Logo
শিরোনাম

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

গ্রীষ্মে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং। তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ধূলোবালি আটকে যায় এবং অতিরিক্ত তেল মুখের রোমকূপগুলোকে বন্ধ করে দেয়। তবে নিয়মিত যত্নে তৈলাক্ত ত্বকও সুন্দর থাকতে পারে এই সময়।

গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে কয়েকটি আয়ুর্বেদিক প্রতিকার রয়েছে। যেমন-

অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরায় থাকা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট এবং হাইড্রেটিং গুণ ত্বকের ছিদ্র সঙ্কুচিত করে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় বাইরে থেকে ফিরে ফেস ওয়াশ ব্যবহার করে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। মুখে সাবান লাগানো এড়িয়ে চলুন। রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরা জেল লাগান। বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে সেখান থেকে তাজা জেল বের করে লাগাতে পারলে ভালো। সারারাত রেখে সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান,যেমন-পলিফেনল ব্রণ নিরাময়ে এবং সিবাম উৎপাদন কমাতে কার্যকর। নিয়মিত লেবুর রস যোগ করে এক কাপ গ্রিন টি পান করুন। এছাড়াও, ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ পুনরায় ব্যবহার করুন এবং ফ্রিজে রাখুন। পরিষ্কার মুখে ঠান্ডা টি ব্যাগ লাগান।

মধু : মধু প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং তেল উৎপাদন কমায়। তাছাড়া এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলি ব্রণের প্রাদুর্ভাব বন্ধ করে। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মধু লাগান এবং উপরের দিকে, বৃত্তাকারে ৫ থেকে ৭ মিনিটের জন্য আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগান।


আরও খবর

ওজন কমাতে লেবু পানি ?

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খাওয়ার পরেই চা নয়

বৃহস্পতিবার ০৩ আগস্ট ২০২৩




ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয় যেসব অভ্যাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী হতে পারে আপনার কিছু কাজ। আপনি হয়তো জানতেও পারেন না, আপনার প্রতিদিনের কিছু কাজ কীভাবে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই সেসব কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস একবার দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। এর হাত ধরে আসে নানা ধরনের রোগ। তখন সেসব সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস হলো মেটাবলিক ডিজর্ডার। শরীরের নিয়মে গন্ডগোল হলেই বাসা বাঁধে এই রোগ। তাই এই সমস্যাকে বলা হয় মেটাবলিক ডিজর্ডার। মেটাবলিজম সিস্টেম আমাদের খাবার হজম ও অন্যান্য প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এর দিকে বিশেষ যত্নশীল হওয়া জরুরি।

আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন অনিয়মিত হলে এই মেটাবলিজমে গন্ডগোল দেখা দেয়।‌ এটি আসলে একটি ঘড়ির মতো কাজ করে। মেটাবলিজমে গন্ডগোল দেখা দিলে সেই ঘড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কী রয়েছে এই খারাপ অভ্যাসের তালিকায়? দেখে নিন-

ডায়াবেটিস বৃদ্ধির জন্য যেসব কাজ বা অভ্যাস দায়ী তার মধ্যে প্রথমেই রাত জেগে থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাত জেগে কাজ করা বা অবসর উপভোগ করা আসলে শরীরের পক্ষে কাজ করে না। আমাদের মধ্যে অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে রাত জেগে কাজ করার বা মুভি দেখার। এই অভ্যাস ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারে। সেইসঙ্গে রয়েছে অনিয়মিত খাবার খাওয়া। একেকদিন একেক সময়ে খাবার খেলে তা খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে ব্যাহত হয় মেটাবলিজম প্রক্রিয়া। সেখান থেকে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে।

আরেকটি অভ্যাস হলো অসময়ে খাবার খাওয়া। যখন যা মন চায় খেতে শুরু করলে তা একটা সময় আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। অসময়ে ভাজাপোড়া খাবার, জাঙ্কফুড খেলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। যে কারণে অল্প বয়স থেকেই এই রোগের লক্ষণও দেখা দিতে থাকে। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।


আরও খবর



টাইফুন হাইকুইয়ের তাণ্ডব, তাইওয়ানে বিদ্যুৎহীন ৩০ হাজার পরিবার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন হাইকুই। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে এই টাইফুন ভূখণ্ডটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে। টাইফুনের জেরে ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শহর ও কাউন্টিগুলোতে স্কুল এবং দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সোমবারও (৪ সেপ্টেম্বর) প্রায় ২০০ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে টাইফুন হাইকুই আছড়ে পড়ার পর ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদিও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় স্বাভাবিক করতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্স বলছে, রোববার বিকেলে তাইওয়ানের সুদূর দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ি এবং অল্প জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আছড়ে পড়ে টাইফুন হাইকুই। গত চার বছরের মধ্যে তাইওয়ানে সরাসরি আঘাত হানা প্রথম টাইফুন এটি। পরে টাইফুনটি দ্বীপের দক্ষিণ অংশে চলে যায়। 

