয়ে লিখেছেন, 'কাঁটাতারের ওপার থেকে এ সম্মান নাটকটি দেখলাম। এই বছর ঈদের সেরা সেরা নাটক এই 'সম্মান' হওয়া উচিত। বাস্তব জীবনে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা তো এখন আর দেখাই যায় না খুব একটা। আমি বিগত ৭ বছর ধরে বাংলাদেশের নাটকগুলো দেখি নিয়মিত। এক কথায় অসাধারণ।

মিজানুর নামে একজন লিখেছেন, 'হয়ত একদিন জোভান ভাইয়ের মনে থাকবে না এমন একটি নাটকে তিনি অভিনয় করেছিলেন। বর্তমান সময়ে শিক্ষকের প্রতি সম্মান আগের মতো নাই। বর্তমান সমাজটা কেমন একটা হয়ে যাচ্ছে। অসাধারণ সুন্দর একটি নাটক।'

শেখ বিথি নামের এক দর্শক তার ভালো লাগা জানিয়ে লিখেছেন, 'নাটক টা দেখার সময় চোখে পানি চলে এসেছে। শিক্ষকের পেশা সর্বোচ্চ সম্মানের পেশা। আমাদের দায়িত্ব তাদের সম্মান, শ্রদ্ধা করা। ভালো থাকুন আমাদের সব শিক্ষকরা।

আদৃতা নামের এক দর্শক লেখেন, 'এ ধরনের নাটকের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত।

রবিউল ইসলাম নয়ন থাকেন মিশরে। সেখান থেকে নাটকটি উপভোগ করেছেন তিনি। নিজের অনুভূতি জানিয়ে লিখেছেন, 'নাটকটি রিলিজ হবার ১ ঘণ্টা পরই দেখা শুরু করলাম। পুরো নাটকই কান্না করে দেখেছি। এমন সৎ নিষ্টবান শিক্ষকের ছাত্র রাফিরা হাজার বার জন্মাক। তাহলেই আমাদের দেশ থেকে সুদ ঘুষ অন্যায় অবিচার সমাজ থেকে উঠে যাবে।

এ নাটক নিয়ে পরিচালক তপু খান বলেন, 'গতানুগতিক ভাবনার বাইরে গিয়ে একটা কাজ করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। জানি এ ধরনের কাজগুলো ভিউ কম পায়। তবে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আমরা নাটকটি তৈরি করেছি। সে জায়গা থেকে আমরা সফল। শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের কতোটা শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত, একজন আদর্শ শিক্ষক কেমন হওয়া উচিত সেই গল্প নিয়ে 'সম্মান' নাটক। যারা নাটকটি দেখেছেন সবাই প্রশংসা করছেন৷ এটাই আমাদের প্রশান্তি। বিশেষ করে তারিক আনাম স্যার, জোভান ও কেয়া পায়েলের অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করেছে৷

নাটকটি পছন্দ করার জন্য দর্শককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারিক আনাম খান, জোভান, কেয়া পায়েলসহ 'সম্মান' নাটকের পুরো টিম৷


আরও খবর



সংস্কার কাজে আলোচনার চেয়ে খাওয়াদাওয়া বেশি হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে চলা সংস্কার কার্যক্রমে আলাপআলোচনার চেয়ে খাওয়াদাওয়া বেশি হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি বিশ্বাস করে, চূড়ান্তভাবে আমরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বীজ বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা জানতাম ফ্যাসিবাদের পতন হবে। কিন্তু কবে, কখন ও কোন পদ্ধতিতে হবে, সেটা আমাদের জানা ছিল না।

সংস্কার প্রশ্নে বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দশ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না, এ প্রস্তাবে বিএনপি একমত হয়েছে। এখানেই ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়া হলো। এরপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে সেটি হবে গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।

গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে মালিকের চাকরি না করে বিবেকের চাকরি করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

নির্বাচন কমিশন সত্যিকারের নির্বাচন পরিচালনা করতে পারলে ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়া যায় বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা। শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করলেই ফ্যাসিবাদী কাঠামো রুখে দেওয়া যায় না, বলেন তিনি।


আরও খবর



গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক ভর্তি শুরু২২ জুন

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২২ জুন। চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমসহ আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১২ জুন।

‎সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে  গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

‎গুচ্ছের আহ্বায়ক আরো জানান , গুচ্ছের প্রাথমিক ভর্তি (নন-প্রাকটিক্যাল বিষয়) শুরু হবে ২২ জুন এবং চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। অপরদিকে বিশেষায়িত বিষয়গুলির (চারুকলা, সংগীত, নাট্যকলা ও পরিবেশনা‌ বিদ্যা, চলচ্চিত্র ও মিডিয়া এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান) প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা ও কোটার ভেরিফিকেশন শুরু ২১ জুন থেকে ২৮ জুনের মধ্যে।

‎ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে ৩০ জুনের মধ্যে। তিনি আরো বলেন, চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে ২৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত‌ এবং ক্লাস শুরু করার সম্ভাব্য দিন নির্ধারিত হয়েছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে।

‎এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবছরও দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে।  বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য—এই তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি মেধাতালিকা তৈরি করা হয়, যার ভিত্তিতে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।

‎গুচ্ছ পদ্ধতির এই ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

‎ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তি সংক্রান্ত নোটিশ এবং অন্যান্য নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে ও গুচ্ছের অফিশিয়াল পোর্টালে প্রকাশ করা হবে।

‎বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ যাতে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও জটিলতা-মুক্তভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫৯% বাড়ির পয়োবর্জ্য যাচ্ছে জলাশয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

একসময় রাজধানী ঢাকার খাল, পুকুর, জলাশয় ও নদীগুলো প্রাকৃতিক পানিনিষ্কাশন ও জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ আধার ছিল; কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্প ও পয়োবর্জ্য পরিশোধন না করেই অপসারণের ফলে এসব জলাধার এখন চরম দূষণের শিকার। যা নগরের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ৫৯ শতাংশ বাড়ির পয়োবর্জ্য (মল ও প্রস্রাব) সরাসরি নালা, খাল ও জলাধারে ফেলা হচ্ছে। এসব বাড়ি ঢাকা ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন নালার আওতার বাইরে। নিয়ম অনুযায়ী, এমন ভবনের পয়োবর্জ্য সেপটিক ট্যাংকে রেখে পরিশোধনের বিধান রয়েছে; কিন্তু তা না করে গোপনে পয়োবর্জ্য ফেলা হচ্ছে করপোরেশনের নালায়। যা পরে খাল হয়ে জলাশয় কিংবা নদীতে গিয়ে মিশছে।


ঢাকা উত্তর সিটির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২ হাজার ৯৬৯টি বাড়িতে এ জরিপ চালানো হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ ১ হাজার ৭২৮টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি নালায় দেওয়া হয়েছে। ৩০৯টি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকলেও তা কার্যকর নয়। জরিপে মাত্র ৩০ শতাংশ বাড়িতে অর্থাৎ ৯১১টি বাড়িতে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক পাওয়া গেছে।


ঢাকা উত্তর সিটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডটি বারিধারা, নর্দ্দা ও কালাচাঁদপুর এলাকা নিয়ে গঠিত। ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা বারিধারার ১ হাজার ১০১টি বাড়ির মধ্যে ৪৮২টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি নালায় দেওয়া হয়েছে। যা মোট বাড়ির প্রায় ৪৪ শতাংশ। এ এলাকার ৩০৯টি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক কার্যকর নয়।


বারিধারা ছাড়াও গুলশান এলাকার ৭০ শতাংশ বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি নালায় ফেলা হচ্ছে। গুলশানের ৫২৪টি বাড়িতে জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে ৩৬৭টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি নালায় পাওয়া যায়। মহাখালী দক্ষিণপাড়া এলাকার ৮৩ শতাংশ বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি নালায় ফেলা হয়। এলাকাটির ৫৬৯টি বাড়ির মধ্যে ৪৬৮টি বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি নালায় ফেলতে দেখা যায়।


* জরিপটি চালানো হয় গুলশান, বনানী, বারিধারা, নিকেতন, মহাখালী, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, বাড্ডা, খিলগাঁও, মালিবাগ, ইস্কাটন ও মধুবাগ এলাকায়।

* বারিধারা ছাড়াও গুলশান এলাকার ৭০ শতাংশ বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি নালায় ফেলা হচ্ছে।


ওয়াসার পয়োনালা থেকে জলাশয়ে

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন নালার সঙ্গে ৩ হাজার ১৯৬টি বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ পাওয়া গেছে।


