Logo
শিরোনাম

মেট্রোরেলে স্টেশন কন্ট্রোলার হিসেবে নিয়োগ পেলেন মাভাবিপ্রবির সুমন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মো হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুমন মিয়া। একই বিভাগ থেকেই  স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার বলাইরচর ইউনিয়নের  আব্দুল হামিদের  ছেলে মো. সুমন মিয়া। সুমনের এই সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকলেই অনেক আনন্দিত। স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নানা চড়াই-উতরাই পার করে আজ (শনিবার) তিনি মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন  বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি  মো হৃদয় হোসাইন। 

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হওয়ার পর অনুভূতি কেমন? 

সুমন: বাংলাদেশের জন্য মেট্রোরেল যেমন স্বপ্নের মতো, ঠিক তেমনি মেট্রোরেল আমার কাছেও একটা স্বপ্ন। আমি নিজে মেট্রোরেলের একটি স্টেশনের কন্ট্রোলার, এটা ভেবে এখনই বেশ আনন্দ লাগছে। এখন মূল কাজ সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলারদের বেতন স্ট্রাকচার কেমন ? 

সুমন: সর্বসাকুল্যে মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে প্রতি মাসে বায়ান্ন হাজার সাতশত  টাকা পাবো। চাকুরীটি মূলত ১০ম গ্রেডের। যার বেসিক বত্রিশ হাজার টাকা। এর সাথে ৬০% বাড়ি ভাড়া ও ১৫০০ টাকা মেডিকেল বিল যুক্ত হবে।

প্রশ্ন: কর্মজীবনে আপনি স্টেশন কন্ট্রোলারদের স্থানটি কেন বেঁছে নিলেন? 

সুমন: আমার জীবনের একটা প্রধান লক্ষ্য ছিল হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করে সহজভাবে জীবন ধারণ করা এবং বাবা মাকে খেদমত করা। আমি মনে করি মেট্রোরেল ই বাংলাদেশের একটি সেক্টর, যার মাধ্যমে হালাল উপায়ে একটা স্মার্ট সেলারি দিয়ে বাবা মার খেদমত সহ সহজভাবে জীবন ধারণ করা সম্ভব। তাই আমি  আমার  কর্মজীবনে মেট্রোরেলকেই বেছে নিয়েছি। মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং  একই সাথে আনন্দিত এই ভেবে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শি নেতৃতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। 


প্রশ্ন: মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ট্রেনিং এর সুযোগ-সুবিধা কেমন?

সুমন: প্রাথমিকভাবে ঢাকায় উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিশেষ ট্রেনিং  নিবে বলে আমাকে জানানো  হয়েছে। এখানে মেট্রোরেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি-কাওয়াসাকি কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা ট্রেন পরিচালনার কারিগরি ও প্রায়োগিক নানা প্রশিক্ষণ দিবেন। এরপর তিনি দিল্লি মেট্রোরেল একাডেমিতে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে। প্রয়োজনে ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের জাপানেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কর্তৃপক্ষের বলে আমি জানতে পেরেছি। 

প্রশ্ন: আপনার স্বপ্নপূরনের গল্পটি জানতে চাই?

সুমন: এটি এক অনন্য স্বপ্ন পূরণের পথচলা। এই স্বপ্ন পূরণে অনেকের অবদান ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম আমার মা-বাবা এবং আমার জীবন ট্রেনের একমাত্র যাত্রী ফারজানা আক্তার লাবণ্য ( স্ত্রী)। যাদের অনুপ্রেণা আর সাহস ছিল আমার জীবনের একমাত্র পথচলা। ছোটকাল আমার মায়ের দিকনির্দেশনা আর বাবার মেশিনের ফয়েলের মত শক্তিই ছিল একমাত্র পাথেয়। আমার বাবা একজন কৃষক এবং মা গৃহিণী। আমার বাবার ইচ্ছে ছিল আমার ছেলেদের  যেন আমার মত কঠোর পরিশ্রম করতে না হয়। তাই তার জীবনের সবকিছু দিয়ে আমাদের লেখা করিয়েছেন। আমি তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছেলে ছিলাম। আমি আমার  তিন ভাইয়ের মধ্য পড়ালেখায় তুলনামূলকভাবে ভাল ছিলাম। তাই আমার আব্বু আম্মুর ইচ্ছে ছিল আমি যেন ভাল কিছু করতে পারি। তাই ছোট থেকে আমি বাবা মার ইচ্ছে পূরণে ছিলাম অটল। বাবা মার সর্বোচ্চ ইচ্ছা পূরণ না করতে পারলেও অনেকটাই পেরেছি। আমি চাকরিটা পেয়ে যখন আমার আব্বু আম্মু কে ফোন দিয়েছি তারা শুনে কান্না করে দিয়েছে। এই কান্না দু:খের কান্না নয় বরং সুখের কান্না বটে এবং  একই সাথে তারা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমি মেট্রোরেলের মত দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। আমার জীবনের পথ চলার আরো একটি মানুষের অবদান অত্যন্ত অনস্বীকার্য সে হল আমার জীবনের ট্রেনের একমাত্র যাত্রী আমার অর্ধাঙ্গিনী। আমি অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েই বিয়ে করি। আমি যখন বিয়ে করি তখন আমার হাতে নিজের বলে কোনো টাকা ছিল না। আব্বু নিজে টাকা দিয়ে একটা শাড়ি কিনে দেয়। সেটাই ছিল আমার পক্ষ তাকে দেওয়া একমাত্র উপহার। তবুও চার বছরে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। বলেনি তুমি আমাকে কিছু দেওনি। আমার চরম হাতাশার দিনের যাদের সবসময় কাছে পেয়েছি তাদের অন্যতম আমার মা এবং আমার অর্ধাঙ্গিনী। এমনও সময় ছিল যে চাকরির পরিক্ষায়  আমি সিলেক্টড হয়নি তাই নিজের নিজের প্রতি বিরক্ত। কিন্তু আমার অর্ধাঙ্গিনী তখন আমাকে বলতো এত হতাশ হচ্ছো কেন আল্লাহ চায়নি তাই হচ্ছে না, আমি বিশ্বাস করি তুমি পারবে। আরও বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমার জন্য উত্তম কিছুই রাখছে। আমি তখন নিজেকে আরো নতুন ভাবে আবিষ্কার করতাম। আবার নতুন উদ্দীপনা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করতাম। বলা চলে আমার অর্ধাঙ্গিনী ছিল সাগরে ভাসমান আমার জীবনের ভেলা।তার এবং আমার বাবা মার অনুপ্রেরণায় আজ আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুভ সূচনা করতে পেরেছি। 

প্রশ্ন : মেট্রোরেল এর স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ক্যারিয়ার গড়ার উদ্দেশ্য কিছু বলবেন?  

সুমন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর এক প্রকল্প মেট্রোরেল। তিনি সব সময় দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত, পরিবেশবান্ধব ও দ্রুতগামী এ মেট্রোরেলের প্রতিটি কোচ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করেছে। ক্যারিয়ার হিসাবে মেট্রোরেলকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এর স্যালারি স্ট্রাকচারও বেশ ভালো। যা দিয়ে সাচ্ছন্দ্যে পরিবার নিয়ে হালাল ভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব।


আরও খবর

সফটওয়্যারের কৃত্রিম পরিবেশনা

সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪




দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ এবং বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা

তাদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান ড. ইউনূস। চার দিনের সফরকালে খুবই কর্মব্যস্ত সময় পার করেন তিনি

সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ১২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস। এছাড়া সাইডলাইনে ৪০টি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন


আরও খবর



চা বাগানে মজুরি ও রেশন বন্ধ, কষ্টে শ্রমিকরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সরকার মালিকাধিন জগদীশপুর ও তেলিয়াপাড়া চা বাগানে টাকার অভাবে বাগানে কর্মরত শ্রমিকের রেশন তলব পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। ন্যাশনাল টি কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদ বাগানে ম্যানেজারদের (ব্যবস্থাপক) টাকা না দেওয়ায় দুইটি বাগানের শত শত শ্রমিকের পাওনা বকেয়া রয়েছে। দরিদ্র শ্রমিক পরিবার এখন তাদের মজুরি ও রেশন না পেয়ে তাদের পরিবার খুব কষ্টে জীবিকানির্বাহ করছে। এ নিয়ে চা বাগানে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে জানা গেছে।

জগদীশপুর ও তেলিয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, ১৭০ টাকা দৈনিক হাজিরায় তারা চা বাগানে ৮ ঘন্টা কাজ করে আসছে। এই সামান্য মজুরি এবং সপ্তাহে যে পরিমাণ আটা দেওয়া হয় তা দিয়ে কোনো ভাবে তাদের সংসার চলেনা। বিকল্প কাজ না থাকায় অবহেলিত শ্রমিকরা স্বল্প সুবিধায় বাগানে বাধ্য হয়ে কাজ করছে। স্বল্প মজুরি দিয়ে পরিবারের অন্যান্য খরচ মেটানো খুবই কঠিন। কিন্তু এখন কাজ করার পরও গত ৩-৪ সপ্তাহ ধরে বাগানে শ্রমিকদের সপ্তাহিক রেশন পরিশোধ করা হচ্ছেনা। বাগান কর্তৃপক্ষ আর্থিক সংকটের অজুহাত দেখিয়ে এখন শ্রমিকের মজুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে চা বাগানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। কারণ দুইটি চা বাগানে প্রায় ১০ হাজার হাজার পরিবার বাগানের কাজের ওপর নির্ভরশীল। কাজ বন্ধ হয়ে গেলে বাগানে বড় অভাব দেখা দেবে।

জগদীশপুর চা বাগানের শ্রমিক নেতা রমেশ কৈরি জানান, বাগানের মানুষ সপ্তাহ যে রেশন তলব পায় তা দিয়ে এক সপ্তাহ টেনেটুনে কোনো রকম সংসার চালায়। এখন দ্রব্যমূল্যের দাম খুব বেশি তাই দৈনিক ১৭০ টাকার তলবে কোনো ভাল খাবার কিনে খাওয়া যায়না। শ্রমিকরা কোন রকম খাবার খেয়ে জীর্ণশীর্ণ কুঁড়েঘর জীবন কাটায়। জগদীশপুর চা বাগানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রেশন তলব বন্ধ রয়েছে। কোম্পানির অর্থ সংকট থাকায় ব্যাংক থেকে এখন টাকা মিলছেনা। এ কারণে শ্রমিকের টাকা দেওয়া হচ্ছেনা। মজুরি রেশন না পেয়েও শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছে।

তেলিয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিক নেতা বীরেন বুনার্জি বলেন, চা বাগানে শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনা না পেয়ে তারা অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে জীবিকানির্বাহ করছে। মজুরি রেশন না শ্রমিকরা বাগানে আন্দোলন করছে।

জগদীশপুর চা বাগানের ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) লিমন ফকির জানান, প্রতি বছর এখন চা বাগানে মোটা অংকের লোকসান হয়। কারণ দিন দিন চায়ের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কিন্তু চায়ের দর বাড়ছেনা। এখন শ্রমিকদের মজুরি রেশন সহ যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করতে কোম্পানিকে কঠিন বেগ পেতে হচ্ছে। কোম্পানির টাকা না থাকায় এখন বাগানে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠান আন্তরিক রয়েছে। টাকার ব্যবস্থা হলেই তাদের সমস্যা মিটে যাবে।


আরও খবর



আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়তে উদ্যোগ নেওয়া হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

উন্নত দেশের মতো আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রবিবার সকালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন

এ সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যানজট বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমস্যা। ফলে আমাদের মূল্যবান শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর তিন দিন দেশে সরকার ছিল না, ছিল না ট্রাফিক পুলিশ। ঠিক সেই সময় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। কোন প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও তরুণ ছাত্র-যুবারা দিন-রাত সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিরলসভাবে কাজ করেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা ট্রাফিক পুলিশের শূন্যতা অনুভব করতে পারিনি। এমনকি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখার জন্য তরুণ ছাত্র-যুবরা দিন-রাত পরিশ্রম করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন

উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি আধুনিক সুন্দর দেশ গড়তে চাই। এজন্য ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক আইন বিষয়ে সকলের মাঝে সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে আধুনিকায়নে উত্তরণ ঘটাতে হবে

এর আগে, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক দুই দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন তিনি। এই কোর্সের আওতায় দুই দিনব্যাপী প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে ৭টি ব্যাচে মোট ২,১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো: সাইফুজ্জামান


আরও খবর



ভারত ভ্রমণে শীর্ষে বাংলাদেশি পর্যটকরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ভারতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন বাংলাদেশিরা। এরপরই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।

শুক্রবার বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ও তথ্য প্রকাশ করে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে

ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুনে ৭ লাখ ৬ হাজার ৪৫ জন পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেন। এ সংখ্যা ২০২৩ সালের জুনের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। তবে ২০১৯ সালের জুনের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। আর গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে পর্যটকদের এ সংখ্যা ছিল ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৪। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি, তবে তা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কম

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারতে পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা পাঁচ দেশ হলো বাংলাদেশ (২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ), যুক্তরাজ্য (৯ দশমিক ৮২ শতাংশ), কানাডা (৪ দশমিক ৫ শতাংশ) ও অস্ট্রেলিয়া (৪ দশমিক ৩২ শতাংশ)

গত বছর ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এর পরে ছিল বাংলাদেশের অবস্থান। এ বছর ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে প্রথম অবস্থানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ


আরও খবর



আত্রাইয়ে ২০০পিস এ্যাম্পুলসহ মাদক কারবারী দুইজন গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁয় আত্রাই থানাপুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২০০পিস এ্যাম্পুলসহ মাদক কারবারী দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। এঘটনায় মাদক মামলা রুজুর পর শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাবুদ্দীন জানান,উপজেলার আহসানগঞ্জ স্কুলের সামনে মাদক ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে,এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সেখানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আসলাম ওরফে আপন (৩০) ও চম্পা খাতুন (৪০) কে আটক করা হয়। আটককালে তাদের নিকট থেকে ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ নেশাজাতীয় ২০০পিস এ্যাম্পুল (ইনজেকশন) উদ্ধার করা হয়। আটক আসলাম হোসেন আত্রাই উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের আলাবক্সের ছেলে এবং চম্পা খাতুন দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার বিশাপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী। এঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু করে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর