Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু আক্রান্ত এক লাখ ছাড়ালো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ২১৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ বছর ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কেবল এই আগস্ট মাসেই এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭২ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩২৫ জন। একইসঙ্গে এই একদিনে ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৭ হাজার ৬৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬০৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ১৯১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৯ হাজার ৩২৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৪ হাজার ২০ জন। ঢাকায় ৪৫ হাজার ৩৫৮ এবং ঢাকার বাইরে ৪৮ হাজার ৬৬২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রমজানে অতিরিক্ত ৯ হাজার টন পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, রমজানে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেলে অতিরিক্ত ৯ হাজার টন পণ্য বিক্রি করা হবে। মঙ্গলবার খুলনায় টিসিবির ট্রাকসেলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, রমজান উপলক্ষে ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে সারা দেশে ট্রাক সেলের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৯ হাজার টন পণ্য ১২ লাখ পরিবারে বিক্রি করবে টিসিবি। এতে বাজার পরিস্থিতি সহনীয় থাকবে।

এর আগে, সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানিয়েছিলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে রোজাকে সামনে রেখে ছোলা-খেজুরসহ পাঁচ পণ্য বেচতে শুরু করেছে টিসিবি। সোমবার সকাল ১০টা থেকেই টিসিবির ট্রাকসেল শুরু হয়েছে। আগামীকাল (আজ) খুলনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ছোলা ও ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ঠিক করা হয়েছে ১০০ টাকা; প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা এবং আধা কেজি খেজুর ১৫৫ টাকায় বিক্রি করছে টিসিবি।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ট্রাম্পের নীতির ধাক্কা কতটা লাগবে বাংলাদেশে?

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেবার পর থেকে একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে বাংলাদেশে কতগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। সামনে আর কী অপেক্ষা করছে?

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি নথিতে দেখা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেবার পর ইসরায়েল ও মিসরে জরুরি খাদ্য সহায়তা ও সামরিক তহবিল ছাড়া তাদের সব বৈদেশিক সহায়তা বা উন্নয়ন তহবিল ৯০ দিনের জন্য স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশে মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইউএসএআইডি-বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক ব্রায়ান অ্যারনের স্বাক্ষর করা চিঠিতে রবিবার বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির আওতাধীন সব প্রকল্প ও কর্মসূচির মার্কিন অংশের ব্যয় বন্ধ থাকবে।

চিঠির শিরোনাম ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ: যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তার পুনঃ মূল্যায়ন ও পুনঃসামঞ্জস্যকরণ।’ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই চিঠিটি ইউএসএআইডি-বাংলাদেশের সব বাস্তবায়ন অংশীদারদের প্রতি একটি নির্দেশিকা হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। যাতে আপনার সংশ্লিষ্ট ইউএসএআইডি-বাংলাদেশ চুক্তি, কার্যাদেশ, অনুদান, সমন্বিত চুক্তি বা অন্যান্য অধিগ্রহণ বা সহায়তা সরঞ্জাম অধীনে করা কোনো কাজ অবিলম্বে বন্ধ, থামানো বা স্থগিত করা হয়।

এতে অংশীদারদের সঙ্গে যেসব কাজ চলছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর জন্য সব যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ইউএসএআইডির অর্থায়নে চলমান সব প্রকল্প বন্ধ করা হয়েছে নিশ্চিত করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউএসএআইডি গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশকে প্রায় ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়ার চুক্তি করে। এর আগে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২০২৬ সালের জন্য বাংলাদেশ ও ইউএসএআইডির মধ্যে একটি নতুন ডিওএজি (ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর হয়। ডিওএজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউএসএআইডি মোট ৯৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পঞ্চম সংশোধনী পর্যন্ত ইউএসআআইডি সাড়ে ৪২ কোটি ডলার দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ‘অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত ও সম্পর্কিত সহায়তা’ শীর্ষক একটি চুক্তির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে আজ পর্যন্ত ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ফান্ড দিয়েছে।

সাবেক কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক সাকিব আলী বলেন, ‘ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। এটা সাময়িক তিন মাসের জন্য। ইসরায়েল এবং মিশর ছাড়া সব দেশের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। ট্রাম্প আসলে তাদের দেওয়া অর্থ বিভিন্ন দেশে সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে কি না এবং দেওয়া যৌক্তিক কি না তাই মার্কিন নাগরিকদের দেখাতে চান। তিনি রিভিউ করবেন। তার কাছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মার্কিন নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে সেটা তিনি বোঝাতে চান।’

‘আসলে যুক্তরাষ্ট্র প্রধানত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মাধ্যমে অর্থ দেয়। সেটার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমরা মনে হয় না। জাতিসংঘের মাধ্যমেও দেয়। সেটাও ঠিক থাকবে বলে মনে হয়। এখন ট্রাম্প বোঝাতে চাচ্ছেন যারা তাদের সঙ্গে থাকবেন, তাদের কাজে লাগবে তাদের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র থাকবে,’ বলেন তিনি।

তার কথা, ‘ট্রাম্প খুব লেনদেনে বিশ্বাস করেন। তিনি একজন ‘ট্রানজেকশনাল পার্সন'। তো তিনি লাভ লোকসানের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবেন। যুক্তরাষ্ট্র তো আর বিনা লাভে কিছু দেয় না। তারা কৌশলগতভাবে এই সহায়তা দিয়ে তাদের স্বার্থ তুলে নেয়।

তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তহবিল সংকট হতে পারে বলে জানান বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম। আর এতে বাংলাদেশ চাপে পড়তে পারে। তার কথা, ‘এখনো রোহিঙ্গাদের জন্য যে সহায়তা পাওয়া যায় তার মধ্যে শীর্ষ দাতা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সহায়তা বন্ধ হলে ১৪-১৫ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজন কীভাবে মিটবে? এর ভেতর মানবিক ও মানবাধিকারের বিষয় আছে।

রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্সের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহায়তা ২০২১ সাল থেকে অব্যাহতভাবে কমছে। চলতি বছরে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। সেটা পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তবে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর রোববার এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘ইউএসএআইডিসহ বিদেশে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) অর্থ সহায়তা দেওয়ার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া বজায় রাখবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৯০ দিন বিদেশে অর্থ সহায়তা বন্ধ করার কথা জানিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য তারা যে সহায়তা দেন, সেটা বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে।

অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সহায়তা কতদিন বন্ধ রাখতে পারবে সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তার ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য ভারতকে প্রয়োজন। তাহলে ভারতে সহায়তা না দিয়ে শুধু কি ব্যবসা তারা করতে পারবে? বাংলাদেশের জন্যও একই কথা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার ভালোই থাকবে। কারণ এত সস্তায় তো আর কেউ পোশাক দিতে পারবে না।’

‘তবে অভিবাসন নীতির কারণে সেখানে যে বাংলাদেশিরা আছেন তারা সংকটে পড়তে পারেন। অনেক পরিবার আছে সেখানে নানা কাজ করে, ব্যবসা করে। অনেক ছাত্র আছেন। তাদের নিয়ে সমস্যা হলে তার চাপ তো বাংলাদেশের ওপরও পড়বে,’ বলেন তিনি।

আর রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জাহেদ উর রহমান মনে করেন, ‘আসলে এই তিন মাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে তার উন্নয়ন সহায়তা যাচাই-বাছাই করবে। তারপর আসলে বোঝা যাবে কোন দেশে তার উন্নয়ন সহায়তা কতটুকু থাকবে। কতটুকু বাদ যাবে। আর তা থেকে তখন বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন নীতি স্পষ্ট হবে।

‘তবে বাইডেন প্রশাসনের বাংলাদেশের জন্য যে ফরেইন পলিসি ছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের সেই একই ফরেইন পলিসি থাকবে- এটা বোঝাই যায়। সেটা ট্রাম্পের প্রথম টার্মেও হয়েছে। তবে চীন যদি ইস্যু হয় সেই কারণে হলে বাংলাদেশ ট্রাম্পের কাছে গুরুত্ব পেতে পারে। আবার ভারত যদি বাংলাদেশের ব্যাপারে চাপ দেয় সেটারও একটা চাপ বাংলাদেশের ওপর পড়তে পারে। তবে কোনো কিছুই এখনো স্পষ্ট নয়,’ বলেন তিনি।

তার কথা, ‘ভারতের মিডিয়া খুব প্রচার করছে যে, ট্রাম্পের প্রথম নির্বাচনে ড. ইউনূস বিরোধী শিবিরকে ফান্ড দিয়েছে। ট্রাম্প ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কথা বলেছেন। আসলে এটা প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়। এর কোনো ডকুমেন্ট নাই।’ সূত্র: ডয়চে ভেলে


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিশ্বমানবতার শান্তি ও মুক্তি কামনায় শেষ হলো মাইজভাণ্ডারে কর্মসূচি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দাতাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে... 

-ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী 

প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল, শায়খুল ইসলাম, হুজুর গাউছুল ওয়ারা, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৮৮তম ৫দিনব্যাপী বার্ষিক খোশরোজ শরীফ সোমবার বাংলা ২৭শে মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারী) লাখো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন ধ্বনিতে বিশ্ব মানবতার শান্তি ও মুক্তি কামনায় আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার খোশরোজ শরীফের সমাপনী দিবসের কর্মসূচিতে ছিল, বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পমাল্য অর্পন, খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির আজকার, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, বিকালে হযরত গাউছুল ওয়ারা শায়খুল ইসলাম হযরত শাহসুফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভান্ডারীর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা, মিলাদ কিয়াম, ছেমা মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও ভোর রাতে আখেরী মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রাতে মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া দরসে নেজামী আলিম মাদ্রাসা ও হেফজখানার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে এ বছর হেফজ সমাপ্তকৃত ১১জন হাফেজে কুরআন কে পাগড়ি পরানোর মাধ্যমে দস্তারে ফজিলত ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি বক্তব্যে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী বলেন, যুগে যুগে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন নবী-রাসূল এবং আউলিয়ায়ে কেরামগণ। অথচ বর্তমানে অন্যায় অবিচার হঠকারিতা উগ্রবাদিতা অন্যের সম্পদ ভাঙচুর লুটপাট মব জাস্টিসের নামে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা করা এসব নিত্যদিনের খবরের কাগজের শিরোনাম হচ্ছে। কোন কোন বিপথগামী ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী এসব ফৌজদারী অপরাধ সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এসব বে-ইনসাফি কর্মকাণ্ডকে উস্কে দেয়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, ইসলামী শরিয়ত আইন প্রয়োগের ক্ষমতা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেয়নি। এমনকি কোনো মসজিদের ইমাম, মুফতি ও সমাজপতিদের ওপর আইন প্রয়োগের ক্ষমতা অর্পণ করেনি। কোনো মানুষ অপরাধ করলে তার বিচার রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থার মাধ্যমেই হবে। সব ইসলামী আইনজ্ঞ এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে যিনি আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন, তিনি হলেন রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ইসলামী শরিয়ত অপরাধের শাস্তি বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে দিয়ে শেষ করেনি; এর সঙ্গে সন্দেহাতীতভাবে তা প্রমাণিত হওয়ারও শর্ত দিয়েছে। সুতরাং কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তা প্রমাণের আগে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, রাষ্ট্রও তাকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার রাখে না। ইসলামী দণ্ডবিধির একটি মূলনীতি হলো, সন্দেহ শাস্তি রহিত করে। ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট বিধান অনুসারে, সাধারণ মানুষের জন্য আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অতএব, প্রচলিত গণপিটুনির কারণ যা-ই হোক না কেন, ইসলামী শরিয়তে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (ক.) আজীবন ইনসাফের আলোকে সমতা ভিত্তিক সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই করেছেন। খোশরোজ শরীফ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। খোশরোজ শরীফে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে থাকা–খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  এছাড়াও ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়।আগত দেশ বিদেশের আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, পার্কিং, নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে খোশ রোজ  শরীফের কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়  । খোশরোজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আনজুমান-এ রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, সাংবাদিক কামরুজ্জামান হারুনসহ অন্যান্যরা। মাহফিলে হুজুর কেবলার জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী  বিল্লাহ আল আজহারী,অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নাজের হোসাইন, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভাণ্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।


আরও খবর



মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কি পাবেন না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

 সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মহার্ঘ ভাতার বিষয় থেকে সরকার সরে আসছে কি না— এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিলো? কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আসলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব, দেব কি দেব না। তারপর ঘোষণা দেব।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা গেছে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা তো এখনো ঘোষণা দেইনি। আমিতো এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।

সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের খসড়া প্রস্তাবে ব্যয় কিছুটা কমাতে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে ভাতার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশম গ্রেডে ১০ শতাংশ দেওয়া হলে পাঁচ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকার প্রয়োজন ছিল। আর ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ব্যয় আরেকটু বেড়ে দাঁড়াত– প্রায় ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ এ পরিমাণ টাকার সংস্থান করে সংশোধিত বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে সম্প্রতি ঢাকায় এক গোপন বৈঠকের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দেয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, আর দায়িত্বে আছে রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম। এছাড়া টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি প্রমাণ হলে তার ১০ বছরের জেল হতে পারে। কারণ, ব্রিটেনের ব্রাইবারি অ্যাক্ট ২০১০ অনুযায়ী, কেউ বিদেশে ঘুষ গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্রিটেনে মামলা এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

এনসিএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

সূত্রের দাবি, এনসিএ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার জন্যও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

এনসিএর বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর। গত বছরের অক্টোবরে প্রথম সফরে সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড বিদেশে পাচার করতেন। টিউলিপ সিদ্দিক গত মাসে লেবার পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছে দুদক। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। 

লেবার পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, এনসিএ বা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এনসিএ ও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।


আরও খবর