Logo
শিরোনাম

‘বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করলে অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে’

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও কানেক্টিভিটি : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পূরক অর্থনীতির প্রয়োজন রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশকে ট্রেড, ট্রানজিট এবং ট্যুরিজমের ওপর জোড় দিতে হবে। মাল্টিলেবেল কানিক্টিভিটি’র ব্যাপারে আমাদের ভাবতে হবে। ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ ও উন্নয়ন সমন্বয়’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়-এর চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। 

ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। চট্টগ্রাম এগিয়ে গেলে বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত-বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করতে চায়।  

সেমিনারে ড. আতিউর রহমান বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহগুলো সম্পন্ন হলে বদলে যাবে চট্টগ্রাম। তবে শুধুমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেই হবে না তা সমন্বয় করতে হবে। এই সমন্বয়ের জন্য কো-অর্ডিনেটিং টাস্কফোর্স করা যায় কি-না সেটা ভেবে দেখা দরকার। অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম দরকার। ফরোয়ার্ড এবং ব্যাংকওয়ার্ড লিংকেজ করতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তুলছে। কিন্তু ভারত এর চেয়ে আরও বেশি সমন্বয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল অবকাঠামো সমৃদ্ধ করেছে। ভারতের মতো আমাদেরও ডিজিটাল অবকাঠামো গড়তে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সিংক্রোনাইজড করতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, সেবার মান বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান করেছি, আমাদের গভীর সমুদ্রবন্দর মাতারবাড়ি ২-৩ মাসের মধ্যে চালু হবে। ভারতের সেভেন সিস্টার্স ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচন করবে। চট্টগ্রাম বন্দর সবার জন্য উন্মুক্ত, এখানে যে কোনো দেশ ব্যবহার করতে পারে। আমরা সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছি।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়- বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চট্টগ্রাম হলো হৃদস্পন্দন। বাংলাদেশের আমদানি ৯০ শতাংশ এবং রপ্তানির ৮৫ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরিন আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যন জহিরুল আলম দোভাষ, বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ঐতিহ্য পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার রুহুল আমীন, চট্টগ্রাম সিটি করর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদুল আলম সুজন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ।


আরও খবর



৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগ এবং দুই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এর মধ্যেই সোমবার (১৫ এপ্রিল) পটুয়াখালির খেপুপাড়ায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান এই তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়েও থাকবে বলেও জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। মাঝখানে বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় তাপমাত্রা সহনীয় ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা এ মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। এ মাসে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।

এছাড়াও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ২০ এপ্রিলের পর দেশের কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস, ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ও বজ্রপাত হতে পারে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর, তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে আবার বলে তীব্র তাপপ্রবাহ।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, কোনো জায়গার দৈনিক যে গড় তাপমাত্রা, সেটি পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেলে এবং পরপর পাঁচদিন তা চলমান থাকলে তাকে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ বলা হয়।


আরও খবর



রাজশাহীতে তীব্র খরায় ঝরছে আমের গুটি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

অব্যাহত তাপপ্রবাহপোকার উপদ্রব  সেচ সংকটে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। আমচাষীদের ভাষ্যচলতি মৌসুমে এমনিতেই রাজশাহীতে গাছে আম এসেছে কম। যা আছে তা ঝরে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক বাগানের অন্তত ৫০ শতাংশ গুটি ঝরে গেছে। বিরূপ  আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে গাছে পাতা ছাড়া কিছুই থাকবে না।

কৃষি বিভাগ  ফল গবেষকরা বলছেনকিছু গুটি ঝরে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেগুলো টিকে আছে সেগুলো ভালোভাবে পরিচর্যা করলে আর ঝরবে না। গুটি ঝরে পড়া রোধে গাছের গোড়ায় রাতে অথবা খুব ভোরে সেচ দিতে হবে। বড় গাছগুলোয় এক বছর পর পর ফলন হয়। কোনো বার কম তো কোনো বারে বেশি। তবে যারা প্রকৃত আমচাষীতারা বাণিজ্যিকভাবে ঘন পদ্ধতিতে আম চাষ করছেন। এতে তারা লাভবানও হচ্ছেন। কারণ ছোট গাছগুলোয় প্রতি বছরই ভালো আম ধরে এবং গুটি ঝরে পড়ে না। তাছাড়া আমচাষীরা এসব গাছ ঠিকভাবে পরিচর্যাও করতে পারেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছেচলতি মৌসুমে রাজশাহীচাঁপাইনবাবগঞ্জনওগাঁ  নাটোরে ৯৩ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমির আমগাছে ফলন এসেছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন। তবে এককভাবে শুধু রাজশাহী জেলার ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমির গাছে আম ধরেছে যা গত বছরের চেয়ে ২৪ হেক্টর বেশি। চলতি বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে  লাখ ৬০ হাজার ১৬৫ টন।

রাজশাহীর আমচাষী  ব্যবসায়ীরা জানানচলতি মৌসুমে বাগানে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। সেই মুকুল থাকলেই অনেক আম হতো কিন্তু গত ২০  ২১ মার্চের বৃষ্টির কারণে মুকুলগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আগে যেসব গাছে মুকুল এসেছিলসেগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সেগুলো এখন প্রচণ্ড খরায়  পোকার উপদ্রবে ঝরে যাচ্ছে। আমগাছে পানি  কীটনাশক প্রয়োগ করেও গুটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। প্রতি বছরই আমের কিছু গুটি ঝরে যায়। কিন্তু চলতি মৌসুমে অনেক বাগানে ৫০-৬০ শতাংশ গুটি ঝরে গেছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতেরাজশাহীতে গত ২৩ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক  ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ এপ্রিল তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক  ডিগ্রি সেলসিয়াস।


 আর ২৫-২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল ৪১-৪২ দশমিক  ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ৩০ এপ্রিল ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ৫২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস বলছেআগামী কয়েকদিন  তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিহারীপাড়া গ্রামের আসিফ ইকবালের ৩০ বিঘার বাগানে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। বড়মাঝারি  ছোট সব রকমই গাছ আছে বাগানটিতে। ৭২ জাতের আম রয়েছে বাগানে।

তিনি বলেন, হপার পোকা  আচা পোকা বাগানে আমের ক্ষতি করছে।


 এছাড়া আম ছিদ্রকারী পোকা উড়ে এসে হুঁল ফুটিয়ে চলে যাচ্ছে। সেজন্য কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। অতিরিক্ত খরার কারণে গাছে থাকা অবস্থাতেও আমের বোটা শুকিয়ে কুচকে যাচ্ছে। যারা পরিমিত সেচ  সঠিক মাত্রায় কীটনাশক স্প্রে করতে পারছেন তাদের গাছে আম এখনো বেশ বিদ্যমান আছে। কিন্তু যারা করতে পারছে না তাদের আম দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী জেলার বেশির ভাগ আম বাগান চারঘাট  বাঘা উপজেলায়।


 বাঘা উপজেলার সাদি এন্টারপ্রাইজ কয়েক বছর ধরে বিদেশে আম রফতানি করছে।  প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আসাফুদ্দৌলা বলেন, এবার বেশির ভাগ গাছে আম নেই। চাষীরা গাছের কোনো পরিচর্যা করছেন না। ফলে যেসব গাছে কিছু আম আছেসেখানেই পোকার উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। এখন বাগানে মাছি পোকালেদা পোকানাশক বিষ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

গোদাগাড়ী উপজেলার আমচাষী তৌহিদুর রহমান পারভেজ বলেন, প্রচণ্ড গরমে আম শুকিয়ে কালো রং ধারণ করছে। এছাড়া পোকা ছিদ্র করায়  বোটার রস খাওয়ায় আম শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। এতে আমের ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছি। অনুমোদিত মাত্রার বাইরে ওষুধ ব্যবহার করিনি


