Logo
শিরোনাম

সুফিবাদ কী ও কেন ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক লেখক ও গবেষক :

 সুফিবাদ বা তাসাওউফ বা ত্বরিকত ইসলামের প্রাণ। শরিয়ত ইসলামের দেহ বা দেহাবরণ, অনুষ্ঠান, অনুশাসন, আরাধনা ও উপাসনা।

ইসলামের বিশ্বব্যাপী জয় ও জনপ্রিয়তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুফিবাদের ভূমিকা অত্যুজ্জল। এর প্রকৃত দাবীদার মহান সুফিগণ, দরবেশগণ, আল্লাহ্র মহান ওলীগণ। কেননা ইসলাম ধর্মের বিকাশে নানা প্রতিকূল অবস্থায় ভীষণ ও ভয়াবহ, বীভৎসপরিবেশে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ইসলামের যে প্রথম প্রচার ও প্রসার তা সুফিগণেরই অবদান এবং জীবন মরণ দুর্জয় সাধনায় আল্লাহ প্রাপ্তির মহা উদ্দেশ্যে নিশীথ রাতের নির্জন ইবাদতে তাদের যেমন সীমা-পরিসীমা ছিল না, ইসলাম প্রচারেও তেমনই সাধনাতেও কোন ক্লান্তি ছিলনা। এক্ষেত্রেও তারা ছিলেন মৃত্যুঞ্জয়ী সাধক, ন্যায়ের সৈনিক-মুজাহিদ ও সফলকাম সিদ্ধ পুরুষ। আবার অন্যদিকে ভৌগোলিক সীমারেখা পেরিয়ে সুফিকুল যেখানেই মানবতা লাঞ্ছিত হয়েছে, মানবতার পতন ঘটেছে, সেখানেই মানুষ মাত্রকেই ভাই বলে তাদের হয়েছেন জীবনমরণ পণ করে। সত্য ও সুন্দরের পথে সংসারের কঠিন মাটিতে পবিত্র কোরআনের আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে জাতি- ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে আবালবৃদ্ধ বণিতার মাঝে প্রেম-প্রীতি ভালবাসা ও মনুষত্বের অনির্বাণ মশাল জ্বালিয়ে দেন এই মহান সুফিসাধকগণ। যা ইসলামের ইতিহাসে চির অনির্বাণ। এখানেই তারা মহাপুরুষ। এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর আহ্বানে এবং নির্মল মনুষ্যত্বের জয়গানে পবিত্র কোরআন তাদের শ্রম সাধনা এবং মানমর্যাদার স¦ীকৃতি দিল। এরূপ স্বীকৃতি মানব সমাজের কোন ধর্মের কোন গোষ্ঠীর ভাগ্যেই আর জোটেনি। বিশ্ববাসীর কাছে কোরআনের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরতে ইসলামের নির্ভেজাল প্রচার ও নিরঙ্কুশ প্রসারেও এর মুল বাণী ও তা অমিত প্রাণশক্তিকে জাগ্রত করতে, দুর্গত মানবতার উদ্ধারকল্পে, আপসহীন চিত্তে মনুষ্যত্বের পতাকা উত্তোলন করতে বিশ্বমানবতা আপন করতে সকল প্রকার সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্য পরিত্যাগ করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে সবাইকে ভাইবোন বলে হাতে হাত রেখে বিশ্বভ্রাতৃবন্ধন স্থাপন করতে লা-শরীক এক আল্লাহ প্রেমে তাঁর প্রশংসা ও আশ্রয় পেতে জীর্ণমানবতার ময়দানে মরণের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও অখন্ড মানব সমাজের চির অবহেলিত,গভীর বেদনাহত মানুষগুলির বুকে সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতিষ্ঠায় সুফি সমাজের যে নিরন্তর উল্লেখযোগ্য অবদান, যে চিরস্মরণীয় লোমহর্ষক কাহিনী ও কথা, যে মৃত্যুহীন জীবনগাথা ইসলামের সারা চৌহদ্দী ও সর্বকালীন ইতিহাসে তা অপেক্ষা অধিক গুরুতর ও উল্লেখযোগ্য আর কিছু নাই। ইসলামের মহান সুফিকুল আজও সারা বিশ্বের মহাবিস্ময়।

সুফি শব্দের উৎপত্তি :


সুফি শব্দের উৎপত্তি নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে । প্রতিটি মতের পিছনে কিছু না কিছু দলিল রয়েছে । আমরা এখানে কয়েকটি উল্লেখ করছি। (১) সাউফ অর্থ পশম (২) সাফা অর্থ পবিত্র (৩) সফ অর্থ সারি, লাইন বা শ্রেণী (৪) সুফিয়া  অর্থ জ্ঞান।
১। সুফি শব্দের উৎপত্তি সাউফ বা পশম হতে । এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীর ধারণা অধিকাংশ সুফি তাঁদের দারিদ্র্যবশত পশম পরিধান করতেন তাই তাদের মতে সুফি শব্দটি
সাউফ হতে উদ্ভুত।
২। সাফা শব্দ হতেও সুফি শব্দের উৎপত্তি হয়েছে মর্মে অনেকে মনে করেন, কেননা সাফা শব্দের অর্থ সাফ তথা পবিত্রতা বা পবিত্রতা লাভ করা । সুফিগণের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো আল্লাহকে লাভ করা এবং আল্লাহকে লাভ করার প্রথম ও প্রধান কাজই হলো আপন সত্তাকে বা অন্তরাত্মাকে পবিত্র করা। তাই সাফা শব্দ হতে সুফি শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে মর্মে মনে করা হয়।

৩। সফ শব্দ হতেও সুফি শব্দটি উদ্ভুত হয়েছে বলে যারা মনে করেন, তারা বলেন মহানবী (দঃ) এর সাথে একদল মানুষ সদাই নবীজীর (দঃ) জন্য প্রস্তুত থাকতেন , তাঁরা মসজিদে নববীতেই থাকতেন , তারা ঘর- সংসার করেন নি, তাঁরা ছিলেন রাসূলে নিবেদিত প্রাণ, এদের বলা হতো আসহাবে সুফফা। সুফিগণ  ভক্ত বা অনুসারী হিসেবে নিজেদের বিবেচনা করতেন বিধায় সুফী শব্দটি সফ শব্দ হতে উদ্ভুত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
৪। সুফিয়া বা সুইউফ এটি গ্রীক শব্দ এর অর্থ প্রভুর বা ঈশ্বরের জ্ঞান । সুফিগন সব সময় স্রষ্টার সাধনায় মগ্ন থাকতেন, তাঁকে জানতে চাইতেন, তাঁর মহিমা বুঝতে চাইতেন , তাঁর আদি রহস্য উৎঘাটন করতেন,মহাত্মা প্ল্যাটো (৪২৮/৪২৭-৩৪৮/৩৪৭ খৃঃ পূঃ) গ্রীক দার্শনিক/রাজা এর যে বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন তাতে তিনি যে একজন ঐশ্বরিক জ্ঞান সম্পন্ন রাজা হবেন তাই বর্ণনা করেছেন। তাই আমরা ধারণা করতে পারি প্রকৃতপক্ষে শব্দটির অর্থ হলো ঐশ্বরিক জ্ঞানে জ্ঞানী। কিন্তু পরবর্তীত ইংরেজ চিন্তাবিদগণ এই শব্দ আংশিক পরিবর্তন করে ৎ অর্থ জ্ঞানের অনান্য সকল শাখাকে এই শব্দের অর্থ হিসাবে নির্বাচন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ডিগ্রী হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য বাঙালি চিন্তানায়কগণ এই শব্দের বাংলা অর্থ হিসেবে দার্শনিক শব্দটি নির্ধারণ করে এর মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখে প্রকৃত সত্য জানার আগ্রহকে বুঝিয়েছেন। অথবা জ্ঞান চক্ষু দিয়ে প্রকৃত সত্যকে যিনি দেখেন তিনিই দার্শনিক


