Logo
শিরোনাম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গুর টিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এই টিকা বেশ কার্যকর। তবে এটি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন দিলে তা দেশে ব্যবহার করা যাবে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চান্দইর গ্রামে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকেরা একটি টিকার সফল পরীক্ষা করেছেন। দুটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি টিভি-০০৫ নামের টিকাটির দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল সফলতার সঙ্গে শেষ করার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা, চার ধরনেই কার্যকর টিভি-০০৫টিকাটি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)।

এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো দেশেই ডেঙ্গুর প্রতিষেধক হিসেবে কার্যকর টিকা তৈরি হয়নি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা চলছে। ইতিমধ্যে দুটি টিকা তৈরিও হয়েছে। কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না। কারণ, টিকাগুলোয় কিছু সমস্যা রয়েছে। চার ধরনের ডেঙ্গু আছে। টিকা নিলে দেখা যায়, কিছু ভাইরাস দমন হচ্ছে; কিন্তু সব ভাইরাস দমন হয় না। আর যারা একবার ডেঙ্গুর টিকা নিয়েছেন, তাদের অন্য ভাইরাসে আক্রমণ করলে অবস্থা বেশি গুরুতর হয়ে যায়। এ কারণে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে না।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় নয় হাজার রোগী চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে তিন লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি চার লাখ ব্যাগ স্যালাইনও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন আসছে এবং তা হাসপাতালগুলোয় দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন এখন অনেক গুণ বাড়িয়েছে। এসব ওষুধ কোম্পানি মাসে প্রায় ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করতে পারে। বর্তমানে মাসে ডেঙ্গুর জন্য প্রয়োজন হলো ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার আরও বেড়ে গেলে স্যালাইনের প্রয়োজন হবে ৩০ লাখ ব্যাগ।

জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। অনেক সময় দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ কারণে রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলাও কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময় রোগী মারাও যান।

জাহিদ মালিক বলেন, গত ১০ বছরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশের বড় বড় প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করেছে। করোনাকালে সরকার দেশের মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই।


আরও খবর



ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদফতরের জারি করা হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। শামীম হাসান বলেন, এ দফায় হিট অ্যালার্ট থেকে বাদ পড়তে পারে সিলেট। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত তিন সপ্তাহে তাপপ্রবাহ প্রায় সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র গরমের কারণে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমে হিট স্ট্রোকসহ নানা শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় কয়েকজনের মৃ্ত্যুর খবর এসেছে। এমন অবস্থায় তিন দফায় ৭২ ঘণ্টা করে হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। গরমের তীব্রতা না কমায় আগামীকাল রোববার থেকে চতুর্থ দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়েও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


আরও খবর



জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। শুক্রবার হওয়া এ প্রস্তাবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ।

প্রস্তাবটির বিষয় ছিল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় করা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা।

এছাড়া এই প্রস্তাবে ইসরাইলে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। কারণ গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।

সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকা বাংলাদেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এবং ইসরাইলের পক্ষে ভোট দিয়েছে ছয়টি দেশ এবং ভোটদানে বিরত ছিল ১৩টি দেশ।

প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, চিলি, চীন, আইভরি কোস্ট, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ফিনল্যান্ড, গাম্বিয়া, ঘানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, কাতার, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম।

প্রস্তাবের বিপক্ষে ও ইসরাইলের পক্ষে ভোট দিয়েছে আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, জার্মানি, মালাউই, প্যারাগুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র।

ভোটদানে বিরত ছিল আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্যামেরুন, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ভারত, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস ও রোমানিয়া।

যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা এ প্রস্তাবটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সহকারী প্রফেসর মার্ক ওয়েন জোনস। তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, বাস্তবে এটির খুব বেশি কার্যকারিতা নেই।

এই প্রফেসর সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, প্রতীকি অর্থে প্রস্তাবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং তাদের অস্ত্র না দেওয়ার প্রস্তাবে ইউরোপের অনেক দেশ সমর্থন জানিয়েছে। অথচ যুদ্ধের শুরুতে বেশিরভাগ ইউরোপীয়ান দেশ ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

যারমধ্যে ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ এবং বেলজিয়াম সরাসরি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে এবং ফ্রান্স ভোটদানে বিরত ছিল। অর্থাৎ প্যারিসও এতে সমর্থন জানিয়েছে।

যেহেতু মানবাধিকার কাউন্সিলের মাত্র ছয়টি দেশ ইসরাইলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। সে কারণে গাজার যুদ্ধে ইসরাইল যে কৌশল অবলম্বন করছে। সেটি পরিবর্তন করতে তাদের ওপর চাপ তৈরি হবে।


আরও খবর



বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : তদন্ত প্রতিবেদনে যা জানা গেল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আলোচিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে ফায়ার সার্ভিসের গঠিত কমিটি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে তারা।

ফায়ার সার্ভিসের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবনের নিচ তলায় থাকা চা চুমুক কফি শপের ইলেকট্রিক কেটলির শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এর মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মূলত ভবনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট গ্যাস জমে থাকার কারণেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, তদন্তে পাওয়া গেছে যে হোটেলে যেখানে বসে মানুষ খাওয়া দাওয়া করতো, সেখানেও রাখা ছিল সিলিন্ডার। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি, সেটাও স্টোর রুম বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সিলিন্ডারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভর্তি করে রাখা ছিল সেখানে। এ ছাড়া ভবনের রুফটপও উন্মুক্ত ছিল না। মসজিদের পাশাপাশি অফিসসহ আরও কিছু মালামাল ছিল সেখানে।

