Logo
শিরোনাম

বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত: মেজর হাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতিতে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বীর বিক্রম সক্রিয়তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তিনি নতুন দল গঠন করছেন, এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছ থেকে।

বুধবার ৮ নভেম্বর বেলা ১১টায় বনানীতে নিজের বাসায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি এ সময় বলেন, অনেকগুলা ভুল আমরা করেছি, সেই দলীয় ভুল প্রকাশ করার জায়গা এটি না। আর এটা প্রকাশ করাও ঠিক হবে না। কিন্তু আমার তো কোনো ফোরাম নাই এবং দলে কোনো অবস্থান নাই। গত আট বছর দলে কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। কোনো নেতা নির্বাচিত হয়নি। কারণ, নেতা নির্বাচন করার সুযোগ নাই এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্য রাখারও সুযোগ নেই।


তিনি বলেন, আমার চোখ কান নষ্ট না। আমি কোনো বধির স্কুলে পড়ি না। তবে জাতির স্বার্থে কিছু কিছু কথা বলতেই হয়। তবে আমার দেশ সবার উপরে। আমার নেতা জিয়াউর রহমান বলেছেন দেশ সবার আগে। আমিও তাই মনে করি, সে জন্য দু-চারটি কথা বলছি। তবে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।


বিএনপিতে সত্য কথা বলার মতো কোনো লোক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিতে সত্যি কথা বলার মতো লোক বিশেষ করে চেয়ারপারসনের সামনে সত্য বলার মতো লোক আমার সামনে পড়েনি। অনেক আগে সাইফুর রহমান সাহেব বলতেন; তিনি বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এছাড়া বাকি সবাই ইয়েস স্যার, রাইট স্যার বলা আর কিছু জানেন না। এই হলো বাস্তবতা।


২০১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার দরকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগের অবস্থা লেজে-গোবরে ছিল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় দেওয়ার জন্য। কখন একজন এ আহ্বান জানায়? কারা এ ধরনের আহ্বান জানায়? আমরা সেই অবস্থার ফায়দা নিতে পারিনি। যে পথ অনুসরণ করেছি, সেই যে রাজপথে গেছি এখনো সেই রাজপথেই আছি।


হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই সে নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তা করব। তবে বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাওয়া উচিত। দলে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন, তারা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাস্তবতার কারণে এটি সম্ভব হয়নি। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের ওপর জোর না দিয়ে বিকল্প খোঁজা উচিত। আমি মনে করি আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের সরকার কিছুই না।


দেশের সহিংসতা তরুণ-কিশোরদের ওপর প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রতিদিন টেলিভিশনে দেখি বাস জ্বলছে। সেটা আওয়ামী লীগের ক্যাডারও জ্বালাতে পারে আবার বিএনপির থেকেও জ্বালাতে পারে। অথবা অন্য কেউ। তবে এর দায় সম্পূর্ণ বিএনপির ওপর এসে পড়ছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দেশের অভিভাবক হিসেবে সব সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত।


হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, আমি মনে করি বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দলই ক্ষমতায় আসবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনে আদায় করতে জানতে হবে। শুধুমাত্র রাজপথে স্লোগান দিলেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে বাড়ি যাবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক কানেকশন খুবই দুর্বল। সে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য নেতৃবৃন্দ তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অনেক সময় রাষ্ট্রদূতের কথাবার্তা এক পেশে মনে হয় এবং সেটারও কোনো বেনিফিট বিএনপি নিতে পারেনি। তবুও এখন বিএনপির উচিত কীভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যায়। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে মাঠে থাকবে।

  

আগামী নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আইনমন্ত্রণালয় একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, তবে এটিও দিনের আলোর মতো সত্য যে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুষ্ঠু হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও হবে না এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের অধীনেও হবে না।


রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ অবসরে যাওয়ার বিষয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়। এখন আমার প্রায়োরিটি হলো শারীরিক সুস্থতা লাভ করা এবং চিকিৎসা করা। রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ এখন আর আমার অবশিষ্ট নেই।

 

গতকাল তথ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিএনপির মধ্যে একেবারেই একজন গুরুত্বহীন ব্যক্তি। বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। গত কয়েকদিন ধরে কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। অতি শীঘ্রই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কারণে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়নি। মোট কথা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। এমন এক সময় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি একটি নতুন দল করতে যাচ্ছি। যা একদমই সঠিক নয়। আমি এখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি ৩১ বছর ধরে বিএনপির সদস্য।


তিনি আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও ভুল বোঝাবুঝিকে আমার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আর বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছে আমার নেত্রী। তিনি যতদিন সুস্থ ছিলেন আমার কোনো সমস্যা ছিল না। এ ধরনের কোনো সংবাদ সম্মেলন আমার করতে হয়নি। আমি কমফোর্টেবলি জনগণের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেটা ক্ষমতায় থেকে বা বিরোধী দলে থেকেই হোক না কেন। তবে দুঃখের বিষয় বিগত দুবার নিজের ভোটটাও দিতে পারিনি।


