Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের দাম লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগামীকাল রবিবার থেকে কার্যকর কার হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

 


আরও খবর



নওগাঁয় অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অজ্ঞাতনামা এক নারীর (২৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে  নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ। নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বকের মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে সাবেক সোনালী ব্যাংকের সামনে খড় হাটির পাশে পথচারীরা পেশাব করতে যায়। সেখানে খড়ের গাদার পূর্ব পাশে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ পরে থাকতে দেখতে পেয়ে তারা থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে আসে। তথ্য সংগ্রহকালে নারীর নাম-পরিচয় মিলেনি।নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন রেজা বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে একই সাথে নিহতের নাম পরিচয় সনাক্তের জন্য কাজ চলছে।

এছাড়াও আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



১২ দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রথম দফায় বিশ্বের ১২টি দেশের জন্য নতুন শুল্ক হার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। আগামী সোমবার (৭ জুলাই) এই দেশগুলোর তালিকা ও শুল্ক হারের পরিমাণ প্রকাশ করা হবে বলেও জানান ট্রাম্প।

নিউজার্সিতে যাওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব এ তথ্য জানান।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কিছু চিঠিতে স্বাক্ষর করেছি এবং সেগুলো সোমবার প্রকাশিত হবে।’ এই চিঠিতে যত পরিমাণ শুল্ক ধরা হয়েছে, সেটিই মানতে হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি গ্রহণ করা নয়ত ছেড়ে দেওয়া প্রস্তাব।’

কোন দেশগুলোর ওপর এই তালিকায় আছে জানতে চাইলে ট্রাম্প নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আমাকে সোমবারই তা ঘোষণা করতে হবে।’

১২ দেশের ওপর আলাদা আলাদা শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্ভবত ১২টি ভিন্ন পরিমাণ অর্থ, ভিন্ন পরিমাণ শুল্ক এবং কিছুটা ভিন্ন চুক্তি হবে।’ অর্থাৎ কিছু দেশের ওপর বেশি, কারও ওপর কম শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।

এরআগে ট্রাম্প বলেছিলেন, শুক্রবার (৪ জুলাই) শুল্ক সংক্রান্ত চিঠিগুলো প্রকাশ করা হবে। তবে এই তারিখ থেকে পিছিয়ে এসেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেন। সব দেশের পণ্যের জন্য সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ এবং কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে সব দেশের জন্য শুল্ক সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ রেখে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। যেটি আগামী ৯ জুলাই শেষ হবে।


আরও খবর



হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া হতে পারে কঠিন ৫ রোগের লক্ষণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

অতিরিক্ত ওজনে যারা ভুগছেন সামান্য ওজন ঝরতেই তারা খুশি হয়ে যান! তবে ডায়েট বা শরীরচর্চা ছাড়াও যদি হঠাৎ করে আপনার ওজন কমতে শুরু করে তাহলে সচেতন হতে হবে। কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া মোটেও ভালো কোনো লক্ষণ নয়। এর পেছনে থাকতে পারে জটিল কিছু রোগের কারণ।

ওজন সবার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেই প্রতিফলিত করে। ওজনের ওঠানামা শারীরিক বিভিন্ন ব্যাধির ইঙ্গিত দেয়। জানেন কি, ওজনের ওঠানা কখনো কখনো মানসিক রোগের কারণও হতে পারে। এর সঙ্গে কিছু উপসর্গ যেমন- চুল পড়া বা ঘন ঘন ঠান্ডা অনুভব করা কিংবা দুর্বল বোধ করাও হতে পারে নানা কঠিন রোগের কারণ। তাই হঠাৎ ওজন কমতে শুরু করলে সতর্ক হওয়া জরুরি। জেনে নিন কোন ৫ রোগের কারণে কমতে শুরু করে ওজন-

