Logo
শিরোনাম

যানজট আর দুর্ঘটনা রুখবে কে ?

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এত আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন সত্ত্বেও শৃঙ্খলা ফেরেনি। নতুন আইন পাস হলেও তার বাস্তবায়ন নেই। তৈরি করা হয়নি এর বিধিমালা। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ফুট ওভারব্রিজ বা ফুটপাত নেই। সাইন-সিম্বল নেই। থাকলেও তার তেমন ব্যবহার নেই। নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া রাস্তার যেখানে সেখানে চলছে যাত্রী নামানো-ওঠানো। চালকদের মধ্যে চলছে ওভারটেকিংয়ের প্রতিযোগিতা। কমেনি লাইসেন্সবিহীন চালকদের দৌরাত্ম্য। ভাড়া আদায়ে অনিয়ম ও অভিযোগ।

এই দৃশ্য আর দেখতে হবে কতদিন। কিছু বাসে ই-টিকিট ব্যবস্থা থাকলেও মানা হচ্ছে না এই নিময়। তাই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে পথচারী ও যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিআরটিএকে আরও তৎপর হতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে হতে হবে আরও দায়িত্বশীল। এ ছাড়া নিজ দায়িত্বের প্রতি আমাদের সবারই সজাগ হতে হবে সবার আগে। অন্যায়ের প্রতিবাদ শুরু করতে হবে নিজ উদ্যোগে।

পক্ষান্তরে দেশের আন্তঃজেলা মহাসড়কগুলোতে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, যেখানে যানবাহন খুব দ্রুতবেগে চলাচল করে। এই সড়কগুলোতে মুখোমুখি যানবাহন চলাচল করলেও সড়কগুলো তেমন একটা চওড়া নয় এবং কোনো ডিভাইডার নেই। ফলে যানবাহনগুলো যখন পাশাপাশি চলে আসে, তখন তাদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব না থাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ওভারটেকিংয়ের সময় এমন আশঙ্কা আরও বাড়ে। আর নিরাপদ দূরত্ব রাখতে হলে রাস্তা ছেড়ে যানবাহন নিচে নেমে আসে। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঢাকার বাইরে অসংখ্য পুরোনো ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলছে, যেগুলো দুর্ঘটনা ঘটানোর অন্যতম কারণ। রাস্তাঘাটে যেসব অবৈধ চালক, ফিটনেসহীন গাড়ি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আটক করেন, তার অধিকাংশই অর্থের বিনিময়ে বৈধ হয়ে যায় বা মামলা কাগজ-কলমেই থাকে। এসব নিয়ম-কানুনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।


যদিও কথাটি সত্য, আমাদের দেশের আয়তন কম, সেই তুলনায় জনসংখ্যা বেশি। এজন্য সবকিছুতে আমাদের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে সড়কে চলাচলে লেন মেনে চলতে হবে। বামে সাইকেল এবং মোটরসাইকেল চলবে। তারপর রিকশা, রিকশা ওভারটেক করতে পারবে না, একটার পেছনে একটা চলবে। তারপর চলবে বাস, কার এবং অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়া জেব্রা ক্রসিং, ফুট ওভার অথবা আন্ডারপাস ছাড়া কেউ রাস্তা পার হতে পারবে না। ট্রাফিক পুলিশ সব জেব্রা ক্রসিংয়ে থাকবে। সারজেন্ট ফুটপাতে থাকবেন আর দূর থেকে মনিটরিং করবেন, অনিয়ম দেখলেই মামলা দিতে হবে। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে কাগজ চেক করা যাবে না। গাড়ি লাল, হলুদ এবং সবুজ বাতি অনুযায়ী চলবে।

সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটিতে দেখা যাচ্ছে, পদ্মা সেতু চালুর পর বরিশালের সঙ্গে রাজধানীর সড়কপথে যাত্রীর সঙ্গে সঙ্গে বাসের সংখ্যাও বেড়েছে আগের তুলনায় কয়েকগুণঅথচ তাল মিলিয়ে বাস টার্মিনালের উন্নয়ন হয়নি। টার্মিনালে জায়গা না পেয়ে মহাসড়কের ওপরই যত্রতত্র যাত্রী নামানো ও তোলার কাজ করছে বাসগুলো। এতে টার্মিনাল সংলগ্ন এক কিলোমিটার দীর্ঘ পথজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। আর নগরজুড়ে যানজট এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। সঙ্গে বাড়তি উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিদিনকার ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

দেশের নানা জায়গার মানুষকে বরিশালের ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। ফলে নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কের ওপর দিন দিন চাপ বাড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে ১১ কিলোমিটার মহাসড়ক অতিক্রম করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ওপর দিয়ে। এই সড়কে দূরপাল্লার পরিবহন যেমন চলাচল করে, তেমনি জেলা শহরের অভ্যন্তরের ক্ষুদ্র পরিবহনগুলোও চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কটিতে গাড়ির চাপ বেড়েছে ৪ থেকে ৫ গুণ। অথচ সংকীর্ণ সড়কটি প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো।

