Logo
শিরোনাম

দামের উত্তাপে পুড়ছে মাংস-সবজির বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

উৎসব এলেই ভারি হয় ব্যবসায়ীদের পকেট। পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকা। ব্যতিক্রম হয়নি ঈদুল ফিতরেও।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়ে পটল ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। ঈদের সালাদের অন্যতম অনুষঙ্গ গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।

শসায় বেড়েছে ২০ টাকা আর কাঁচামরিচে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে হয়েছে সেঞ্চুরি। বাড়তি দরের তালিকায় আছে টমেটো এবং লেবুও। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ বাজার শাক-সবজিতে ভরপুর।

শুধু সবজি আর সালাদের অনুষঙ্গ নয়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে আলুর কেজি ঠেকেছে ৫০-৫৫ টাকায়। আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুদামজাত করে মজুতের ফলে বাজারে দেখা দিয়েছে পণ্যের সংকট। পাশপাশি ঈদের কারণে পণ্যও আসছে কম। তাতেই চড়েছে বাজার।

এদিকে, একদিনের ব্যবধানে গরুর মাংসের কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও।

আর গত ২৫ মার্চ গরুর মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়া মাংস বিক্রেতা খলিলের দোকানেও কেজিতে বেড়েছে ৫৫ টাকা। দাম বাড়িয়ে কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।


আরও খবর



চলতি বছরই উৎপাদনে আসছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছরই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার আগেই নিরাপত্তার দিকসহ সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-এর প্রতিনিধি দল। পারমাণবিক শক্তিতে অগ্রগামী রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রূপপুরের প্রযুক্তি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা টেকসই সেই তথ্যই জানার চেষ্টা চলছে।

গত ৬ দশক ধরে রাশিয়ার সভারডলভস্ক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগানে অন্যতম নির্ভরতা বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। কেন্দ্রটির প্রথম দুটি ইউনিট প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এএমবি রিঅ্যাকটরের, আর তৃতীয়টিতে বিএন ৬০০ ও ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসা চতুর্থ ইউনিটে বসেছে বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টর।

আর এই বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টরকে মনে করা হয় থ্রি প্লাস জেনারেশন প্রযুক্তির,আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরও সমমানের প্রযুক্তির।বাংলাদেশে যে রুশ প্রতিষ্ঠানটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, রাশিয়ার বুলেয়াস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাতেও যুক্ত সে একই প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার দিক নিয়ে।রাশিয়ার বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে উদাহরণ হিসেবে নিলে বলা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ধরনের প্রযুক্তি দিয়ে, সেটির তুলনায় বেশি অগ্রগামী সংস্করণ রূপপুরের পরমাণু চুল্লি। রাশিয়ার প্রকৌশলীরাও মনে করেন, বেশ নিরাপদেই এগোচ্ছে রূপপুর।

রাশিয়ার বিএনপিপির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়া ফিলিন বলেন, রাশিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল বার্তা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানুষের কল্যাণে, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব। আর রোসাটম এই দর্শনেরই সফল প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশ, মিশর, ভারত ও হাঙ্গেরির প্রকল্পগুলো তারই উদাহরণ।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পর্শকাতর নিরাপত্তার বিষয়গুলো কতটা অনুসরণ করছে বাংলাদেশ? ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন সামনে রেখে সে সব বিষয় সরেজমিনে দেখতে রূপপুরে আসছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানড. মো. শৌকত আকবর বলেন, আমাদের জনবলই এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। পরমাণু শক্তি কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য যত ধরনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার আলোচনায় সবসময় উচ্চারিত চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিয়ার মতো দুর্ঘটনার কথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রযুক্তিগত কারণে সে ধরনের কোনো শঙ্কা নেই রূপপুরে। তবে অন্য সব ঝুঁকি এড়াতেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। বলছেন পরমাণু গবেষক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি ধারণ করতে হবে। একে চর্চার মধ্যে আনতে হবে। নয়তো যেকোনো প্রযুক্তিগত বা মানুষের ত্রুটি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, রূপপুরের নিরাপদ পরিচালনায় দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রোসাটমের বিশেষ কর্মসূচি।


আরও খবর



ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে হামলার হুমকি ইরানের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি সপ্তাহে দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলায় জেনারেলদের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। গত সোমবার সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হবার পর ইরান ও ইসরালের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

সে হামলার পেছনে ইসরায়েল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলায় ইরানের একজন সিনিয়র জেনারেল নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস ঘোষণা দিয়েছে- সেনাবাহিনীতে যেসব সৈন্য কমব্যাট ইউনিটে রয়েছে তাদের সব ছুটি স্থগিত করা হয়েছে। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে ইরানের দিক থেকে হামলা অত্যাসন্ন। শুক্রবার এই হামলা হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে।

টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলিদের আহ্বান জানানো হয়েছে তারা যাতে তাদের মোবাইল ফোনের অ্যাপে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জিপিএস সেট করে। এর মাধ্যমে তারা যে কোনো রকেট আক্রমণের সতর্কবার্তা আগে থেকে পাবে।

ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তেও জিপিএস সিস্টেম বিঘ্নিত হচ্ছে। গত ছয়মাস যাবত এই সীমান্তে লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ হেজবুল্লার সাথে ইসরায়েলের প্রতিনিয়ত গোলাগুলি হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স দেশটির জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যাতে ভীত হয়ে বাজার থেকে বেশি জিনিসপত্র ক্রয় না করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স প্লাটফর্মে আইডিএফ মুখপাত্র হাগারি লিখেছেন, জেনারেটর ও খাদ্য মজুত করার কোনো প্রয়োজন নেই। তাছাড়া এটিএম বুথ থেকে বেশি অর্থ তোলার প্রয়োজন নেই।

হামলার দায় নিশ্চিত করেনি ইসরায়েল। আবার অস্বীকারও করেনি। তবে এর পেছনে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীই ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় রীতিমতো হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল।লেবানন সীমান্তে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গেও হচ্ছে গুলিবিনিময়। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে ইরান-সমর্থিত হুথি ও মিলিশিয়া দলগুলো। তবে এখন পর্যন্ত সম্মুখ সমরে অংশ নেওয়া এড়িয়ে গেছে ইরান।


আরও খবর



৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। এমন বার্তা দিয়ে সতর্ক করেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে তেল আবিব প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা সংঘটিত হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ অথবা উত্তর ইসরায়েলে সম্ভাব্য এই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, ইসরায়েলের উত্তর বা দক্ষিণ অঞ্চলে এই হামলা হতে পারে। তবে প্রতিবেদনে ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তেহরানের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এর আগে গতকাল অপর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলযুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো মনে করছে, ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা অত্যাসন্ন। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে ইরান।

এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলে মার্কিন সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মধ্য ইসরায়েল, জেরুজালেম ও বীরশেবার বাইরের অঞ্চলে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। 


আরও খবর



গরমে নানা অসুখের রোগী বাড়ছে হাসপাতালে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একদিকে বৈশাখের অসহনীয় গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। অন্যদিকে গত কয়েকদিনের কড়া রোদের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্তদের চাপ বাড়ছে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে। 


এছাড়াও জন্ডিস, হিট স্ট্রোক, সর্দি-জ্বর নিয়েও হাসপাতালে ছুটে আসছেন রোগীরা। তবে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।  তাদের সুরক্ষায় রোদ পরিহারের পাশাপাশি যত্রতত্র পানি, রাস্তার পাশের খোলা জুস-শরবত পান থেকে বিরত থাকা এবং পচা বাসী খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকি ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়লে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মহাখালির আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বা কলেরা হাসপাতাল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫শ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং  মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও  রোগী সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ বেড়েছে।

 

কলেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুশ থেকে আড়াইশ  ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা  চারশ ছাড়িয়েছে।গত ১০ দিনে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও গেছে।


রাজধানীর শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের গরমে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে

দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা হাসপাতালের শিশু বিভাগেও ইতোমধ্যে রোগীতে সব শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 


প্রচণ্ড এ গরমের মধ্যে শিশুদের সুরক্ষায় যথাসম্ভব বাসায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে উল্লেখ করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিনের গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বর্তমানে আমার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি আছে ১৬ জন। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার রোগী তো আছেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার আমরা অস্বাভাবিক বলছি।


তিনি বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও আমরা বেশি পাচ্ছি। এজন্য অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বাসায় পানি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যতটুকু সম্ভব পানি ফুটিয়ে, এরপর ফিল্টার করে পান করা নিরাপদ।


প্রচণ্ড গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,  প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সময়ের  বলেন, বেশি গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা ডায়বেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভোগেন, তাদের ঝুঁকিও কোন অংশে কম নয়। তবে গরমের সময় যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য ঝুঁকিটা অনেক বেশি। তারা ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা) ঝুঁকিতে থাকেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন; ডায়রিয়া আর সর্দি-কাশি তো আছেই। এজন্য একটানা এক ঘণ্টার বেশি রোদে থাকা যাবে না।


তিনি বলেন, গরমে এই সময়ে বাইরে না যাওয়াই ভাল। আর বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত। আরও ভালো হয় যদি দু-একটা ওরস্যালাইন খাওয়া যায়। কারণ, গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ বের হয়ে যায়। যদি গরমের সময় বাইরে বের হতে হয়, তাহলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে এবং একটু ঢিলেঢালা কাপড় পরা ভাল। কারণ, জামা-কাপড় বেশি টাইট হলে শরীর থেকে গরমটা সহজে বের হতে পারে না।


ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, গরমের এই সময়ে অনেকে পিপাসা মেটাতে রাস্তাঘাটের লেবুর শরবত, আখের শরবতসহ নানা ধরনের পানীয় পান করেন। অথচ এগুলোতে ব্যবহার হওয়া পানি বিশুদ্ধ কি না, আমরা কেউই জানি না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ পানি বিশুদ্ধ হয় না। এগুলো খেয়েই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুধু পানি আর শরবত নয়, এ সময়ে বাইরের সবধরনের খোলা খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। গরমে বের হওয়ার সময় অবশ্যই বাসা থেকে বেশি তাপে ফোটানো ও ফিল্টার করা পানি বোতলে করে নিয়ে বের হতে হবে।


আর গরমের এই সময়ে শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে বাড়তি সর্তকতার পরামর্শ এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।




আরও খবর



গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

আম ফল সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় এত পছন্দনীয় ফল পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এমন কোন জাতি নেই যারা আম পছন্দ করেনা। তাই একে সন্মান দিয়ে ʼফলের রাজাʼ বলা হয়। এই গরমে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি।

কাঁচা আমে অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ থাকে। এতে থাকা ফোলেট বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে উপকারিতা দেয়। পরিপাকজনিত সমস্যা দূর, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। এর আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গরমে প্রশান্তি দেয়

ওয়ার্কআউট করার পর এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস একটি দারুণ সতেজ পানীয় হিসেবে কাজ করে। এটি উত্তপ্ত তাপের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এই পানীয় শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য খনিজের ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। যেহেতু গরমের সময়ে ঘামের কারণে প্রয়োজনীয় খনিজের ক্ষয় হয়, তাই কাঁচা আম শরীর ঠান্ডা রাখতে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

হজমের সমস্যায় উপকারী

গরমের সময় বেড়ে যাওয়া গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম বেশ ভালো কাজ করে। এটি পাচন রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অম্লতা, অম্বল, মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

হার্ট সুস্থ রাখে

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবারের সমৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

লিভার ভালো রাখে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এবং এর রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে ফ্যাট শোষণ বাড়ায়।

দাঁতের জন্য উপকারী

কাঁচা আম একটি শক্তিশালী ফল যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের চিকিৎসা করে এবং এটি দাঁতের গহ্বরের ঝুঁকি কমায়। শক্ত ও পরিষ্কার দাঁত পেতে চাইলে কাঁচা আম খাওয়া শুরু করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, এ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ত্বক ও চুলকে সুস্থ করে তোলে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন সাধারণ সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করে

বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ দেখিয়েছে যে কাঁচা আম খেলে তা রক্তস্বল্পতা, রক্ত জমাট বাঁধা, হিমোফিলিয়ার মতো রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কাঁচা আম কোলাজেন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে, রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে।

ক্ষতিকর দিক

পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপকারী। তবে বেশি পরিমাণে কাঁচা আম খেলে বদহজম, পেটে ব্যথা, আমাশয় এবং গলা জ্বালা হতে পারে। মনে রাখবেন, কাঁচা আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি পান করবেন না কারণ এটি জ্বালা বাড়ায়।


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