আরও খবর



কয়েকদিনের মধ্যে কমে আসবে আলুর দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, দেশে আলুর কোনো ঘাটতি নেই কিন্তু একটি অদৃশ্য হাত আলুর বাজারকে অস্থির করেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আলুর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

 মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সফিকুজ্জামান বলেন, আলুর বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার পাকা রশিদ ব্যবহার করতে হবে। পাকা রশিদ না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে আলু দাম বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মহাপরিচালক মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ থেকে ১০ হাজার বস্তা আলু জব্দ করেন এবং পাকা রশিদ ছাড়া মোবাইলে দাম নির্ধারণ করে আলু বিক্রি করার অভিযোগে রসরাজ বাবু নামের ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলু ব্যবসায়ী রসরাজের কথায় অসঙ্গতি থাকায় এবং পাকা রশিদ ছাড়া আলু বিক্রি করায় হিমাগারে তার সংরক্ষিত আলু হেফাজতে নিয়ে ২৭ টাকা মূল্যে সেই আলু বিক্রি করে দাম বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তিনি স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেন।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ি ও সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টার দিকে দিঘীনালা সাজেক সড়কের শুকনা ছড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।

তিনি জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের ফলে বাঘাইছড়ির ১০ নংশুকনাছড়ি বড়ইতলী সংলগ্ন ৫৪ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ও সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, সীমান্ত সড়কের জন্য পাথর নিয়ে যাওয়া একটি ট্রাকও বর্তমানে আটকা পড়েছে। তবে পাহাড় ধসে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, পাহাড় ধসের বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সকলকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি সকালের মধ্যে সড়কের মাটি সরিয়ে ফেলা যাবে। এতে পর্যটকদের কোনো সমস্যা হবে না।


আরও খবর

তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার। তবে রাখাইনের যে স্থানে রোহিঙ্গারা থাকবে সেখানে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে যেতে দিতে দ্বিধায় নেপিদো। ফলে টেকসই প্রত্যাবাসনে বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন কার্যক্রমকে ধীর গতি দিয়েছে ঢাকা।

চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে নেপিদোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই কিছু রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ব্যাচে দেশটি যাচাইকৃত তিন হাজার রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের রাখাইনে উপস্থিতির বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়। তবে এর প্রেক্ষিতে বৈঠকে কোনো উত্তর দেয়নি মিয়ানমার।

চলতি মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। দলটি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আস্থা ও মনোবল বাড়ানো এবং প্রত্যাবাসনে রাজি করানোর কাজটি করবে। সেই সঙ্গে শেষ মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টিও জড়িত ছিল প্রতিনিধি দলের কার্যক্রমে। তবে বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কিছু বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সেই উত্তরের প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের আসার সম্ভাব্য দিনক্ষণ দেবে ঢাকা।

বিষয়টি বেশ সংবেদনশীল, ফলে বাংলাদেশ খুব সতর্কতার সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঢাকার অন্যমত অগ্রাধিকার, তবে সেই সঙ্গে এটি টেকসই করার দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। তাই রাখাইনে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোসহ মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।


আরও খবর



স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে সজাগ থাকতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে কোন মতেই ক্ষমতা আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম - মুক্তিযুদ্ধে ৭১ এর ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার সারওয়ার আলী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ম, হামিদ এবং মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবো, যারা চক্রান্ত করবে তাদের বিরোধিতা করবো। সম্মিলিত কাজ করে যেতে হবে।

