Logo
শিরোনাম

৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আজ শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা।

ঢাকার তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমান বন্দর এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের ৬টি গান ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের প্রতি গান স্যালুট প্রদর্শন করে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।


আরও খবর



দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বললেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন একথা বলেন। এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি নেই। সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম আছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আশা করছি আজ থেকেই সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন , সয়াবিন তেল বেশি দামে যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমনি পামওয়েল তেল সরকার নির্ধারিত দামের থেকে ২৫ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মোট ভোগ্য তেলের ষাট শতাংশ পামওয়েল। বাজারে তেলের দাম একই সঙ্গে কমেছে এবং বেড়েছে। আশা করছি সয়াবিন তেলের দামও কমে আসবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যে ভেজাল রোধে পবিত্র রমজান মাসে বিএসটিআই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। আজ চারটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান ও বিএসটিআইয়ের এস এম ফেরদৌস আলম উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

একেকজনের ত্বক একেক রকম, তেমনি ত্বকের সমস্যাও ভিন্ন। ত্বকে যা দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, আরেকজনের ক্ষেত্রে হয়ত হিতে বিপরীত। তবে ত্বকের যত ধরনের সমস্যা দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার পেছনে অনেকটাই দায়ী সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি।

এছাড়াও ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল সানবার্ন বা পোড়াত্বক। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এই অতিবেগুনী রশ্মি বা সানবার্ন থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখাই মূলত সানস্ক্রিনের কাজ।

প্রতিদিন আমাদের ত্বক ২ ধরনের সূর্য রশ্মির মুখোমুখি হয়। একটি ইউভি-এ অন্যটি ইউভি-বি। ইউভি-এ রশ্মি ত্বকের ভেতর পর্যন্ত যেয়ে ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন কমিয়ে দেয়। যার ফলে চামড়া কুঁচকে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়, ত্বকে বয়সের ছাপ বোঝা যায়, ফাইন লাইনের মতো সমস্যা এবং রিংকেল তৈরি হয়। ইউভি-বি রশ্মি মূলত সানবার্নের মতো সমস্যার জন্য দায়ী। এছাড়া ত্বকের কালো দাগ বা পিগমেন্টেশনের সমস্যাগুলো হয় ইউভি-বি এর কারণে।

কানাডিয়ান ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন এবং আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি উভয় সংগঠনই মেলানোমা এবং ননমেলানোমা উভয় ত্বকের ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে এবং প্রতিরোধের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহারের সুপারিশ করে। কেননা কানাডায়, প্রতি বছর ৮০ হাজারেরও বেশি ত্বকের ক্যান্সার ধরা পড়ে। যার ৮০-৯০ শতাংশ অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণের সংস্পর্শে হয় বলে অনুমান করা হয়।

ইউভি-এ এবং ইউভি-বি দুরকম সূর্য রশ্মিই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে সেটি ইউভি-বি এর পাশাপাশি কত ভালো ইউভি-এ রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে তা বিবেচনা করতে হবে। কেনার আগে লেবেলে পিএ+, পিএ++, পিএ + + + এরকম কিছু লেখা আছে কিনা দেখে নিতে হবে যতগুলো প্লাস চিহ্ন থাকবে ত্বক তত সুরক্ষিত থাকবে।

সানস্ক্রিন কিংবা যেকোনো প্রসাধনী ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করলেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। সাধারণত মানুষের ত্বকের ধরণকে ৪টি ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়। স্বাভাবিক, তৈলাক্ত, সংবেদনশীল ও শুষ্ক। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরনের ত্বকের জন্য আর্দ্রতা বজায় রাখবে এমন সানস্ক্রিন বাছাই প্রয়োজন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে যদি ঘাম হয় বিশেষত তৈলাক্ত ত্বক যাদের, তারা সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন, জেল সানস্ক্রিন, কিংবা স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারে। এতে ত্বক সহনশীল থাকবে এবং ঘামও কম হবে। অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যায়। সমুদ্রের পানিতে নামতে অথবা সুইমিং পুলে গোসল করতেও ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তা নাহলে পানি এবং ঘামের সঙ্গে সানস্ক্রিন উঠে যাবে। অর্থাৎ তেলতেলে ত্বক হলে জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন। শুষ্ক ত্বক হলে অয়েল বেসড সানস্ক্রিন ভালো কাজ করবে।

সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অপশন থাকে। কিন্তু সবচেয়ে বড় যে বিষয় লক্ষ্য করা প্রয়োজন তা হচ্ছে এসপিএফ। এসপিএফ হল সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টর। সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া রোদে গেলে ত্বক মাত্র ২০ মিনিটেই ত্বক পুড়ে যায়। এই পুড়ে যাওয়ার সময়টুকুকে বর্ধিত করে দেয় এসপিএফ। মূলত এসপিএফ এর উপরেই নির্ভর করে সানস্ক্রিন একজনের ত্বককে কত সময়ের জন্য সুরক্ষা দিতে পারে।

এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি থাকলে তা ত্বককে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করতে পারে। এসপিএফ-৩০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়। আবার এসপিএফ-৫০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়।

কেউ যদি এসপিএফ-১৫ এর একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে এসপিএফ-১৫ কে ১০ দিয়ে গুন করে যত মিনিট পাওয়া যাবে তত সময় সূর্য রশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে ফলাফল আসে ১৫০ মিনিট অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের জন্য নিশ্চিন্ত। এভাবে যে যত এসপিএফ এর সানস্ক্রিন ব্যবহার করছেন তা ১০ দিয়ে গুন করলে পেয়ে যাবে কতক্ষণ ইউভি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত আছে। মূলত এজন্যই সানস্ক্রিন বাছাই করার সময় অনেকেই বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন পছন্দ করেন।

সানস্ক্রিনগুলো প্রায়শই ২টি বিভাগে বিভক্ত হয়: রাসায়নিক ও খনিজ। রাসায়নিক সানস্ক্রিনগুলোতে অ্যাভোবেনজন, অক্টিসালেট, অক্টোক্রাইলিন, হোমোসালেট এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করা হয়। খনিজ সানস্ক্রিনে জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে। রাসায়নিক এবং খনিজ উভয় সানস্ক্রিন একইভাবে কাজ করে (অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং সেই শক্তিকে অল্প পরিমাণে তাপে রূপান্তর করে) ।

কারো কারো জন্য, রাসায়নিক সানস্ক্রিন ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে, ঘন ঘন প্রতিক্রিয়া হলে খনিজ সানস্ক্রিন সেদিক থেকে ভাল হতে পারে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার

বাইরে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এতে ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যায়। না হলে সূর্যের আলোতে বের হওয়ার পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করে কোনো লাভ হয় না।

রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রায় ৮০ ভাগই আটকাতে পারেনা মেঘ। তাই মেঘাচ্ছন্ন এমনকি বৃষ্টির দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়।

শুধু মুখে নয় বরং শরীরের যেসব অংশ রোদের সংস্পর্শে আসতে পারে, সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। প্লাস ওয়ানের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রায় ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের চোখের পাতায় সানস্ক্রিন প্রয়োগ করেননি। অংশগ্রহণকারীদের ধারণাও ছিল না তারা এই স্থানটি বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এটি ছিল তাদের জন্য ভীষণ উদ্বেগজনক কেননা চোখের পাতার ত্বকে প্রতি একক জায়গায় স্কিন ক্যান্সারের ঘটনা সর্বোচ্চ।

দিনের বেলায় বাসায় যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাসায় থাকলে কম এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও চলবে কিন্তু বাইরে বের হলে বেশি এসপিএফ যুক্ত বাছাই করতে হবে।

কোন সানস্ক্রিনই পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই সানস্ক্রিনের এসপিএফ এর উপরই কেবল নিশ্চিন্ত না থেকে ২ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস করা উচিত।

সতর্কতা

১) সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিতে পারেন। এতে করে এলার্জি কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রভাব প্রথমেই চেহারার পড়বে না।

২) সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রয়োজনমত সানস্ক্রিনের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ঘামের সমস্যা কমে যাবে।

