ভারতে রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেওয়ার
খবরে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। রোববার রাজধানীর
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০
টাকায়, যা শুক্র ও শনিবার ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মিরপুর-১২ নম্বরে
মুসলিম বাজারের মারজানা স্টোরের ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, গতকাল ভারতে দাম বেড়েছে এমন
খবরে পাইকারদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ১১৫-১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা ছিল
৯০-৯৫ টাকা। বাজার খারাপ হলে আগামীকাল ক্রেতাদের ১৪০ টাকায় প্রতি কেজি কিনতে হতে পারে।
তিনি বলেন, ভারতের পেঁয়াজ যেটা দেশে এসেছে সেটা ক্রেতা কিনতে চায় না। সেটাও প্রতি
কেজি প্রায় ৯০-১০০ টাকা। ওই পেঁয়াজ দোকানে বেশি দিন রাখাও যায় না, নষ্ট হয়ে যায়।
মুসলিম বাজার, মিরপুর
৬ ও ১১ নম্বর কাঁচাবাজারের একাধিক দোকানে রোববার মেলেনি ভারতের পেঁয়াজ।
এনিয়ে আবেদিন নামে এক
দোকানি বলেন, সেপ্টেম্বরে সরকার পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে ৬৪-৬৫ টাকা। তখনই
বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৮৫-৯০ টাকা। এরপর সেটি বেড়ে ১১০ টাকায় পৌঁছেছে। আজ কী
কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে সঠিক জানি না। তবে শুনেছি ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম
বেড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
কারওয়ান বাজারের এক পাইকার বলেন, ভারতে রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেওয়ায় অস্থির
পেঁয়াজের বাজার আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। কারণ বাংলাদেশের চাষিদের হাতে এখন
তেমন কোনো পেঁয়াজ নেই। মৌসুমের শেষ সময় চলছে।
নিজ দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম ঠিক রাখতে রপ্তানির ন্যূনতম মূল্য বেঁধে দিয়েছে
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক
বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় শনিবার জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর
পর্যন্ত প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত আজ রোববার
থেকে কার্যকর হবে। ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়েছে। প্রতি টন পেঁয়াজের দাম ৮০০ ডলার হলে কেজিপ্রতি এর রপ্তানি মূল্য পড়বে
৬৭ রুপি। আগে ভারতের রপ্তানিকারকরা অনির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারলেও,
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত দামেই পেঁয়াজ বিক্রি
করতে হবে।