থাইরয়েড

থাইরয়েডের কারণে বিপাকক্রিয়া বেড়ে যায়। যিদিও বিপাকক্রিয়া বেড়ে গেলে ওজন দ্রুত কমে, তবে অতি দ্রুত বিপাকক্রিয়ার কারণে ওজন কমতেও শুরু করে ।হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে ওজন যেমন বেড়ে যায় ঠিক তেমনই হাইপারথাইরয়েডিজমে ওজন দ্রুত কমতে থাকে। খুব দ্রুত ওজন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, উদ্বেগ, ঝাঁকুনি, কাঁপুনি বা অনিদ্রা, সবই একটি অতি সক্রিয় থাইরয়েড (হাইপারথাইরয়েডিজম) এর লক্ষণ।

অন্ত্রের রোগ

সিলিয়াক ডিজিজ, ক্রোনস ডিজিজ, ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা ও অন্ত্রের ক্ষতির মতো অবস্থার কারণেও ওজন কমতে শুরু করে। যা ম্যালাবসোরপশন ঘটায়। ম্যালাবসোরপশন ঘটে যখন কিছু অন্ত্রকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করতে বাঁধা দেয়। যেমন- সিলিয়াক ডিজিজ, অন্ত্রের রোগ। গ্লুটেনমুক্ত ডায়েট অনুসরণ করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।

ক্যানসার

ক্যানসারের ফলে দ্রুত ওজন কমতে পারে। কোনো ছাড়াই যদি কারও ওজন হঠাৎ করেই কমতে শুরু করে তাহলে তা ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক ও অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের পাশাপাশি ফুসফুস, মাথা, ঘাড় ও কোলোরেক্টাল ক্যানসারে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো ওজন কমে যাওয়া।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস

একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত ব্যাধি, যা শরীরের জয়েন্টগুলিকে প্রভাবিত করে। এটি দ্রুত ওজন কমিয়ে দেয়। এর কারণ হল প্রো-ইনফ্লেমেটরি সাইটোকাইনগুলো রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে প্রদাহ ও শক্তি ব্যয় উভয়ই বাড়ায়। ফলে দৈনিক ক্যালোরি ও চর্বি পোড়ার কারণে ওজনও কমে। ৩০-৫০ বছর বয়সীদের মধ্যেই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেশি।

ওষুধের অপব্যবহার

যারা মাদক সেবন করেন তারা প্রায়ই দীর্ঘ সময়ের জন্য না খেয়ে থাকেন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করে, যা দ্রুত ওজন কমায়। যেমন- সিগারেটের ধোঁয়া ক্ষুধা দমন করতে পারে, এমনকি ওজনও কমাতে পারে।


আরও খবর

পাউরুটি খেলে কী হয়?

শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫




শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

গ্রীষ্মকালে শরীর সতেজ ও সুস্থ রাখতে যেসব ফল উপকারী, তার মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি কেবল স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটি হজমে সহায়তা, পানিশূন্যতা রোধ, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো ও ওজন নিয়ন্ত্রণসহ নানা দিক থেকে শরীরের উপকার করে।

প্রাকৃতিকভাবে শক্তি বাড়ায়

কাঁঠালে থাকে সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি, যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি, ফলে গরমে শরীরকে সক্রিয় ও শক্তিশালী রাখতে এটি দারুণ কার্যকর।

হজমে সহায়তা করে

কাঁঠালে থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ হজমে সাহায্য করে। এটি মল সহজে বের হতে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ফলে হজমনালী পরিষ্কার থাকে এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় থাকে।

পানিশূন্যতা ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁঠালের পাকা অংশে প্রায় ৮৯.৮৫% জলীয় উপাদান থাকে, যা গরমে ঘামের মাধ্যমে হারানো পানি পূরণে সহায়ক। এতে থাকা ইলেকট্রোলাইট শরীরের জলীয় ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং মাথাব্যথা বা ক্লান্তির ঝুঁকি কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গরমকালে ঠাণ্ডা, সর্দি বা ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি, প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে।

ত্বকের জন্য উপকারী

কাঁঠালের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতরের অক্সিডেটিভ চাপ কমায়, ফলে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল থাকে। এর উচ্চ জলীয় উপাদান গ্রীষ্মের রুক্ষতা, ব্রণ ও ত্বকের নির্জীবতা দূর করতে সহায়তা করে, ত্বক করে তোলে সতেজ ও কোমল।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

মিষ্টি হলেও কাঁঠালে ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কম। এতে থাকা আঁশ পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

এভাবে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক একটি স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে কাজ করে।


আরও খবর

পাউরুটি খেলে কী হয়?

শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫




অভিজাতরা কেন সালাফি হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

মাহদী গালিব :

বড় ভাইর বন্ধু তিনি। বহুজাতিক কোম্পানির বড়কর্তা। পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই বয়স। হঠাৎ করে ইসলামমুখি হয়েছেন। দাঁড়ি রেখেছেন। হুযুর রেখে কোর’আন শিখছেন। ফোনে একদিন যেতে বললেন। গেলাম। উত্তরা এলাকার অভিজাত বাড়ি। কড়া নিরাপত্তা। দারোয়ানকে পরিচয় দাও, নাম ঠিকানা লিখ। এরপর ঢোকার অনুমতি। 

বসার ঘরে অপেক্ষা করছি। নজর পরল বইয়ের তাকে। সারিসারি বই। তিনি সৌখিন মানুষ। বই আগেও দেখেছি। কিন্তু একটা জিনিষে দৃষ্টি আটকাল। অনেক নতুন বই দেখছি। বলাই বাহুল্য ইসলামি বই।  কিন্তু বিষয়টা অন্যখানে। একজন লেখকের বই দিয়ে পুরো একটা সেলফ ভর্তি। নাম বলব না। তিনি কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন সম্ভবত। হেসে হেসে কথা বলতেন টিভিতে। ভারতের ফুরফুরা দরবারে সাথে আত্মিয়তার সম্পর্ক ছিল তার। এখন তিনি প্রয়াত। যাহোক, এই লেখক একজন লামাযহাবি। স্পষ্ট করলে ওহাবিতন্ত্রের সালাফি ঘরনা। 


এসব দেখছিলাম। এরমধ্যে আমার মেজবান এসছেন। আলাপ শুরু হল। কয়েক ঘণ্টা গেল। তিনি আস্তে আস্তে আমার প্রতি আশ্বস্ত হচ্ছেন। নতুন তথ্য জানাচ্ছি। তিনি অবাক হচ্ছেন। এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলাম- দাদা, আপনি দেখি জনৈক অধ্যাপকের বই কিনে ফতুর হচ্ছেন, ঘটনা কি? তার উত্তর এমন- আরে তিনি তো ভালো লোক, কী সুন্দর ব্যবহার, হেসে কথা বলেন, চেঁচিয়ে বক্তব্য দেন না, আর শিরিকের বিষয়ে সোচ্চার। কী বলব বুঝছিলাম না। একটা মুচকি হাসি দিয়ে প্রসঙ্গ শেষ করলাম। 


দ্বিতীয় ঘটনা সাম্প্রতিক। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। যুবক মানুষ। কয়েকটি ব্যতিক্রম বইয়ের লেখক। আমার ফেসবুক বন্ধু তিনি। সেদিন নিউজফিড দেখছিলাম। তার একটা পোস্ট এলো। তিনিও জনৈক অধ্যাপকের বিষয়ে লিখেছেন। তিনি বলছেন জনৈক অধ্যাপক নাকি গ্রামবাংলার কুসংস্কার যুক্ত হুজুরদের জব্বর আঘাত হেনেছেন।  তিনি নাকি সহিহ হাদিস দিয়ে বুঝিয়েছেন আমরা বাংলাদেশের মুসলমান কতটা অশিক্ষিত। তিনি বাংলাদেশের মুসলিমদের শিক্ষিত করার চেষ্টা করেছেন। 


