Logo
শিরোনাম

চিকিৎসা বর্জ্যের ঝুঁকি: বিশ্ব ও বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক আব্দুল হাই: বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসা সেবাদাতাদের কাছে চিকিৎসা বর্জ্যের সৃষ্টি , সংগ্রহ ও অপসারণ একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। পরিবেশের উপর চিকিৎসা বর্জ্যের মারাত্মক প্রভাব রয়েছে। চিকিৎসা বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা থেকে নানা ধরনের অসুখ সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চিকিৎসা বর্জ্যের ক্রমাগত বৃদ্ধি এই ঝুঁকিকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোর চেয়ে মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে সাধারণত চিকিৎসা বর্জ্যের পরিমাণ কম হয়ে থাকে (WHO,2004)। তবে নিয়ম মেনে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আলাদা করতে পারলে ও সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে পারলে চিকিৎসা বর্জ্যের পরিমাণ যেমন কমে যায় তেমনি ঝুঁকি ও অনেক হ্রাস পায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চিকিৎসা বর্জ্যের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হয় না। একে সাধারণ গৃহস্থ আবর্জনার মত গণ্য করা হয় এবং গৃহস্থ আবর্জনার সঙ্গে যত্রতত্র ভাগাড়ে নিক্ষেপ করা হয়।

বাংলাদেশে নগরায়নের উচ্চহার, শিক্ষার নিম্নহার এবং সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণের উচ্চ হারের কারণে চিকিৎসা বর্জ্যের দূষণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই অবস্থাকে কঠিন করে তুলছে চিকিৎসা বর্জ্যের দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবস্থাহীনতা। ফলে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় , ল্যাব টেকনিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শনার্থী পর্যন্ত নানা ধরনের কঠিন ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার মাটি জল ও বাতাসেও দূষন ছড়িয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে Covid-19 জনিত কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া, সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সার্জিক্যাল মাস্কের ব্যবহার বৃদ্ধি ও ব্যবহার শেষে যত্রতত্র মাস্কের নিক্ষেপন এবং ভ্যাকসিন প্রদান ও ব্যবহৃত নিডলের নিক্ষেপ চিকিৎসা বর্জ্যের ঝুঁকির বিষয়টিকে আবার সামনে নিয়ে এসেছে।


আরও খবর



জরিপে এগিয়ে বিএনপি, জামায়াতের পরে তরুণদের দল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

এখনই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি সর্বোচ্চ ৪১.৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের জরিপে উঠে এসেছে।

রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে জানানো হয়, জরিপ কাজে সহযোগিতা করেছে ব্রেন (BRAIN) এবং মুক্তচিন্তার প্ল্যাটফর্ম ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’। চলতি বছরে সারাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪টি জেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৯৬ জন এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, এখনই ভোট হলে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতে ইসলামী পাবে ৩১.৬ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থানে আওয়ামী লীগ ১৩.৯ শতাংশ। আর ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাবে ৫.১ শতাংশ ভোট।

এ ছাড়া, জরিপের ফল অনুযায়ী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২.৬ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ১ শতাংশ, গণঅধিকার পরিষদ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, গণসংগতি আন্দোলন শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং অন্যান্য দল ৩.৩ শতাংশ ভোট পাবে।

জরিপের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেনারেশন এক্স ও বুমার প্রজন্মের ৪৭ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন করছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ৩৫ শতাংশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দলটি জেনারেশন জি-এর ৩৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণশীল দল হিসেবে পরিচিত হলেও জামায়াত তরুণদের মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জরিপ থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, গ্রাম ও শহরের ভোটারদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের জনপ্রিয়তায় কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপি গ্রামাঞ্চলে ৪২ শতাংশ এবং শহরে ৪০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। অন্যদিকে, জামায়াত গ্রামে ৩২ শতাংশ ও শহরে ৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপির সমর্থন পুরুষ ও নারীদের মধ্যে প্রায় সমান। দলটি পুরুষ ভোটারদের মধ্যে ৪২ শতাংশ এবং নারী ভোটারদের মধ্যে ৪১ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। তবে, জামায়াতে ইসলামী পুরুষদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয়, যেখানে দলটি ৩৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩০ শতাংশ নারী ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

জরিপের অংশ নেওয়া ৫৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোটার ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চান। তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার জুনের মধ্যে এবং ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার পক্ষে। ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। আর ৫ দশমিক ৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

কাকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নে ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি যে তারা কাকে ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ বলছেন যে তারা প্রার্থী সম্পর্কে জানার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। আর ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান। এক্ষেত্রে নারী ভোটারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বেশি (৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন ইনোভিশন কনসালটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ স্পিকসর প্রধান মো. রুবাইয়াৎ সারওয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনোভিশন কনসালটিং বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী শাহেদ এইচ ফেরদৌস, ইনোভিশনের প্র্যাকটিস এরিয়া লিড আবদুর রব ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর।


আরও খবর



রণাঙ্গনের যোদ্ধারাই হবেন ‘মুক্তিযোদ্ধা’, বাকিরা সহযোগী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক স্বীকৃতি ও সংজ্ঞা নির্ধারণে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন এক অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যারা সরাসরি রণাঙ্গনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, শুধু তারাই মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাবেন।

এছাড়া যারা দেশ ও বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন, কূটনৈতিক তৎপরতা ও অন্যান্য সহযোগিতা করেছেন, তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এক সাক্ষাৎকারে জানান, বর্তমানে প্রচলিত আইনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নেওয়া আট ধরনের ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন খসড়া অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংজ্ঞায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

তিনি জানান, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ সংশোধন করে নতুন ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

নতুন আইনের মূল দিকগুলো হলো

১. রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা: যারা ১৯৭১ সালে সরাসরি অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরাই কেবল ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।

২. মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী: জনমত গঠন, কূটনৈতিক সহায়তা, বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচার, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, চিকিৎসা সহায়তাকারী ব্যক্তিদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

৩. বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পর্যালোচনা: অতীতে যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি নতুন সংজ্ঞার আওতায় না পড়েন, তবে তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।

৪. বয়সসংক্রান্ত নীতি: মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১২ বছর ৬ মাস। এটি নিয়ে মামলা থাকায় আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর নতুন আইন কার্যকর হবে।

৫. ভুল তথ্য প্রদানকারীদের জন্য সুযোগ: যারা ভুল তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নিয়েছেন, তাদের ২৬ মার্চের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

বর্তমান আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সকল ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’ কিন্তু নতুন খসড়ায় এই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।

নতুন আইনে কেবল রণাঙ্গনে লড়াই করা ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ উপাধি প্রবর্তন করা হচ্ছে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন পেলে পরবর্তীতে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সভায় চূড়ান্ত করে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি সেবা

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জাতীয় পরিচপত্র (এনআইডি) সেবা আপাতত নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ১২ মার্চ আইসিটি ভবনে “এনআইডির ওনারশিপ” শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ বলেন, কমিশনের অধীনে ৩৫ ধরনের তথ্য আছে। তারও বেশি আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভোটের অধিকার ইমপ্লিমেন্টেশন করার জন্য ৩৫ ধরনের তথ্যের প্রয়োজন আছে কি? এই প্রশ্নটি যৌক্তিকভাবে এবং কারিগরিভাবে উপস্থাপন হয়েছে। আমরা যেটা বলছি আমরা ডেটা অথরিটির কথা বলছি।

আমরা বলছি না যে নির্বাচন কমিশনের যে আইটি সেল আছে সেটাকে বন্ধ করে দেব। তার যে সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার এবং কারিগরি ক্ষমতা আছে সেটাকে আমরা নিয়ে নেব? আমরা যেটা বলছি ডাটা অথরিটির মাধ্যমে রেগুলেটেড হবে যার কাছে যেটা আছে সেটা আপাতত সেখানেই থাকবে।

একটা পর্যায়ে এসে যখন এই সফটওয়্যারগুলোকে রূপান্তর করা দরকার যখন এগুলো পুরোনো হবে। ওই সময় ওই সময় যেটাকে একটা কেন্দ্রীয় অথরিটির আন্ডারে নিয়ে আসব। আপাতত যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

চার দিনের সফরে আগামী ১৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তর আগামী ১৩ থেকে ১৬ মার্চ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আনুষ্ঠানিক বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব এ সফরে আসছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকার ইস্যুবিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ড. ইউনূসের পাঠানো আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের নেতৃত্বে সাকিব- রাকিব- হ্নদয়

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের টেক্সটাইল ক্লাবের দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ বুধবার   (২৬ ফেব্রুয়ারি) ক্লাবটির দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের  চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হোসাইন খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৃতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থী মো মেহেদী হাসান রাকিব  নির্বাচিত হয়েছেন। এতে সভাপতি পদে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের  চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হোসাইন খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৃতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থী মো মেহেদী হাসান রাকিব  নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত  অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে মো: হ্নদয় হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নাদিয়া আফরোজ শাওরিন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আশিষ সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে মার্জিয়া মেহেরীন,দপ্তর সম্পাদক পদে  শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ  পদে মো: রিজওয়ান আহমেদ তৌসিফ,ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে মো: ফৈরদাউস, ইভেন্ট  বিষয়ক সম্পাদক পদে সৈয়দ সিয়ামুল হক, নির্বাহী সদস্য পদে সৌরভ পূর্ণকর, রেজোয়ান আল ওয়াসি, আশিক আরফিন ঐশিক,গোলাম রাব্বি, মো:  সাইফুল ইসলাম সাইফুল্লাহ,আজহারুল  ইসলাম, মো: বাদল মিয়া, মেহেরাব হাসান নিবিড়, মো: আরমান ইসলাম ও বিএম শহীদ মাহমুদ নির্বাচিত হয়েছেন।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাবের সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন  এবং বিগত কমিটির সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজনসহ এ বিভাগের শিক্ষা এবং গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে টেক্সটাইল ক্লাব উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করছি। সেই সাথে দেশ ও জাতির যে কোন প্রয়োজনে টেক্সটাইল ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।


সংগঠনটির  সভাপতি সাকিব হোসাইন খান বলেন,ক্লাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের প্রতি অভিনন্দন এবং একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, আমাদের লক্ষ্য থাকবে বর্তমান প্রযুক্তি এবং বৈশ্বিক চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মাভাবিপ্রবি কে সামনের দিনে আরও সুউচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যাওয়া। নানামুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে কিভাবে আরও টেকনিক্যালি সাউন্ড প্রকৌশলী হয়ে উঠা যায় সেই মর্মে আমাদের সকলকে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। পরিশেষে বলতে চাই, এই নতুন দায়িত্ব আমাদের কাধে কর্তব্যের সাথে বেশ কিছু সুযোগও এনে দিয়েছে দেশের এই চলমান উন্নতিতে আমাদের বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবার জন্য। ক্লাবের কার্যক্রমকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য সকলের কাছে দোয়া এবং নানা সময়ে সুপরামর্শ কাম্য।

সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, ক্লাবের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।এই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের ও চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ক্লাবের উন্নয়ন ও কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আপ্রান চেষ্টা করব। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য করার জন্য সেমিনার, গবেষণা কার্যক্রম ও শিল্প সংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা  করব।আমাদের লক্ষ্য হলো টেক্সটাইল ক্লাবকে কেবলমাত্র একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নয়, বরং উদ্ভাবন, নেতৃত্ব ও পেশাগত উন্নয়নের একটি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা,যাতে সকলে একসাথে আমরা টেক্সটাইল ক্লাবকে আরও কার্যকর, গতিশীল ও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারি। সকলের সহযোগিতায় টেক্সটাইল ক্লাব হবে উদ্ভাবনের বাতিঘর।ক্লাবের প্রতিটি সদস্যই আমাদের শক্তি, তাদের সমর্থন ও অংশগ্রহণই আমাদের সফলতার চাবিকাঠি।সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্লাবকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া  এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করার আহ্বান জানাচ্ছি।

নির্বাচিত সহ সভাপতি  মো. হৃদয় হোসাইন বলেন,মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের সহ সভাপতি নির্বাচিত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বাসিত। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলীর দিকনির্দেশায়, টেক্সটাইল বিভাগের সকলকে সাথে নিয়ে, ক্লাব এবং বিভাগের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।  যে মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের অগ্রযাত্রা, সেই শুভযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রসঙ্গত, টেক্সটাইল ক্লাব বস্ত্র প্রকৌশলীদের ব্যবসা সম্পর্কিত ধারণা বৃদ্ধি, তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলি বিকাশ, পেশাদারিত্ব জাগ্রত করার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরি করার জন্য নেতৃস্থানীয় টেক্সটাইলের পেশাদারদের সাথে শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন তৈরি করবে এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তার গুনাবলি অর্জন করতে করতে সাহায্য করবে।


আরও খবর