২০১৮ সালের নির্বাচনে আমাকে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দেয়া হয়েছিল। তারপর যখন আমি পুলিশ প্রোটেকশনে আমার নির্বাচনী এলাকায় গেলাম তখন আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখেছিল। যে কারণে সেবার আমি নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা ওইদিন আমাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি একটা মামলা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এই হচ্ছে আমার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা। এমন অভিজ্ঞতা আমার মতো আরও অনেক বিরোধী দলের নেতার আছে। এরপর নির্বাচন থেকে সরে আসার পর আমার দলকে নাকি ৮০টি আসন দেবে নির্বাচনের পরে। আমি এই খবরও জানি না, আর এই ৮০ জনের মধ্যে আমি নিজেও ছিলাম না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ১৪ নভেম্বর ২০২০ সালে আমার দল থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন আমার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ ছিল। আমি দলে সক্রিয় না, দলের কোনো কাজ করি না, সংস্কারপন্থী, আমি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করি। এ ধরনের আজগুবি ১১টি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল- আমি শওকত মাহমুদের সঙ্গে বিজয় নগরে সরকার বিরোধী মিছিল করেছি। আমরা বিরোধী দল সরকার বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করতেই পারি। তবে আমি এই মিছিলে কখনোই ছিলাম না। এসবে আমি কখনোই অংশগ্রহণ করিনি। তখন আমি শো-কজের লিখিত জবাবও দিয়েছি। তবে আমার বক্তব্যের জবাব দল থেকে পাইনি। 


আরও খবর



মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। এটি সবার জন্যই ক্ষতিকর। এতে ছোটদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। বড়দেরও জীবনযাত্রায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে চেষ্টা করছেন স্ক্রিন টাইম কমাতে কিন্তু পারছেন না। সেক্ষেত্রে থেরাপিস্টদের কিছু পরামর্শ মাথায় রাখতে পারেন।

১. মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। জীবনধারার যে কোন পরিবর্তন আনতে এটাই হল চাবিকাঠি। অনেকেরই রাত জেগে সিরিজ দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা অনেকটা নেশার মতো। একাকীত্ব কাটাতেও অনেকে রাত জেগে সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ার। সেক্ষেত্রে নিজেকে কাছেই নিজে প্রশ্ন করুন- যা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ঠিক কিনা। তাহলে নিজেকেই অনুপ্রাণিত করতে পারবেন এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।

২, স্মার্টফোনের গ্রে-স্কেল সেটিংস পরিবর্তন করুন। থেরাপিস্টরা মনে করছেন ফোনের রঙিন আলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।

৩. ফোনের নোটিফিকেশন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করে রাখুন। এতে মেসেজ এলেই ফোন দেখার অভ্যাসটা কমে যাবে।

৪. অফিসের কাজের ফাঁকে, পড়ার ফাঁকে, এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকের ফোন দেখার অভ্যাস আছে। নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করুন। অল্প সময়ের বিরতিতে বরং চেষ্টা করুন কিছু এক্সারসাইজ করতে। এতে উপকার পাবেন।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজের কাছ থেকে মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে চোখ রাখবেন না। সে সময়টা ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

৬. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলুন। ওই সময়টা বই পড়া, গান শোনা বা কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




"মানুষের মাঝে বৈষম্য দূর করাই হোক ঈদের শপথ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী :

১১ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফের শাহী ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর এর সালাত আদায় করেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। নামাযের পর তিনি বলেন, "মহান আল্লাহ্ এবং প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের মুসলিম জাতিকে একতাবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন মানবতার মহান দূত। তার কাছে ধনী-গরিব, জাতি-ধর্ম-শ্রেণী নির্বিশেষে সকলে মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, এক বিশ্বাসী মুসলমান আরেকজনের জন্য আয়নার মতো। আয়নায় যেমন নিজের রূপটিই প্রতিফলিত হয়, তেমনি যেন আমরা নিজের জন্য যা পছন্দ করি, ভালো মনে করি, তা অন্য ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করি। ইসলামের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবতা, সাম্য ও ভাতৃত্বকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে বারবার বলেছেন, আমাদের চারপাশের দুর্বল, অসহায়দের যত্ন নিতে। প্রতিবেশী অনাহারে, অভাবে থাকলে, হাজারো ইবাদাতও কখনো আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। পবিত্র রমজান মাস সংযমের, আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও আত্নত্যাগের শিক্ষা দেয়। আমাদের ঈদের আনন্দ  তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন সকলে মিলে আমরা ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে পারবো। অথচ আজ আমরা দেখছি, রমজান ও ঈদকে ঘিরে একতার বিপরীতে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। বিত্তবানরা বিলাসিতার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত ; আর অভাবীদের সংকট, কষ্ট, ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। যাকাত দরিদ্রদের অধিকার হলেও, অনেকে এ হক আদায় করতে উদাসীন। তাই আসুন আমরা ঘুরে দাঁড়াই। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণে, অভাবগ্রস্ত, অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়াই। নতুন প্রজন্মকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ উপহার দেই।

শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, দরবার শরীফের আওলাদ-এ-পাক এবং ভক্তবৃন্দ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

এরপর মাইজভাণ্ডার শরিফের অলি আল্লাহ্দের মাজার শরিফ জিয়ারত শেষে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করেন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর



সড়কে আনফিট গাড়ি নামালে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদে আনফিট গাড়ি নামার সুযোগ নেই, কেউ যদি বের করে, সেটি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে লোকাল প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। শনিবার গাবতলী বাস টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গার্মেন্টস মালিকদের রিকুইজিশন দিতে বলেছি, যাতে আনফিট গাড়ি না নিয়ে বিআরটিসির বাস নিতে পারে। সুতরাং এখানে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামার সুযোগ নেই। এ ছাড়া যেসব জায়গা থেকে আনফিট গাড়ি বের হওয়ার চেষ্টা করে, সেগুলো বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি।

এ ছাড়া ঈদের সময় কিছু আনফিট গাড়ি রাস্তায় নেমে আসে, এমন একটি কমন অভিযোগ থাকে প্রতি বছরই। এবার কোনোভাবেই যাতে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে, এজন্য আমরা বিআরটিসির ৫৫০টি বাস রিজার্ভেশনে রেখেছি বলে দাবি বিআরটিএ চেয়ারম্যানের।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, প্রতি বছরই আমরা এই টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করি মানুষের ঈদযাত্রা যাতে স্বস্তিদায়ক হয়। এখানে (গাবতলী বাস টার্মিনাল) আমাদের মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিম, মনিটরিং টিম কাজ করছে। আমি এখানে বিভিন্ন টিকেট কাউন্টার ঘুরে দেখলাম, বেশির ভাগ জায়গায় ভাড়া কম নেওয়া হচ্ছে।

বিআরটিএ-এর পক্ষ থেকে প্রতিটি কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট, ভিজিলেন্স টিম সদস্য দেখছে। মালিক সমিতির নেতারাও এ ব্যাপারে সিরিয়াস, যাতে তাদের বদনাম না হয়।


আরও খবর



ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গত সপ্তাহে ইসরাইলি ভূখণ্ডে তেহরানের নজিরবিহীন হামলার ছয় দিনের মাথায় একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দাবি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনছে। শুক্রবার সকালে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্ফাহানের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানের গণমাধ্যমে এসেছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার মাধ্যমে তিনটি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।

ইরানি গণমাধ্যম এবং দেশটির কর্মকর্তারা ইস্ফাহান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরে হামলার খবরটিকে হালকাভাবেই উপস্থাপন করছেন।
ইরানিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি একজন কর্মকর্তা হোসেইন দালিরিয়ানের দাবি, সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের পুরোপুরি বিপরীত। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।

কিন্তু ইস্ফাহানকে কেন টার্গেট করা হয়েছে?

একজন পারমাণবিক এবং রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর ইস্ফাহানকে বেছে নেয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন উল্লেখ করেছেন, শহরটির আশপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু।

(আলোচিত আক্রমণ) যথেষ্ট নিকটে ছিল, যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, বলে আমরা ধারণা করি সেই স্থানটির। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি, বিবিসিকে বলেন তিনি।

ডি ব্রেটন হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, মূলত সামর্থ্যের এবং সেইসাথে সম্ভবত লক্ষ্য সম্পর্কেও জানান দেয়ার চেষ্টা।

ইরান ইসরাইলের দিকে তিন শর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, প্রায় সবগুলোকেই ভূপাতিত করা হয়। ইসরাইল ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ছুঁড়েছে মাত্র একটি বা দুটি - যা প্রতিরক্ষা ভেদ করে আঘাত হেনেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।

তিনি আরো দাবি করেন, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইসরাইল ইরানের চেয়ে এগিয়ে আছে। সেই জন্যই তেহরান প্রক্সি ওয়্যারে (ছায়াযুদ্ধ) বেশি আগ্রহী এবং ইসরাইলের সাথে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলে। কারণ, তারা জানে নিদারুণ পরাজয় হবে তাদের।

ইরানিদের পক্ষ থেকে হামলার গুরুত্বকে খাটো করে দেখা প্রসঙ্গে ডি ব্রেটন গর্ডন বলেন, তারা স্বীকার করতে চাইবে না যে কোনো ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের পুরনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে এবং লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে


আরও খবর



ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর