Logo
শিরোনাম

বস্তির মেয়ে এখন মাইক্রোসফটের কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বড় হয়েছেন বস্তিতে। ঘুমাতেন রাস্তায়। দু’বেলা দু’মুঠো আহার জুটতো না ঠিকমতো। এমন একজন যদি স্বপ্ন দেখেন কম্পিউটার কেনা। তাহলে সেটা বাড়াবাড়ি বৈকি। শাহিনা আত্তারওয়ালা সেরকম একজন অদম্য নারী যিনি রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো ছাইভস্ম হতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।

তিনি এখন দুনিয়ার অন্যতম বড় সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফটের ডিজাইন বিভাগের প্রধান!

সম্প্রতি টুইটারে শাহিনা আত্তারওয়ালার জীবন কাহিনি তুলে ধরা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে শাহিনা নিজের মুখে তার জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের সঙ্গে লড়াই করে উঠে দাঁড়ানোর কাহিনী শুনিয়েছেন।

সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের ‘ব্যাড বয় বিলিওনেয়ার্স: ইন্ডিয়া’ ওয়েবসিরিজে মুম্বইয়ের বস্তি এলাকার একটি দৃশ্যে নিজের পুরনো বাড়ি দেখার পর আবেগআপ্লুত হয়ে তিনি ওই টুইট করেন।

শাহিনা লেখেন, ওই ওয়েবসিরিজে মুম্বইয়ের বস্তি এলাকার যে বাড়িগুলি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্যে একটি বাড়ি আমার। আমি ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই বাড়িতেই থেকেছি।

বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে দরগা গলি বস্তিতে থাকতেন শাহিনা। তার বাবা বাড়িতে বানানো তেল ফেরি করতেন। তার পরিবার উত্তরপ্রদেশ থেকে মুম্বই চলে আসে।

প্রথমবার স্কুলে কম্পিউটার দেখার পর থেকেই কম্পিউটার নিয়ে তার আগ্রহ জন্মায়। আগ্রহ দেখে, বাবা টাকা ধার করে মেয়েকে স্থানীয় কম্পিউটার ক্লাসে ভর্তি করেন।

নিজের কম্পিউটার কিনতে শাহিনা না খেয়ে দুপুরের খাবারের টাকা জমাতে শুরু করেন। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ স্কুলছাত্রীকে।

এক সাক্ষাতকারে শাহিনা বলেন, বস্তির জীবন খুব কঠিন ছিল এবং আমাকে যৌন হয়রানির মুখোমুখিও হতে হয়েছিল।

শাহিনার কথায়, ১৫ বছর বয়সের মধ্যেই আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি আমার চারপাশে অনেক মহিলাকে অসহায়ভাবে নির্যাতিত হতে দেখেছি। বেশিরভাগ বিষয়েই স্বাধীনতা ছিল না।

তবে এই জীবন মেনে নিতে চাননি শাহিনা। সেই জেদ সম্বল করেই এগোতে থাকা। শেষে মাইক্রোসফটে চাকরি।

তবে নিজের সাফল্যের জন্য বরাবর বাবাকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে বি কম-এ স্নাতক হন শাহিনা। পরে তিনি এনআইআইটি থেকে ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন অ্যান্ড ডিজাইনে ডিপ্লোমা করেন।

ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনো শেষ করে তিনি বিভিন্ন সংস্থার পণ্যের ডিজাইন শুরু করেন।

এর পরই গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে তার ঝুলিতে আসে মাইক্রোসফটের চাকরি। ধীরে ধীরে ডিজাইন বিভাগের প্রধান হন।

নিম্নবিত্ত বা বস্তি এলাকার মহিলা, যারা জীবনের প্রতিকূলতাকে হার মানাতে চান, সেই মেয়েদের অনুপ্রেরণা জোগাবে শাহিনার জীবনের গল্প।

সম্প্রতি শাহিনা বলেছেন, দেশে লাখ লাখ পরিবার আমারই মতো দারিদ্রের মধ্যে বাস করে। যে দারিদ্র আপনাদের চোখে পড়ে না। আশার আলো এটাই যে, ক্ষমতায় যারা রয়েছেন, তাদের একজন গড়পড়তা শিক্ষিত ভারতবাসীও প্রশ্ন করতে পারেন এবং এর ফলে তাদের জীবনে বদল আসতে পারে।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পরই আরব আমিরাতে ঈদের জামাত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ঈদ জামাতের সময়সূচি ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। দেশটির বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