 শ্রমিকরা আগেই সতর্ক করেছিলেনশুধু অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ দিয়ে পোকার আক্রমণ থেকে আম বাঁচানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তার বাগানের সব আম পোকায় শেষ করে দিয়েছে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার এমনিতেই আমের মুকুল কম ছিল। তার ওপর ফুল ফোটার সময়ে ২০  ২১ মার্চ বৃষ্টি হয়ে আমের অনেক মুকুল নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো টিকে ছিল সেগুলো রোদের তাপে ঝরে পড়ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্যশারমিন সুলতানা বণিক বার্তাকে বলেন, রাজশাহীতে বৃষ্টির অভাব  প্রচণ্ড খরার কারণে আমের মুকুল ঝরে পড়ছে। খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সতর্কতার সঙ্গে গাছ পরিচর্যা করতে হবে।  ক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় অল্প পরিমাণ পানি  পরবর্তীতে ইউরিয়া  পটাশ সার দিতে হবে। এছাড়া আমের গুটি রক্ষায় বরিক এসিডও স্প্রে করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন


, আমের মৌসুমে গাছে যে পরিমাণ মুকুল আসে তা কিন্তু শতভাগ থাকবে নাএটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে  বছর গাছে কিছুটা মুকুল কম এসেছে। তবুও এখন পর্যন্ত গাছে যে পরিমাণ মুকুল বা গুটি আছে সেগুলো বড় হলে আমের সংকট হবে না।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ এসোসিয়েশন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদ উদ্যোগে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তায় হেল্পডেস্ক ও  তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন বিতরণ করা হ‌য়ে‌ছে।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল ) সকাল থে‌কে  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যয় একাত্তরের সামনে  ক‌্যাম্প স্থাপন ক‌রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আগত শিক্ষার্থীদের এই সেবা প্রদান করেন মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের শিক্ষার্থীরা।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন আর সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন নেতৃ‌ত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয় একাত্তরের  সামনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করা  এবং তথ্য সহায়তা ও সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সাংগঠিন সম্পাদক  শাহ্- পরান শুভ  বলেন,

প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার সময় নারায়নগঞ্জ -মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ  (মাভাবিপ্রবি) সর্বাত্মক চেষ্টা করে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের হেল্প করার।তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এবার ভিন্ন কিছু আয়োজন করার চেষ্টা করছি।

তীব্র গরমে দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করানোর মতো মহৎ কাজ আর কি হতে পারে!

 তাই এডমিশন যুদ্ধে ছুটে আসা শিক্ষার্থী,গার্ডিয়ান সেই সাথে  মহান পেশায় জড়িত রিক্সা চালক মামা, কর্তব্যরত পুলিশ, বিএনসিসি মেম্বার, আনসার ও সেচ্ছাসেবী  সবাইকে পানীয় বিতরণ করেছি।আলহামদুলিল্লাহ আমরা আল্লাহর রহমতে ১৬০০+ গ্লাস শরবত, পানি ও স্যালাইন এর আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি।

 এ ছাড়াও এই এরপাশাশি  আমরা হেল্প ডেস্ক ও ছাউনী ব্যবস্থা করতে পেরেছি।


আরও খবর

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

আগামী ৮ মে থেকে অনুষ্ঠেয় সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

গত ২৫ মার্চের পর সোমবারই প্রথম বৈঠক করে স্থায়ী কমিটি। এতে উপজেলা নির্বাচন, ঢাকায় ইসরায়েল থেকে বিমান আসাসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন বিএনপির নেতারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সব জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না বলে মনে করে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


আরও খবর



বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

------ আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ:

