Logo
শিরোনাম

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ঢাকাবাসীর ভাবনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মুহাম্মদ মাসুম খান :

বৈশ্বিক জলবায়ু সমস্যায়  পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক হারে দাবানল হইতেছে। আমরা  অস্বাভাবিক প্রচন্ড  তাপদাহে ভুগতেছি । ঠিক সেই মুহুর্তে ৫ জুন প্রতিবছরের ন্যায়  বিশ্ব পরিবেশ দিবস ফিরে এসেছে।  এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর দিবসটি অধিক গুরুত্বসহ পালন করা হইতেছে।

এক সময় ঢাকায় জালের মতো ছড়াইয়া ছিল আকঁবাঁকা খাল, বিল ও ঝিল।এই খালগুলি সংরক্ষন করিয়া যদি ঢাকা শহর সম্প্রসারন সম্ভব হইত তাহা হইলে পৃথিবীর অন্যতম দৃষ্ঠিনন্দন শহর হইত  ঢাকা। কিন্তু সেই সুযোগ আমরা হেলায় হারাইয়াছি। ঢাকা শহর খাল ও জলাধারশূন্য নাহলে এতো সহজে শহর উত্তপ্ত হইয়া  যেতো না। 

২০২০ সালে রিভার এন্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের ২০২০ জরিপ অনুসারে ঢাকা শহরে মোট খাল আছে ৭৩ টি যদিও ঢাকা জেলা প্রশাসনের জরিপে খাল আছে ৫৮ টি। উল্লেখিত খালের মধ্যে ৩৭ টিই দখল হইয়া আছে। 

সম্প্রিতি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন দখলকৃত খাল উদ্ধারে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। 

ঢাকা মহানগর হতো পৃথিবীর সবচেয়ে নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শহর যদি ঢাকার খালগুলি ধ্বংস না হতো।

গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ বর্গ কি:মি: আয়তনের জলাধার উধাও হয়ে গেছে। এই সময় ১০ বর্গ কি:মি; সবুজের মৃত্য হয়েছে। ১৯৯৫ সালে রাজধানীর জলাধার এবং জলাভূমি ছিল ৩০.২৫ বর্গ কি:মি:। ২০২৩ সালে সেটা মাত্র ৪.২৮ কিলোমিটারের এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে রাজধানীতে মাত্র ২দশমিক ৯১ শতাংশ জলাধার ও ৭ দশমিক ০৯ শতাংশ সবুজ রয়েছে। অথচ একটি আদর্শ শহরে ১২ শতাংশ জলাধার এবং ১৫ শতাংশ সবুজ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্স এবং নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।প্রতিবেদনে আরো বলা হয় গত ২৮ বছরে উন্মুক্ত স্থান,খেলার মাঠ,পতিত জমি সবই ব্যাপক হারে কমিয়াছে।


বর্তমানে ঢাকা শহর বসবাসের অনুপযোগী শহরগুলির অন্যতম এক নগর। এখনো যদি আমরা ঢাকা শহরে খাল,জলাধার,উন্মুক্ত স্থান,খেলার মাঠ, সবুজকে রক্ষা করতে সবাই সচেস্ট না হই তাহলে ঢাকা শহরে বাস করা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর, অস্বস্তিকর এবং বিপদজনক হয়ে যাবে। বিশেষকরে ঢাকা দক্ষিন এবং ঢাকা  উত্তরের সাথে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ড গুলিতে এখনো অনেক খাল,জলাধার,উন্মুক্ত সবুজ স্থান রয়েছে। সেগুলিকে  দ্রুত দখল এবং দূষনমুক্ত রাখতে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে নদী-খাল,জলাধার, খেলার মাঠ রক্ষায় জবাবদিহিতার আনতে হবে। বিরাজমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। মহল্লায় মহল্লায়,ওয়ার্ডে পরিবেশ রক্ষায় এক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারকে পরিবেশ রক্ষার আরো তৎপর হতে হবে।


মুহাম্মদ মাসুম খান,সাধারণ সম্পাদক 

নদী -খাল ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি 


আরও খবর



পাঁচবিবিতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার - জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি::


৩০ আগষ্ট শুক্রবার ,বৈকাল ৪.০০ টায় পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গোড়ণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ মুনছুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশাল এই কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা পেশ করেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম কর্মপরিষদ সদস্য ও পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনা পেশ করেন পাঁচবিবি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ মোঃ সুজাউল করিম,উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আজিজুল হক ঠান্ডা,উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মোঃ আবু সুফিয়ান (মুক্তান),উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আবু রায়হান ও আওলাই ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ নূর হোসেন আকন্দ বাবু।