২০২৩ সালের জুলাই মাসে আফতাবনগরের কাছে দাশেরকান্দিতে ৫০০ মিলিয়ন লিটার পয়োনিষ্কাশন ক্ষমতাসম্পন্ন পয়ঃশোধনাগার বা এসটিপি (সু৵য়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) চালু করে ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী দাশেরকান্দি এসটিপিতে তেজগাঁও, নিকেতন, বাড্ডা, বনানী, গুলশান (অংশ), বনানী, রমনা, ইস্কাটন, নয়াটোলা, মগবাজার, ওয়্যারলেস, মৌচাক, আউটার সার্কুলার রোড, মহানগর হাউজিং, হাতিরঝিল, কলাবাগান ও ধানমন্ডি (আংশিক) এলাকার পয়োবর্জ্য শোধন করবে। অর্থাৎ জরিপ চালানো বেশির ভাগ এলাকার পয়োবর্জ্য দাশেরকান্দিতে শোধন করা হবে; কিন্তু দাশেরকান্দিতে পয়োবর্জ্য নিতে এখনো পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়নি।


দূষিত হচ্ছে খাল, নদী ও জলাশয়:


ঢাকার খাল ও জলাশয়ের দূষণ নিয়ে বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট (আইডব্লিউএফএম) ২০১৯ সালে ‘স্টাডি অন আরবান ওয়াটার বডিস অ্যান্ড পলিউশন ইন ঢাকা’ শিরোনামে একটি গবেষণা চালায়। তাতে দেখা যায়, শহরের ৪০টির বেশি খাল দূষণে প্রাকৃতিক অবস্থা হারিয়ে ফেলেছে। অনেক খাল নর্দমায় পরিণত হয়েছে। এই দূষণ মূলত অপরিশোধিত পয়োবর্জ্য সরাসরি খালে ফেলার কারণে।


‘রিভার পলিউশন অ্যান্ড সোশ্যাল ইনিকুইটিস ইন ঢাকা’ শিরোনামে ২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুষ্ক মৌসুমে তুরাগ ও টঙ্গী খালের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা প্রতি লিটারে ১ মিলিগ্রামে নেমে আসে। যেখানে পানিতে প্রাণ ধারণের জন্য ন্যূনতম ৫-৬ মিলিগ্রাম প্রয়োজন। একই সঙ্গে নদীর পানিতে ব্যাপক মাত্রায় অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট ও ফিকাল কলিফর্ম পাওয়া গেছে। এসবের প্রধান উৎস পয়োবর্জ্য। এগুলোর কারণে পানিবাহিত রোগ ছড়ায়।


পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি লিটার (৬০ হাজার ঘনমিটার) অপরিশোধিত তরল বর্জ্য সরাসরি নদী ও জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে নদীর পানি এখন পানযোগ্য তো নয়ই, কৃষিকাজ, গোসল বা মাছ চাষের জন্যও অযোগ্য হয়ে উঠেছে।


পয়োবর্জ্য কোনোভাবেই সরাসরি লেক অথবা খালে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। অথচ বছরের পর বছর নগরজুড়ে নির্বিচারভাবে এটাই হয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ ও নগর সংস্থাগুলো যেন ঘুমিয়ে আছে। যার ফলে ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদে বর্জ্য ও দূষণ বেড়েছে মারাত্মকভাবে।


কর্তৃপক্ষের গাফিলতি-ব্যর্থতা:


ঢাকার খাল-জলাশয়ে প্রাণ ও জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব এখন মারাত্মক হুমকির । স্বেচ্ছাচারী নগরায়ণের পাশাপাশি ওয়াসার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির অভাব, রাজউক ও ঢাকা দুই সিটি কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও ব্যর্থতায় অধিকাংশ এলাকায় পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছে। ফলে ঢাকার বাসাবাড়ি ও শিল্পকারখানার পয়োবর্জ্যসহ অন্যান্য বর্জ্য নালা-নর্দমা আর খাল-জলাশয়ে সরাসরি নিষ্কাশিত হচ্ছে।


ইমারত বিধিমালা, বিল্ডিং কোড ও স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী রাজধানীর পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাসাবাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক করার কথা। পয়োবর্জ্য কোনোভাবেই সরাসরি লেক অথবা খালে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। অথচ বছরের পর বছর নগরজুড়ে নির্বিচারভাবে এটাই হয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ ও নগর সংস্থাগুলো যেন ঘুমিয়ে আছে। যার ফলে ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদে বর্জ্য ও দূষণ বেড়েছে মারাত্মকভাবে।


দূষণ ঠেকাতে বাসাবাড়িতেই পয়োবর্জ্য শোধনের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা দরকার।


আরও খবর