Logo
শিরোনাম

সমাজ বদলাতে চরিত্রের পরিবর্তন প্রয়োজন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক :

প্রতিদিন শিশু, বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। শিক্ষক, পেশাজীবী সব শ্রেণির মানুষ প্রায় সময় দেখা যাচ্ছে ধর্ষণে জড়িত। ইদানীং মাদরাসা অধ্যক্ষ, শিক্ষককে দেখা যাচ্ছে বেশি ধর্ষণে জড়িত হতে। অথচ মাদরাসা শিক্ষক হচ্ছে ইসলামি শিক্ষার গুরু।

সমাজে ভালো কাজের উপদেশ, ধর্মীয় শিক্ষা, ধর্মীয় জ্ঞান মাদরাসা শিক্ষকরা যুগ যুগ ধরে দিয়ে আসছেন। কলেজ, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের ঘৃণ্য খারাপ কাজে নিয়োজিত হতে প্রায় পত্রিকায় খবরে প্রকাশ পাচ্ছে। ধর্ষণ এই চিত্র আজকাল বেশি বেশি প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু অনেকে বলেন, ধর্ষণ আগেও সমাজে ছিল। তখন নারী সমাজ প্রতিবাদ করত না, তা প্রকাশ পেতও না। তখন নারী সমাজ শিক্ষিত, প্রতিবাদ শিখেছে। তাদের সাহস হয়েছে। তাই ঘটনা খবরের কাগজের খবর হয়ে প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে।
অনেকে বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি রয়েছে। ঘটনা ঘটছে। তা ওইসব দেশে তেমন প্রকাশ পায় না। কিন্তু আমাদের দেশে প্রকাশ বেশি। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারতেও যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ঘটনা বেশ ঘটছে। প্রকাশও পাচ্ছে। নারী জাতিকে স ষ্টা অনেক বেশি সম্মান, মান-মর্যাদা ও অধিকার দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু আমরা কি সেই সম্মান রক্ষা করে চলতে পারছি। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয় নারীকে সম্মান অধিকার দিয়ে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ উন্নত দেশগুলোয় এখন নেই। শুধু অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে নারী এখনও অবহেলিত।
একসময় আমাদের দেশে নারীদের এসিড মেরে আহত করার বেশ প্রচলন হয়েছিল। প্রতিদিন যুবকরা কিছু কিছু নারীকে যৌন হয়রানি করত। প্রেমের ভ্রান্ত দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হলে তখন এসিড মেরে ওই নারীকে আহত করত। এখন বেশ কম দেখা যায় এসিড নিক্ষেপ। কেন এসিড নিক্ষেপ কমল। কী কারণ রয়েছে এর পেছনে। সমাজ বিজ্ঞানীরা তখনও এ বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করেননি। নিশ্চয় এসিড নিক্ষেপ কমে যাওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
এখনও আমাদের সমাজে অনিয়ম, অন্যায়, আইন অমান্য, ঘুষ, দুর্নীতি নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিন অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্যের নানা খবর দেশে আসছে। বর্তমান সরকারও এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার। দুর্নীতি দমন কমিশনও এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সক্রিয়। বেশ কিছু মামলা হয়েছে। অনেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। নতুন নতুন অনুসন্ধান চলেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। পত্রপত্রিকায়ও প্রকাশ পাচ্ছে। সরকারও বেশ কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে বলে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি বেশ কম হচ্ছে। কেন এ অবস্থার সৃষ্টি হলো। কিংবা আমাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
বাংলাদেশি বিপুলসংখ্যক ধনী ব্যক্তি সুইস ব্যাংকে প্রচুর অর্থ জমা রেখেছেন। ব্যাংকে অর্থ কীভাবে জমা হয়েছে, তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। শুধু যে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে তা নাও হতে পারে। এই অর্থ বিদেশে উপার্জিত অর্থ থেকেজমাও হতে পারে। শুধু যে পাচারের টাকা জমা হয়েছে তা নয়।

কেন এসব ঘটছে :

 আমরা এগিয়ে চলেছি। আমাদের চরম উন্নতি হচ্ছে বলে আমাদের রাষ্ট্রীয় ঘোষণা রয়েছে। রাষ্ট্র এগিয়ে চলেছে। কিন্তু জনগণ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে যেন বারবার হোঁচট খাচ্ছে। চলতি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-দীক্ষা ও উন্নয়নে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই পাশাপাশি দেশের সমাজব্যবস্থায় বিভিন্ন কারণে বাড়ছে অস্থিরতা, বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা, বাড়ছে হতাহতের ঘটনা।
খবরের কাগজ উল্টালেই চোখে পড়ছে ধর্ষণ, আত্মহত্যা, খুন, শিশু নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, মাদক, মারামারি আর হানাহানির খবর। সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ মূল্যবোধ তথা মানুষগুলোর নৈতিক অবক্ষয়। পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধন ঢিলে হয়ে যাওয়া এবং অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার
বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য।