ঈদ আনন্দ উৎসব। পূর্ণ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় অভিষিক্ত মুমিন আত্মার আবেগ বিধুর এক বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর। এ মধুর মুহূর্তটিতে একজন মুমিনের হৃদয় যেমন সিয়ামের লব্ধ পবিত্রতায় আলোক উদ্ভাসিত হয়ে উঠে, অপরদিকে সদ্য সমাপ্ত মাহে রমযানের বিদায়ে হয়ে উঠে দুঃখ ভারাক্রান্ত। একটি মাসের সিয়াম সাধনায় রহমত, মাগফিরাত লাভ করার মতো যোগ্য সাধনা হলো কিনা, যতটুকু হয়েছে তাও আবার গ্রহণ যোগ্য হয়েছে কিনা, ইবাদতের এক মৌসুমী মাহে রমযান আবার ভাগ্যে জুটবে কিনা, ইত্যকার ভাবনায় মুমিন অন্তর হয়ে উঠে বিষাদময়। এই আর বিষাদকাতর অবস্থাতেই অশ্রু বিগলিত হয়ে জায়নামায সিক্ত করে প্রতিটি মুমিন মাহে রমযানকে জানায়‘আল বিদা’।

এর পরই আসে হিসাব নিকাশ মিলানোর পালা। “আস-সাওমু লি, ওয়া আনা উজযা বিহী” ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এক মাস সিয়াম সাধনার বদলা-মুজুরী লওয়ার মোবারক আনন্দঘন ঈদের মূহুর্ত। ধনী-গরীব নির্বিশেষে ঈদ জামাতে এক হয়ে—দুহাত উঠিয়ে প্রভুর পক্ষ থেকে আত্মপরিতৃপ্তির সাথে পুরষ্কার গ্রহণ করে সকলে। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম, সংযম, তিলাওয়াত, যাকাত, সাদকা – প্রভৃতি পেশ করার প্রতিদানে গ্রহণ করে নেয় রাব্বুল আলামীনের অপার সন্তুষ্টি। আর এরই নাম হলো ঈদ, এই হলো মুমিনের প্রকৃত আনন্দ উৎসব। এটাই হলো আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করার শরীয়ত সম্মত প্রক্রিয়া।

বস্তুতঃ এই শরীয়ত সম্মত আর্দশ জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করার শপথ নবায়ন করার বার্ষিক অনুষ্ঠান হলো ঈদ উৎসব। তাই যুগপত এই ঈদের প্রভাতে প্রতিটি মুমিনের মুখেই ফুটে উঠে তৃপ্তির হাসি।

পক্ষান্তরে ভোগবাদী সভ্যতার অনুকরণে অর্ধ রমযান অতিক্রান্ত হতে না হতেই শুরু হয় ঈদের সাজ-সরঞ্জাম-জুতো, জামা, শাড়ী অলংকার ও প্রসাধনের বাজারে প্রচণ্ড ভীড়। নূতন নূতন ছায়াছবি মুক্তির সমারোহ, ভিডিও কর্ণারগুলোর অমার্জিত প্রচার, আর খাওয়া-দাওয়ার রকমারী উদ্যোগ।

অথচ সিয়াম সাধনায় শরীক না হয়ে এসবের মধ্যে সকল শক্তি নিয়োগ করে মার্কেটে মার্কেটে ছুটে বেড়ানো বা ইত্যাকার ভোগসর্বস্ব যে সমস্ত ইহ হল্লা হট্টগোল ঈদ উৎসব নামে অভিহিত করা হয়, এমন ঈদের সংগে কোন মুমিনেরই পরিচিত হওয়ার অবকাশ নেই। এ গুলো ইহুদী খৃষ্টান বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যর্থ অনুকরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।

এক কথায়—যারা রোযা রাখেনি, যারা আল্লাহর বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, কুরআনকে যারা সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মনে করেনা এবং যে রোজাদারের, যাকাত দানে অনীহা, পরশীর হক অস্বীকার করে, এ সমস্ত লোকদের কারো ঈদের জামাতে শরীক হওয়ার অধিকার নেই। ঈদের জামাতে তারা অনভিপ্রেত। তারা অবাঞ্ছিত। মুমিনের কাতারে তারা অন্যায় অনুপ্রবেশ কারী। এদের জৌলুষ, এদের বিত্তবৈভবের নগ্ন প্রদর্শনী, উদ্ধত অহংকার, এদের পশুসুলভ লালসার জিহ্বা এড়িয়ে চলা প্রতিটি ঈমানদারের জন্য একান্ত অপরিহার্য।


আরও খবর