Logo
শিরোনাম

ভার্সেটাইল অভিনেত্রী নন্দিত নায়িকা শাবনূর

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

সায়মা সাদিয়া :  বাংলাদেশের সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র, ভার্সেটাইল অভিনেত্রী নন্দিত নায়িকা শাবনূর। তার সমসাময়িক অনেকে নায়িকা অনায়াসেই স্বীকার করেন অভিনেত্রী হিসেবে তিনি অনন্য, অসাধারণ। তার ধারে কাছেও কেউ নেই অভিনয়ের বিবেচনায়। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকাকালীন থেকে যত দিন তিনি অভিনয়ে নিয়মিত ছিলেন, তত দিনই তার অনবদ্য অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করে গেছেন শাবনূর। তার অভিনীত অসংখ্য সিনেমা রয়েছে, যা ব্যবসাসফল। কিন্তু সেই নন্দিত নায়িকা দীর্ঘদিন অভিনয়ে নেই। কিন্তু তার ভক্ত-দর্শকরা এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন যে, যেকোনো সময় আবারও অভিনয়ে ফিরবেন তাদের প্রিয় নায়িকা শাবনূর। করোনার আগে অস্ট্র্রেলিয়া গিয়েছিলেন শাবনূর। সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি তার।

তবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর তার দেশেই জন্মদিন উদযাপনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে জন্মদিনের আগেই হয়তো শাবনূর দেশে ফিরবেন। আর এদিকে গেল বছরের শুরু থেকেই অনেকটাই আড়ালে চলে গেছেন কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা পপি। সর্বশেষ তিনি সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত একটি সিনেমার কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু রাজু আলীমের একটি সিনেমার কাজ শুরু করেও শেষ পর্যন্ত তিনি তা শেষ করে আড়ালে যেতে পারেননি। পপি কেন আড়ালে আর এই আড়াল কবেইবা তিনি ভাঙবেন, সে ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা মিলেনি। কেউ বলছেন, তিনি বিয়ে করে আড়াল হয়েছেন। আবার এ ব্যাপারে কোনো সত্যতা বা প্রমাণও মিলেনি। তবে শিল্পী সমিতির গেল নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া চিত্রনায়িকা নিপুণের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তার সূত্রে জানা যায়, পপি হয়তো শিগগিরই আড়াল ভাঙবেন। শাবনূর আর পপির কোটি ভক্তরা চান তারা দুজনই নিয়মিত কাজ করুন। ভালো গল্প এবং তাদের উপযোগী চরিত্রেই তার ভক্ত-দর্শকরা তাদের দেখতে চান। যদি শাবনূর-পপি দুজনই আবার চলচ্চিত্রের অভিনয়ে ফিরেন এবং এ সময়ে একটু ব্যতিক্রম ঘরানার সিনেমার প্রতি দর্শক যেভাবে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, এ ধরনের গল্পে যদি তারা কাজ করেন, তবে অনেকেরই ধারণা তারা দুজন আবারও অভিনয়েই ব্যস্ত হয়ে উঠবেন। কারণ এমন অনেক গুণী নির্মাতাও আছেন, যারা শাবনূর-পপিকে নিয়ে কাজ করতে চান। শাবনূর-পপির সঙ্গে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন ফেরদৌস।

তিনি বলেন, ‘শাবনূর কিংবা পপি দুজনই মেধাবী অভিনেত্রী। দুজনই অসময়ে অভিনয় থেকে নিজেদের আড়াল করেছেন। যে সময়টাতে তাদের ওপর গল্প ভাবনা নিয়ে সিনেমা নির্মিত হতে পারত, সেসময়ই তারা নেই। আমি চাইব, তারা কাজে ফিরে আসুক, আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গন আরো প্রাণ ফিরে পাবে। কারণ দুজনই ভীষণ জনপ্রিয়, পরিশ্রমী এবং জাত শিল্পী।


আরও খবর



থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা কুশল বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এদিন সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড।

বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতিসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পাশাপাশি শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে দুই দেশ।


আরও খবর



ঈদে সড়কে মৃত্যু বেড়েছে, মোটরসাইকেলেই বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ঈদে প্রতিবারই সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এবারের ঈদুল ফিতরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিনসহ গত তিন দিনে সড়কে প্রাণহানির পরিমাণটা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সী তরুণ এবং যুবকরা ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক মোটসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনজন পর্যন্ত মারা যাওয়ার খবর আসছে। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বয়সও বেশি নয়। স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছাত্রও রয়েছেন। ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ঈদের দিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল আরোহী।নিহতদের মধ্যে পঞ্চগড়ে চারজন, খাগড়াছড়িতে তিনজন, নরসিংদীতে দুইজন, ঢাকায় একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, যশোরে একজন, নেত্রকোনায় তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন এবং নড়াইলের দুইজন রয়েছেন।

ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার এবং আজ তৃতীয় দিন শনিবারও সারাদেশে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

এসব দুর্ঘটনায় শুধু নিহতই নয়, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার সংখ্যাটিও বেশ উদ্বেগজনক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত মোট তিন দিনে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানেই (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৪৫৪ জন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যাটিও অনেক। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তরুণ-যুবক।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক তপন দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

এই চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২৫৬ জন। যাদের মধ্যে ৭৬ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। বেশিরভাগই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন। পাশাপাশি নিয়ম-নীতি না মানা, কমবয়সি কিশোর ও তরুণদের অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। দল বেঁধে প্রতিযোগিতা ছাড়াও ট্রাফিক তদারকির অভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে বাংলাদেশ। প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের পর কম্বোডিয়ায় ১১ দশমিক ৯, লাওসে ১১ দশমিক ৫, থাইল্যান্ডে ১১ দশমিক ২, ভারতে ৯, মিয়ানমারে ৮ দশমিক ৬, মালয়েশিয়ায় ৪ দশমিক ৪, ভিয়েতনামে ৪ দশমিক ১, ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৫ এবং ভুটানে ২ দশমিক ১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঈদের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের মোট দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশিই মোটরসাইকেলে ঘটে থাকে। তার মধ্যে ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি ঘটে। এই সময় অনেকেই মহাসড়কে যানজট এড়াতে বাড়ির পথে যাত্রা করেন। দেখা যায়, সাধারণ সময়ে হয়তো মোটরসাইকেলে একজন থাকেন; কিন্তু ঈদের সময় স্ত্রী, বাচ্চা এবং নিজে থাকার পরেও পেছনে একটা কাপড়ের ব্যাগ থাকে। যেটা ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। এই কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ এই গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ফসল এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ বিশেষ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা

টানা খরায় পুড়ছে ঈশ্বরদীও। চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। আকাশে মেঘ নেই বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাসও নেই। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ছিল। 

ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শহরের পূর্বটেরী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়

নামাজে ইমামতি করেন ঈশ্বরদী সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল হান্নান। ইসতিসকার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান দেন ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ওয়ালিউল্লাহ

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি এম এস জোহা বলেন, অতি তীব্র তাপদাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তার জীবদ্দশায় এরকম ইসতিসকার সালাত আদায় করতেন। আমরাও ইসতিসকার নামাজে আজ অংশ নিয়ে আল্লাহ কাছে বৃষ্টি গরমের তীব্রতা নিরসনের জন্য দোয়া কামনা করেছি।  

কুমিল্লা : তাপদাহ থেকে রক্ষা রহমতের বৃষ্টির জন্য ঢাকার পর এবার কুমিল্লায় ইসতেসক্বার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা ওলামায়ে ক্বেরামের উদ্যোগে সকাল ১০টায় নগরীর রেসকোর্স নূর মসজিদ তাবলিগ মার্কাজে ওই সালাতের আয়োজন করা হয়। নামাজ মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী। নামাজে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা

মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী বলেন, ‘আমরা অপরাধী এই অপরাধের কারণে আজ আজাব নেমে এসেছে তাই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টির জন্য নামাজ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে

মানিকগঞ্জ : প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত। অবস্থায় বৃষ্টির জন্য মানিকগঞ্জে বিশেষ নামাজ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা। সকাল ১০ টার দিকে শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে ইস্তিসকার সালাতের আয়োজন করে  জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই নামাজে ইমামতি করেন হযরত মাওলানা মহিবুল্লাহ

ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সাঃ) তৎকালীন সময়ে অনাবৃষ্টি খরার সময় সাহাবীদের সাথে নিয়ে খোলা ময়দানে দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। আমরা আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নাহকে অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। মহান আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা

চুয়াডাঙ্গাচুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। তীব্র গরম তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে। সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় শতাধিক মুসুল্লি নিয়ে এই নামাজের জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়

ঝিনাইদহতাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে একফোঁটা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লিরা সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয় এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন

নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি চেয়েছি খোদার কাছে। নবী করিম (সাঃ) খোদাতাআলার কাছে বিশেষ নাময়ের মাধ্যমে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা তার রহমত পাব


আরও খবর



নওগাঁয় জাল সনদে চাকরির অভিযোগ উঠা সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর বাংলা বিষয় এর শিক্ষক মোছাঃ ময়না খাতুন এর বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সনদ দিয়ে নিয়োগ নেওয়ার পর এক যুগ ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। 

গত সোমবার "নওগাঁয় জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে বারো বছর চাকরির অভিযোগ" শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে ঐ শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের কোন তথ্য নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারে না থাকায় অনুসন্ধানী এই সংবাদটি প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। সেই সংবাদটি রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নজরে এলে তিনি ওই শিক্ষিকার সনদ গুলো যাচাইয়ের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সহ সকল কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার একটি চিঠি করেন।

চিঠি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি আমার নজরে আসার পর আমি অভিযুক্ত শিক্ষককেসহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে সকল প্রকার সনদ সহ অন্যান্য কাগজপত্র অফিসে জমা দিতে বলেছি। এরপর কাগজ পত্র যাচাইয়ের জন্য এনটি আর সিএ দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। সেখান থেকে সনদ যাচাই প্রতিবাদ পাওয়ার পর পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



থামানো যাচ্ছে না কিশোর গ্যাং

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী নানা উদ্যোগ নিলেও কিশোর গ্যাং এর তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বড় শহরগুলোর গণ্ডি ছড়িয়ে এ সমস্যা এখন বিস্তৃত হচ্ছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও। এমনকি অনেক জায়গায় একাধিক কিশোর গ্যাং একে অন্যের সাথে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে।

গত শুক্রবার চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হওয়া চিকিৎসক কোরবান আলী বুধবার মারা গেছেন। ছেলেকে ওই গ্যাংয়ের হামলা থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মি. আলী।

পুলিশ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছে মূলত কিছু রাজনৈতিক নেতার পৃষ্ঠপোষকতাই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য দায়ী। মাদক বাণিজ্য, চাঁদাবাজি এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্তৃত্ব তৈরির জন্য এলাকার শিশু কিশোরদের নিয়ে গ্যাং তৈরি করে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেন ওই ধরনের নেতারা।

পুলিশ প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বছরে ৪/৫শ আটক হচ্ছে। মামলা হচ্ছে। সংশোধনাগারে দেয়া হচ্ছে অনেককে। কিন্তু শিশু কিশোরদের নিয়ে এ ধরনের কিশোর গ্যাং তারপরও বন্ধ হচ্ছে না মূলত কথিত কিছু বড় ভাই ও কিছু পলিটিক্যাল নেতার কারণে, বলছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ফারুক হোসেন। অন্যদিকে সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলছেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও সমাজ ব্যবস্থায় ঘাটতির কারণেই কিশোর অপরাধ বা গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামেই সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন কিশোর গ্যাংগুলোর পেছনে যাদের মদদ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশে এটি (কিশোর গ্যাং) নতুন সমস্যা, এটিকে দূরীভূত করার জন্য সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে যেই থাকুক বা সে যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং হচ্ছে, বলছিলেন তিনি।

এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনায় এসেছে কিশোর গ্যাং ইস্যুটি এবং এ নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ওই বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, কিশোর অপরাধীদের সংশোধনে প্রয়োজনীয়উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান

কিশোর গ্যাংয়ে সংখ্যা কত? কারা জড়িত হচ্ছে?


বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকার উত্তরায় ২০১৭ সালে স্কুল শিক্ষার্থী আদনান খুনের ঘটনায় প্রথমবারের মতো ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিলো কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তখন বেশ কয়েকজন কিশোরকে আটক করেছিলো র‍্যাব যারা একই গ্রুপের সদস্য ছিল।

সে সময় আলোচনায় এসেছিলো উত্তরা ডিসকো বয়েজ ও বিগ বস কিশোর গ্যাং নামের দুটো গ্রুপ।

কিন্তু এরপর থেকে নিয়মিতই ঢাকাসহ নানা জায়গায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ে খবরাখবর প্রকাশ হচ্ছিলো গণমাধ্যমে।

২০১৯ সালে বরগুনায় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর আলোচনায় আসে 'বন্ড ০০৭' নামের একটি গ্রুপ।

ঢাকার উত্তরার ১২ নম্বরে সেক্টরে বসবাস করেন নাহিদ হোসেন। উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ে প্রায়শই খবর আসে গণমাধ্যমে।

মি. হোসেন বলছেন, এরা হুট করে এসে একেকটা ঘটনা ঘটায়। আর তাতে তাৎক্ষণিক কারও ক্ষতি হয়ে যায়। যেমন কারও সাথে এদের আরও একটু কথা কাটাকাটি হলো, কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যাবে ৩০/৪০ জন এসে হামলা শুরু করলো

এলাকায় বস্তিগুলোতে থাকে এমন কিশোরদের পাশাপাশি পড়ালেখা করে এমন কিশোরদেরও দেখতে পাচ্ছি এসব গ্রুপগুলোতে, বলছিলেন মি. হোসেন।

কিন্তু ঢাকাসহ সারাদেশে এমন কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা কত বা কত কিশোর তরুণ এ ধরনের অপরাধে জড়িত তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া কঠিন।

তবে ২০২২ সালে পুলিশের এক প্রতিবেদনে সারাদেশে ১৭৩টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় থাকার তথ্য দেয়া হয়েছিলো। এতে বলা হয়েছিলো ঢাকাতেই ৬৬টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় আছে। আর এসব দলগুলোতে ১০ থেকে ৪০/৫০ জন পর্যন্ত সদস্য আছে।

গাংচিল, ম্যাক্স পলু, বাট্টু বাহিনী, পটেটো, কবজি কাটা গ্রুপ, লাল বাহিনী- এমন সব বাহারি নামের কিশোর গ্যাংগুলোর সদস্যরা ছিনতাই, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, জমি দখলে সহায়তাসহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ার তথ্য এসেছে গণমাধ্যমে।

তবে চলতি বছর জানুয়ারিতে ঢাকার মধুবাগে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে দু'দল কিশোরের সংঘর্ষে একজন নিহত হবার পর র‍্যাব জানায় যে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ১২৬ জনকে শুধুই র‍্যাবই আটক করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে। এর মধ্যে ২০২৩ সালেই আটক হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচিও হাতে নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ও র‍্যাব।

কিন্তু তারপরও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েই চলেছে কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপির মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলছেন, কিছু রাজনৈতিক নেতা এ জন্য দায়ী।

তারাই কিশোর তরুণদের বিপথগামী করছে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য। আমরা রাজনৈতিক নেতা বিশেষ করে কাউন্সিলর ও অন্যদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় করছি এবং উৎসাহিত করছি যাতে কিশোর গ্যাংকে কেউ প্রশ্রয় না দেয়, বলছিলেন তিনি।

আবার অনেক মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের বড় ভাই বা মদদদাতা হিসেবে অনুসন্ধানে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে, বলছিলেন তিনি।

এর আগে, পুলিশের প্রতিবেদনেও ঢাকার একুশ জন কাউন্সিলের নাম উঠে এসেছিলো কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে। যদিও তাদের কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

পুলিশ বলছে মূলত পাড়া মহল্লার কিশোরদের দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করার যে প্রবণতা সেটিকেই ব্যবহার করে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এসব গ্যাং তৈরি করেন।