এখানেও চুপ ছিলাম। ধপ করে বলার মত কিছু পাই নি। এবার শেষ উদাহরণ। আমার ভালোবাসার ইরফান ভাই। চট্টগ্রামের মানুষ। ধনাঢ্য পরিবারের। থাকেন ঢাকার অভিজাত এলাকায়। পরশু কথা হচ্ছিল ইনবক্সে।  প্রচণ্ড বিমর্ষ পেলাম। কারণ জিগালাম। এরপরে তার বক্তব্যের সারমর্ম তুলে ধরছি। বললেন- 


চট্টগ্রামের অনেক শিক্ষিত সুন্নি পরিবার মসজিদ-মাদ্রাসা চালায়। কিন্তু যাদের ঘরে আলেম নেই এদের প্রায় সবাই সুন্নিয়াত থেকে বেরিয়ে গেছে। সোজা কথায় ওহাবি হয়ে গেছে। এখন শুধু কালচারের কারণে সুন্নি প্রতিষ্ঠান, গাউসিয়া খতম ইত্যাদি প্রোমোট করছে। ধনী সুন্নিদের ওহাবিরা কব্জা করছে। চট্টগ্রামের উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম ঘুরে গত কয়েক বছরে সবদিকে একই অবস্থা দেখলাম। এদের মধ্যে ধনাঢ্য পরিবারের পিছে পিছে কয়েকটা সুন্নি আলেম ঘুরে। কিন্তু ওহাবিবাদী কথাগুলার কোনো প্রতিবাদ করে না। আজকে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। এক বুড়া হুজুরকে দেখলাম। সে নাকি শেরেবাংলা হুজুরের সাথে একখাটে ঘুমিয়েছে। অনুষ্ঠানে কিছু সালাফিও ছিল। সালাফিরা আলাপ উঠিয়েছে যে শিক্ষিত হয়ে কেউ পীর-মুরিদি কীভাবে করে? এটা মূর্খদের কাজ।  সে বুড়া হুযুর একটা কথারও প্রতিবাদ করে নি। টাকার জন্য গেছিলো এক সওদাগরের কাছে। জানেন ভাই, জামেয়া মাদ্রাসার পাশের মহল্লাতে এখন ওহাবি মাদ্রাসা। জামেয়ার পাশের মহল্লার নতুন মসজিদ সবগুলোতে ওহাবি ইমাম। (এ পর্যায়ে একজন শিল্পপতির নাম নিলেন) সূফি সাহেবের খেদমতগুলো থেকে লংটার্মে সুন্নিয়াতের কী লাভ হচ্ছে বলেন? সুন্নি কমিটিগুলো কি পারে না তার সাথে বসে মাস্টারপ্ল্যান করতে? সে খরচ তো কম করছে না। এসব নিয়ে ভাবে না সুন্নিরা। আমার নানাবাড়ির গ্রামে ওহাবিদের অস্তিত্ব কল্পনা করা যেতো না। সেখানের মসজিদে দেখি আজকাল একটা ছেলে বুকে হাত বেঁধে নামাজ পড়ে। একবারে সালাফি হয়ে গেছে। 


তিনি আরো বলছিলেন। থামিয়ে দিলাম। সহ্য হচ্ছিল না। চিন্তায় মাথা ব্যথা শুরু হল। এরকম হাজার উদাহরণ আছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? শতশত বছর ধরে লালন করা সূফিধারা ও সুন্নিয়াত থেকে কেন অভিজাত শ্রেণি নাক সিটকাচ্ছে? ভেবেছেন!


কারণ জানতে হলে, আগে অভিজাতদের সাইকোলজি বুঝতে হবে। যাদের বুনিয়াদী বংশ, অর্থবিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি আছে, উচ্চশিক্ষিত সমাজ- এরাই অভিজাত শ্রেণি। অভিজাতরা সৌন্দর্য পছন্দ করে। কোটি টাকার ইরানি কার্পেট পায়ের তলায় বিছায়। কাশ্মীরি গোলাপ না পেলে লাখ টাকার কাগজের গোলাপে ঘর সাজায়। মানে এরা পরিচ্ছন্ন থাকতে চায়। শুধু ঘর সাজানো না- সামাজিকতা, মেলামেশা, এমনকি ধর্ম পালনেও। এরা স্বাধীনচেতা, যুক্তিবাদী হয়। হুযুর যাই বলবে তাই মানার প্রবণতা নেই। হুজুরের কথার সাথে নিজের চিন্তা মিশাবে।  এরপর সিদ্ধান্ত নিবে। 


এদের সংস্কৃতি ভিন্ন। গ্রামের হত দরিদ্র সমাজ হুজুরের সুরেলা ওয়াজ ঘন্টঘন্টা শুনবে। কিন্তু অভিজাতদের অত সময় নেই। এরা ধর্মকে জীবনের একটা অংশ মনে করে। পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ভাবে না। আপনার-আমার মত সময় নেই তাদের।  এরা ধর্মকে একটা রিচুয়াল বা ধর্মানুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ ভাবে।  তাই শর্টকাট ইসলাম খুঁজে। 


আর এখানেই সুন্নিরা পরাজিত। বাংলাদেশে ওহাবি বিপ্লবের পিছে ওহাবি-সালাফিদের অবদান খুব কম। পুরো অবদান সুন্নিদের নিজের। আমরা স্কলারি বা পাণ্ডিত্য সুলভ কথা বলি না। সমাজ-স্থান বুঝি না। মাইক পেলেই দেই টান। চেঁচামেচি আর বক্তব্যের গরমে ময়দান উতালা করি। কিন্তু অভিজাতরা তথ্য চায়, যুক্তি চায়। আবেগ তাদের খুব সহজে তাড়িত করে না।  


গুলশানে এক কোটিপতির বাসায় অনুষ্ঠান। ঈদে মিলাদুন্নাবির (দ) অনুষ্ঠান। আমি উপস্থাপক। এক হুযুর এসেছেন। তিনি নাকি টিভি-রেডিওতে কাজ করেন। বক্তব্য শুরু করল। হায় খোদা! বিশ মিনিটের জায়গায় এক ঘন্টা টানলেন।  কোনো তথ্য নেই, উপাত্ত নেই। সুরের ঠেলায় মাইক ছেঁড়ার অবস্থা। শ্রোতারা বিরক্তির চরমে। ভদ্রতা করে উঠে যাচ্ছে না শুধু। 


একবার ভাবুন তো, যে লোক এ বছর বিরক্ত হয়ে ফিরলেন, তিনি কি আগামী বছর আসবেন? না, আসবে না।  এটাই বাস্তবতা। আর এখানেই ওহাবি-সালাফিরা সুযোগ নেয়। এরা রেফারেন্সের ভেল্কি দেখায়। নিজেকে আধুনিক সাজায়। আর সঙ্গত কারণেই অভিজাতরা তাদের দিকে ঝুঁকে। অভিজাতদের অত গবেষণার সময় নেই যে ওহাবি, কে সুন্নি। হুযুর হলেই হল। এরপর হুযুর যদি হয় মডার্ন, আধুনিক মুখোশের- তাহলে কথাই নেই। 


অভিজাত ও শিক্ষিতরা সংস্কারবাদী হয়। নিজেকে সামগ্রিক সমাজ থেকে আলাদা ভাবে। কেউ নতুন কিছু করলে আগ্রহ দেখায়। এটা তাদের অবচেতন বা সাবকন্সেস সাইকোলজি।  আর এখানেই সুন্নিরা ধরা খাচ্ছে। সুন্নিদের নতুনত্ব, নবায়ন নেই। 


