Logo
শিরোনাম

আমরণ অনশনে যাচ্ছেন মাধ্যমিক শিক্ষকরা

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের একদফা দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। রোববার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতর অবস্থানরত শিক্ষকরা ঘোষণা দেন, এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দাবি আদায়ের কোনো ঘোষণা না আসলে মঙ্গলবার থেকে তারা এই কর্মসূচিতে যাবেন।

গত ১১ জুলাই থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের একদফা দাবিতে শিক্ষকরা এই আন্দোলন করছেন। আজ তাদের এই কর্মসূচির ২০তম দিন পূর্ণ হয়েছে।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ মো. কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণ এবং ধনি-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে দুদফা পুলিশি কঠোরতার মুখে পড়েছেন শিক্ষকরা। বিশেষ করে আন্দোলনের সপ্তম দিনে পুলিশ মৃদ্যু লাঠিচার্জ করে। ওইদিন শতাধিক শিক্ষক আহত হন। এতে আহত একজন মারা গেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী স্বঘোষিত ও সদ্য গজিয়ে ওঠা কিছু সংগঠনের শিক্ষক নেতাসহ একটি বৈঠক করেছেন। তাদের বেশিরভাগ সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট। বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তারা।

এছাড়া বৈঠকে আগে ও পরে শিক্ষামন্ত্রীও শিক্ষকদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেও পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু শিক্ষকরা এখন পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে গেছেন। মর্মাহত শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে আন্দোলনে আছেন। দিন দিন অংশগ্রহণ বাড়ছে। তারা আজ (৩১ জুলাই) পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত না পেলে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) আমরণ অনশনে যাবেন।


আরও খবর



নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের সব জায়গায় ঈদের জামাতে যারা শরীক হয়েছেন ও নারী-প্রবাসী শ্রমিকসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে স্থায়ীভাবে সেই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।

জাতীয় ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস।তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে,‌ সব প্রতিকূলতার সত্ত্বেও সেই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।

সেই সঙ্গে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি ও বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।

এ সময় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন এবং হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন ছিল।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



দর্শক সিনেমা হলে যাবে এটাই হবে উপহার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সিয়াম আহমেদ। বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক। গতকাল ছিল তার জন্মদিন। আবার সামনে ঈদ। এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা জংলি। তাই তিনি জন্মদিন উদযাপন করবেন একবারে ঈদে! আর দর্শক-ভক্তদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে চান- হলে গিয়ে ঈদের সিনেমাগুলো দেখা। সিয়াম বলেন, যারা সিনেমাকে ভালোবাসেন, হলে গিয়ে সিনেম দেখেন তারাই আমাদের কাছে বিশেষ মানুষ। এই বিশেষ মানুষগুলো যদি হলে গিয়ে ঈদের বিশেষ সিনেমাগুলো দেখেন, সেটাই হবে আমার জন্মদিন আর ঈদের উপহার।

সিয়াম আহমেদ অভিনীত পোড়ামন টু, দহন, মৃধা বনাম মৃধা, ফাগুন হাওয়ায় সিনেমাগুলো দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। তিনি সিনেমার প্রচারণায় বরাবরই সময় দেন। স্বাভাবিকভাবেই জংলি সিনেমার প্রচারণার জন্য ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সিয়াম বলেন, নতুন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। খুব ব্যস্ত সময় পার করছি। এখন প্রচারণার জন্য কাজ করছি। এই নায়ক আরও বলেন, আমার দর্শক ও ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাদের ভালোবাসায় আমি সিয়াম। তাদের জন্য ভালোবাসা। আশা করছি জংলি সিনেমা তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হবে।

