Logo
শিরোনাম

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

ভারতজুড়ে কার্যকর হলো সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সোমবার (১১ মার্চ) এই সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএএ চালু করার কথা ঘোষণা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে আইনটি পাস হওয়ার প্রায় চার বছর পর চালু হলো নতুন এই নাগরিকত্ব আইন।

গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, এই আইন নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, এটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। এর লক্ষ্য হলো নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই চালু হলো সিএএ।

এদিকে সিএএ নিয়ে সরকারের বিজ্ঞপ্তি জারির ঠিক আগেই সংবাদ সম্মেলন করে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, কারো অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে আন্দোলন হবে। তবে আইনটা আগে আমি দেখব। যদি দেখি কোনো শ্রেণির মানুষের ওপর বৈষম্য হচ্ছে, তাহলে তার বিরোধিতা করব। কোনো বৈষম্য মানব না।

তিনি আরও বলেন, দেশের কিছু ভালো হলে আমরা যেমন অভিনন্দন জানাই তেমনি দেশের কোনো খারাপ হলে আমরা তাকে সমর্থন করতে পারি না। আমি সকলকে বলব, আপনারা ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। আধার কার্ড যখন বাতিল হচ্ছিল, আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। আজও যদি কারো অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় তৃণমূল একমাত্র দল এই ইস্যুতে সবার প্রথমে সরব হবে।

ভারতজুড়ে সিএএ আইন কার্যকর করার খবর পেয়েই আনন্দে মাতলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরের মানুষজন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বরে ভারতের সংসদে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিম নাগরিকরা (হিন্দু শিখ খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ) ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।

যদিও এই আইনের বিরোধিতা করে প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস, তৃণমূলসহ বিরোধী দলগুলো। তাদের দাবি ধর্মের ভিত্তিতে এই আইন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই আইনকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে সে সময় সহিংসতা, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে নষ্ট হয় কোটি কোটি রুপির সরকারি সম্পত্তি, মৃত্যু হয় প্রায় শতাধিক বিক্ষোভকারীর।

সে সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের যুক্তি ছিল, করোনার কারণেই এই আইনের রূপায়ণ শুরু করা যাচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্পষ্ট বার্তা ছিল, এই আইন নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, এটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। সিএএ হলো বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে নির্যাতিত উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের একটি আইন।

সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশিত প্রামাণিক গণমাধ্যমকে জানান, ভারতের কোনো নাগরিকের নাগরিকত্ব যাবে না। এটা মানুষকে নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার আইন, কারোর নাগরিকত্ব ছিনিয়ে দেওয়ার আইন নয়। আমি সবাইকে বলব নিশ্চিন্তে থাকুন।


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রণীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ দিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১র ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতি বর্হিভূত এবং গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন।

 এই অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজাজামানকে স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর হয়ে ওঠে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দুঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, সরকারের প্রতিনিধিগণ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

নবজাত রাষ্ট্রের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের লক্ষে অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।

 এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বরাবরের মতো স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার সাথে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে স্মরণ ও পালন করবে।


আরও খবর



নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ‘ভুল’: বাইডেন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া গাজায় এখন শুধু যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করারও আহ্বান জানান বাইডেন।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং গাজার অভ্যন্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এটি ছিল নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রে বাইডেনের সবচেয়ে কড়া সমালোচনা। খবর এএফপির

নেতানিয়াহুর যুদ্ধ পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাইডেন ইউএস স্প্যানিশ ভাষার টিভি নেটওয়ার্ক ইউনিভিশনকে বলেন, আমি মনে করি তিনি যা করছেন তা ভুল। আমি তার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত নই।

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক দাতব্য সংস্থায় গত সপ্তাহে চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর ড্রোন হামলায় সাতজন নিহত হওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি ছিল একেবারে গর্হিত কাজ। এটা নিয়ে নেতানিয়াহুর সাথে বাইডেনের উত্তেজনাপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আরও সাহায্য সরবরাহের সুযোগ করে দিতে ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব, জর্ডান এবং মিসরের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে

বাইডেন বলেন, গাজার লোকদের চিকিৎসা ও খাদ্যের চাহিদা পূরণ না করার কোনো অজুহাত নেই। এটা এখনই করা উচিত।

গাজায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাহায্য কর্মী ইসরায়েলের হামলায় নিহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেওয়ার পর বাইডেনের এমন সাক্ষাতকার তার ইসরায়েল নীতির নাটকীয় পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।

হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে বলেছিল, নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বাইডেন হুমকি দিয়েছিলেন যে, গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আর নিঃশর্ত সহায়তা দেবে না। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সাত কর্মীকে নিহত হওয়ার পর বাইডেন সেই হুমকি দিয়েছিলেন।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। নির্বিচার ও বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত আরও অন্তত ৭৬ হাজার। উত্তর ও মধ্য গাজার অধিকাংশ এলাকায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ঈদ এসেছে ফিলিস্তিনিদের জীবনে।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরলো ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

এবারের ঈদে গতবারের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। ঈদে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে।

একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

আর বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭. দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুৰ্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত, ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়।

এ সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, একজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুজন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।


আরও খবর



ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস রূপক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস  রহমান রূপক। তিনি উপজেলর সর্বস্তরের মানুষের  নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

তিনি সাংবাদিক  পেশায় দীর্ঘ দিন যাবত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং গরীব দুঃখী ও মেহনতী মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।

শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়ন  ও ১টি পৌরসভার প্রবাসীসহ  সকল শ্রেনী পেশার নাগরিক ও সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের নিকট দোয়া, আশীর্বাদ কামনা করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ফেরদৌস রহমান রূপক। উপজেলার জনগণকে সাথে নিয়েই নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তরুন এ সাংবাদিক ফেরদৌস রহমান রূপক।

ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ফেরদৌস রহমান রূপক বেস্ট কেন্ডিডেট। তার ভদ্রতা, আচার ব্যাবহার ভোটারদের মন জয় করেছে। ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন মহলে ভালো মানুষ হিসেবে রূপকের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন ভদ্রলোককেই উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।

বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌস রহমান রূপক বলেন, আমি জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ে ও ভোটারদের আগ্রহ ও সমর্থন দেখে আমি নিশ্চিত বিজয়ের স্বপ্ন দেখছি। আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে সাধারণ মানুষের হয়ে উন্নয়নে অংশীদার হবো, জনসাধারণের পাশে দাঁড়াবো এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সচল রাখতে সুদ, ঘুষ,  মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ডামুড্যা উপজেলা বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার নিয়ে আমার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই গড়বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ” আমি এরই অংশ হিসেবে ডামুড্যা উপজেলাকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে চাই। সাংবাদিক  পেশার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে আমি সদা প্রস্তুত। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আমি আরও গভীরভাবে সাধারণ মানুষ ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সংস্পর্শে থাকবো। 

বহুগুণে গুণাবলীর অধিকারী ফেরদৌস রহমান রূপক  ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির অন্যতম সদস্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয়  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক , শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক।

তিনি বলেন, আধুনিক শরীয়পুররের রূপকার ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের সুযোগ্য সন্তান জননেতা আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপির উন্নয়নে শরীক হয়ে উপজেলাবাসীর কল্যাণে নিজেকে জনতার কাছে সমর্পণ করতে চাই। আমার জন্মভূমি ডামুড্যা উপজেলাকে “স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত করতে জনগণের ভালবাসা ও সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার দলীয় প্রতীক রাখেন নি।নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন নেত্রী।  আমি মনে করি নির্বাচন করার অধিকার সবারই রয়েছে। আমার পদে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন তাদের জন্যও শুভকামনা রইলো।

দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন ফেরদৌস রহমান রূপক।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। শুক্রবার নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবানসহ বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে আরও বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাঙ্গামাটিতে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে।


আরও খবর