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাঁচবিবি পূর্ব আর্দশ থানা শাখার সংগ্রামী সভাপতি হাফেজ মোঃ রুহুল আমিন,পাঁচবিবি পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বাশার, কুসুম্বা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আবু ইউসুফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান,আওলাই ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ শহিদুল ইসলাম। 
আওলাই ইউনিয়নের ওলামা বিভাগের সভাপতি বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম।

এছারাও কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বাইতুলমাল সেক্রেটারী মোঃ শাহাজান আলী,ইউনিয়ন প্রচান বিভাগের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন,ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ রাশেদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ক্ষমতাচ্যূত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশে বিরোধী মতের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সহ অসখ্য মানুষকে মামলা,হামলা,গুম করেছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এই দেশটাকে ধংশ করে দিয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন করতে না পেরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল অথচ আজ জনগণই তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই জামায়াত-শিবিরই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। 

ডাক্তার মোঃ সুজাউল করিম বলেন - ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বৃথা যেতে দেওয়া হবেনা।
ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন শেষে জনগণ প্রত্যাশা করছে সত্যিকার ন্যায়বিচার,শান্তি শৃঙ্খলা নিরাপত্তার এক বাংলাদেশ। সেখানে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মানুষ জামায়াতের দিকে তাঁকিয়ে আছে।

উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আজিজুল হক ঠান্ডা বলেন,আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য জান ও মালের কুরবানীর দেওয়ার জন্য সর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে।

উপজেলা সেক্রেটারী মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করা এটি একটি ফরজ ইবাদত। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য,দুনিয়াতে কল্যাণ ও পরকালে মুক্তি জন্য ইসলামী আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
তিনি উপস্থিত সবাইকে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে বেগবান করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

ইউনিয়ন আমীর নূর হোসেন আকন্দ বাবু বলেন,হাসিনা-খালেদা,ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সব দেখা শেষ আগামীর দিন হবে ইসলামের বাংলাদেশ।

আরও খবর



নওগাঁয় মাদক বিক্রি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সকল ধরনের মাদক বিক্রি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে  ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচী পালিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আরমান হোসেন, আবু রায়হান, শাকিব হোসেন, অনিক, রাফি, সাদনান, রাকিন, সমাজ কর্মী জাহিদ রব্বানী রশিদ প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, মাদকের আগ্রাসনে শিক্ষার্থী ও যুব শক্তি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সমাজে অপরাধ ও অশান্তি বাড়ছে। শ্রমজীবীরা কর্মক্ষম হয়ে পরছেন।

তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁ শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিতোষ সাহা নামে এক ব্যাক্তি বাংলা মদ বিক্রি করে আসছে। এছাড়া শহরের কাঁচা বাজারের পাশে ও বাঙ্গাবাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি চিহ্নিত স্থানে মাদক বিক্রি হয়। এতে করে প্রতিনিয়তই মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে।

দ্রুত মাদক বেচা-কেনা বন্ধে প্রশাসনের নিকট কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেন বক্তারা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন মানববন্ধনকারীরা। কর্মসূচীতে শিক্ষার্থী ছাড়াও মাদক বিরোধী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মিরা অংশ নেন।


আরও খবর



নোবিপ্রবি ভিসি, প্রো ভিসি পদত্যাগের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সিনান তালুকদার নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগের দাবিতে  নিয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নোবিপ্রবি 'র সমন্বয়বৃন্দ। নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৫.০০ টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়ক বানী ইয়ামিন ও মাহমুদুল হাসান আরিফ এর নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক এর নিকট এ স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়। 

স্মারকলিপিতে সমন্বয়কবৃন্দ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে  ভিসি ও প্রো ভিসির পদত্যাগ দাবি করা হয়। তা হলো: শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান হ্রাস,আর্থিক অনিয়ম,ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের অনুভুতি, প্রশাসনিক অব্যবস্থপনা, বাড়ি ভাড়া নিয়ে অনিয়ম, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা, উচ্চ আদালতের আদেশ অবজ্ঞা ইত্যাদি।

এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়কবৃন্দের আল্টিমেটাম অনুয়ায়ী ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রার এখনো পদত্যাগ না করায় নোবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন, ভিসির বাস ভবন, ভি.আই.পি গেস্ট হাউস, একাডেমিক ভবন-১ ও ২ এবং লাইব্রেরি ভবনে তালা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 


গত ১২ আগস্ট উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি  প্রশাসন পদত্যাগ না করলে  ক্যাম্পাসকে 'শাটডাউন' করার হুশিয়ারি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়কবৃন্দ।