অনেক আগে থেকেই একটি কথা সিয়াম বলে আসছেন। জংলির জন্য তিনি অন্যসব সিনেমার থেকে অনেক বেশি পরিশ্রম করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বলেন, অভিনয় ভালোবাসি। এটাকে কষ্ট হিসেবে দেখি না। কাজ হিসেবে দেখি। ভালোবাসা হিসেবে দেখি। এর জন্যই আমি। স্বীকার করছি জংলিতে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। কিন্তু এটা তো সিনেমার জন্যই করেছি। আমার বেশকিছু সিনেমা দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। আমার নিজের অভিনীত সবগুলো সিনেমাকে যেন ছাড়িয়ে যেতে পারে জংলি। সবার কাছে এটাই আমার চাওয়া। আমার করা অতীতের সিনেমাগুলোর রেকর্ড ভাঙুক জংলি। তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে।

জংলি সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, জংলি সিনেমার জন্য যখন স্ক্রিপ্ট লেখা হয়, তখন থেকেই আমি জড়িত ছিলাম। সাধারণত স্ক্রিপ্ট তৈরি হওয়ার পর আমরা যুক্ত হই। কিন্তু এখানে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলাম। এই সিনেমার জন্য অনেক সময় দিয়েছি। অনেক যত্ন নিয়ে কাজটি হয়েছে। সহশিল্পীরা অনেক শ্রম ও ভালোবাসা দিয়েছেন। সবাইকে সব শিল্পী সম্মান করেছেন কাজটি করার সময়। নানা কারণে জংলি আমার কাছে অনেক কিছু। এটি আমার কাছে স্পেশাল সিনেমা। সিনেমার গল্পটা অনেক শক্তিশালী। দর্শকরা হলে গেলেই বুঝতে পারবেন। এটা আমাদের নিজেদের গল্প। আমাদের দেশের গল্প। আশপাশে ঘটে যাওয়া গল্প।

এবারের ঈদে সিয়াম অভিনীত জংলি সিনেমা ছাড়াও আফরান নিশোর দাগি, শাকিব খানের বরবাদ, মোশাররফ করিমের চক্কর ৩০২, সজলের জ্বীন থ্রি মুক্তি পাচ্ছে। অন্যদের সিনেমাকে প্রতিযোগিতার চোখে দেখেন কি না, জানতে চাইলে সিয়াম বলেন, না। সবার সিনেমার জন্য ভালোবাসা। আমি ভালোবাসার চোখে দেখি। সবাই আমার সহকর্মী। তিনি আরও বলেন, ঈদের সব সিনেমা দেখব। সবার সিনেমা দেখব। পুরো টিম নিয়ে অন্যদের সিনেমা দেখব।

অন্য নায়কদের প্রতিযোগী মনে করেন কি না, জানতে চাইলে সিয়াম বলেন, না। আমরা একই পরিবার এবং শিল্পী। কাউকে প্রতিযোগী মনে করি না। সিয়াম যে অন্য নায়কদের প্রতিযোগী মনে করেন না, তার প্রমাণ সম্প্রতি পাওয়া গেছে তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল শাকিবের বরবাদ সিনেমার মুক্তির অনিশ্চয়তা বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এটি মুক্তি পাচ্ছে। তবে তার আগেই সিয়াম লিখেছেন, একটা সিনেমা আটকে দেওয়া মানে, কতগুলো স্বপ্নকে আটকে দেওয়া। বরবাদ আমি, আমরা সিনেমা হলে দেখতে চাই।

তিনি আরও লিখেছেন, এই ঈদে দর্শক জংলি, বরবাদ, দাগি, চক্কর ৩০২, জ্বিন-৩ দেখতে সিনেমা হলে ভিড় করুক। সিদ্ধান্ত নিতে যারা বসে আছেন, তাদের কাছে আমার একটাই দাবি, হয় সব সিনেমা মুক্তি দিন, না হলে কোনোটাই দেওয়ার দরকার নেই। চলচ্চিত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিন।


আরও খবর



নওগাঁয় প্রতিবেশীদের মারপিটে এক কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের মারপিটে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকন (৫৪) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত জহিরুল ইসলাম খোকনের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মারপিটের ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামে। 

নিহত জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকন খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের মৃত জান বক্সের ছেলে। জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে জহিরুল ইসলাম ওরফে খোকনের ছেলে চার্জার ব্যাটারি চালিত অটো-বাইক যোগে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে নিজ বাড়ীর নিকটে অটো-বাইকটি রেখে চালক সহ মালপত্র নিয়ে তার বাড়িতে রাখতে যান। এ সময় প্রতিবেশী শাহীন শেখের ছেলে আপন শেখসহ বেশ কয়েকজন যুবক অটো-বাইক রাখাকে কেন্দ্রকরে বিরোধে লিপ্ত হোন এবং এক পর্যায়ে আপন শেখসহ প্রতিবেশী আরো বেশ কয়েকজন জহিরুল ইসলাম খোকন, তার ছেলে শরিফুল ইসলামকে লাঠিদিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।


তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসার পর জহুরুল ইসলাম ওরফে খোকনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বগুড়া নিয়ে যাওয়ার সময় পথে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রাতে মৃতদেহ গ্রামে আনার পর থেকে মারপিটকারী পক্ষের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দফায় দফায় বসেন ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হত্যা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু নিহতের পরিবার ও স্বজনরা টাকা চাই না ন্যায় বিচার চাই দাবি জানালে ঘটনাটি নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে আলোচনার চৃস্টি হয় এবং ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসন অবগত করেন নিহতের স্বজনরা।   

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন রেজা বলেন, মারপিটে এক জনের মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ছয় দফা দাবি আদায়ে এবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল (রোববার) দেশব্যাপী এই কমসূচি পালন করবেন তারা।

১৯ এপ্রিল ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী।

কুমিল্লার কর্মসূচিতে ‘হামলার’ অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সারা দেশে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে আজ প্ল্যাকার্ড হাতে ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে ছয় দফা দাবি আদায়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

মিছিল পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষকে বলবো, আমাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিন, আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব। কুমিল্লার ভাইদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করুন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, এই সরকার আমাদের সরকার, শিক্ষার্থীদের সরকার, বিপ্লবীদের সরকার। এই সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। কারিগরি শিক্ষা সেক্টরে যে বৈষম্য আছে, আমরা চাই সরকার তা দূর করুক।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে মশাল মিছিল করেন। তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হয়ে ছয় দফা দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বুধবার সকাল থেকে ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

এবার আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটিতে ইতোমধ্যে নিয়োগ দেওয়া প্রশাসককে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার পরিচালকের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমানকে এমডি পদমর্যাদায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।

পর্ষদ বিলুপ্ত নিয়ে গভর্নর স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনাগত ও পরিচালনা পর্ষদের দুর্বলতার কারণে বিপুল পরিমাণের মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিপুল অঙ্কের শ্রেণিকৃত বিনিয়োগ, বড় অঙ্কের পুঞ্জিভূত লোকসান, ব্যবস্থাপনায় চরম অস্থিরতা ও প্রবল তারল্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতি, ব্যাংকিং সুশাসন ও শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার মাধ্যমে আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী কাজে পর্ষদ সম্পৃক্ত থাকায় জনস্বার্থে বিদ্যমান পর্ষদ বাতিল করা হলো।

অপর এক আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মজিবুর রহমানকে একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৭ সালে আল-বারাকা ব্যাংক নামে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৪ সালে ওরিয়ন গ্রুপ মালিকানায় এসে এর নাম দেয় ওরিয়েন্টাল ব্যাংক।

ওই সময় ব্যাংকটিতে বড় ধরনের অনিয়ম ঘটায় বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৬ সালে প্রশাসক বসায় এবং ওরিয়েন্টাল ব্যাংক পুনর্গঠন করে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক নামকরণ করা হয়। মালিকানায় আসে মালয়েশিয়া ভিত্তিক আইসিবি গ্রুপ।


আরও খবর