Logo
শিরোনাম

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (কেবলা ক্বাবা ) জীবনি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কেবলা ক্বাবা ) মাইজভান্ডারী এর জন্ম হয় ১৮২৬ সালে আর মৃত্যু বরণ করেন ১৯০৬ সালে তিনি হলেন মাইজভান্ডারী তরীকার প্রতিষ্ঠাতা । সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ছিলেন একজন সুফি সাধক বা পীর । তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বেশি পরিচিত । তার অনুসারীগণ শুরু হতে যে সকল প্রচার প্রকাশনা বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপানো হয়েছে তাতে তার নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা ক্বাবা কাদ্দাছাল্লাহু ছিরহুল আজিজ (কঃ) লেখা আছে । তাছাড়াও তিনি গাউছুল আজম, হযরত কেবলা, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, বড় মৌলানা, খাতেমুল অলদ, শাই এ লিল্লাহ্ ইত্যাদি উপনামেও বিশেষভাবে পরিচিত বলে একধিক ভাষায় লিখিত বিভিন্ন লেখকের বই এবং নিবন্ধে উল্লেখ আছে ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী পহেলা মাঘ ১২৩৩ বাংলা সন , ইংরেজীতে ১৮২৬ সালের ১৫ই জানুয়ারী বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহর হতে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে তৎকালীন প্রত্যন্ত মাইজভান্ডার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন । তার পিতার নাম সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভান্ডারী আর মাতার নাম সৈয়দা খায়রুন্নেছা । তার পারিবারিক নাম ছিল সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ।

আহমদ উল্লাহর পুর্ব পুরুষ সৈয়দ হামিদ উদ্দিন গৌড় নগরে ইমাম এবং কাজীর পদে নিয়োজিত ছিলেন । গৌড় নগরে মহামারীর কারণে ১৫৭৫ সালে চট্রগ্রামের পটিয়া থানার কাঞ্চন নগরে বসতি স্হাপন করেন । তার নামানুসারে হামিদ গাঁও নামে একটি গ্রামও আছে । তার এক পু্ত্র সৈয়দ আব্দুল কাদের ফটিকছড়ি থানার আজিমনগর গ্রামে ইমামতি উপলক্ষে এসে বসতি স্হাপন করেন । তার পুত্র সৈয়দ আতাউল্লাহ পুত্র সৈয়দ তৈয়বুল্লাহর এবং পুত্র সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভাণ্ডার গ্রামে এসে বসতি স্হাপন করেন ।
আহমদ উল্লাহ গ্রামের মক্তবের পড়ালেখা শেষ করার পর ১২৬০ হিজরীতে উচ্চ শিক্ষার্জনের উদ্দেশ্যে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন । তিনি ১২৬৮ হিজরীতে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে পরীক্ষায় পাশ করেন । সেখানেই তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা সমাপন করে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত অতিথি বা বক্তা হিসাবে যথেষ্ট সুনামের সাথে ধর্মীয় প্রচার প্রচারণার কাজে লিপ্ত ছিলেন ।


তিনি শিক্ষা জীবন শেষে করে হিজরী ১২৬৯ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতের যশোর অঞ্চলের বিচার বিভাগীয় কাজী পদে যোগদান করেন এবং একই সঙ্গে মুন্সেফী অধ্যায়ন শুরু করেন । পরবর্তিতে ১২৭০ হিজরীতে কাজী পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি কলিকাতায় মুন্সী বু আলী মাদ্রাসায় প্রধান মোদাররেছ হিসাবে যোগদান করেন । পরবর্তি সময়ে মুন্সেফী পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে ছিলেন ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী হাদিস, তাফসির, ফিকহ, মন্তেক, হিকমত, বালাগত, উছুল, আকায়েদ, ফিলছফা, ফারায়েজ সহ যাবতীয় বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন । আরবী, উর্দু, বাংলা ও ফারসি ভাষায় তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন । ওয়ায়েজ এবং বক্তা হিসাবে তার নামডাক বিশেষ ভাবে ছডিয়ে পড়ে । অল্প কিছু দিন পরই তিনি আধ্যাত্মিক জীবন যাপনে আত্ম নিয়োগ করেন । তখন হতে তিনি বাকি জীবন একজন সুফি সাধক হিসাবে অতিবাহিত করেন ।

আহমদ উল্লাহ হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (কঃ)-এর বংশধর এবং উক্ত তরিকার খেলাফত প্রাপ্ত সৈয়দ আবু শাহামা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রঃ) নিকট বায়েত গ্রহনের মাধ্যমে বেলায়ত অর্জন করেন এবং সৈয়দ দেলওয়ার আলী পাকবাজ (রঃ) এর নিকট হতে এত্তাহাদী কুতুবিয়তের ক্ষমতা অর্জন করেন । তিনি দিনে দ্বীনি শিক্ষাদান এবং রাতে এবাদত ও রেয়াজতের মাধ্যমে সময় কাটাতেন । এভাবে কঠোর সাধনার ফলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ বেলায়ত অর্জন করেছিলেন ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী জীবদ্দশায় তার সুফি তরীকার দীক্ষা সমাজে মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে বহু সুফি প্রতিনিধি বা খলিফা নিয়োগ করেন বলে উল্লেখ রয়েছে ।
আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১২৭৬ হিজরীতে ৩২ বছর বয়সে আজিম নগর নিবাসী মুন্সী সৈয়দ আফাজ উদ্দিন আহমদের কন্যা সৈয়দা আলফুন্নেছা বিবির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । কিন্ত বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তার স্ত্রী মারা যান । সেই বছরই তিনি পুনরায় সৈয়দা লুৎফুন্নেছা বিবিকে বিয়ে করেন । ১২৭৮ হিজরী সালে তার প্রথম মেয়ে সৈয়দা বদিউন্নেছা বিবি জন্মগ্রহন করেন । কিন্তু মেয়েটি চার বছর বয়সে মারা যায় । এরপর তার আরোও একটি ছেলে জন্মগ্রহন করে অল্প দিনের মধ্যে মারা যান । অতঃপর ১২৮২ হিজরীতে দ্বিতীয় পুত্র সৈয়দ ফয়জুল হক (রঃ) এবং ১২৮৯ হিজরী সালে দ্বিতীয় কন্যা সৈয়দা আনোয়ারুন্নেছা জন্মগ্রহন করেন । তার দ্বিতীয় পুত্রও পিতার পুর্বে ইন্তেকাল করেন ।
আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১৯০৬ সালের ২৩শে জানুয়ারি ১৩১৩ বঙ্গাব্দ ১০ই মাঘ আশি বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন । মাইজভান্ডারেই তিনি সমাহিত হন এবং তার কবরের উপর বর্তমানে আধুনিক স্থাপত্য শৈলী খচিত মাজার বিদ্যমান ।


আরও খবর

রুহ এবং মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আত্মিক জ্ঞান ও বাহ্যিক জ্ঞান

শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২




রেললাইনে রা. বি শিক্ষার্থীদের আগুন, ট্রেন চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

রাজশাহী প্রতিনিধি :রাজশাহীতে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর, ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের জেরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চারুকলার সামনে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দিলে সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

রাজশাহী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আব্দুল করিম জানান, রবিবার রাত পৌনে ১টার দিকে রাজশাহী থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। শনিবার রাতে সংঘর্ষের পর রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয়। পরে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে রাবি স্টেশনের কাছে রেললাইনে গাছ ফেলে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সেই আগুনের কারণে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।  


আরও খবর



হত্যার পর লাশ পুতে রাখার অভিযোগ, স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মির্জা হৃদয় সাগর,জেলা প্রতিনিধি,

নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আবুল হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর বাড়ির পাশে খালে পুতে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীসহ মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে সকালে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের বড় বেতাম গ্রামের সাপমরা খাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, আবুলের স্ত্রী রূপবাহার (৪২), মেয়ে চিন্তা মনি (১৩) ও তাদের সহযোগী আশিকুর রহমান আবির (১৯)। এদিকে ছেলে আরমান মিয়া (২৪) মিয়া ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে গেছে।

মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মোহনগঞ্জ থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) কানাই লাল চক্রবর্তী মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বলেন, গত শনিবার বিকেলে থেকে নিখোঁজ হন আবুল হোসেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সূত্র খুঁজতে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে আবুল হোসেনের ছেলে আরমানের সহযোগী আশিকুর রহমান আবিরকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। কৌশলী প্রশ্নের এক পর্যায়ে আবির স্বীকার করে—শনিবার রাতে আবুল হোসেনকে নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করে তার ছেলে আরমান। এ কাজে মেয়ে চিন্তা মনি ও স্ত্রী রূপবাহার তাকে সহযোগীতা করে। লাশ গুম করার জন্য বন্ধুকে ডেকে নেয় আরমান।

গভীর রাত পর্যন্ত লাশ কিভাবে গুম করা হবে এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে ভোর হয়ে যায়। একবার পুড়িয়ে ফেলারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে লোকজন দেখে ফেলবে সেই ভয়ে বাড়ির পাশের সাপমরা খালে কোদাল দিয়ে গর্ত করে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে পুতে রাখা হয়। পরে উপরের জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খালে ছেড়ে দেওয়া হয়। যেন লাশ পানিতে তলিয়ে যায়।  

কানাইলাল আরও জানান, এই তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করা হয়। গলা পর্যন্ত লাশ মাটির নিচে পুতে রাখায় তুলতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। পরে অভিযুক্ত মেয়ে চিন্তা মনি ও স্ত্রী রূপবাহারকে আটক করা হয়। এদিকে হত্যার প্রধান অভিযুক্ত ছেলে আরমান মিয়া পালিয়ে গেছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাবাদ করে আরও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখনো কোন মামলা হয়নি।  এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে। এদিকে পালিয়ে যাওয়া আরমানকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।


আরও খবর



সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুলপুর এলাকায় 'সীমা অক্সিজেন' নামক একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। 

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সীতাকুণ্ড ও কুমিরা স্টেশনের একাধিক ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতিসহ বিস্তারিত জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সীতাকুণ্ড স্টেশনের অগ্নিনির্বাপক মো. ফজলে রাব্বী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ৪টা ৪০ মিনিটে আমাদের কাছে খবর আসে। সঙ্গেসঙ্গে আমাদের দুটি গাড়ি এবং কুমিরার ইউনিটও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। 


আরও খবর



বকশীগঞ্জে বালু উত্তোলনে বাধাঁ দেয়ায় ভূমি কর্মকর্তার উপর হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বালু উত্তোলনে বাধাঁ দেওয়ায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার উপর হামলা ও  পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের বিনোদেরচর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রাতে নামীয় ৩ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩জনকে আসামী করে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল গণি। এই ঘটনায় বালু উত্তোলনের পাইপ ও ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউর রাব্বী। 

অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ফসলি জমি ও পুকুরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো জিগাতলা গ্রামের মৃত এমাজ উদ্দিনের ছেলে হাসান আলী,কারন আলী ও জানকিপুর ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত চন্ডিয়া শেখের ছেলে আবদুল কুদ্দুছ। তারা গোমের চর এলাকায় বালু মজুদ করছিলো । বৃহস্পতিবার বিকালে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল গণি অফিস সহায়ক হানিফ উদ্দিনকে সাথে নিয়ে বিনোদেরচর এলাকায় ঘটনাস্থলে যান এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধাঁ দেন। এ সময় হাসান আলী,কারন আলী ও আবদুল কুদ্দুছ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। 

এ ব্যাপারে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল গণি বলেন,কোন কারন ছাড়াই তারা আমার উপর হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে হাত-পা-মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। 

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা বলেন,খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউর রাব্বাী বলেন, ড্রেজার মেশিন ও পাইপ জব্দ করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধাঁ ও হামলার ঘটনায় অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

আগামী নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পাশে থাকবে, শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়,সন্ত্রাস নয়। শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন বলেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পাশে থাকবে, শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে।

শুক্রবার সকালে নওগাঁর পোরশা উপজেলার পোরশা হাইস্কুল কাম-মাদ্রাসা মাঠে ২ নং তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃব্যকালে উপরোক্ত কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবেন, ইতি মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সন্মানীভাতা বাড়িয়েছেন। গৃহহীণ মানুষদের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। বয়স্কদের দিয়েছেন বয়স্ক ভাতা, বিধবারাও ভাতা পাচ্ছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌছেনি।দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সকল নেতাকর্মীদের আহবান জানান খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না। কৃষকের জন্য সরকার ভর্তূকি মূল্যে সার দিচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে। কৃষক তার ফসলের নায্য মূল্য পাচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে সার চেয়ে কৃষক গুলি খেয়েছিলো। প্রাণ দিয়েছেন ১৯ জন কৃষক। শেখ হাসিনার সরকার পদ্মাসেতু করেছে।মেট্রো রেল চলছে আর পাতাল রেলের কাজও চলছে। ২০২৩ সালে আরো অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে দেশের জনগণ বলেও  উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য বারবার কারাবরণ করেছিলেন। অধিকার আদায়ে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ।

বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর তার লাশ ঢাকায় দাফন না করে টুঙ্গিপাড়ায় দাফন করা হয়। কুচক্রীদের উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালি যাতে বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়। বাস্তবে হয়েছে উল্টো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিস্তার ঘটেছে।

বিএনপি'র আন্দোলন সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলনের মৃত্যু ঘটেছে। এখন তাদের চল্লিশার কর্মসূচি চলছে। দেশের উন্নয়নে বিএনপি'র কোন ভূমিকা নেই। তাদের রাজনীতি শুধু লুটপাট আর খাই খাই। কোন ভরসায় মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে.? এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া পারভীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, পোরশা উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী এবং পোরশা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিমা খাতুন বক্তৃতা করেন।


আরও খবর