বাড়ছে পারিবারিক কলহ: পরিবার আমাদের সমাজব্যবস্থার অন্যতম মূল ভিত্তি। এ সময়টায় বিভিন্ন কারণে পারিবারিক কলহের ঘটনা বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে পরিবারের এক সদস্যের হাতে আরেক সদস্যের খুন হওয়ার ঘটনা। স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরে প্রাণ দিতে হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুদের।

পারিবারিক কলহের কারণে পরিবারের সবাই একসঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। মানুষ এখন শুধু ঘরের বাইরেই নয়, তার আপনজনদের কাছেও নিরাপদ নয়। বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ বিভাগের তথ্যানুযায়ী বছরে মোট হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৪০ শতাংশ সংঘটিত হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে।


অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলছেন
: অভাব-অনটন, অর্থের প্রতি প্রবল দুর্বলতা, চাওয়া-পাওয়ার অসংগতির কারণে দাম্পত্য কলহ ও স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসহীনতা, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অস্থিরতা, অন্য দেশের সংস্কৃতির আগ্রাসন, স্বল্প সময়ে ধনী হওয়ার আকাক্ষা, বিষন্নতা ও মাদকাসক্তিসহ বিভিন্ন কারণে সামাজিক অশান্তি বাড়ছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশে প্রতিদিন গড়ে খুন হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ জন। আর এর অধিকাংশই পারিবারিক ও সামাজিক অস্থিরতার কারণে।


মনোবিজ্ঞানী মোহিত কামাল জানান
: সমাজে কেউ অপরাধী হয়ে জন্ম নেন না। মানুষ অপরাধী হয়ে ওঠে পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে। বেশিরভাগ সময়ে সে পরিবেশ তার কাছের মানুষরাই তৈরি করে দেয়। কখনও কখনও সমাজে মানুষদের আচরণ, অসহযোগিতার কারণে পরিবারে, সমাজে দ্বন্দ্ব সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক যন্ত্রণা বা মনোকষ্টে ভুগলে এসব হতে পারে। এ জন্য কাউন্সিলিং দরকার। প্রত্যেককে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।


একাকিত্ব থেকে অশান্তি: একাকিত্ব মানসিক বিষন্নতা সৃষ্টির অনেক বড় একটা কারণ। অনেক সংসারেই স্বামীরা বুঝতে পারেন না তার কাজের ব্যস্ততার কারণে স্ত্রীকে একদম সময় দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য অফিসে গেলে মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে ফোন দিতে হবে। মাঝে মধ্যে কী করছে না করছে সেটির খোঁজ নিতে হবে।

অফিস থেকে আসতে দেরি হলে বাসায় জানাতে হবে। নিজের ব্যস্ততার বিষয়টি স্ত্রীকে বোঝাতে হবে। আবার স্ত্রীকেও স্বামীর ব্যস্ততা বুঝতে হবে। ব্যস্ততার মাঝেও সপ্তাহে অন্তত একটা দিন স্ত্রীকে নিয়ে বিনোদনের জন্য পার্ক বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখা, রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কোনো কারণে স্ত্রী যদি বুঝতে পারে তার স্বামী তাকে যথেষ্ট সময় দিচ্ছেন না, তাহলে তাদের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টিই হবে। একাকিত্বের ফাঁদে পড়ে মেয়েরা অনৈতিক কোনো সম্পর্ক বা মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।


দাম্পত্য জীবনে অতৃপ্তি: বিয়ে বা সাংসারিক জীবনে কোনোভাবেই যৌনতাকে বাদ দেওয়া যাবে না। বরং যৌনতাকে ঘিরেই দাম্পত্য জীবনে গতি আসে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনো সংসারে অভাব-অনটন থাকলে যতটা অশান্তি হবে তার চেয়ে ভয়াবহ অশান্তি হবে যদি কোনো দম্পতির যৌনজীবন সুখের না হয়। পরকীয়া বা বিবাহ বিচ্ছেদের সবচেয়ে আদিম কারণ শারীরিক চাহিদা অপূর্ণ থাকা।
 স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি, হতাশা বা দূরত্ব বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হলো শারীরিক চাহিদা অপূর্ণ থাকা। আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলে জানে না, একটা মেয়েকে কীভাবে শারীরিকভাবে সুখী করতে হয়। অনেকেই জানেন না, আদিম এই খেলায় ছেলের পাশাপাশি মেয়েরও পরিপূর্ণতা বা সন্তুষ্ট হওয়ার একটা ব্যাপার আছে।