তাইওয়ানের রাষ্ট্র-চালিত ইউটিলিটি তাইপাওয়ার জানিয়েছে, হাইকুই আছড়ে পড়ার পর ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগেরই সংযোগ পুনরায় চালু করা সম্ভব হলেও এখনও ৩৪ হাজারের কম পরিবার বিদ্যুৎহীন রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন থাকা পরিবারগুলোর প্রায় অর্ধেকই তাইতুংয়ের পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্টির।এদিকে টাইফুন হাইকুইয়ের জেরে দক্ষিণ, পূর্ব ও মধ্য তাইওয়ানজুড়ে বিভিন্ন কাউন্টি ও শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বাতিল এবং সোমবার শ্রমিকদের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সোমবারও রাজধানী তাইপেইতে বিক্ষিপ্তভাবে দমকা বৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম চিপ প্রস্তুতকারক তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং বলেছে, তাইওয়ানে তাদের প্ল্যান্টগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে এবং টাইফুনের আঘাতে সেগুলো কোনও ক্ষতির মুখে পড়েনি। তাইওয়ানের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট টাইফুনের জেরে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে। তবে এতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

তাইওয়ানের সরকার বলছে, হাইকুই আছড়ে পড়ার আগে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলসহ কিছু এলাকা থেকে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া টাইফুন হাইকুইয়ের আঘাতের শঙ্কায় রোববার তাইওয়ানে অভ্যন্তরীণ সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়।ফ্লাইট বাতিলের সেই ধারাবাহিকতা সোমবারও অব্যাহত রয়েছে। রয়টার্স বলছে, তাইওয়ানের এয়ারলাইন্স সোমবার ১৮৯টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে। তাইওয়ানের আশপাশের দ্বীপগুলোতে ফেরি পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে।

এই দ্বীপ ভূখণ্ডের সিভিল অ্যারোনটিক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে তেমন ব্যাঘাত ঘটেনি। শক্তিশালী এই টাইফুনের কারণে তাইওয়ানের কেবল ২৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার ব্যুরো জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে হাইকুই তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে চীনের দিকে যেতে শুরু করেছে। তবে এই টাইফুনের প্রভাবে সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাইওয়ানজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

এদিকে টাইফুন হাইকুইয়ের জেরে সোমবার ভোরে চীনের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির উপকূলীয় প্রদেশ ফুজিয়ান ও গুয়াংডংয়ের আশপাশে প্রবল বাতাস ও বিশাল ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রে চলাচলরত জাহাজগুলোকেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে কিম

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

উত্তর কোরিয়ার একটি ট্রেন রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এতে সম্ভবত রয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে এই যাত্রা করছেন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম।

অজ্ঞাত দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে চোসুন ইলবো সংবাদপত্র জানিয়েছে যে, ট্রেনটি সম্ভবত রোববার সন্ধ্যায় উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং ছেড়েছে এবং মঙ্গলবার দুপুরের আগে কিম-পুতিনের বৈঠক হতে পারে।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি ও অন্যান্য কিছু গণমাধ্যমও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস এ বিষয়টি নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।

মার্কিন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া তাদের নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করছে, যা এই মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা দুই দেশ একে অপরের সহযোগিতা প্রসারিত করবে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, পুতিন উত্তর কোরিয়ার আর্টিলারি এবং অন্যান্য গোলাবারুদের আরও সরবরাহ সুরক্ষিত করার দিকে মনোনিবেশ করতে পারেন। যাতে ড্রেনিং রিজার্ভ রিফিল করা যায় এবং ইউক্রেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের উদ্বেগের মধ্যে আলোচনার জন্য পশ্চিমাদের উপর আরও চাপ দেওয়া যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এর জন্য কিম রাশিয়ার কাছে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, পারমাণবিক সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন এবং সামরিক পুনরুদ্ধার উপগ্রহের সাথে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় শক্তি, খাদ্য সহায়তা এবং উন্নত অস্ত্র প্রযুক্তি চাইতে পারেন।

পশ্চিমাদের উদ্বেগ রয়েছে যে, সম্ভাব্য রাশিয়ান প্রযুক্তি স্থানান্তর কিমের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিকে বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

সূত্র: এপি


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




বাস ও অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ২০' যানবাহন চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় বাস ও সিএনজি চালিত অটো-রিকশা শ্রমিক উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

এ সময় দুটি বাস ও ১৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের শিকার হয়। দু- পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সড়কে যানবাহন চলাচল না করায় চরম দূর্ভোগের পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। দু' পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে নওগাঁর মান্দাতে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা সহ নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, প্রথমে সিএনজি চালিত অটো-রিকশা শ্রমিকেরা মান্দা উপজেলার সাবাইহাট বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাস ভাঙচুর করেন। এঘটনার পর মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এর শ্রমিকেরা মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় জড়ো হয়ে সিএনজি চালিত অটো-রিকশা শ্রমিকদের উপর চড়াও হোন এবং অটো-রিকশা ভাঙচুর করেন। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ফেরিঘাট সেতুর মুখে ও ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার উপর বাস রেখে রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ জানান মোটর শ্রমিকরা।

সুত্র আরো জানায়, নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাবাইহাট ও ফেরিঘাট এলাকায় দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর থেকে নওগাঁ টু রাজশাহী মহা-সড়কে বাস ও তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সংবাদ সংগ্রহকালে ফেরিঘাট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মতিউজ্জামান মতি বলেন, সরকারি আইন অনুযায়ী মহাসড়কে তিন-চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ। প্রশাসন ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও অটো-রিকশা চালকরা নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কে জোর করে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে দু' পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজকে বেলা দুইটার দিকে সাবাইহাট এলাকায় সিএনজি চালক ও মালিকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে যাত্রীবাহী দুটি বাস ভাঙচুর করেন। 

এ সময় বাস দু'টির চালক ও তার সহকারীকে মারধরও করা হয়। খবর পাওয়ার পর বাস শ্রমিকেরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য মান্দার ফেরিঘাট এলাকায় রাস্তার উপর বাস রেখে (বাস চলাচল বন্ধ করে) প্রতিবাদ জানান। 

অপরদিকে ঘটনার বিষয়ে সিএনজি-মালিক শ্রমিক সমিতি সাবাইহাট শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, নওগাঁ বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন সড়কের মোহাম্মদপুর সাইন বোর্ড এলাকায় অবৈধভাবে নতুন চেক পোস্ট বসিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। 

শুক্রবার নামাজের পর ফেরিঘাট থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার সময় নতুন চেকপোষ্টে একটি অটোরিকশা থামিয়ে চালককে মারধর করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। পরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় বাস শ্রমিকেরা আবারও সিএনজি মালিক ও চালকের উপর হামলা চালায়। এ সময় ১৫-১৬টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। হামলায় অন্তত ১৫ জন অটোরিকশা শ্রমিক আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ চলছে। সংঘর্ষ এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



অপেক্ষার পালা শেষ, আজ পদ্মা সেতু দিয়ে ভাঙ্গায় যাবে ট্রেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমবারের মতো স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচলের ট্রায়াল রান শুরু হতে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক এবং বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই আনুষ্ঠানিক পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রা পরিচালনা করছেন লোকোমোটিভ মাস্টার এনামুল হক এবং সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার এম এ হোসেন। ট্রেন পরিচালনায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এই দুই লোকোমাস্টারই সাক্ষী হয়েছেন অনেক ঘটনার। তবে আজকের এই ট্রেনযাত্রাকে কর্ম জীবনের বিশেষ দিন মনে করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের এমন অনুভূতির কথা জানান তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করে রাখা হয়েছে ট্রেন। শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে সব যন্ত্রাংশ। ট্রেন ঘিরে সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের জমজমাট উপস্থিতি।

লোকোমাস্টার এনামুল হক জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে দীর্ঘ ১৯ বছরের কর্মজীবন চলছে তার। দীর্ঘ এই সময় জুড়ে প্রায় ৪ হাজার ট্রেন যাত্রা পরিচালনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ রেলওয়ের অসংখ্য নতুন কোচ উদ্বোধন হয়েছে তার হাত ধরেই। তবে আজকের অবিজ্ঞতা ভিন্ন।

তিনি বলেন, আজকের এই যাত্রায় নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমাদের গর্ব এবং গৌরবের পদ্মা সেতুতে আমিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ট্রেন নিয়ে উঠছি। এটি অনেক বড় পাওয়া। অত্যন্ত গর্ববোধ করছি।
সহকারী লোকোমাস্টার এম এ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ট্রেন পরিচালনা করছি। অনেক ঘটনা আর সাক্ষী হয়েছি তবে আজকের এই ভিন্ন ধরনের। আমেরিকান ইঞ্জিন ৬৬২৩ বিইপি—৩২ নিয়ে পদ্মা সেতুতে আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল রান শুরু হবে। আমি এই যাত্রায় সহকারী লোকোমাস্টার হিসেবে কাজ করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

জানা গেছে, দেশের ইতিহাসে পদ্মা সেতুতের রেললাইনই প্রথম ব্যালাস্টলেস বা পাথরবিহীন রেলপথ। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেললিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনটি ভাগে চলেছে এই নির্মাণ কাজ। ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। যার মধ্যে মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশ রয়েছে পদ্মা সেতু।


আরও খবর