Logo
শিরোনাম

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (কেবলা ক্বাবা ) জীবনি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কেবলা ক্বাবা ) মাইজভান্ডারী এর জন্ম হয় ১৮২৬ সালে আর মৃত্যু বরণ করেন ১৯০৬ সালে তিনি হলেন মাইজভান্ডারী তরীকার প্রতিষ্ঠাতা । সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ছিলেন একজন সুফি সাধক বা পীর । তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বেশি পরিচিত । তার অনুসারীগণ শুরু হতে যে সকল প্রচার প্রকাশনা বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপানো হয়েছে তাতে তার নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা ক্বাবা কাদ্দাছাল্লাহু ছিরহুল আজিজ (কঃ) লেখা আছে । তাছাড়াও তিনি গাউছুল আজম, হযরত কেবলা, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, বড় মৌলানা, খাতেমুল অলদ, শাই এ লিল্লাহ্ ইত্যাদি উপনামেও বিশেষভাবে পরিচিত বলে একধিক ভাষায় লিখিত বিভিন্ন লেখকের বই এবং নিবন্ধে উল্লেখ আছে ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী পহেলা মাঘ ১২৩৩ বাংলা সন , ইংরেজীতে ১৮২৬ সালের ১৫ই জানুয়ারী বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহর হতে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে তৎকালীন প্রত্যন্ত মাইজভান্ডার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন । তার পিতার নাম সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভান্ডারী আর মাতার নাম সৈয়দা খায়রুন্নেছা । তার পারিবারিক নাম ছিল সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ।

আহমদ উল্লাহর পুর্ব পুরুষ সৈয়দ হামিদ উদ্দিন গৌড় নগরে ইমাম এবং কাজীর পদে নিয়োজিত ছিলেন । গৌড় নগরে মহামারীর কারণে ১৫৭৫ সালে চট্রগ্রামের পটিয়া থানার কাঞ্চন নগরে বসতি স্হাপন করেন । তার নামানুসারে হামিদ গাঁও নামে একটি গ্রামও আছে । তার এক পু্ত্র সৈয়দ আব্দুল কাদের ফটিকছড়ি থানার আজিমনগর গ্রামে ইমামতি উপলক্ষে এসে বসতি স্হাপন করেন । তার পুত্র সৈয়দ আতাউল্লাহ পুত্র সৈয়দ তৈয়বুল্লাহর এবং পুত্র সৈয়দ মতিউল্লাহ মাইজভাণ্ডার গ্রামে এসে বসতি স্হাপন করেন ।
আহমদ উল্লাহ গ্রামের মক্তবের পড়ালেখা শেষ করার পর ১২৬০ হিজরীতে উচ্চ শিক্ষার্জনের উদ্দেশ্যে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন । তিনি ১২৬৮ হিজরীতে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে পরীক্ষায় পাশ করেন । সেখানেই তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা সমাপন করে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত অতিথি বা বক্তা হিসাবে যথেষ্ট সুনামের সাথে ধর্মীয় প্রচার প্রচারণার কাজে লিপ্ত ছিলেন ।


তিনি শিক্ষা জীবন শেষে করে হিজরী ১২৬৯ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতের যশোর অঞ্চলের বিচার বিভাগীয় কাজী পদে যোগদান করেন এবং একই সঙ্গে মুন্সেফী অধ্যায়ন শুরু করেন । পরবর্তিতে ১২৭০ হিজরীতে কাজী পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি কলিকাতায় মুন্সী বু আলী মাদ্রাসায় প্রধান মোদাররেছ হিসাবে যোগদান করেন । পরবর্তি সময়ে মুন্সেফী পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে ছিলেন ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী হাদিস, তাফসির, ফিকহ, মন্তেক, হিকমত, বালাগত, উছুল, আকায়েদ, ফিলছফা, ফারায়েজ সহ যাবতীয় বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন । আরবী, উর্দু, বাংলা ও ফারসি ভাষায় তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন । ওয়ায়েজ এবং বক্তা হিসাবে তার নামডাক বিশেষ ভাবে ছডিয়ে পড়ে । অল্প কিছু দিন পরই তিনি আধ্যাত্মিক জীবন যাপনে আত্ম নিয়োগ করেন । তখন হতে তিনি বাকি জীবন একজন সুফি সাধক হিসাবে অতিবাহিত করেন ।

আহমদ উল্লাহ হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (কঃ)-এর বংশধর এবং উক্ত তরিকার খেলাফত প্রাপ্ত সৈয়দ আবু শাহামা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রঃ) নিকট বায়েত গ্রহনের মাধ্যমে বেলায়ত অর্জন করেন এবং সৈয়দ দেলওয়ার আলী পাকবাজ (রঃ) এর নিকট হতে এত্তাহাদী কুতুবিয়তের ক্ষমতা অর্জন করেন । তিনি দিনে দ্বীনি শিক্ষাদান এবং রাতে এবাদত ও রেয়াজতের মাধ্যমে সময় কাটাতেন । এভাবে কঠোর সাধনার ফলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ বেলায়ত অর্জন করেছিলেন ।

আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী জীবদ্দশায় তার সুফি তরীকার দীক্ষা সমাজে মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে বহু সুফি প্রতিনিধি বা খলিফা নিয়োগ করেন বলে উল্লেখ রয়েছে ।
আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১২৭৬ হিজরীতে ৩২ বছর বয়সে আজিম নগর নিবাসী মুন্সী সৈয়দ আফাজ উদ্দিন আহমদের কন্যা সৈয়দা আলফুন্নেছা বিবির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । কিন্ত বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তার স্ত্রী মারা যান । সেই বছরই তিনি পুনরায় সৈয়দা লুৎফুন্নেছা বিবিকে বিয়ে করেন । ১২৭৮ হিজরী সালে তার প্রথম মেয়ে সৈয়দা বদিউন্নেছা বিবি জন্মগ্রহন করেন । কিন্তু মেয়েটি চার বছর বয়সে মারা যায় । এরপর তার আরোও একটি ছেলে জন্মগ্রহন করে অল্প দিনের মধ্যে মারা যান । অতঃপর ১২৮২ হিজরীতে দ্বিতীয় পুত্র সৈয়দ ফয়জুল হক (রঃ) এবং ১২৮৯ হিজরী সালে দ্বিতীয় কন্যা সৈয়দা আনোয়ারুন্নেছা জন্মগ্রহন করেন । তার দ্বিতীয় পুত্রও পিতার পুর্বে ইন্তেকাল করেন ।
আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ১৯০৬ সালের ২৩শে জানুয়ারি ১৩১৩ বঙ্গাব্দ ১০ই মাঘ আশি বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন । মাইজভান্ডারেই তিনি সমাহিত হন এবং তার কবরের উপর বর্তমানে আধুনিক স্থাপত্য শৈলী খচিত মাজার বিদ্যমান ।


আরও খবর

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বুধবার সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’

প্রকাশিত:সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আগামী ২৩ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ২৪ অক্টোবর সকালে এটি বঙ্গোপসাগরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গওড়িশা উপকূলে পৌঁছাতে পারে।

রোববার (২০ অক্টোবর) এক সতর্কতাবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইএমডি। সংস্থাটি বলেছে২২ অক্টোবর সকালে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২৪ অক্টোবর পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ওইদিন সকালেই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছাবে

সংস্থাটি শনিবার (১৯ অক্টোবর) সতর্কবার্তায় জানায়২১ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দামান সাগর উত্তাল ও ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজমান থাকবে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪০ এবং ঝড়ো হাওয়ার গতি ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অপরদিকে বঙ্গোপসাগর ২২ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তাল ও সেখানে ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজমান থাকতে পারে। ওই সময় বাতাসের গতি ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার হতে পারে। এরপর ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর উত্তর বঙ্গোপসাগর খুবই উত্তাল হয়ে উঠতে পারে

২১ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দামান সাগর২২ থেকে ২৪ অক্টোবর মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে জেলেদের মাছ ধরতে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। এছাড়া জাহাজবন্দরসাগর ও উপকূলে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক ছটকু আহমেদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিক্রমপুরের আলোকিত মানুষ জনপ্রিয় কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, প্রযোজক ও পরিচালক ছটকু আহমেদ , প্রকৃত নাম সৈয়দ উদ্দিন আহমেদ।

বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক ছটকু আহমেদ। গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) ৭৮ পেরিয়ে ৭৯-তে পা দিয়েছেন তিনি। ১৯৪৬ সালের ৬ অক্টোবর পুরনো ঢাকার নারিন্দায় ছটকু আহমেদের জন্ম। কিন্তু তার পৈতৃক ভিটা বিক্রমপুরে। মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পানহাটা গ্রামে।

