Logo
শিরোনাম

আবারো বাড়লো গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আবারও বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। দুই মাসের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি আরও ৭৫ পয়সা বাড়ানো হলো। পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত হয়েছে। আজ বুধবার (১ মে) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঘনমিটারের মূল্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িতে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।


আরও খবর



৬ দফা দাবিতে আন্দোলনে নওগাঁয় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল সহ ৬ দফা দাবিতে নওগাঁয় ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বৃহষ্পতিবার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নওগাঁ শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ঘন্টাব্যাপী অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।  

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্মারকলিপি তুলে দেন শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া আফরিন। এর আগে তারা গতকাল বুধবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের না, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ল্যাবের সহকারী কর্মচারী। তারা মূলত অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস। তাদের ডিপ্লোমার শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। তারা যদি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হোন, তাহলে ডিপ্লোমা ছাত্ররা কতটুকু শিখবে। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের জন্য। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কারিগরি সেক্টর ধ্বংসের পাঁয়তারা। তাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।

নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল টেকনোলজি বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী জান্নাতী খাতুন বলেন, এইচএসসি পাশ করে যদি মামা থেকে মাস্টার হওয়ায় যায় তাহলে তো আমাদের এতো কষ্ট করে ডিপ্লোমা করার কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের মা বাবারা প্রতি সেমিস্টারে আমাদের পিছনে এতো হাজার হাজার টাকা খরচ করছেন কীসের জন্য? এইচএসসি পাশ করে তারা যদি এতো বড় বড় পদ পায় তাহলে আমাদের ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালানো ছাড়া কোন উপায় নেই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে ঢাকায় লংমার্চ করবো। আরেক শিক্ষার্থী মাহিন হাসান বলেন, ২১ সালে নন টেকনিক্যাল থেকে বিতর্কিত ভাবে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা শুধু ল্যাবের লাইট ফ্যানের সুইজ বন্ধ করা ছাড়া কিছুই করতে পারেনা। একটি রায়ের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ নন টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেয়া হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি আমাদের সঙ্গে এক প্রকারের বৈষম্য করা হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের দাবি যেন দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হয়। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া আফরিন বলেন, তাদের দাবিগুলো শুনেছি এবং দাবিগুলোকে যৌক্তিক মনে হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিটি পাঠানো হবে।


আরও খবর



বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় ট্রাকে মিলবে টিসিবির পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করতে বুধবার (৫ মার্চ) থেকে ৬৪ জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম ছয় জেলায় চলমান আছে। নতুন করে ৫৬ জেলায় কার্যক্রম যুক্ত হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে চায় সরকার। সে ক্ষেত্রে প্রকৃত উপকারভোগী বাছাইয়ে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে সব উপকারভোগীকে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ৫৭ লাখ উপকারভোগী স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবে। যাদের এখনো স্মার্টকার্ডের কার্যক্রম শেষ হয়নি, কিন্তু তালিকায় নাম আছে তারাও পণ্য পাবে। এছাড়া ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মাঝে আগামী ৫ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, রমজানে কেউ যেন মজুতদারি করতে না পারে জেলা প্রশাসকদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সঙ্গে ভোক্তারা যেন পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে না করে সে বিষয়েও অনুপ্রাণিত করতে হবে। পুরো মাস বা সাতদিনের পণ্য একসঙ্গে কিনলে সরবারহ সংকটে কেউ কেউ দাম বাড়িয়ে নেয়।

তিনি বলেন, আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কারো প্রতি জুলুম করা হবে না, তবে কেউ জুলুম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সময় অন্যায় প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একদম প্রাথমিক ধাপ টিসিবির মতো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপকারভোগী নির্বাচন করা। এটি নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের মধ্যে আপনাদের (জেলা প্রশাসকদের) গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। মানুষ আপনাদের সম্মান দেবে।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।


আরও খবর



অলিগলিতে টহল বাড়ানো হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বললেন, অপরাধ প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা জোরদার করতে মহানগরীর অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে।

রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ফেব্রুয়ারি (২০২৫) মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজানের শুরুতে ছিনতাইয়ের গতি বৃদ্ধি পেলেও পুলিশি তৎপরতায় তা অনেকাংশে কমে এসেছে। তিনি পুলিশের সফলতা ধরে রাখতে আরও আন্তরিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান এবং বলেন, "সহায়ক পুলিশরাও পুলিশের মতো গ্রেফতার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে, থানাগুলো তাদের সহায়তা করবে।"

নগরীর নিরাপত্তা জোরদার নিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, জিডি এন্ট্রির এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রেসপন্স করবে এবং ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাশ রিপোর্ট প্রদান করবে। মহানগরীর অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে। গ্রেফতারি ও সাজা পরোয়ানা কার্যকরে জোর দেওয়া হবে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মহানগরবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষ সতর্কতা

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ছিনতাইকারী গ্রেফতার হওয়ায় মহানগরীর ছিনতাই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, "ছিনতাইকারীদের কোনও নির্দিষ্ট পেশা নেই, তাই তারা ঈদকে কেন্দ্র করে অপরাধে জড়াতে পারে। বিশেষ করে গাবতলী ও মহাখালী এলাকায় ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বাড়তে পারে, এ বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে।"

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, "ঈদের সময় অনেক বাসা ও মার্কেট খালি থাকবে, বিশেষ করে স্বর্ণের দোকানগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। রাত্রিকালীন টহল বাড়িয়ে চুরির ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে।"

অস্থিরতা ঠেকাতে পুলিশের প্রস্তুতি

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম বলেন, বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু গোষ্ঠী রাস্তায় নেমে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, পুলিশকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

ডিএমপির অপরাধ পর্যালোচনা

সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন, যেখানে ডাকাতি, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনাররা, সহকারী পুলিশ কমিশনাররা ও সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)।

ডিএমপি কমিশনার সকল কর্মকর্তাকে ঈদকে ঘিরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন এবং নগরবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।


আরও খবর



মাগুরায় ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় আছিয়ার ধর্ষক ও হত্যাকারী হিটু শেখের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ সময় বাড়িটিতে আগুন দেয় তারা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। খবর পেয়ে মাগুরা সদর পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের শহরের নতুন বাজার ব্রিজের মুখে আটকে দেয় জনতা।

হিটু শেখের প্রতিবেশী রাবেয়া খাতুন বলেন, ইফতারের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ সেখানে এসে বাড়িটিতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালাতে থাকে। তারা টিনের চালা খুলে নিয়ে যায়। ঘরের দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা আমাদের এলাকায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই- এমন স্লোগান দেয়। সেই সঙ্গে ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে। 

মাগুরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর পুলিশ কয়েক দফা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিক্ষুব্ধদের প্রতিরোধের মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের জানমালের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বোনের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে উল্টো ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

পরদিন ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের ঘরে এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং এরপর শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ততক্ষণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান শিশুটিকে জ্বিনে ধরেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বোনের শাশুড়ি।

গত ৬ মার্চ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেলে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৮ মার্চ শনিবার তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। এতে শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাশুর ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।


আরও খবর



একাত্তর ও জুলাই শহীদদের প্রতি এনসিপির শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যরা মঙ্গলবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় এনসিপি নেত্রী আখতার হোসেন সারাদেশের সর্বস্তরের জনগণ, সকল পেশাজীবি, ছাত্রসহ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "একাত্তর সালে লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, সেই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের বাংলাদেশ। তবে ৫৪ বছর ধরে তা অধরা রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, "আমরা, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ এবং সারাদেশের আমাদের নেতাকর্মীরা একাত্তরের স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী। এনসিপি এই বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাবে, যেখানে জনগণের অধিকার, সাম্য এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

এসময় আখতার হোসেন আরো বলেন, "বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর মতো একটি দেশ হিসেবে দেখতে চাই, ঢাকা শহরকে গ্লোবাল সাউথ-এর প্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই এবং আমরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছি।

তিনি জানান, "বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্বাস করি নতুন একটি সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে, আমরা গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাবনা দিয়েছি। এ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে আমাদের দলের সদস্যরা ভূমিকা রাখবেন।

আখতার হোসেন দেশের জনগণের কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, "আমরা আমাদের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে জাতির পাশে থাকতে চাই।


আরও খবর