Logo
শিরোনাম

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন ৫০ নারী

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) যাচাই-বাছাই শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে জমা পড়া মনোনয়নপত্র সব মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে ।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে ৫০ জন নারী প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে ইসি। এসব প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করা হবে।

রোববার সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুনিরুজ্জামান তালুকদার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনে ৫০ প্রার্থীর সবার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন রাখা হয়েছিল। কোনো প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় সবাইকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৮ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দুজন জাতীয় পার্টির। এসব প্রার্থীদের নামে মঙ্গলবার গেজেট ঘোষণা হবে, যেহেতু সোমবার সরকারি ছুটির দিন।

সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপিরা হলেন

১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়)

২. দ্রৌপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও)

৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী)

৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট)

৫. কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর)

৬. জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)

৭. রুনু রেজা (খুলনা)

৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট)

৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা)

১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা)

১১. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী)

১২. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ)

১৩. নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা)

১৪. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট)

১৫. পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ)

১৬. আরমা দত্ত (কুমিল্লা)

১৭. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা)

১৮. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা)

১৯. বেদৌরা আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ)

২০. শবনম জাহান (ঢাকা)

২১. পারুল আক্তার (ঢাকা)

২২. সাবেরা বেগম (ঢাকা)

২৩. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল)

২৪. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা)

২৫. ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর)

২৬. ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ)

২৭. সাহেদা তারেক দীপ্তি (ঢাকা)

২৮. অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা)

২৯. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা)

৩০. মাসুদা সিদ্দিক রোজী (নরসিংদী)

৩১. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল)

৩২. শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল)

৩৩. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর)

৩৪. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল)

৩৫. হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা)

৩৬. নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ)

৩৭. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর)

৩৮. আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর)

৩৯. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী)

৪০. শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম)

৪১. ফরিদা খানম (নোয়াখালী)

৪২. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম)

৪৩. ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙ্গামাটি)

৪৪. সানজিদা খানম (ঢাকা)

৪৫. নাছিমা জামান ববি (রংপুর)

৪৬. নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী)

৪৭. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম)

৪৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট)

অন্যদিকে জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নাহার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

 


আরও খবর



বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে তার পুরনো রুপে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সরকার পতনের পর ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল করা হয়েছে। এতে গতানুগতিক ধারায় আগের মতো বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে আগের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে পুরোনো পদ্ধতিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকের সমাপনীর (পঞ্চম শ্রেণি) আগে পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী, কেবল তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনটিই ছিল একসময়। শিশুরা ছোটবেলা থেকে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় হতে শিখবে।

দফায় দফায় পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে বলেই বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছিল। এখন তা আবার চালু করলে কোচিং ও গাইড ব্যবসা রমরমা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।


এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ  গণমাধ্যমকে বলেন, এটা নতুন কিছু না। আগের নিয়মে আবার ফেরা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হবে না।


আরও খবর



এখন দরকার নানারকম শীতের পোশাক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শীতের পোশাক অবশ্যই ফ্যাশনেবল এবং আরামদায়ক হতে হবে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ও শপিংমলে পাওয়া যাচ্ছে নানা ডিজাইনের শীতের পোশাক

শীতের পোশাক সুতি কাপড়ের, ফ্লানেল কাপড়ের হলে শিশুরা পরে খুব আরাম পায়। তাই তাদের শীতের পোশাকের নিচে বিশেষ করে উলের পোশাকের নিচে পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরিয়ে দেওয়া উচিত। তবে হালকা শীতে শিশুকে খুব মোটা কিংবা খুব বেশি গরম কাপড় পরানো উচিত নয়। বেশি গরম কাপড় পরালে গরমে ঘেমে ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে

শপিংমলে পাবেন নানা রং, নকশা আর মোটিফের শীতের পোশাক। মেয়েশিশুর শীতের পোশাকে রয়েছে দারুণ সব ডিজাইনের ছোঁয়া। ফুল, লতাপাতা, কার্টুন চরিত্র, নানা উপকরণ ব্যবহার করে শিশুদের শীতের পোশাকগুলো করা হয়েছে আকর্ষণীয়। তবে এসব পোশাকের বোতাম এবং আলাদাভাবে বসানো উপকরণে শিশুদের নরম ত্বকে ব্যথা পাচ্ছে কি না সেদিকটিও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুরা রঙিন পোশাক পছন্দ করে। শিশুদের জন্য পাবেন ডেনিমের বর্ণিল রঙের প্যান্ট ও হুডি।  হুডি ছাড়া রেকসিন, চামড়ার লং জ্যাকেটও আছে। তবে স্কুলে যাওয়ার জন্য শিশুর শীতের পোশাক কিনলে তা খুব বেশি কালারফুল হওয়া উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে কালো, নীল, সাদা রংগুলো বেছে নিতে পারেন। কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রঙিন আর নকশা করা শীতের পোশাক কিনতে পারেন।

রকম-সকম

বিভিন্ন মার্কেটে এবার শীতের পোশাকে জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের সেট, বেবিকিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান, উল ও ক্যাশমেয়ার বেশি চোখে পড়ছে। এ ছাড়া শিশুদের বৈচিত্র্যময় মাফলার, নতুন ডিজাইনের কানটুপি এসেছে । ছোট ছোট মাফলারে নানারকম ঝুল বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছে পোশাকগুলোকে। সুতির স্কার্ফও আরামদায়ক ও আকর্ষণীয় শিশুর জন্য। এ ছাড়া আছে ডোরেমন, স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, হ্যারি পটার, আয়রনম্যান, পোকেমন কার্টুনের ডিজাইন করা আকর্ষণীয় শীত পোশাক।

আছে হুডি

আজকাল বাজারে শিশুদের জন্যও হুডিযুক্ত পোশাক পাওয়া যায়। তাই শিশুদেরও এমন পোশাক কিনে দিতে পারেন। বিশেষ করে যে শিশুরা আলাদা টুপি ব্যবহার করতে চায় না তাদের জন্য এমন পোশাকই সেরা

সাহেবি পোশাক

 বাজারে বিক্রি হচ্ছে স্যুট-কোট । এসবের সঙ্গে টাইও কিনতে পাবেন। মেয়ে শিশুদের জন্য পাবেন ব্লেজার

শার্ট ও জ্যাকেট

 শীতের বাজারে বিভিন্ন বয়সের জন্য রয়েছে শার্ট ও জ্যাকেট। ফুলহাতা শার্ট, সোয়েট শার্ট কিংবা পোলো শার্ট যেমন পাবেন আবার পাবেন জিনসের তৈরি জ্যাকেট।

সোয়েটার

এ সময় বিভিন্ন ধরনের সোয়েটার পাবেন। বিভিন্ন রঙের যেমন- লাল, বেগুনি, কমলা, গোলাপি সোয়েটার পাবেন ওদের জন্য

লেগিংস ও ট্রাউজার : শীতে লেগিংসও ট্রাউজার কিনে দিতে পারেন। বাজারে ফুল দিয়ে ডিজাইন করা রঙিন লেগিংস পাওয়া যাচ্ছে

টুপি এবং মোজা : বাজারে এখন রংবেরঙের টুপি আর মোজা পাওয়া যাচ্ছে। চাইলে এ সময়ে বাজার থেকে পা-ঢাকা জুতাও কিনে দিতে পারেন

কোথায় পাবেন

শীতের পোশাক কিনতে পারেন বসুন্ধরা সিটিমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, রাপা প্লাজা, সানরাইজ প্লাজা, আড়ং, ইস্টার্ন প্লাজা, পলওয়েল মার্কেট, গুলশান পিংক সিটি, কর্ণফুলী গার্ডেনসহ বিভিন্ন শপিংমলে। তবে একটু কম দামে ভালো মানের শীতের পোশাক কিনতে চাইলে যেতে

পাবেন আজিজ সুপার মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, ঢাকা কলেজের বিপরীতে, নিউমার্কেট, গাউছিয়াসহ বিভিন্ন মার্কেটে। গুলশান-১, নিকেতনের ‌বেবি ব্লু অর পিংক বার্ড দোকানটিতে পাবেন শিশুদের মোজা আর পা ঢাকা জুতার খোঁজ।

দরদাম :  সোয়েটার পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে, রেকসিনের জ্যাকেট পাওয়া যাবে ৮০০ -২০০০ টাকার মধ্যে, চামড়ার জ্যাকেট ১৫০০-৪০০০ টাকা, জিন্সের জ্যাকেট পাওয়া যাবে ৪০০ - ১৫০০ টাকার মধ্যে, কানটুপি ১০০-৪০০ টাকা, মাফলার ৬০-২০০ টাকা, হুডি জ্যাকেট ২০০-১৫০০ টাকা, হাত ও পা মাজার সটের দাম পড়বে ১৫০ -৩০০ টাকার মধ্যে, ডেনিমের প্যান্ট ৩০০ -১০০০ টাকার মধ্যে


আরও খবর

শীতে বিয়ের কনের স্কিন কেয়ার রুটিন

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখার উপায়

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




বিচার বিভাগের সুফল পেতে রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিচার বিভাগের সুফল পেতে হলে রাজনৈতিক সংস্কার আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের এক কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

টিআইবি'র আয়োজিত অনুষ্ঠানে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।


আরও খবর



নির্বাচনী চাপ বাড়াতে তৎপর বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনী পথে দ্রুত হাঁটাতে তৎপর বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষ থেকে নানা সভা-সেমিনারে ক্রমাগতভাবে নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি মনে করে, বিপ্লব-পরবর্তী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনী কাজও চলমান রাখুক সরকার। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে সহসাই নির্বাচন না দেওয়ার কিছু ইঙ্গিত বিএনপির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি টেবিল টকের পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপও বাড়াতে চায়। তাতে জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও একটা পরিষ্কার বার্তা যাবে।

বিএনপি একটি সূত্র জানায়, নিজেদের পক্ষে জনমত জনমত আছে সেটি শতভাগ প্রমাণ করতে পেরেছে বিএনপি। এবারের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালির জনসমাগম দেখে দলের শীর্ষ নেতারাও বেশ আশাবাদী। সে আশাবাদকে ধরে রেখে দলটি আরো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসতে চায়। চলতি সপ্তাহের একটি স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক আগামী ডিসেম্বর মাসে একই রকম বিজয় র‌্যালি ও ১০ বিভাগে বড় জনসভার পরিকল্পনার নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাস ও ডিসেম্বরজুড়ে এই সমাবেশগুলোর আয়োজন করা হবে। দলটির নেতারা বলছেন, গত সরকারের শেষ দিকে সারা দেশে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে জন বিস্ফোরণ ঘটেছিল। গণপরিবহন বন্ধসহ সরকারের নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সভার জনসমাগম বেশ আলোচিত ছিল। কিন্তু এবারের অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে নতুন সমাবেশগুলোতে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ইতিহাস তৈরি করতে চায় বিএনপি। এ ধরনের সমাবেশগুলোর মাধ্যমে বিএনপি দেশে একমাত্র জনবান্ধব দল এটা যেমন প্রমাণ করবে, সেই সঙ্গে দ্রুত নির্বাচনের দাবিটি আরো জোরালো হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল, পরিবর্তিত সময়ে দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসাটা বেশ চ্যালেঞ্জের। এটা নিয়ে আমাদের দলের সবাই কাজ করছেন। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সামনের নির্বাচনে ভালোভাবেই অংশ নেবে, নির্বাচিত হলে বিএনপি কী করবে এ বিষয়গুলো দেশব্যাপী তুলে ধরতে আমরা আবার তৃণমূলে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে দলের সংশ্লিষ্ট নেতারা কাজ করছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাসেও নির্বাচনী রোডম্যাপের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। অন্যথায় আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি। গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া দুটিই সমান্তরালভাবে চলা উচিত। এজন্য সরকারকে অবিলম্বে একটি রোডম্যাপ দিয়ে সামনে এগোনো দরকার। যত দিন পর্যন্ত এই রোডম্যাপ দেওয়া না হবে, তত দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার যে শঙ্কা’ রয়েছে, সেটা কাটবে না।

নেতারা বলছেন, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারের সব কার্যক্রমের ফোকাস হওয়া উচিত নির্বাচন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই নির্বাচন নিয়ে জনমনে বিভিন্ন সময় যে শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা কাটাতে এই সরকারকে দ্রুত রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা দরকার।

বিএনপি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা- এই দুই ইস্যুতে মাঠের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। তাই আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আরেকটি বড় র‌্যালিও করবে দলটি।

বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি তিনজনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন যে, এদের মধ্যে দুজনকে নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তারা আন্দোলন করছে। এই নিয়োগ নিয়ে বিএনপিও বিস্মিত। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও চিন্তাভাবনা করে এদের নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া। বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা। এর আগে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে উপদেষ্টা করায় প্রশ্ন তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছিল বিএনপি।


আরও খবর



কুয়াশায় নৌ চলাচলে বিঘ্ন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে এখনও শীতের আমেজ অনুভূত হয়নি। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জেকে বসতে শুরু করেছে শীত, সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা। কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী মানুষের, বিশেষত চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। শীতজনিত অসুখবিসুখ বাড়ছে। গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। এদিকে ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ০৯ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি বিরাজমান রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পায়ে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

চাঁদপুর : ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৪টায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় হরিণা ও নরসিংহপুর আলুবাজার ঘাটের ফেরি চলাচল। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল ৯টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। সোমবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে কুয়াশা বেড়ে যায়। ফলে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভোররাত ৪টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

রাজশাহী ব্যুরো : শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজশাহীসহ আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। সোমবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে রাজশাহী অঞ্চলের আকাশ। দুপুর ১২টায় এই রিপোর্ট লেখার সময়ও রাজশাহীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে সড়ক-মহাসড়কে। সোমবার দিনের প্রথমভাগে রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি। ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘনকুয়াশায় ফসলের ক্ষতি হবে কিনা-জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক উম্মে ছালমা জানান, মাঠে মাঠে আলু বীজ রোপনের কাজ করছেন চাষিরা। এক-দুদিনের কুয়াশায় তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে কুয়াশা ও ঠান্ডা আবহাওয়া দীর্ঘায়িত হলে আলু বীজ অঙ্কুরোদম হতে দেরি হবে।

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের গ্রামাঞ্চল থেকে শহরের সড়কগুলো সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে পড়তে থাকে কুয়াশা। সেই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। শীত উপেক্ষা করেই শ্রমজীবীরা নিজ নিজ কাজে যাচ্ছেন। ঘন কুয়াশায় ধীরগতিতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সকল প্রকার যানবাহন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় স্থানীয় তাপমাত্রার হিসাব রাখে। এই দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার জন্য ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি কিছু দপ্তর থেকে ১ হাজার কম্বল পেয়েছি। খুব শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।

হিলি (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীত উপেক্ষা করে কাজে নামছেন শ্রমিকেরা। সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত রোদের দেখা মিলেনি।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে দিনাজপুর জেলায় ১০ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে। সোমবার সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিন্ম ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

এদিকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইলতুত মিশ আকন্দ বলেন, হাসপাতালে বাড়ছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন বর্হি বিভাগ হতে ১৫০ থেকে ১৬০ জন রোগী সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বদলগাছী (নওগাঁ) : নওগাঁর বদলগাছীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত পড়ছে জনজীবন। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলে মেলেনি সূর্যের দেখা।সোমবার সকালে বদলগাছী আবহওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। ঘন কুয়াশার জন্য গাড়ির হেড লাইট জালিয়ে রাস্তার যানবাহন চলাচল করছিলো। লোক সমাগম বেড়েছে চা দোকানে।স্থানীয় বয়স্ক কৃষক পলাশ বলেন, শীতের কারণে আজ ক্ষেতে যেতে পারিনি। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া কষ্টকর। আমাদের মতো বয়স্কদের কাছে শীত বেশি মনে হয়। বরো ধানের বীজতলা তৈরি এবং চারা গজানো নিয়ে বিপাকে আছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান জানান, এ রকম কুয়াশা ও ঠান্ডা আর কয়কদিন থাকলে বোরো ধানের বীজতলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত রোগের ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ড. নজরুল ইসলাম জানান, শীতে শিশুদে ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম জানান, বদলগাছীতে শীতের প্রকোপ একটু বেশি। ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তার সঙ্গে শীতার্তদের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দের ব্যপারে কথা বলেছি। আমরা দ্রুতই ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জন্য গরম কাপড় বিতরণ করবো।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার শীত আর ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দুপুর পর্যন্ত সূর্য্যের দেখা মেলেনি। ক্ষেত খামারের মজুররা পড়েছেন বিপাকে। চরাঞ্চলের বাসিন্দারা শীতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শহরের ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে।