তার বাবা শরফুদ্দীন আহমেদ ছিলেন সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং অফিসার ও জোহরা শরফুদ্দীন ছিলেন নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা। বাবা-মার চাকরির সুবাদে ছটকুর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে  চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে। 

ষাটের দশক থেকেই বিভিন্ন নাটকের সাথে জড়িত ছিলেন। বিশ্বখ্যাত বাঙালি পরিচালক ঋত্বিক কুমার ঘটকের তিতাস একটি নদীর নাম ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক। তারপর ফখরুল হাসান বৈরাগী, জহিরুল হক,এ জে মিন্টুর সহকারী হিসেবে কাজ করেন।তারপর হন একক পরিচালক। 

পরিচালিত ছবিঃ

০১। নাত বৌ(১৯৮২)

০২। রাজদণ্ড (১৯৮৪)

০৩। গৃহবিবাদ(১৯৮৬)

০৪। অত্যাচার(১৯৮৭)

০৫। চেতনা(১৯৯০)

০৬। সত্যের মৃত্যু নেই(১৯৯৬)

০৭। বুকের ভিতর আগুন(১৯৯৭)

০৮। মিথ্যার মৃত্যু(১৯৯৮)

০৯। বুক ভরা ভালোবাসা(১৯৯৯)

১০। বর্ষা বাদল(২০০০)

১১। শেষ যুদ্ধ(২০০২)

১২। মহাতাণ্ডব(")

১৩। প্রতিবাদী মাস্টার(২০০৫)

১৪। আজকের রূপবান(যৌথ,") ও

১৫। আহারে জীবন(২০২৪)

পরিচালনার পাশাপাশি তিনি দেড়শোর অধিক ছবিতে কাহিনীকার অথবা সংলাপ রচয়িতা অথবা চিত্রনাট অথবা এককভাবে তিনটি দায়িত্বই এককভাবে পালন করেছেন।এর মধ্যে অসংখ্য ছবি হয়েছে ব্যবসাসফল।কিছু ছবির নাম- সেয়ানা,মিন্টু আমার নাম,প্রতিজ্ঞা,লালু মাস্তান,ন্যায় অন্যায়,প্রেম লড়াই,মাস্তান রাজা,কালিয়া,বাংলার নায়ক,দেনমোহর,স্বামী কেন আসামী,এই মন তোমাকে দিলাম, লাট সাহেব,বউ শ্বাশুড়ির যুদ্ধ,এক টাকার বউ,জজ সাহেব,মা যখন বিচারক,হিংসা,আমাদের সন্তান,জ্যোতি প্রভৃতি।এছাড়াও নিজের পরিচালিত প্রায় সব ছবির কাহিনী,সংলাপ ও চিত্রনাট্যতো রয়েছেই।

সারা জীবনের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার (গৃহবিবাদ, সেরা গীতিকার, কাহিনীকার ও সংলাপ রচয়িতা),জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (সত্য মিথ্যা, শ্রেষ্ট সংলাপ রচয়িতা), জাতীয় চলচ্চিত্রের আজীবন সম্মাননা(২০১৮) ইত্যাদি পুরস্কার ও সম্মাননা।

ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে করেন মসরুরা আহমেদকে(১৯৭৯)।চার কন্যা সন্তানের জনক।


আরও খবর



ভবদহ সমস্যার আশু সমাধানে যশোরে ডিসি অফিস ঘেরাও, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
উত্তম কুমার - যশোর জেলা প্রতিনিধি ::

ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে যশোর কালেক্টরেট ভবনের (ডিসি অফিস) সামনে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছেন জেলার জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।

রোববার দুপুর ১২টা থেকে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির ডাকে ব্যানার-ফেস্টুন, লাঙল, মই ও আঁচড়াসহ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এ সময় ভবদহবাসী ‘পানি সরাও, মানুষ বাঁচাও’ স্লোগানে দিতে থাকেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা এর আগে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করে দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে সচিবালয় ঘেরাওয়ের কথা বলেন।