সুন্নিরা মাজারকেন্দ্রিক ব্যবসার যথার্থ প্রতিবাদ করে না। সুন্নি নামধারী ভন্ডদের যথেষ্ট প্রতিহত করে না। ওহাবিদের গালি দেয়, কিন্তু মানুষকে গঠনমূলক ভাবে বুঝায় না ওহাবি-সালাফিদের মৌলিক ত্রুটি কোন জায়গাতে। কালচার না বুঝে কথা বলা সবচে বড় সমস্যা। আর একজন আলেমের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব- দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন। এটা করছে না। সুন্নিরা কেমন নেতিয়ে গেছে। শেরেবাংলার সেই বিপ্লবী চেতনা এখন মরচিকার মত। 


মূলত এসব কারণেই অভিজাতরা সুন্নিদের দেখলে নাক সিটকায়। পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী ভাবে। সহজ ভাষায় ফিকিন্নির জাত। অথচ সূফিরাই সবচে অভিজাত পরিবার থেকে এসেছে, আসে। বাবা শাহজালাল, শাহ আমানত, মাখদুম রূপস এভাবেই সব আউলিয়াগণ সবচে অভিজাত পরিবার থেকে এসেছেন। 


এমনকি মাদানি যুগে দেখুন। প্রথম দিকের সাহাবিরা বেশীরভাগ অভিজাত। হযরত আবু বকর, হযরত ওসমান, মওলা আলী, মা খাদিজা- তাঁরা সবাই সমাজের সবচে সম্মানিত পরিবারের। ইতিহাসের শুরু থেকেই ইসলাম প্রচারে সবচে বেশী এগিয়েছে অভিজাত শ্রেণি।  


শিক্ষিত সমাজের দিকে দেখুন। শিক্ষিতরা শুধু কুষ্টিয়ার সেই অধ্যাপকের দিকে ঝুঁকে কেন? আমাদের কি কেউ নেই! ঢাবি, চবি, শাবিপ্রবি, জবি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অধ্যাপকদের চিনি। যারা অনেকেই বিভাগীয় প্রধান। আপাদমস্তক সুন্নি। তাঁরা এগুচ্ছেন না কেন? আলেম সমাজ করছেন কি? দোহাই আপনারা বদলান। স্মার্ট হন। সোসাইটি ও কালচার বুঝুন। মানুষের ভাষায় কথা বলতে শিখুন। সাইপ্রাসের নাজিম হাক্কানিকে দেখুন। তাঁর ডেপুটি হিশাম কিব্বানিকে দেখুন। তাঁরা সূফি হয়েও চূড়ান্ত আধুনিক। 


শুধু সামাজিক আন্দোলন দিয়েই হবে না। রাজনৈতিক অংশগ্রহণও সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া দরকার। দাওয়াতি কার্যক্রম বেশী দরকার সুন্নিদের। পড়াশুনা বাড়ানো ওয়াজিব হয়ে গেছে। সুন্নিদের গবেষক, লেখক, কবি, বক্তা, রাজনীতিক, শিক্ষক, প্রশিক্ষক- শ্রেণি গড়ে তোলা এখন ওয়াজিব। এর সাথে মানবিক কার্যক্রমে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। 


এসব যদি না করি, যেভাবে চলছে, সেভাবেই যদি চলে- খুব বেশী দিন নেই, যখন সুন্নিরা বিরলপ্রাণি বা এলিয়েনে পরিণত হবে। বর্তমানেই তো সুন্নি-সূফিরা এদেশে হিন্দুদের থেকেও সংখ্যালঘু। 


সামনে দিন, আরো আসছে কঠিন।  মনে রাখবেন- নিজে না চাইলে আল্লাহ্‌ও ভাগ্য পরিবর্তন করে না।


লেখকঃ মাহদী গালিব


আরও খবর