Logo
শিরোনাম

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (কেবলা ক্বাবা ) জীবনি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কেবলা ক্বাবা ) মাইজভান্ডারী এর জন্ম হয় ১৮২৬ সালে আর মৃত্যু বরণ করেন ১৯০৬ সালে তিনি হলেন মাইজভান্ডারী তরীকার প্রতিষ্ঠাতা । সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ছিলেন একজন সুফি সাধক বা পীর । তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বেশি পরিচিত । তার অনুসারীগণ শুরু হতে যে সকল প্রচার প্রকাশনা বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপানো হয়েছে তাতে তার নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা ক্বাবা কাদ্দাছাল্লাহু ছিরহুল আজিজ (কঃ) লেখা আছে । তাছাড়াও তিনি গাউছুল আজম, হযরত কেবলা, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, বড় মৌলানা, খাতেমুল অলদ, শাই এ লিল্লাহ্ ইত্যাদি উপনামেও বিশেষভাবে পরিচিত বলে একধিক ভাষায় লিখিত বিভিন্ন লেখকের বই এবং নিবন্ধে উল্লেখ আছে ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী পহেলা মাঘ ১২৩৩ বাংলা সন , ইংরেজীতে ১৮২৬ সালের ১৫ই জানুয়ারী বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহর হতে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে তৎকালীন প্রত্যন্ত মাইজভান্ডার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন । তার পিতার নাম সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভান্ডারী আর মাতার নাম সৈয়দা খায়রুন্নেছা । তার পারিবারিক নাম ছিল সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ।

আহমদ উল্লাহর পুর্ব পুরুষ সৈয়দ হামিদ উদ্দিন গৌড় নগরে ইমাম এবং কাজীর পদে নিয়োজিত ছিলেন । গৌড় নগরে মহামারীর কারণে ১৫৭৫ সালে চট্রগ্রামের পটিয়া থানার কাঞ্চন নগরে বসতি স্হাপন করেন । তার নামানুসারে হামিদ গাঁও নামে একটি গ্রামও আছে । তার এক পু্ত্র সৈয়দ আব্দুল কাদের ফটিকছড়ি থানার আজিমনগর গ্রামে ইমামতি উপলক্ষে এসে বসতি স্হাপন করেন । তার পুত্র সৈয়দ আতাউল্লাহ পুত্র সৈয়দ তৈয়বুল্লাহর এবং পুত্র সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভাণ্ডার গ্রামে এসে বসতি স্হাপন করেন ।
আহমদ উল্লাহ গ্রামের মক্তবের পড়ালেখা শেষ করার পর ১২৬০ হিজরীতে উচ্চ শিক্ষার্জনের উদ্দেশ্যে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন । তিনি ১২৬৮ হিজরীতে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে পরীক্ষায় পাশ করেন । সেখানেই তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা সমাপন করে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত অতিথি বা বক্তা হিসাবে যথেষ্ট সুনামের সাথে ধর্মীয় প্রচার প্রচারণার কাজে লিপ্ত ছিলেন ।


তিনি শিক্ষা জীবন শেষে করে হিজরী ১২৬৯ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতের যশোর অঞ্চলের বিচার বিভাগীয় কাজী পদে যোগদান করেন এবং একই সঙ্গে মুন্সেফী অধ্যায়ন শুরু করেন । পরবর্তিতে ১২৭০ হিজরীতে কাজী পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি কলিকাতায় মুন্সী বু আলী মাদ্রাসায় প্রধান মোদাররেছ হিসাবে যোগদান করেন । পরবর্তি সময়ে মুন্সেফী পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে ছিলেন ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী হাদিস, তাফসির, ফিকহ, মন্তেক, হিকমত, বালাগত, উছুল, আকায়েদ, ফিলছফা, ফারায়েজ সহ যাবতীয় বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন । আরবী, উর্দু, বাংলা ও ফারসি ভাষায় তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন । ওয়ায়েজ এবং বক্তা হিসাবে তার নামডাক বিশেষ ভাবে ছডিয়ে পড়ে । অল্প কিছু দিন পরই তিনি আধ্যাত্মিক জীবন যাপনে আত্ম নিয়োগ করেন । তখন হতে তিনি বাকি জীবন একজন সুফি সাধক হিসাবে অতিবাহিত করেন ।

আহমদ উল্লাহ হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (কঃ)-এর বংশধর এবং উক্ত তরিকার খেলাফত প্রাপ্ত সৈয়দ আবু শাহামা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রঃ) নিকট বায়েত গ্রহনের মাধ্যমে বেলায়ত অর্জন করেন এবং সৈয়দ দেলওয়ার আলী পাকবাজ (রঃ) এর নিকট হতে এত্তাহাদী কুতুবিয়তের ক্ষমতা অর্জন করেন । তিনি দিনে দ্বীনি শিক্ষাদান এবং রাতে এবাদত ও রেয়াজতের মাধ্যমে সময় কাটাতেন । এভাবে কঠোর সাধনার ফলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ বেলায়ত অর্জন করেছিলেন ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী জীবদ্দশায় তার সুফি তরীকার দীক্ষা সমাজে মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে বহু সুফি প্রতিনিধি বা খলিফা নিয়োগ করেন বলে উল্লেখ রয়েছে ।
আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১২৭৬ হিজরীতে ৩২ বছর বয়সে আজিম নগর নিবাসী মুন্সী সৈয়দ আফাজ উদ্দিন আহমদের কন্যা সৈয়দা আলফুন্নেছা বিবির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । কিন্ত বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তার স্ত্রী মারা যান । সেই বছরই তিনি পুনরায় সৈয়দা লুৎফুন্নেছা বিবিকে বিয়ে করেন । ১২৭৮ হিজরী সালে তার প্রথম মেয়ে সৈয়দা বদিউন্নেছা বিবি জন্মগ্রহন করেন । কিন্তু মেয়েটি চার বছর বয়সে মারা যায় । এরপর তার আরোও একটি ছেলে জন্মগ্রহন করে অল্প দিনের মধ্যে মারা যান । অতঃপর ১২৮২ হিজরীতে দ্বিতীয় পুত্র সৈয়দ ফয়জুল হক (রঃ) এবং ১২৮৯ হিজরী সালে দ্বিতীয় কন্যা সৈয়দা আনোয়ারুন্নেছা জন্মগ্রহন করেন । তার দ্বিতীয় পুত্রও পিতার পুর্বে ইন্তেকাল করেন ।
আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১৯০৬ সালের ২৩শে জানুয়ারি ১৩১৩ বঙ্গাব্দ ১০ই মাঘ আশি বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন । মাইজভান্ডারেই তিনি সমাহিত হন এবং তার কবরের উপর বর্তমানে আধুনিক স্থাপত্য শৈলী খচিত মাজার বিদ্যমান ।


আরও খবর



কাজ শেষ, উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। টানেলটি এখন যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ‘এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী অক্টোবরে টানেলটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরে টানেলটি খুলে দেওয়া হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ১৪ আগস্ট জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরাসরি আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

৩৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলতে পারে।

টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। যার সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের অ্যাপ্রোচ রোডের পাশাপাশি ৭৪০ মিটারের একটি সেতু রয়েছে, যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে টানেলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে। এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে।

১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ হারে সুদে ৫,৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।


আরও খবর



ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনিশ্চিত!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের আগে উত্তাপ বাড়াচ্ছে মহাদেশীয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপ। গতকাল (বুধবার) পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছে হাইব্রিড মডেলের এই টুর্নামেন্টের। এই মুহূর্তে সবার নজরে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান লড়াই। শনিবার দল দুটির মহারণ হওয়ার কথা রয়েছে।

দেশ দুটির লড়াই নিয়ে বরাবরই উত্তেজনার বাতাবরণ তৈরি হয়। এবারও তার কমতি নেই। কিন্তু সব উত্তেজনায় বাধ সাধতে পারে বৃষ্টি।
জানা গেছে, শনিবার শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ পুরো সময় না হলেও ম্যাচের কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হতেই পারে। যদিও বৃষ্টির কথা মাথা রেখেই প্রস্তুতির কমতি রাখছে না সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা। মাঠ প্রস্তুত রাখা হচ্ছে, যাতে বৃষ্টি হলেও তাড়াতাড়ি খেলা শুরু করা যায়। মাঠের ধারেই রাখা হচ্ছে কভার।

ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছে ভারতীয় দল। কিন্তু পাল্লেকেলেতে আসার পথে তাঁরা দেখেছেন ঘন কালো মেঘ। রাজধানী কলম্বো ছেড়ে তা ক্রমশই এগিয়ে চলেছে ক্যান্ডির দিকে। বুধবার ক্যান্ডিতে সূর্যের আলো প্রায় দেখাই যায়নি।

সাধারণত বৃষ্টির কারণে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় খেলা হয় না। কিন্তু ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যেতে রাজি না হওয়ায় শ্রীলঙ্কাকেই কয়েকটি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি সব ভেস্তে দিতে পারে। এমনকী কলম্বোতে যে ম্যাচগুলো রয়েছে, সেখানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের বেশ কিছু ম্যাচ ভেস্তে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।এমনিতে পাল্লেকেলে স্টেডিয়াম বেশ দর্শনীয়। শ্রীলঙ্কার পাহাড়ি অঞ্চলে এই একটিই স্টেডিয়াম রয়েছে। ২০০৯ সালে উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে নিয়মিত এখানে ম্যাচ হয়। কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ার কারণেই এখানে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। আপাতত মাঠের পাশাপাশি দলগুলোর নজরও আকাশের দিকে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




হংকংয়ে তুমুল বৃষ্টি, ভাঙলো ১৪০ বছরের রেকর্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের মুখে পড়েছে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হংকং। ভারী এই বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরের বিভিন্ন রাস্তা, শপিং মল ও মেট্রো স্টেশন।

এমনকি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙেছে ১৪০ বছরের ইতিহাস। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুষলধারে বৃষ্টির পর হংকংয়ের বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এমনকি বৃষ্টির জেরে রাস্তা, শপিং মল এবং মেট্রো স্টেশনজুড়ে ব্যাপক রন্যা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় হংকং কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং কর্মীদের বাড়িতে থাকতে বলেছে।

রয়টার্স বলছে, ১৪০ বছর আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের এই বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহরের পাহাড়ি এলাকায় পানির ব্যাপক স্রোত দেখা দিয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ ভূমিধসের ঝুঁকির সতর্কতা জারি করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বেশ কিছু ভিডিওতে মুষলধারে বৃষ্টির পর শহরের রাস্তাগুলো কার্যত জলস্রোতে পরিণত হতে দেখা গেছে। অন্য একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, মেট্রো কর্মীরা একটি স্টেশনের নিচে রাস্তার স্তর থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহকে থামানোর চেষ্টা করছেন।

হংকং শহরের ক্রস হারবার টানেলও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া শহরের চা ওয়ান এলাকায় জলাবদ্ধ শপিং সেন্টারের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। হংকং অবজারভেটরি স্থানীয় সময় রাত ১১ টা থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত শহরে ১৫৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে।

এছাড়া আবহাওয়া ব্যুরো ভারী ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে এবং বলেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে হংকংয়ের প্রধান দ্বীপ কাউলুন এবং শহরের উত্তর-পূর্ব অংশে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, গত সপ্তাহে আছড়ে পড়া টাইফুন হাইকুইয়ের অবশিষ্টাংশের সাথে যুক্ত নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে চীনের গুয়াংডং উপকূলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে। আবহাওয়ার চরম এই পরিস্থিতি শুক্রবার অন্তত দুপুর পর্যন্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই চলমান দুর্যোগ পরিস্থিতিতে হংকংয়ের স্টক এক্সচেঞ্জ শুক্রবার সকালে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এমনকি দুপুর নাগাদ ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সতর্কতা বহাল থাকলে বিকেলের সেশনেও এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

হংকং শহরের নেতা জন লি বলেছেন, ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশে ভয়াবহ বন্যার বিষয়ে তিনি খুব উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত বিভাগকে ‘জোর প্রচেষ্টা’ দিয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সরকার বলেছে, ‘বিস্তৃত বন্যা এবং যানবাহন চলাচলে গুরুতর ব্যাঘাতের কারণে শুক্রবার সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।’


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পাওনা টাকা দিতে গিয়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাওনাদারের স্ত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে এক যুবক। গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ডাবলু প্রামাণিক (২৭) নামের অভিযুক্ত যুবক কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।

গৃহবধূ কে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে সম্পতি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার নয়া-হরিশপুর গ্রামে।

ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত যুবক হলেন, রাণীনগর উপজেলার নয়া-হরিশপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন প্রাং এর ছেলে ডাবলু প্রামাণিক। গ্রেফতারকৃত যুবক কে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার নয়া-হরিশপুর গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫শ' টাকা ধার নেয় একই গ্রামের ডাবলু প্রামাণিক। ধারের সেই টাকা পাওনাদের কে দেওয়ার জন্য যান পাওনাদারের বাড়িতে। সে সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত যুবক ডাবলু প্রামাণিক পাওনাদারের স্ত্রী গৃহবধূ কে জাপটে ধরেন এবং হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ-কাতর স্থানে হাত দেয়া সহ জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এঘটনায় রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশ অভিযুক্ত যুবক কে গ্রেফতার করেন।

এব্যাপারে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে সেই মামলায় ডাবলু প্রামাণিক কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।


আরও খবর



ভূ-রাজনীতির আলোচনায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

জনগণের স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিকল্প নেই। তা না হলে বিদেশি শক্তি বারবার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর সুযোগ পাবে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। একই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর পথ বের করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, কোনো দেশের নির্দেশনা বাংলাদেশের মানুষ মানবে না। বরং যারা এই বিদেশিদের নির্দেশ মানবে, জনগণ তাদের মেনে নেবে না। কেননা এখানে বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে বিদেশিদের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ভূ-রাজনীতির আলোচনায় বাংলাদেশ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এডিটরস গিল্ডের প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্যামল দত্ত।

আলোচকরা বলেন, ভূ-রাজনীতির প্লেয়ার কিছু সংখ্যক দেশ। তারা নিজেদের স্বার্থে অন্য আরেকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে। আর এই ভূ-রাজনীতিতে মার্কিনিদের বড় স্বার্থ হলো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমর্থন পাওয়া। অন্যান্য দেশকে নিজেদের সমর্থনে রাখার প্রক্রিয়া হিসেবে উপনিবেশ ব্যবস্থা চলে যাওয়ার পর সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। আর এই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য কিছু উপাদান লাগে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানবাধিকার, গণতন্ত্র, বাক্স্বাধীনতাসহ আরো কিছু। এগুলোর মানও তারাই ঠিক করে দিয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, যখন তাদের পছন্দ মতো সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়, তখন তারা নিজেদের মতো আইন করে বিশেষ দলকে সুবিধা দেয়। এক্ষেত্রে তারাই যদি সরকার নির্বাচন করে তাহলে জনগণের ভোটাধিকার কোথায় থাকল?

ভূ-রাজনীতিতে টিকে থাকতে বাংলাদেশকে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে হবে জানিয়ে আলোচকরা বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক দর্শন ও বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী প্রতিবেদনে দেখব যে, সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন বা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কথা বারবার বলা হয়েছে। এখন ভূ-রাজনীতিতে আলোচনায় বাংলাদেশ। আর এই আলোচনা একটা কারণ হচ্ছে, আমরা ভৌগোলিক একটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছি। সেটা সব সময় ছিল। এখন আরো বেশি হচ্ছে, কারণ অর্থনৈতিক সক্ষমতা। আর অর্থনীতির সঙ্গে রাজনীতির একটা সম্পর্ক আছে। এখন যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে, আমাদের অর্থনৈতিক যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক ভিতটা শক্ত করতে হবে।

তবে বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো বাইরের দেশের নির্দেশনায় চলবে না। সেই পরিস্থিতিও নেই জানিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেন, গ্লোবাল ভিলেজের মধ্যে থেকেই আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে, কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু কারো নির্দেশনায় বাংলাদেশ চলবে এটা হতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণও তা মানবে না। আর তাই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রের কথা বলা বন্ধ করতে আসন্ন নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক সচিব মোফাজ্জল করীম, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন।


আরও খবর