এদিকে বাস টার্মিনালে জায়গা না পাওয়ায় বাসগুলো রাখতে হচ্ছে এলোমেলোভাবে। কখনো টার্মিনাল সংলগ্ন রাস্তার পাশে আবার কখনো টার্মিনাল ছেড়ে অনেক দূরে মহাসড়কের পাশে। জায়গা না পেয়ে বাস রাখা হয় টার্মিনাল সংলগ্ন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সামনের সড়কেও। এতে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে মহাসড়ক। নগরজুড়ে যানজটের ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘ট্রাফিক বিভাগ চেষ্টা করেও কোনো লাভ হবে না। এর জন্য বাস টার্মিনাল যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই দুটি বাস টার্মিনালে বাসের বিশৃঙ্খলার কারণে পুরো নগরীতে যানজটের সৃষ্টি হয়। আমাদের দিক থেকে কঠোর পরিশ্রম করি নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি যানজট না থাকে, পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের সময় কমে যাবে প্রায় ২ থেকে ৪ ঘণ্টা এবং ওই জেলাগুলোতে প্রসার ঘটবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের।

কৃষকরা পাবে পণ্যের ন্যায্য দাম। ফলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহও বৃদ্ধি পাবে। তা ছাড়া চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে ভারত, ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য আরও সহজ এবং দ্রুত হবে।

কিন্তু যানজটের কারণে এই সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে অতিরিক্ত সময় ও জ্বালানি দুটিই লাগছে। যানজটে সময় নষ্ট করে ও অধিক জ্বালানি পুড়িয়ে যাত্রী বা পণ্যবাহী যান চলাচল করলে পদ্মা সেতুর সুফল পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব হবে না। কাজেই আমরা প্রত্যাশা করি, পদ্মা সেতুর কারণে যেসব জেলায় কিংবা সড়কে-মহাসড়কে অতিরিক্ত যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নিরসনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি সড়কে নিয়ন্ত্রণ আনতে হলে অবশ্যই পথচারীসহ চালকদের সচেতন হতে হবে।

ফিটনেসহীন গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা করতে হবে। বাসগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা কমাতে হবে। বিশেষ করে সড়ক-মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন তুলে দেওয়া দোষী চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমি মনে করি। যদিও বাস্তবতা বিভিন্ন সময়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সিন্ডিকেট সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেছে। ফলে সরকারের ও প্রশাসনের সব ইতিবাচক পদক্ষেপ মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা সাধারণ জনগণ সড়কে ও গণপরিবহনে সব ধরনের অরাজকতার অবসান চাই।

 


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। এতে বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এদিকে শেষ মুহূর্তের দিন ট্রেন যাত্রায় ভেঙে পড়েছে রেলের নিয়মশৃঙ্খলা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর।

এছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশের বাজারে সোনার দামের অস্থিরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত চার দিনের মধ্যে তিন দিনই দামি এই ধাতুর দর পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল শনিবার প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমেছিল। আজ রোববার ভরিপ্রতি সোনার দাম বেড়েছে ৬৩০ টাকা। এর ফলে ২২ ক্যারেট সোনার দাম আবার ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায় পৌঁছে গেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সোনার দাম বাড়ানোর পেছনে তারা যুক্তি দিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিউর গোল্ড) দাম বেড়েছে নতুন দাম  বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে

জুয়েলার্স সমিতির তথ্যানুযায়ী, হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার ভরি বেড়ে হয়েছে লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট সোনার ভরি লাখ ১৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা। আজ থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ৬৩০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৬০৭, ১৮ ক্যারেট ৫১৩ এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় বাড়ছে ৪২০ টাকা


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ দিন ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তীব্র গরমের কারণে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মাউশির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরসহ টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে করণীয় ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে ওইদিনের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দাবদাহের মধ্যে না খুলে আগামী সাত দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। এমন অবস্থার মধ্যে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় মাউশি।

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর



প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসানে চৌধুরী নওফেল। রবিবার (৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে দেওয়া ছুটি শেষে আজ রবিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।

এবার ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিলও মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী একই ধরনের কথা বলেছিলেন। ওইদিন তিনি বলেছিলেন, যদি শিক্ষাদিবস কমে যায়, তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হতে পারে। যদিও একদিন পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।


আরও খবর



রাত ৮টার পর শপিংমল বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

চলমান দাবদাহ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সেগুলো হলো-

রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করা।

এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখা। দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকা। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তিতে যে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হট লাইন নম্বর ১৬৯৯৯ যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।


আরও খবর