তবে দেশটিতে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর। এছাড়া অন্যান্য শহর বা স্থানে সূর্যোদয়ের সময় ভেদে ১৯ মিনিট পর পর্যন্তও ঈদ জামাতের সময়সূচী ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন এবং সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সূর্যোদয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি সামনে এসেছে।

মূলত সোমবার আরব আমিরাতের আকাশে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা যায়নি। আর তাই আজ মঙ্গলবার ৩০ রোজা পালন শেষে আগামীকাল বুধবার দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে এবং দেশটির জেনারেল অথরিটি অব দ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এন্ডোমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের নামাজের সময় ঘোষণা করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আরব আমিরাতের এই কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে সকল আমিরাতের (এবং কিছু প্রধান অঞ্চলের জন্য) ঈদের নামাজের সময়সূচী ভাগ করে দিয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, আবুধাবিতে ঈদের জামাত সকাল ৬টা ২২ মিনিটে, দুবাইয়ে ৬টা ২০ মিনিটে, শারজাহ ও আজমানে ৬টা ১৭ মিনিটে, রাস আল খাইমাহতে ৬টা ১৫ মিনিটে, ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানে ৬টা ১৪ মিনিটে এবং উম্মে আল কুওয়াইনে ৬টা ১৩ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আল আইনে ৬টা ১৫ মিনিটে এবং জায়েদ সিটিতে বুধবার সকাল ৬টা ২৬ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত।

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের তথ্য অনুযায়ী, উম্মে আল কুওয়াইন বুধবার সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টায়। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর ৬টা ১৩ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বুধবার সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০৫ মিনিটে। এর ১৭ মিনিট পর ৬টা ২২ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া একইদিন দুবাইয়ে সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০১ মিনিটে। এর ১৯ মিনিট পর ৬টা ২০ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে শারজাহ ও আজমানের পাশাপাশি রাস আল খাইমাহ ও ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানেও সূর্যোদয়ের ১৭ মিনিট পর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে রোজা শেষে ঈদের দিনকে ঘিরে আরব আমিরাতের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রবাসী বাঙালিরাসহ স্থানীয়রা ঈদ ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন করেছেন।

 


আরও খবর

খরচ কমলো হজ প্যাকেজের

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




কক্সবাজারে বন কর্মকর্তা সজল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

উচিংছা রাখাইন কায়েস, রাঙ্গামাটি : 

পাহাড়খেকোর ডাম্প ট্রাকের চাপায় নিহত কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদুজ্জামান সজল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাঙ্গামাটি বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

আজ রাঙ্গামাটি বন বিভাগের সম্মুখে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোঃ জাহিদুল রহমান মিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, ইউ এস এফ বন বিভাগের মোঃ সোহেল রানা সহ বন বিভাগের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তারা বলেন কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় চিহ্নিত পাহাড় খেকো চক্র তাদের অপকর্ম বিনাবাধায় চালিয়ে যেতে এবং বন বিভাগকে হুমকি বার্তা দিতে পরিকল্পিতভাবে এই সজলকে হত্যা করেছে। 

এই নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূল শাস্তি নিশ্চিত করা দাবি জানান রাঙ্গামাটির বন বিভাগের কর্মরত সকল কর্মকর্তাও কর্মচারী। 


আরও খবর



তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

২২শে এপ্রিল, ২০২৪ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে "আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সিম্পোজিয়াম"এ বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন, ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। সিম্পোজিয়ামের বিষয় ছিলো " ইসলামি আইন ও বিধি বিধানে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণের গুরুত্ব"। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী তার বক্তব্যে বলেন,"প্রিয় নবিজী (সা.) বলেছেন,'তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার সুন্নাহ্কে আঁকড়ে ধরো। আবার এও বলেছেন, তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বাইতকে (পরিবারকে) আঁকড়ে ধরে রাখো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।' এর অর্থ হলো, প্রিয় নবিজী (সা.) এর আহলে বাইত ও পবিত্র কুরআন হলো ইসলামি বিধান ও আইনের উৎস, যাদেরকে অনুসরণ করলে আমরা কখনো ভুল পথে যাবো না। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিধি-বিধান প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহ্ থেকে এসেছে। প্রিয় নবিজী (সা.) এর আদর্শের মাঝেই পবিত্র কুরআনের ব্যাখা রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে বলেছেন আর প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে নামাজ আদায় করতে হয়, তা শিখিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে রোজা পালন করতে বলেছেন ; প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে রোজা রাখতে হবে তা শিখিয়েছেন। এভাবে প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনকে কীভাবে সাঁজাবো, কীভাবে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করবো, কীভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করবো, কী পদ্ধতিতে একজন অপরাধী শাস্তি পাবে, কীভাবে ইসলামি অর্থনীতি পরিচালিত হবে, কীভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পেয়েছি। পবিত্র কুরআন এর অনেক আয়াতের ব্যাখা আমরা খুঁজে পেয়েছি প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাঝে। তাই প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ ব্যতীত আমরা ইসলামি আইন বা বিধানের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি না।

পাশাপাশি ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে, অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান জানান। 

সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এরদোয়ান তুরাক এমরিস ক্যাটালকা। সভাপতিত্ব করেন গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আহমেদ আর্কতুর্ক। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, গাতালজা ইফতা কাউন্সিলের মুফতি আহমেদ মেহমেত আলি ওগলু। 

বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি সাধক, সুফি স্কলার, বুদ্ধিজীবী, তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে লুট ও ম্যানাজারকে অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল হানা দিয়ে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণ করা হয়েছে ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে। জানা যায়, ৬০-৭০ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার সময় ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মচারীরা নামাজে ব্যস্ত ছিল। ঠিক এই সময়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকে হানা দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে কত টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এ বিষয়ে এখনও তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। সেই সাথে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো নিয়ে গেছে তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাসের প্রথম দিকে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ওই ব্যাংকে প্রচুর টাকা জমা ছিল।
পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানিয়েছেন, একটি সন্ত্রাসী দল ব্যাংকে হামলা করে টাকা এবং অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। তবে কত টাকা লুট করা হয়েছে এবং কোন সন্ত্রাসী দল এ বিষয়ে তিনি এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় রুমা উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এবং সেই সাথে ওই সময়ে নামাজে ব্যস্ত ছিল ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ এবং কর্মচারীরা। ঠিক এই সময়ে উপজেলা সদরের ব্যাথেল পাড়া এলাকা থেকে ৬০-৭০ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশে সোনালী ব্যাংকে হানা দিয়ে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ওই এলাকায় যারা ছিল তাদেরকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। রুমা উপজেলা বাজার থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স এবং সোনালী ব্যাংকটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি থাকায় সন্ত্রাসীরা এই সুযোগটি নিয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, ঘটনাটি কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এর আগে এই সংগঠনটি ব্যাংক ডাকাতি করবে বলে এরকম একটি কথা রটিয়ে পড়েছিল এলাকায়। এদিকে এ ঘটনার পর এলাকায় জনমনে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। শুক্রবার হওয়া এ প্রস্তাবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ।

প্রস্তাবটির বিষয় ছিল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় করা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা।

এছাড়া এই প্রস্তাবে ইসরাইলে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। কারণ গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।

সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকা বাংলাদেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এবং ইসরাইলের পক্ষে ভোট দিয়েছে ছয়টি দেশ এবং ভোটদানে বিরত ছিল ১৩টি দেশ।

প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, চিলি, চীন, আইভরি কোস্ট, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ফিনল্যান্ড, গাম্বিয়া, ঘানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, কাতার, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম।

প্রস্তাবের বিপক্ষে ও ইসরাইলের পক্ষে ভোট দিয়েছে আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, জার্মানি, মালাউই, প্যারাগুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র।

ভোটদানে বিরত ছিল আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্যামেরুন, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ভারত, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস ও রোমানিয়া।

যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা এ প্রস্তাবটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সহকারী প্রফেসর মার্ক ওয়েন জোনস। তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, বাস্তবে এটির খুব বেশি কার্যকারিতা নেই।

এই প্রফেসর সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, প্রতীকি অর্থে প্রস্তাবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং তাদের অস্ত্র না দেওয়ার প্রস্তাবে ইউরোপের অনেক দেশ সমর্থন জানিয়েছে। অথচ যুদ্ধের শুরুতে বেশিরভাগ ইউরোপীয়ান দেশ ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

যারমধ্যে ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ এবং বেলজিয়াম সরাসরি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে এবং ফ্রান্স ভোটদানে বিরত ছিল। অর্থাৎ প্যারিসও এতে সমর্থন জানিয়েছে।

যেহেতু মানবাধিকার কাউন্সিলের মাত্র ছয়টি দেশ ইসরাইলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। সে কারণে গাজার যুদ্ধে ইসরাইল যে কৌশল অবলম্বন করছে। সেটি পরিবর্তন করতে তাদের ওপর চাপ তৈরি হবে।


আরও খবর