এ প্রসঙ্গে নোবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর  অন্যতম সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন, গত ৫ তারিখের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদত্যাগ করার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু এই নির্লজ্জ ভিসি পদত্যাগ না করে বলেন পদত্যাগ করার মতো কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। তাই, তার কেন পদত্যাগ করা উচিত সেই কারণগুলো লিখে আমরা সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।


আরও খবর



রাঙ্গাবালীতে আ’লীগের ১৬৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ কাওছার আহম্মেদ , রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)


পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৬৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। এতে আরও ১৫০-১৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। 

৬ বছর আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় পঙ্গু হওয়া উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বশির ফকির বাদী হয়ে রোববার রাঙ্গাবালী থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর-৩) করেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আমলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তুলে এ মামলা করা হয়। 

তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এ মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সদ্য অপসারিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু.  সাইদুজ্জামান মামুন খানকে প্রধান আসামি করা হয়। 

এছাড়া এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একে সামসুদ্দিন আবু মিয়া, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির তালুকদার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহাথির মোহাম্মদ রেশাদ মল্লিক, সহ-দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন শোভন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস আলম, উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শিবলী, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদ খান রাজ, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদুল কবির প্রিতম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফ, সাধারণ সম্পাদক জামিল প্যাদা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শিমুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়ালিদ তালুকদারের নাম রয়েছে। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ বিএনপির সভা-সমাবেশে বাঁধা এবং নেতাকর্মীদের গুম-হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনায় আসামিরা ক্ষমতার দাপটে আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেও ধরাছোয়ার বাহিরে ছিল। 

এজাহারে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ধানের শীষের সমর্থনে উপজেলার নিজ হাওলা গ্রামে (খালগোড়া বাজার) জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে পূর্ব ঘোষিত পথসভা শুরু হলে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে সাইদুজ্জামান মামুন খানের (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) নেতৃত্বে ককটেল বিস্ফোরণ করে সভামঞ্চ এবং চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। সেদিন বিএনপির শত শত নেতাকর্মীকে পিটিয়ে-কুপিয়ে জখম করে আসামীরা। 

এজাহারে বাদীর অভিযোগ, এ হামলার সময় প্রধান আসামি মামুন খানের নির্দেশে দুই নম্বর আসামি মাহাথির রেশাদের (উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক) হাতে থাকা  ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ হোসেনের মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসে মামলার বাদী বশির ফকির। তখন কোপটি লক্ষ্মভ্রষ্ট হলে বশিরের ডান পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বশির থানায় এসে মামলা করতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে তখন মামলা নেওয়া হয়নি।       

এ ব্যাপারে সোমবার বিকেলে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর



লালমনিরহাটে স্বামীর অণ্ডকোষ চেপে হত্যার দায়ে স্ত্রী আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


ইসমাইল আশরাফ ,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাট জেলাধীন আদিতমারী উপজেলায় ইসমাইল হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যাক্তিকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রী ইতিমনি (৩০)কে আটক করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) রাতে উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব শালমারা গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত ইসমাইল হোসেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে বলে জানা গেছে। আটক নিহতের স্ত্রী ইতিমনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুরাকুটি পূর্বপাড়া গ্রামের জগদীশ চন্দ্র'র মেয়ে।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ১২বছর পূর্বে আটক স্ত্রী প্রেমের টানে ধর্মান্তরিত হয়ে মায়া রানী থেকে ইতিমনি নাম ধারণ করে ইসমাইল হোসেনকে বিবাহ করেন। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে আবারও ইতিমনি পূর্বের ধর্মীয় এক যুবকের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন জনের কাছে টাকা ঋণ করতে থাকে এবং পরকীয়া প্রেমিকের কাছে জমা করেন। সেই ঋণ পরিশোধ করতে আবার নিজ স্বামী  ইসমাইলকেই চাপ দিতে থাকেন। এতে চরমভাবে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।


এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঋণের টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে  কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ইতিমনি প্রথমে তার স্বামী ইসমাইলকে দা দিয়ে আঘাত করে। ইসমাইলের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে আপোষ করে দিয়ে চলে যান। এরপর দ্বিতীয় দফায় স্বামীর অণ্ডকোষ হাত দিয়ে চাপ দিয়ে (গোপনাঙ্গ) ধরলে তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা এসে ইতিমনিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। রাতেই থানা পুলিশ ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।


নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতিমনি পরকীয়া করত সেটাতে বাঁধা দেয়ায় সে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন, নিহতের স্ত্রী ইতিমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।


আরও খবর