তদন্তে আরও উঠে আসে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যে ধরনের নকশার অনুমোদন দিয়েছিল, সেটা পুরোটাই পাল্টে ওই ভবন নির্মাণ করেন মালিকরা। ২০০৩ এর আইন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ট্রেনিংই তারা নেননি। মোটকথা, যতগুলো অনিয়ম করা যায় সবগুলো অনিয়ম ওই ভবনে ছিল। ভেন্টিলেশন পর্যন্ত ছিল না ভবনটিতে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৪৬ জন। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হন। ভবনের নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অনেক রেস্তোরাঁ, কফি শপ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর সংখ্যাই ছিল বেশি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হতো ভোজনপ্রেমীদের। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না ভবনটিতে।

ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, এ ধরনের ভবনে কমপক্ষে ৫০ হাজার গ্যালন পানি ধারণক্ষমতার ওয়াটার রিজার্ভার না থাকলে আমরা ছাড়পত্র দিই না। কিন্তু সেখানে পানির ক্যাপাসিটি মাত্র ১০ হাজার গ্যালন। পানি ছিল আরও কম।

ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ২০০৩ এবং রাজউক থেকে অনুমোদন করা নকশা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।


আরও খবর



ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন জানিয়েছে, দ্রুতই নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইউক্রেনকে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এজন্য প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না।

প্রতিটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় চল্লিশ লাখ ডলার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবিলায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন যা এখনই জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা উচিত

বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনকে।

শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে।

অস্টিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সবচেয়ে বৃহৎ নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং খুব শিগগিরই এগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হবে।

এর মধ্যে আছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম এবং গোলাবারুদ (তবে প্যাট্রিয়ট নয়)।

এটা এমন নয় যে শুধু প্যাট্রিয়ট তাদের (ইউক্রেনের) দরকার। তাদের অন্য ধরনের সিস্টেম ও ইন্টারসেপ্টর (ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা বা আকাশেই ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়), বলছিলেন অস্টিন। আমি প্যাট্রিয়ট তৈরির বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক করবো

তিনি জানান, আরও ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে শিগগিরই দেওয়া হবে এবং এ নিয়ে ইউরোপীয় অন্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

ইউএস জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল চার্লস ব্রাউন বলেছেন, রণাঙ্গনে গোলার যথাযথ ব্যবহারের যে প্রয়োজনীয়তা ইউক্রেনের সেটি মেটাতে পারবে এবারের এই সহায়তা।

তবে এবারের যে সহায়তা প্যাকেজ তার কিছু অংশ ব্যবহার হবে ইউক্রেনের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প তৈরির জন্য যাতে তারা নিজেরাই প্রয়োজনমতো গোলাবারুদ উৎপাদন করতে পারে।

অস্টিন আরও বলেছেন, রাশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের গোলাবারুদ ও অন্য অস্ত্রের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে তারা ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ সহায়তাও পাচ্ছে।


আরও খবর



রাজপথে ফের মুখোমুখি হচ্ছে বড় দুই দল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

বিএনপিসহ বেশ কিছু বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাজনৈতিক উত্তাপ অনেকটা স্থিমিত ছিল। তীব্র তাপপ্রবাহে দেশ যখন পুড়ছে তখন নতুন করে রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে উত্তাপ। আবারও দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই দিনে একই সময়ে কাছাকাছি স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে নতুন করে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অনেকটা একতরফা নির্বাচনের পর রাজপথের প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি তেমন কোনো বড় আন্দোলন কর্মসূচি দেয়নি। ভোটের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ওইদিন বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার এক দিন পর রবিবার (২১ এপ্রিল) একই দিন একই সময়ে কাছাকাছি স্থানে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে গুলিস্তানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

দেশের প্রধান দুটি দলের আবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতীতের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় অনেকে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন।

গত নির্বাচনের আগে প্রায় এক বছর রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। তবে তাদের ডাকা কর্মসূচির দিনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে। বিরোধীরা এটাকে পাল্টা কর্মসূচি বললেও ক্ষমতাসীন দলের দাবি, জনগণের জানমাল রক্ষার জন্যই তাদের এই কর্মসূচি। যদিও এসব কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। গত বছর ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

ঘোষণা দিয়েও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে না পারার হতাশা আছে বিএনপির মধ্যে। আগামী পাঁচ বছর অপেক্ষা ছাড়া দলটির সামনে আর কোনো পথ নেই। তবে টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে মাঠের কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার কৌশল নিয়েছে। সরকারকে চাপে রাখতে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একচেটিয়া জয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করলেও বিরোধী দলের আন্দোলন এবং আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনটি পুরোপুরি স্বীকৃত না হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছে। তবে বিরোধী দল যেন মাঠ দখল করতে না পারে সেজন্য তারা সক্রিয় থাকার কৌশল নিয়েছে। তাদের ভাষায়- বিএনপিকে তারা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবে না। এজন্য বিএনপি যখনই কর্মসূচি দেবে তখনই তারাও ঘোষণা দিয়ে মাঠ দখলে রাখবে।


আরও খবর