মেয়েদের অর্গাজম ঘটানোর ব্যাপারেও উদাসীন ছেলেরা। ছেলেদের যৌনজ্ঞানের অভাব মেয়েদের চরমানন্দ থেকে বঞ্চিত করে। এভাবে দিনের পর দিন মেয়েরা বঞ্চিত হতে হতে একটা সময় তাদের মধ্যে এক ধরনের উদাসীনতা বা হতাশার সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশের ছেলেরা মনে করে, মেয়েরা শুধু ভোগের বস্তু।
বিছানায় নিজের সন্তুষ্টি অর্জন হলেই সব শেষ। সঙ্গীর জৈবিক চাহিদার ব্যাপারে কোনো তোয়াক্কা নেই। এরকম ঘটনা যে শুধু ছেলেদের ক্ষেত্রেই ঘটে, সেটি নয়। অনেক মেয়েও তার সঙ্গীর শারীরিক চাহিদা পূরণে সচেতন, কিংবা আগ্রহী নন। এই শারীরিক অপূর্ণতাই পর-পুরুষ বা পর-নারীতে আগ্রহের সৃষ্টি করে। কাজেই শারীরিক চাহিদা পূরণের ব্যাপারে উভয়কে সচেতন হতে হবে।


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




সচেতন ছাত্র সমাজ কর্তৃক বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন:

সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলায়  বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল, মাদ্রাসা,  সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও   গণিত অলিম্পিয়াডের আমেজ ছড়াতে “ সচেতন ছাত্র সমাজ (সিএসএস)” এর উদ্যোগে  বিজ্ঞান ও গণিত উৎসব- ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল ) সম্ভূদিয়া বহুমুখী  উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উক্ত বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড  উৎসব- ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে  ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী জুনিয়র, নবম-দশম শ্রেণী   মোট ২ টি ক্যাটাগরিতে সিএসএস কর্তৃক নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয় । এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ৫ এপ্রিল ।

সম্ভূদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসরুমে সকাল ১০.৩০ টা থেকে বেলা ১১.৩০ টা  পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে এই বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল ৯ টার সময়  মাঠে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন।

বিজ্ঞান ও গণিত  অলিম্পিয়াড উৎসব জুনিয়র  ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ৫০ জন ও সিনিয়র  ক্যাটাগরিতে বিজয়ী  ৫০ জন । 

অনুষ্ঠান শেষে CSS কর্তৃক বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড উৎসব প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে বিজয়ীদেরকে পুরষ্কার হিসেবে বই, টি শার্ট ক্রেস্ট, মেডেল এবং সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার  বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল  বিশেষ অতিথি,  সন্মানিত  অতিথিবৃন্দ আর সিএসএস সদস্যবৃন্দ ও অভিভাবকবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা BDTODAYS নিউজকে বলেন, “সচেতন ছাত্র সমাজ ” এর উদ্যোগে আয়োজিত “বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড” আয়োজনটি খুব সুন্দর ভাবে নিয়েছেন এবং বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা  থেকে আগত শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতাসহ সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ঈদের চাল বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বিশেষ ভিজিএফ চাল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। 

রবিবার সকাল থেকে এ সব চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. সাইফুল ইসলাম। ইউপি সচিব মো. সালাহউদ্দিন, ট্যাগ অফিসার মো.রিয়াজুল ইসলাম।

১৭৯৩ জন নারী পুরুষ সুবিধাভোগীরা নিচ্ছেন ১০ কেজি করে চাল।

এ চাল বিতরণকালে অন্যনোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুর রহিম মৃধা, আবু বকর ফরাজী, মো. কাওসার হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পারভীন বেগম।

চাল বিতরণকালে সকল সুবিধাভোগীদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য,  জন্য দোয়া চেয়েছেন।


আরও খবর



কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর



নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা ফিরিয়ে আনছে তালেবান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আফগানিস্তানে এবার নারীদের পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা ফিরিয়ে আনল তালেবান সরকার। ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে তাদের পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে। গত শনিবার (২৩ মার্চ) রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক অডিওবার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই ঘোষণা দেন। দ্যা গার্ডিয়ান।

টেলিগ্রাফের হাতে আসা এক ভিডিওতে আখুন্দজাদা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যে ওকালতি করছে তা শরিয়াহবিরোধী। আপনারা বলছেন, পাথর মেরে হত্যা করা নারী অধিকারের লঙ্ঘন। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারের শাস্তি কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব। তিনি আরও বলেন, কাবুল দখল নিয়েই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু মাত্র। তার এমন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ থাকায় এমন পদক্ষেপ নিতে পারছে তালেবান সরকার।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন সাফিয়া আরেফি। তিনি একজন আইনজীবী এবং আফগান মানবাধিকার সংস্থা উইমেনস উইন্ডো অব হোপের প্রধান। তার মতে, এ ঘোষণাটি আফগান নারীদের ১৯৯০-এর দশকে তালেবান শাসনের অন্ধকারতম দিনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখন তালেবানদের শাস্তি থেকে তাদের বাঁচাতে কেউ তাদের (নারীদের) পাশে দাঁড়াচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারী অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিতে নীরব থাকতে চাইছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একজন আফগান গবেষক সাহার ফেত্রাত বলেছেন: দুই বছর আগে, নারীদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করার সাহস তাদের ছিল না; এখন তারা তাও করবে। তারা তাদের কঠোর নীতিগুলো একে একে পরীক্ষা করেছে এবং এটি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে কারণ তাদের অপব্যবহারের জন্য দায়ী করার মতো কেউ নেই।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে কোনো প্রবেশাধিকার নেই। একজন তরুণ ছাত্রীর বরাত দিয়ে জানা যায়, দেশটিতে অনেক পরিবারের জন্য মেয়েদের একমাত্র ভবিষ্যৎ হলো বিয়ে। তাদের মধ্যে হতাশা ব্যাপক। গত দুই বছরে মেয়েদের আত্মহত্যার হার অনেক বেড়েছে। এটা দুঃখজনক।


আরও খবর



শিক্ষার ব্যয় বেড়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় আগের বছরের তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এডুকেশন ওয়াচ২০২৩ শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি২০১০ প্রণয়ন কমিটির কোচেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গবেষণা দলের প্রধান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ বক্তব্য দেন।

প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক ও গবেষক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন গবেষণার পর্যালোচক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, গবেষক দলের সদস্য সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, মো. আহসান হাবিব।

গবেষণার তথ্য বলছে, সামগ্রিকভাবে ২০২১ সালে সর্বস্তরে প্রায় ৪৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর (কওমি মাদ্রাসা ব্যতীত) মধ্যে ৪২ শতাংশ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ৩৮ শতাংশ সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং ২০ শতাংশ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শিশুদের শিক্ষার জন্য পারিবারিক ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান ধারা, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি, প্রাইভেট টিউটর, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ও স্টেশনারিসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পারিবারিক খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

২০২২ সালের জানুয়ারিডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিশুর শিক্ষার জন্য বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, যেখানে গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। একই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পরিবারের ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। উভয় স্তরেই প্রধানত ব্যয় হয়েছে প্রাইভেট টিউটরের বেতন ও গাইডবই বা নোটবই বাবদ।

২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় আগের বছরের (২০২২) তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে।

প্রাথমিক স্তরে প্রায় ৪১ শতাংশ অভিভাবক এবং মাধ্যমিক স্তরে ১৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, প্রতি সন্তানের জন্য তাদের মাসিক ব্যয়ের সামর্থ্য ছিল ২ হাজার টাকার মধ্যে, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের গড় ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম।

শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা উপার্জনের মাধ্যমে তাদের পরিবারে আর্থিক অবদান রাখে, যা তাদের ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে দারিদ্র্যকেই নির্দেশ করে। ঝরেপড়ার কারণসমূহ দূর করতে এবং স্কুলে কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্কুলের লেখাপড়ার মান গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে এবং তা পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী হতে হবে।

সুপারিশে বলা হয়, পারিবারিক সহায়তা এবং শিক্ষা ব্যয়ের বোঝা কমানো প্রাইভেট টিউটরিং, কোচিং, বাণিজ্যিক গাইডবই এবং বিভিন্ন স্কুল ফির ক্রমবর্ধমান খরচ পরিবারগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে, যা বৈষম্য এবং শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই পদক্ষেপগুলো হলো :

মনিটরিং ও গাইডেন্স : শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমের মনিটরিং, প্রাইভেট টিউটরিং এবং গাইডবই নির্ভরতা কার্যকরভাবে হ্রাস করা। অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের মুখস্থভিত্তিক শিখন থেকে নিবৃত্ত করে প্রকৃত জ্ঞান আরোহণের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করা।

পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য বাড়তি সহায়তা : যারা পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছে তাদের জন্য অতিরিক্ত পাঠ এবং চাহিদাভিত্তিক সহায়তা দিয়ে সফল হতে সাহায্য করা।

ফি নিয়ন্ত্রণ : স্কুল কর্তৃক আরোপিত আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি নিয়ন্ত্রণ এবং দূর করার জন্য বিধান কার্যকর করা, যা পরিবারের ওপর আর্থিক বোঝা কমাতে এবং শিক্ষায় আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।

স্কুল মিল কর্মসূচির সম্প্রসারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল কর্মসূচি প্রবর্তন ও সমপ্রসারণ করা এবং সরকারি বাজেটের সহায়তায় মাধ্যমিক স্তরে ভর্তুকিযুক্ত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা। এই উদ্যোগের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলা এবং তাদের শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সুস্থতা বাড়ানো।

 

 


আরও খবর