জাতীয় সম্মেলনে যোগদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, যারা স্বাধীনতা বিরোধীতা করেছে তারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে এবং স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরী সহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে আপনারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই আন্দোলনের মধ্যমণি এবং নেতা।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক খেলা হয়েছে, অনেক নেতৃত্ব এসেছে কিন্তু এই খেলায় বিজয়ী হচ্ছেন জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি জানতেন কিভাবে ধারাবাহিকভাবে রাজনীতি করতে হয় । বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে কোন রসায়ন কাজ করেনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির পিতা তিনি মানুষের অন্তরের কথা তিনি বুঝতেন এবং জানতেন, তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষা বাংলা অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে যে দুর্গম পথের যাত্রা শুরু হয়েছিল বা ৫২-এর ভাষা আন্দোলন ৫৪-এর যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬এর ছয় দফা, ৬৯এরনির্বাচন ও ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা অনেক মানবিক ছিলেন। যারা ক্ষুধার্ত তাদের অন্ন দিতেন। তিনি প্রতিটি ধাপে ধাপে বাঙালি চেতনাকে লালন করেছেন। তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা তার এই জাতীয়তাবাদী মনোভাব, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ সবকিছুতেই ছিলেন অন্যান্য সাধারণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি অঙ্গুলির হেলানে সমস্ত জাতীয় ঐক্যবদ্ধ হয় এরকম উদাহরণ পৃথিবীতে আমরা খুঁজে পাই নাই।

তিনি বলেন দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত থেমে থাকেনি। তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে।

তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধানকে তছনছ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে পরাজিত শত্রুরাই এসব করেছে, তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ।

১৯৭১ সালের গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলার মাটিতে সংগঠিত এই গণহত্যা বিংশ শতাব্দীর জঘন্যতম বৃহৎ গণহত্যা।

১৯৭১ সালের ১৩ জুন বিশ্ব সাংবাদিক এন্থনি মাসকারেনহাস এর লেখা যুক্তরাজ্যের "দি সানডে টাইমস" পত্রিকা "গণহত্যা" বিস্তারিত বিবরণ ছাপা হয়েছে, উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো করা প্রয়োজন।

এই দাবি নিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ও এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে এখন মর্যাদার আসনে আসীন।

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উপর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত "Genocide 1971" গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর



নওগাঁয় চালককে অজ্ঞান করে অটো-বাইক ছিনতাইকালে একজন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগার বদলগাছী থেকে ইঞ্জিন চালিত অটো রিকশা চোর চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার এবং অজ্ঞান অবস্থায় ভিকটিম অটো-বাইক চালক কে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্প এর চৌকস টিম।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক ও স্কোয়াড কমান্ডার ইমদাদ হোসেন বিপুল এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে  অভিযান পরিচালনা করে নওগাঁর বদলগাছী থানাধীন চকবেনী এলাকা হতে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূলহোতা রাজু মন্ডল (৪০), পিতা-মৃত সোলায়মান মন্ডল, গ্রাম-নগরজান, থানা-শীবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া কে গ্রেফতার করেন এবং অজ্ঞান অবস্থায় (ভিকটিম) অটো-বাইক চালক জিল্লুর রহমান রহমান, পিতা-মৃত হবিবর রহমান, সাং-সিধাতৈল, থানা-পত্নীতলা, জেলা-নওগাঁকে উদ্ধার করেন।

র‌্যাব আরো জানায়, আটককৃত আসামী রাজু মন্ডল আন্তঃজেলা চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। সে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে প্রথমে সারাদিনের জন্য অটো রিক্সা ভাড়া করেন এবং পরবর্তীতে সন্ধ্যা হলেই অটো (ড্রাইভার) চালক কে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে অটো রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামীর স্বীকারোক্তিতে জানা যায় এর আগেও বিভিন্ন জেলায় সে ৫টি ইঞ্জিন চালিত অটো রিক্সা একই কায়দায় চুরি করেছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।

র‌্যাব আরো জানান, গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজু মন্ডল ১হাজার টাকায় সারা দিনের জন্য অটো রিক্সা ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে দিন গড়িয়ে রাত হলে আসামী কৌশলে ভিকটিম অটো বাইক চালককে চেতনা নাশক জুস খাইয়ে অজ্ঞান করেন এবং ভিকটিমকে সুবিধাজনক জায়গায় ফেলে দেয়ার সুযোগ খুজে বেড়াচ্ছিল তখন তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সোর্সের মাধ্যমে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূলহোতা কে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।

এব্যাপারে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয় বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।


আরও খবর