৩) সানস্ক্রিনের কাজ শেষ হলে অবশ্যই ভালো করে ক্লিনজিং করতে হবে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অস্বস্তি কাটেনি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

একের পর এক ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মব সৃষ্টি করে ভাঙচুর ও লুটপাটসহ অপরাধ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। গতকাল শনিবার এই বিশেষ অভিযানের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে, অভিযানের লক্ষ্য কতটা পূরণ হয়েছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সমাজ চিন্তক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশেষ অভিযান সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। এখনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি কাটেনি, বরং আতঙ্ক বেড়েছে। এ সময়েই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অঞ্চলে চরমপন্থিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, ডাকাতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, তৌহিদী জনতার নামে মব সৃষ্টি করে মানুষের বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বেড়েছে নারী হেনস্থা এবং ধর্ষণের ঘটনাও।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এই বিশেষ অভিযান এখনও চলমান আছে। তবে ডেভিল হান্ট নামে আর অভিযান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্ট বিশেষ অভিযানে সারাদেশে ১১ হাজার ৮৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময়ে সারাদেশে মোট গ্রেপ্তার করা হয় ৩০ হাজার ৭২৩ জনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জুলাই-আগস্ট মামলার আসামিও রয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশন নামটা যতটা প্রভাবশালী; অভিযানটা তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না। কারণ ১১ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার হওয়ার পরও যদি একই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়, তা হলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কোন অপরাধীদের? তিনি বলেন, অভিযানটা সামগ্রিকভাবে হওয়া উচিত ছিল। পেশাদার অপরাধীদেরও যদি একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হতো, তা হলে অবস্থার আরও উন্নতি হতো।

তবে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বিত টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রমের কারণে কয়েক দিন ধরে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আপাতত ঢাকাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার বাইরেও পুলিশের কার্যক্রম আগের তুলনায় আরও গতিশীল করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য বলছে, অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হওয়ার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে ৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ফেব্রুয়ারিতে সেটি বেড়ে ৫৭টি হয়। জানুয়ারিতে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ১৫টি। ফেব্রুয়ারিতে তা ১৭ হয়েছে। এর মধ্যে দুই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হতে হয়েছে। বেড়েছে দলবেঁধে ধর্ষণচেষ্টার সংখ্যাও। সর্বশেষ গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘুরতে গিয়ে এক কলেজছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বিকেল তিনটার দিকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করা হয়।

বিশেষ অভিযানের মধ্যে গণপিটুনির ঘটনাও কমেনি। এক সপ্তাহ আগে শরীয়তপুরে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হয় আরও কয়েক জন। গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাত সন্দেহে আরও দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বুধবার রাতে ঢাকার মগবাজারে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় জনতা একজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে গণপিটুনিতে ১২ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে গণপিটুনির ঘটনায় আটজনের প্রাণ যায়। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাদেরকে ফুটওভার ব্রিজের রেলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর তীরে অন্তত তিনটি ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একদল অস্ত্রধারী বালুর ঘাটে হামলা চালিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের দুই লাখ টাকা লুট করে নেয়। ওই ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে স্থানীয় একজন গুলিতে আহতও হন।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বেড়া-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তলট এলাকায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত একটার দিকে গাছ ফেলে অন্তত ১০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের মারধরে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শশানঘাট এলাকায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে শক্তির জানান দেয় চরমপন্থি দলের নেতা কালু। হত্যার দায় স্বীকারও করে সে। গতকাল পর্যন্ত কালু গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলায় এই বাহিনীর হাতে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর পরই যৌথ বাহিনীসহ র‌্যাব-পুলিশ দৃশ্যমান তৎপরতা শুরু করে। গভীর রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শুরু করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাত্রিকালীন টহলও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে বসেছে চেকপোস্ট। এ অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে ১৪ জন সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের নানামুখী ব্যবস্থার কারণে ঢাকায় পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ছিনতাই কমে আসছে।