১৫/১৬ বছর বা কাছাকাছি বয়সের কিশোরদের মধ্যে একটা হিরোইজম কাজ করে। সেটাকেই ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি তাদের ভুল পথে ঠেলে দেয়। এভাবেই তারা জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমে, বলছিলেন মি. হোসেন।

যদিও সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলছেন কিশোর অপরাধীরা যেসব অপরাধ করে এবং এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগ্রহ হয় তার ভাগবাটোয়ারা অনেক দূর পর্যন্ত যায় এবং এমনকি যাদের প্রতিরোধ করার কথা তারাও কেউ কেউ সুবিধা নিয়ে এসব কিশোর গ্যাংকে সুযোগ করে দেয়।

থামানো যাচ্ছে না কেন


তৌহিদুল হক বলছেন কিশোর অপরাধের ক্ষেত্রে 
বাংলাদেশ যে ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটি একপক্ষীয় এবং সংশোধনাগারগুলোও মানসম্মত নয়, অর্থাৎ কিশোর অপরাধীদের সংশোধন করে ভালো নাগরিক করার জন্য সক্ষম নয়।

এখানে যে অপরাধ করছে শুধু তাকেই ধরা হচ্ছে। যারা কিশোরদের সংঘবদ্ধ করে অপরাধ করাচ্ছে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। অর্থাৎ মদদদাতা বড় ভাই বা রাজনৈতিক নেতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, বলছিলেন তিনি।

যদিও পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলছেন যে এর আগের মামলাগুলোর তদন্ত পর্যায়ে মদদদাতা হিসেবে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মামলার আসামি করা হয়েছে।

তবে পুলিশ ও সমাজ অপরাধ গবেষকরা সবসময়ই বলে আসছেন যে পরিবারের তরুণ সদস্যদের সঠিক নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে সব পিতা মাতা কিংবা পরিবার সবসময় ভূমিকা রাখতে পারছে না।

বিশেষ করে দরিদ্র অর্থাৎ প্রান্তিক পরিবারগুলোতে সঠিক অভিভাবকত্ব দেখা যায় না বলে সেসব পরিবারের কিশোররা সহজে ভুল পথে যায়, এমন অনেক উদাহরণের কথা জানাচ্ছেন তারা।

অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকের সাথে সন্তানের দূরত্ব, সঠিক নির্দেশনা বা সঠিক প্যারেন্টিং না থাকার সুযোগে অপরাধের সাথে কিশোর বয়সেই অনেকের পরিচয় ঘটে যায়। আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে ধরা পড়লে যেসব সংশোধনাগারে পাঠানো হয় সেগুলো খুবই সেকেলে। পাশাপাশি সামাজিক অনুশাসন একেবারেই ঢিলেঢালা পর্যায়ে চলে যাওয়ার কারণেই কিশোর গ্যাংয়ের বিস্তার থামানো যাচ্ছে না,

ফারুক হোসেন বলে শুধু কয়েকজনকে শাস্তি দিয়ে বা আইনের প্রয়োগ করেই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বন্ধ করা অসম্ভব, বরং এজন্য সবার সহযোগিতা জরুরি।

সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কিশোর তরুণরা যেন ভুল পথে না যায় সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব পরিবার থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি সবার। পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে সবাইকে মোটিভেট করার যাতে অল্প বয়সী বাচ্চারা ব্যবহৃত না হয়, বলছিলেন তিনি।

ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকার বাইরেও


গত ত্রিশে মার্চ দক্ষিণাঞ্চলীয় পিরোজপুর জেলায় তরুণীকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করে সেখানকার পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, আটককৃতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, যাদের বয়স ১৫ থেকে সতের বছরের মধ্যে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান জানান পিরোজপুর শহর ও এর আশেপাশে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েই চলেছে।

এর আগে, পনেরই মার্চ মাদারীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয় এবং পুলিশ দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় গত ফেব্রুয়ারিতে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হন এক যুবক।  খেলার সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

ওই মাসেই জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ে ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

ত্রিশে জানুয়ারি কুমিল্লায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অস্ত্রের মহড়া ও গুলি করার ঘটনা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো।

গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অনেক ঘটনায় উঠে এসেছে কিশোর গ্যাংয়ের নাম।


আরও খবর