সদর উপজেলার চরবনবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫১) বলেন, ঠান্ডা বাতাস ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে বেগুন ও কাচা মরিচ খেতের পরিচর্য়া করতে হচ্ছে। কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাটাঙ্গা চরের নৌকার মাঝি হানিফ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে নদী দিক ঠিক রাখা যায় না। অনেক সময় দিক ভুল হয়ে নৌকা চরে গিয়ে আটকে যায়। এই ঘাট থেকে শহরের মতি সাহেবের ঘাটে যেতে আগে সময় লাগতো ৪০ মিনিট। এখন সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টা। বড় বাজার,হকার্স মার্কেট, নিউ মার্কেট এলাকার পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। পুরান কাপড় কিনতে আসা রিক্সা চালক জ জব্বার আলী (৬০) বলেন, কঠিন ঠান্ডা পড়েছে ভাই, পেটের জ্বালায় রিক্সা নিয়ে বের হতে হচ্ছে।

কালাই (জয়পুরহাট) : উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে জয়পুরহাটেও শীতের প্রকোপ বেড়েই চলছে। সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোর মধ্যে এ জেলাতেও গত তিনদিন ধরে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দিনের বেলায় যেমনতেমন রাতের বেলায় ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। গত দুইদিন যেমনতেমন সূর্য্যের দেখা মিললেও আজ সোমবার একেবারেই দেখা মেলেনি। রাস্তায় হেড-লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। শীতের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বিপাকে পরেছে স্বল্প আয়ের অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

বদলগাছী আবাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আজ সোমবার জয়পুরহাটসহ পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন গত শনিবার ও রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ এবং ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুইদিন ঘন কুয়াশার মধ্যে রোদের দেখা মিললেও সোমবার সকাল থেকেই সূর্য়ের দেখা মেলেনি। সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।

এ অবস্থায়ও থেমে নেই স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর কর্ম। পরিবারের জন্য এমন কনকনে শীত উপেক্ষা করে ঘরের বাহিরে ছুটতে হচ্ছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে শীত নিবারনের কাপড় ছাড়াই কোনোমতে বাড়ির বাহিরে এসে তারা নিজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহি বাস চালক কেরামত আলী বলেন, কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেড লাইট জালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর ঠান্ডায় যাত্রীও কম। এ অবস্থা চলতে থাকলে অল্পদিনের মধ্যে গাড়ী চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

কথা হয় পুনট এলাকার চায়ের দোকানদার আক্কাস আলীর সাথে। তার দোকানের উপরে কয়েকটি টিনের ছাউনি আর চারদিকে খোলা। অনবরত তাকে পানি নাড়াচড়া করতে হচ্ছে। পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে তার শরীর হিম হয়ে ওঠেছে। আক্কাস আলী বলেন, একদিন দোকান বন্ধ থাকলে সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে। পরিবারের তাগিদে এমন শীতে আমাকে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। যখন কুলাতে পারছিনা তখন খড়কুটা জালিয়ে শীত কাটাচ্ছি।

পাঁচশিরা বাজারে অটোভ্যান চালক বালা মিয়া বলেন, হারকাপানো এই শীতে সবাই ঘরে রয়েছে, আমাকে পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে। ভ্যান চালিয়ে সারাদিনে যেটুকু পাই, তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীত নিবারনের গরম কাপড় কি দিয়ে কিনবো। শুনতে পাচ্ছি অনেকেই কম্বল আবার কেউ জ্যাকেট পেয়েছে। কই আমি সারাদিন রাস্তায় পড়ে আছি, কেউ একটি কম্বল বা জ্যাকেটও দেয়নি আমাকে।


আরও খবর