নেতারা বলেন, জনপদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা, ফসল-বসতবাড়ি, জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে জড়িত পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, আমডাঙ্গা খাল সংস্কার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও কাজের স্বচ্ছতা আনতে সেনাবাহিনীর তদারকি, আন্দোলনকারী সংগঠনগুলোর নেতাদের সমন্বয়ে সম্পন্ন করা। তারা আরও বলেন, ভবদহ এলাকার লাখ লাখ একর জমি পানির নিচে, হাজার হাজার ঘরবাড়ি জলমগ্ন, স্কুল-কলেজে পানি। এমন পরিস্থিতিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি নিতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে তারা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জলমগ্ন ভবদহবাসীর পক্ষে ফলাফল না আসবে, ততক্ষণ এখানে অবস্থান করব।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, মনিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলার কমপক্ষে ৪০০ গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধ। ৩ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শ্রেণিকক্ষে পানি উঠে বন্ধ হয়ে গেছে ২ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ভিডিওকলে বক্তব্য দেন পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় তিনি বলেন, যশোরের জলাবদ্ধ ৩ উপজেলার মানুষের কষ্ট লাঘবে আর সমস্যার আশপাশ দিয়ে নয়, মূল সমস্যা সমাধানে সবকিছু করা হবে। এছাড়া আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে ওই এলাকার কৃষি, এনজিও কিস্তি, ঋণ মওকুফসহ স্বাস্থ্য ও খাদ্য ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন তিনি।

বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বদানকারী ভবদহ পানি উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, এবার টিআরএম বাস্তবায়ন, আমডাঙ্গা খাল খননসহ যাবতীয় কাজে লুটপাট ঠেকাতে স্থানীয়রা নজরদারি করবে। সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বিক্ষোভ চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ কুমার বাওয়ালী, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আব্দুল হামিদ, সদস্য সচিব অধ্যাপক চৈতন্য পাল, আমিনুর ইসলাম হীরু, জিল্লুর রহমান ভিটু, কানু বিশ্বাস, অনিল কুমার বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরও খবর



ঝালকাঠির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলো জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

ঝালকাঠির নলছিটিতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার রাতে পৌর এলাকার তিনটি মন্ডপ পরিদর্শন করেন তাঁরা। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একটি দল মন্ডপ পরিদর্শনে যান। এ সময় সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তাঁরা। হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে দুর্গোৎসবের খোঁজখবর বিএনপি নেতারা। শহরের হরিসভা মণ্ডপ, পুরান বাজার মন্ডপ ও তাঁরা বাড়ি মন্ডপে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য দেন জেলার নেতৃবৃন্দ। এ সময় নলছিটি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

তাঁরাবাড়ি মন্ডপে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন।  তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে জেলার মন্ডপে বিএনপি নেতা কর্মীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলতে কোন শব্দ নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশী। সকল ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করবে। এতে বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আওয়ামী লীগের মতো একটি দানব সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা সকলকে ধরে রাখতে হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠির জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সৈয়দ হোসেন, ঝালকাঠি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপু, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রবিউল হোসেন তুহিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান হেলাল ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক ও সাংবাদিক মিলন কান্তি দাস ও কৃষ্ণলাল চক্রবর্তী


আরও খবর



হাতবদলেই চালের দাম বাড়ে ৩০৭ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তার পাতে ওঠা পর্যন্ত হাতবদলের কারণে শুধু সরু চালের দাম বৃদ্ধি পায় ৩০৭ শতাংশ।

স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত সব ধরনের নিত্যপণ্যেও একই অবস্থা, বিশেষ করে মোটা চাল, পেঁয়াজ, আদা-রসুন, রুই মাছ, ডাল, আলু, কাঁচামরিচ, হলুদ ও শুকনা মরিচের দামের ক্ষেত্রে

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়

২০ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৮টি বিভাগের ৪৯টি জেলায় যেখানে ৬০০ জন উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় ২১টি খাদ্যপণ্যের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১২টি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত, ৫টি আমদানিকৃত এবং বাকি ৪টি স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি করা হয়

গবেষণার তথ্যমতে, ভালো মানের এক কেজি মোটা চাল উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে সর্বোচ্চ খরচ পড়ে ২৬ টাকা। সেই চাল কৃষক বিক্রি করে ৩২ টাকায়। ভোক্তাদের সেই মোটা চাল কিনতে হয় ৬০ টাকায়। অর্থাৎ শুধু হাত বদলে মোটা চালের দাম ২১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় বা ২৮ টাকা

একইভাবে প্রতি কেজি সরু চালের দাম পার্থক্য প্রায় ৪০ টাকা, পেঁয়াজের ৪০ টাকা, রুই মাছের ১২০ টাকা, ডালে ৩০ টাকা, আলু ২৯ টাকা, কাঁচামরিচ ৭২ টাকা এবং হলুদে ১০০ টাকা


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