Logo
শিরোনাম

চাঁদার টাকা না দেয়ায় হামলা ও বাড়ির গেটে তালা থানায় মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চাঁদার টাকা পরিপূর্ণ না দেওয়াই রাজধানীর কদমতলীতে নির্মানাধীন বাড়িতে হামলা চালিয়ে কাজ বন্ধ করে বাড়ির গেটে তালা সহ মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় রাজধানীর কদমতলী থানা দিন পূর্ব ধোলাইপাড় ২ নং গলির শেষ মাথায় ঢাকা সিটি জরিপের দাগ নং ১৯৬/১ সদ্য ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জমির উপর খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের নির্মাণাধীন বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। হামলায় বাড়ির মালিক খন্দকার রাবেয়া নাসরিনের ছোট বোনের স্বামী মুহাম্মদ মফিজুর রহমান গুরুতর আহত হলে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বাড়ির মালিক খন্দকার রাবিয়া নাসরিন (৫২) বাদী হয়ে কদমতলি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-৭ তারিখ ০৪-০৩-২০২৪ । কিন্তু বাদী পক্ষের অভিযোগ মামলা করার পর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার শুভর নেতৃত্বে আসামিরা তাদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা রকম ভয়-ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে । এমনকি মামলা তুলে না নিলে বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যকে মাদক দিয়ে ফাসিয়ে মাদক মামলার দেয়ার ও হুমকি দেয়া হচ্ছে । মামলা সুত্রে জানা যায় , খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের ক্রয়কৃত জমির উপর ভবন নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে । এবং নির্মান কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় সন্ত্রাসী কিছু চাঁদাবাজ ক্রমাগত ভাবে ১০,০০০,০০ (দশ লক্ষ) টাকা চাদা দাবি করে আসছে । চাদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকিতে ভয় পেয়ে রাবিয়া নাসরিন বিভিন্ন তারিখে তাদেরকে ৩,০০০,০০ (তিন লক্ষ) টাকা দেয় । কিন্তু ঘটনার দিন ২৯-০২-২০২৪ বৃহস্পতিবার বাকি ৭,০০০,০০ (সাত লক্ষ) টাকা চাদার দাবিতে চাদাবাজ আলী আকবর উল্লাস (৩৫)পিতা- হাজী জয়নাল আবেদীন, রাসেল আহমেদ বাবু- পিতা- মৃত এম এ মজিদ মিয়া, আবুল হোসেন ওরফে আবুল, মোহাম্মদ রুবেলসহ আরও ৪/৫ জন আনুমানিক বিকেল তিনটার সময় নির্মানাধীন বাড়ির ভিতরে ঢুকে রাজমিস্ত্রি ও হেল্পার কে এলো পাথাড়িভাবে মারধর করে তাদের যন্ত্রপাতি ও গ্রেডিং মেশিন ছিনিয়ে নেয় । পরবর্তীতে বাড়ির মালিক খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের উপর হামলা চালালে তার স্বামী মোঃ মফিজুল ইসলাম অসুস্থ থাকায় নির্মাণাধীন ভবন দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের ছোট বোনের স্বামী মো: মফিজুর রহমান এগিয়ে আসলে আলী আকবর উল্লাস পিস্তলের বাট দিয়ে মফিজের মাথার ডান পাশে আঘাত করার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মাটিতে পড়া অবস্থায় বাবু, উল্লাস, আবুল, রুবেল সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী চাঁদাবাজগণ এলোপাতাড়ি ভাবে লাঠি, কাঠের ঢাসা, ইট দ্বারা অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ির বাইরে ফেলে দেয় । বাড়ির মালিক রাবিয়া নাসরিনকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে মেন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়, তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ কল করলে স্থানীয় থানা পুলিশ এসে উদ্ধার করে বাসার মেন গেটের তালা ভেঙ্গে তাদেরকে বাসায় ঢোকার সুযোগ করে দেয় এবং মো: মফিজুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে পাঠানো হয় । এছাড়া সরোজমিনে খবর নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে । এ বিষয়ে বাড়ির মালিক রাবিয়া নাসরিন বলেন, চাদার টাকা না দেওয়ার জন্য তারা আমাদের উপর এমন নির্যাতন চালিয়েছে, এবং এখন বিভিন্ন সময়ে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে আমি আমার স্বামী এবং আমার ছেলে মেয়ে সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তাই আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তাসহ চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি ।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




রাতভর টেকনাফ সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও গোলাগুলি মর্টার শেলের আওয়াজ ভেসে আসছে এতে আতঙ্কে আছেন টেকনাফের হোয়াইক্যং হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তের লোকজন

টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে রাত কাটে স্থানীয়দের

স্থানীয়দের দাবি, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা, মোলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, ঈদের দিন থেকে টানা ২দিন ধরে থেমে থেমে মর্টার শেল গুলির শব্দ ভেসে আসছে এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, মর্টার শেল গুলির শব্দে কাপছে সীমান্ত এলাকা। বজ্রপাতের মতো শব্দ হয়। এতে মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে


আরও খবর



তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বৈশাখের শুরু থেকেই দেশে বইছে তীব্র দাবদাহের কারনে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না।

আবহাওয়াবিদ বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ জানান, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



ভাঙ্গা থেকে ১২০ কি.মি বেগে ছুটলো ট্রায়াল ট্রেন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে একটি পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ট্রেন। এটিই প্রথম এই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতির ট্রায়াল। এ সময় ট্রেনে কয়েকজন স্থানীয় ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যাত্রী হিসেবে ছিলেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে ভাঙ্গা জংশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ট্রেনটির চালক হিসেবে ছিলেন মো. সাখাওয়াত হোসেন। ভাঙ্গা থেকে ৯৩.৬ কিলোমিটার দূরের যশোরের রূপদিয়া রেলস্টেশনের উদ্দেশে ট্রায়াল শুরু করে ট্রেনটি।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গার রেলস্টেশন মাস্টার মো. জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে উচ্চ গতিসম্পন্ন পরীক্ষামূলক ট্রেনটি যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটির গতি ছিল ১২০ কিলোমিটার।

এর আগে, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ ও ৩১ মার্চ ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যশোরের রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন উচ্চগতিতে চলাচল করবে। এ সময় ট্রেনের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। ট্রেন চলাচলের সময় রেললাইনের ওপর জনসাধারণের চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচলের সময় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকাবাসী ও এলাকায় চলাচলকারী সর্বসাধারণ পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ, মানসিক প্রতিবন্ধী (যদি থাকে) এবং গৃহপালিত প্রাণীগুলোকে নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এই রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ (সিআরইসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ ওই রেলপথে ভাঙ্গা, কাশিয়ানী এবং যশোরের পদ্মবিলা ও সিঙ্গিয়াতে রেলওয়ে জংশন থাকছে। এ ছাড়া নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, লোহাগড়া, নড়াইল এবং যশোরের জামদিয়া ও রূপদিয়াতে রেলস্টেশন হচ্ছে। 


আরও খবর



বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

এতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।

এছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের 'স্টেট অফ গ্লোবাল ক্লাইমেট' রিপোর্টে ২০২৩ সালকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর বলা হয়েছে। তবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেভাবে গরম অনুভূত হচ্ছে তাতে ২০২৪ সালের উষ্ণতা বিগত বছরকে ছাড়িয়ে যাবে কিনা সেই শঙ্কা করা হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, সমুদ্রের তাপ এবং অ্যাসিডিফিকেশন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্তাপ এবং অম্লকরণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের আচ্ছাদন গলে যাওয়া এবং হিমবাহ পশ্চাদপসরণের মতো একাধিক ঘটনাও যা বিশ্ব উষ্ণায়নের বিষয়ে চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন তাপমাত্রার (বাড়ার) চেয়ে অনেক বেশি। ২০২৩ সালে আমরা যা প্রত্যক্ষ করেছি, বিশেষত সমুদ্রের অভূতপূর্ব উষ্ণতা, হিমবাহের পশ্চাদপসরণ এবং অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ হ্রাস- এই সব কিন্তু বিশেষ উদ্বেগের কারণ।

জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাব বিশ্বের যে যে অংশে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তার মধ্যে রয়েছে এশিয়াও। চলতি বছরে ইতোমধ্যে এশিয়ার অনেক দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ছবিটা প্রায় একইরকম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও।

হাঁসফাঁস করা এই পরিস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতি।

অন্যদিকে, ইরানে গত বছর সর্বাধিক তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই নিরিখে এ বছরের চলতি মাসের ছবি বিশেষ আশার আলো দেখাতে পারছে না।

দেখে নেয়া যাক দক্ষিণ এশিয়ার সেই সমস্ত শহর যার তাপমাত্রা এখন সর্বাধিক।

ভারত
গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ওড়িশার বারিপদাতে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার ভুবনেশ্বরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে।

পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের তাপ মাপন কেন্দ্রে ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে গত এক সপ্তাহে। পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। বাঁকুড়াও রয়েছে ওই তালিকায়। পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৪২-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে- রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস না থাকলেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হবে আগামী তিনদিনে। গত এক সপ্তাহে ওই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে।

হরিয়ানাতেও তাপমাত্রার দিল্লির কাছাকাছি রয়েছে। বিহার, পূর্ব মধ্য প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরির একাধিক অঞ্চল-সহ পূর্ব উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশরর কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত দুই সপ্তাহে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশেই।

চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যশোরে তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই অঙ্ক ঘোরাফেরা করেছে ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

সৈয়দপুরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে।

পাকিস্তান
এই বছর পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধ প্রদেশের একাধিক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সিন্ধের নওয়াব শাহতে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি, মহেঞ্জোদারোতে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

লাহোরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

উষ্ণতম শহরের তালিকায় বেলুচিস্তানের তুরবত অঞ্চলের নাম অনেক আগেই নথিভুক্ত হয়েছে। সেখানে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলুচিস্তানের ন্নকুন্দিতে ৩৭ ডিগ্রি এবং সিব্বিতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

অন্যদিকে করাচিতে চলতি মাসে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত এক সপ্তাহে করাচীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রসঙ্গত, গত বছর তীব্র দাবদাহের শিকার হয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বেলুচিস্তানের দালবন্দিনে এবং নক্কুন্দিতে জুলাই মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছিল যা অতিক্রম করেছিল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপ-চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।

মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল ওই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কা
চলতি মাসে শ্রীলঙ্কার গড় তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলম্বোতে এ সপ্তাহে তাপমাত্রা সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক শহর অনুরাধাপুরার বিমানবন্দর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সাবারাগামুওয়া প্রদেশের রাজধানী শহর রত্নপুরায় সবচেয়ে বেশি উষ্ণতা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চল প্রদেশে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে গত এক সপ্তাহে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে তা হল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ত্রিঙ্কোমালি শহরেও সর্বাধিক তাপমাত্রা চ্ছিল ৩৫ ডিগ্রি। এটা ত্রিঙ্কোমালি জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর এবং শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রধান বন্দর শহর।

আবহাওয়া দফতরের তরফে ২০২৩-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত শ্রীলঙ্কার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

গত বছর ওই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি থেকে ৩২ ডিগ্রির এর মধ্যে ছিল পুরো বছর।

মালদ্বীপ
চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।

মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে- সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল- ওই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নেপাল
চলতি মাসে নেপালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রাজধানী কাঠমান্ডুর গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে কাঠমান্ডুর বাগমতি অঞ্চলের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

অন্যদিকে নেপালের লুম্বিনী অঞ্চলে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, বিরাটনগর বিমানবন্দর এলাকায় গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

নেপালের জ্বালানি, জলসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের জলবায়ু রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের সারা বছরের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৬ শতাংশ বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে বছর তরাইয়ের নাওয়ালপারাসির দামকাউলি রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা (৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে যা গত ৪৪ বছরে দেখা যায়নি।

 সূত্র : বিবিসি


আরও খবর