তবে ঢাকার একাধিক এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে, রাতে ঢাকার রাস্তায় র‌্যাব-পুলিশের দৃশ্যমান তৎপরতা বেড়েছে। তবে পাড়া-মহল্লায় তাদের উপস্থিতি বাড়েনি। ফলে আগের মতোই আতঙ্ক নিয়ে তাদের ঘর থেকে বের হতে হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করা পুলিশ সদস্যরাও বিভিন্ন জায়গায় মার খাচ্ছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে তল্লাশি চৌকিতে থামার জন্য ইশারা দেন পুলিশের এসআই ইউসুফ আলী। এর কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন এসে ভুয়া পুলিশ অপবাদ দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি। সারাদেশে আরও কয়েক জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর এ ধরনের ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণে বা মব তৈরি করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ২২৫টি ঘটনার মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২৪টি, অক্টোবরে ৩৪, নভেম্বরে ৪৯, ডিসেম্বরে ৪৩, জানুয়ারিতে ৩৮ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৭টি হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর  বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আন্তরিকতা এবং পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে লক্ষ করেছেন বিভিন্ন আভিযানিক কার্যক্রমে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপরাধ প্রতিরোধে কৌশলগত বিভিন্ন কার্যক্রমের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মব জাস্টিস কোনোমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ অপরাধ করলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানাতে হবে। পুলিশ এক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে রেসপন্স করবে। পুলিশের আইনি দায়িত্ব পালনে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তাদেরকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

 


আরও খবর



আরেফিন স্যারের জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না হওয়া অন্যায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শরিফুল হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইবারের সাবেক উপাচার্য যিনি প্রায় পাঁচ দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছেন, অধ্যাপনা করেছেন আজকে তাঁর জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না হওয়া অন্যায়, এক ধরনের ফ্যাসিজম। যে কারণেই হোক যাদের কারণেই হোক এই যে স্যারকে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হলো না তাতে স্যারের কিছু যায় আসে না কারণ স্যার সবকিছুর উর্ধ্বে। এই ঘটনায় ছোট হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছোট হয়েছে। 

আরেফিন স্যারের পরিবার বলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহকর্মীরা চাইলে মর্যাদার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা হোক। যাদের কারণে যাদের ব্যর্থতায় যাদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ বাধায় সেটি হলো না এবং একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি হলো আল্লাহ তাদের বোধ দিক! 

যারা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধা ছিল না তাদের কাছে প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন পরিবারকে বললো না আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা হোক। এখনো দাফন হয়নি। তারা বলুক আরেকটা জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হোক। অন্তত দাফনের আগে দায়িত্ব নিয়ে তারা শেষবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে সম্মান দিক! কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সাবেক উপাচার্যের জন্য তা করছে না? 

সাংবাদিকরা যখন বর্তমান উপাচার্যকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন কেন তিনি উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন? আমি নিশ্চিত করে বলছি গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রায় সবার সাথে কথা হয়েছে। কেউ দায়িত্ব নেননি বরং নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন।

যাই হোক, এসব কথা বলে লাভ নেই। স্যারের পরিবার ভীষণ বিনয়ী। আরেফিন স্যরের জানাজার নামাজ বাদ জু'মা ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদে ( সড়ক ৬/এ) হবে। এখানেই বিভাগ, অ্যালামনাই, বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভাগের ব্যাচগুলোর পক্ষ থেকে স্যরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এর আগে স্যরের পারিবারিক বাড়ির (১, নর্থ রোড) কাছে, ভুতের গলি বাইতুল আকসা মসজিদে  সকাল এগারোটায় আরেকটি জানাজার কর্মসূচি হয়েছে।

আপনাদের মনে করিয়ে দিই, ব্যক্তি আরেফিন স্যার উপাচার্য থাকাকালে সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ কিংবা মনিরুজ্জামান মিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা পড়াসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ভিন্নমতের মানুষসহ সবার প্রতি তিনি অমায়িক ছিলেন। সবার পাশে থাকতেন। 

এই দেশে এমন মানুষ পাওয়া বিরল যিনি বলতে পারবেন আরেফিন স্যার কারো সাথে কোনদিন কারো সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। আমি তো বলবো শুধুমাত্র অমায়িক ব্যবহার বা ভালো আখলাকের কারণে আরেফিন স্যার আল্লাহর রহমতে জান্নাতবাসী হবেন। 

আবারো বলি, গত ২৪ বছর ধরে স্যারকে দেখেছি। এমন বিনয়ী শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য শিক্ষক এই দেশে খুব বেশি আছে বলে দেখিনি। দিন রাত সবসময় একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল হোক তিনি যেই আদর্শের। এমন কোন মানুষ নেই যার সংকটে তিনি পাশে থাকেননি। 

স্যারকে প্রথম দেখি ২০০১ সালের মার্চে। এরপর গত ২৪ বছরে কখনো স্যারের সরাসরি ছাত্র, কখনো সাংবাদিক, কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, কখনো অভিভাবক হিসেবে স্যারকে পেয়েছি‌।‌ স্যারের সেই সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে শুরু করে টিচার্স ক্লাব, উপাচার্য কার্যালয়, উপাচার্য বাংলো, টিএসসি নানা জায়গায় নানা পরিচয়ে স্যারকে দেখেছি‌। সবসময় সবাইকে তিনি মানুষ হবার কথা বলতেন!

দেখেন এক জীবনে তো কম মানুষ দেখলাম না। উপাচার্য বলেন, শিক্ষক বলেন, মানুষ বলেন, অভিভাবক বলেন  এই যুগে শিক্ষার্থীদের জন্য এমন অন্তঃপ্রাণ শিক্ষক বিরল! সত্যি বলতে তাঁর ব্যক্তিগত কোন জীবন ছিলো না। বলতে গেলে পুরো জীবনটা অন্যের জন্য কাটিয়েছেন।‌ যে কেউ যে কোন সংকট নিয়ে গেলে তিনি শুনতেন।‌ সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। 

স্যারের ছাত্র ছাত্রী কিংবা স্যারকে সামনাসামনি দেখেছে এমন মানুষদের জিজ্ঞেস করলেই জানবেন কতোটা শিক্ষার্থী অন্তঃপ্রাণ তিনি ছিলেন। আমার সাথে স্যারের সম্পর্কটা সবসময় দারুণ ছিলো কারণ সম্পর্কটা নিঃস্বার্থ ছিলো।‌ আমি বলবো, এই দেশে তাঁর চেয়ে ভালো একাডেমিসিয়ান থাকতে পারেন কিন্তু শিক্ষার্থী বান্ধব এমন শিক্ষক এমন অভিভাবক এমন উপাচার্য বিরল! আমি অন্তত পাইনি। 

আমাদের সেই স্যার গতরাতে চলে গেলেন। আজকে বাদ জুমা জানাজার নামাজ শেষে স্যরের মরদেহ রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরে দাফন করা হবে। আল্লাহ আমাদের স্যারকে জান্নাতবাসী করুন। অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা স্যার আপনার জন্য! আপনি বেঁচে থাকবেন হাজারো শিক্ষার্থীর হৃদয়ে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ফাল্গুনের শেষ দিকে এসে বেড়েছে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি, এবং তাপমাত্রার পারদও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদফতর চলতি মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি তীব্র কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহের মতো বিপজ্জনক আবহাওয়া পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন মাসে অন্তত ৮ দিন বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে এবং ২ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, মার্চ থেকে মে মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হওয়া সাধারণ ঘটনা হবে, তবে এগুলোর তীব্রতা এবং ঘণত্ব কখনও বেশি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, এই সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি বিপদের আশঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য। ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে, তবে তীব্র ঝড়, বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই তিন মাসে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ৪ থেকে ৭টি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই তাপপ্রবাহগুলোর তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যা মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়। তবে, কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে পরিচিত।

এছাড়া, কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে আসা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাতাসের গতিবেগও ভয়াবহ হতে পারে, যা স্থানীয়ভাবে বৃক্ষপতন এবং তীব্র বৃষ্টির সৃষ্টি করতে পারে। এসব আবহাওয়ার কারণে কৃষি, সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পরিবহন ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর