Logo
শিরোনাম

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীসভার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঢাকা কলেজ প্রতিবেদক :  বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা কলেজ শাখার কমিটি গঠনের জন্য কর্মী সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। জীবন বৃত্তান্ত জমা নেওয়ার পর এবার কর্মী সভার মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে নেতৃত্ব।

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা কলেজ শাখার কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়। চলতি মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বাঙলা কলেজে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের ১৮ তারিখ (মঙ্গলবার) রাতে ঢাকা কলেজ শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধির কথা জানিয়ে কমিটি দেওয়ার লক্ষ্যে জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সাতদিন সময় বেঁধে দেওয়া হয় জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য। সে সময় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ প্রত্যাশী প্রায় ৪৮২ জন নেতাকর্মী সিভিও জমা দেন।


আরও খবর



বিশ্বজুড়ে কমে যাচ্ছে ফসল উৎপাদন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বজুড়ে তীব্র গরমের কারণে কমে যাচ্ছে ফসলের উৎপাদন। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।তারা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও খরার কারণে ধীরে ধীরে বিশ্বে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। 

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির নতুন ওই গবেষণা বলছে, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শুকনা আবহাওয়া বৈশ্বিক ফসল উৎপাদনের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে গম, যব ও ভুট্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ শস্যের বেলায়।

গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বড় কৃষি অঞ্চলে ৫০ বছর আগে যে তাপ ও শুষ্কতা ছিল, বর্তমানে এসব অঞ্চলে তাপ ও শুষ্কতা সে সময়ের চেয়ে বেশি। এসব পরিবর্তন নীরবে গোটা বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে, যার ফলে কমে যাচ্ছে উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ।

স্ট্যানফোর্ডের খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিষয়ক কেন্দ্রের পরিচালক ডেভিড লোবেলের নেতৃত্বে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন না ঘটলে বিশ্বজুড়ে এসব গুরুত্বপূর্ণ শস্যের উৎপাদন বর্তমানে যে পরিমাণ হচ্ছে, তার চেয়ে ৪ থেকে ১৩ শতাংশ বেশি হতো।

বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ এক প্রতিকবেদনে জানায়, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে কখনো কখনো গাছপালা দ্রুত বাড়লেও গরম ও শুষ্ক মৌসুমে ফসলের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য এই উপকার যথেষ্ট নয়। 

ডেভিড লোবেলের বলেছেন, তাকে প্রায়ই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, ফসলের ক্ষতি কি ধারণার চেয়েও দ্রুত ঘটছে? এ কৌতূহল থেকেই বিশ্বজুড়ে মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ও তার গবেষণা দল। তাদের গবেষণা বলছে, কিছু জলবায়ু মডেল বৈশ্বিক উষ্ণতার সামগ্রিক চিত্রের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারলেও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বাদ থেকে গেছে সেখানে। আর সেটি হচ্ছে শুষ্কতার মাত্রা, বিশেষ করে ইউরোপ ও চীনের মতো মৃদু অঞ্চলে।

বিজ্ঞানীদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে উঠেছে এসব অঞ্চল, যার ফলে ফসলের ওপর আরও বেশি চাপ পড়ছে। অন্যদিকে, পূর্বাভাস করা মডেলের চেয়ে কম তাপ ও শুষ্কতার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খামার, বিশেষ করে মধ্য পশ্চিম অঞ্চলের খামারগুলো। এ পার্থক্যটি গবেষকদের চমকে দিয়েছে এবং উন্মোচন করেছে জলবায়ু মডেলিংয়ের একটি বড় ত্রুটি।

গবেষণার তথ্য বিশ্লেষক ও এ গবেষণার সহলেখক স্টেফানিয়া ডি টমাসো বলেছেন, গবেষণার এসব অপ্রত্যাশিত ফল বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু মডেলগুলোর এসব ত্রুটি সংশোধন করা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেওয়া এবং আরও স্মার্ট কৃষি কৌশল পরিকল্পনা করার জন্য অনেক জরুরি।

লোবেল বলেছেন, প্রধান শস্যের ওপর জলবায়ুর প্রভাবের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছে জলবায়ু বিজ্ঞান। তবে এখনও কিছু অঞ্চল রয়েছে, বিশেষ করে কফি, কোকো, কমলা এবং জলপাইয়ের মতো বিশেষ ফসলের ক্ষেত্রে। এসব শস্য খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ততটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও এগুলো ভোক্তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সরবরাহের চ্যালেঞ্জের কারণে এসব পণ্যের দাম বাড়ছে।

গবেষকরা বলছেন, নীতিনির্ধারক ও কৃষকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে এ গবেষণা, যা উষ্ণায়িত পৃথিবীতে বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ রক্ষায় উন্নত জলবায়ু মডেল ও লাগসই বিভিন্ন অভিযোজন কৌশলের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছে।


আরও খবর



নওগাঁয় সরকারি ভিপি সম্পত্তি দখল চেস্টার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সরকারি ভিপি সম্পত্তির দখল চেস্টার প্রতিবাদে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে মুক্তির মোড় পার্ক ভিউ রেস্টুরেন্টের সেমিনার কক্ষে  সংবাদ সম্মেলন করেন শহরের কাজীর মোড়ের বাসিন্দা মৃত ইয়াকুব আলী কবিরাজের ছেলে  আলহাজ্ব ইউসুফ আলী কবিরাজ।   

এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন,  নওগাঁ সদর উপজেলাধীন কাজীর মোড়স্থ চকএনায়েত মৌজার সাবেক খতিয়ান   ৫৭/৮০ নম্বর ভিপি কেস ভূক্ত সম্পত্তির ২০ শতাংশ এর কাতে ৫ শতাংশ ভূমি ইজারা গ্রহিতা। দীর্ঘ প্রায় ৪৬ বছর যাবৎ নিয়মিত সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে শান্তিপূর্ণভাবে তা ভোগ দখল করে আসছি। সম্প্রতি শহরের কাজীর মোড় এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মােঃ লালন সহ কতিপয় সঙ্ঘবদ্ধ ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ইজারাকৃত সম্পত্তি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করতে এবং উক্ত সরকারি সম্পত্তি বিভিন্ন কায়দায় দখলের চেষ্টা করে আসছে। তারা বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার ইজারাকৃত সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে আসছে। বর্তমান পূণরায় কয়েকজন বিএনপি নেতার সাথে জোগসাজস করে সেই চেস্টা করে যাচ্ছে। বিগত দিনে ওইসব ভূমিদস্যুদের হাত থেকে আমার ইজারাকৃত সরকারি সম্পত্তি দখল এবং সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মান বন্ধ সহ আমার বাড়ির সম্মুখে  আইন শৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে নওগাঁ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করি।  সে মামলায় বিজ্ঞ আদালত সম্পূর্ণ  পর্যালোচনান্তে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেন। আমার ইজারাকৃত সম্পত্তি আমার চলাচলের একমাত্র রাস্তা যা বন্ধ হয়ে গেলে আমি ও আমার পরিবার সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বো। এছাড়াও উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) এতদ্বাসংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেন, যাতে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেন, উক্ত সম্পত্তিটি অন্যত্র ইজারা প্রদান করলে বর্তমান লীজ গ্রহীতার বাড়ির সৌন্দয্য এবং চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়বে। সেই সাথে তিনি উক্ত সম্পত্তি অন্যত্র ইজারা প্রদান না করে আমার নামে ইজারা প্রদানের আদেশ দেন।  বর্তমানে উক্ত সম্পত্তিতে আমি দখলে থাকলেও উপরোক্ত কুচক্রী মহল বিভিন্ন ভাবে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করে আসছে। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার নানা আতঙ্ক ও শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছি এছাড়াও ভুক্তভোগী দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রসাশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট অতি সত্তর সরকারী সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে পরিবারের চলাচলের সুবিধার্থে  ইজারার মেয়াদ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অথবা স্থায়ী ইজারার প্রদানের জন্য  রাষ্ট্রের প্রতি আকুতি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে আলহাজ্ব ইউসুফ আলী কবিরাজসহ তার ছেলে ইয়াছির আরাফাত নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।অভিযুক্ত লালন বলেন, কারও সম্পত্তি দখল করিনি আমি আমার পৈতিক সম্পত্তির উপর দোকান নির্মান করেছি। আর ওই জায়গা যেহেতু সরকারি সম্পত্তি সেজন্য জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত রাখতে সকলে মিলে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।


আরও খবর



হাসপাতালগুলোতে ফের করোনা পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কোভিড সংক্রমণের হার ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং দীর্ঘ বিরতির পর গত ৫ জুন করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে দেশের প্রধান হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষার সুবিধা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১০১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) কোভিড-১৯ নজরদারি ডেটা বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মে মাসে সংক্রমণের হার তীব্রভাবে বেড়েছে। মে মাসে পরীক্ষা করা ১ হাজার ৪০৯টি নমুনার মধ্যে ৯.৫১ শতাংশ কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে, যা জানুয়ারি ২০২৩ এর পর সর্বোচ্চ।

আইসিডিডিআর, বি-ও জানিয়েছে, গত মাসে কোভিড রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তবে তাদের বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে জনসাধারণের বড় ধরনের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই এবং কোভিড-১৯ এর সাধারণ সতর্কতাগুলো মেনে চলার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন তারা।

এদিকে আইসিডিডিআর,বি এবং আইইডিসিআরের যৌথভাবে পরিচালিত হাসপাতাল-ভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জা নজরদারি গবেষণায় দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো দুটি নতুন ওমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি এবং এক্সএফসি শনাক্ত হয়েছে।

গত সোমবার প্রকাশিত আইসিডিডিআর,বি-র এক প্রতিবেদন অনুসারে, গবেষণায় অংশ নেওয়া হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা হওয়া রোগীদের প্রায় ৭ শতাংশের মধ্যে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস মিলেছে। বছরের শুরুর দিকে যখন সংক্রমণ প্রায় ছিলই না, তার তুলনায় এই হার অনেক বেশি।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, যেসব হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিতে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কম্পানিগুলো থেকে করোনা পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে টেস্ট কিট আনতে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস ডিপোকে (সিএমএসডি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

তিনি যোগ করেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু আরটি-পিসিআর সুবিধাসম্পন্ন মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা শুরু হবে। যেসব রোগীর কোভিড-১৯-এর উপসর্গ থাকবে বা যাদের ডাক্তাররা পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন, শুধুমাত্র তারাই পরীক্ষা করাতে পারবেন।

এদিকে গত ৬ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশিকা জারি করেছে। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও যাত্রীদের মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরপর থেকে দেশে ২০ লাখ ৫১ হাজারের বেশি আক্রান্ত ও ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ২০২১ সাল ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী।


আরও খবর



আত্রাইয়ে কৃষকের ঘরে ৩৬মনের ষাঁড় কাঙ্খিত দর পাওয়া নিয়ে শংকা!

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মফস্বল এলাকায় কোরবানীতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৩৬মন ওজনের একটি ষাঁড়। গত প্রায় চার বছর ধরে লালন-পালন করে ষাঁড় প্রস্তুতে সফল হলেও কাঙ্খিত দর পাওয়া নিয়ে চরম শংকায় পরেছেন তিনি। ষাঁড়টি প্রস্তুত করেছেন আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়নের তিলাবুদুরি মল্লিক পাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে প্রবাস ফেরৎ কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জাহিদুল মল্লিক।

তিনি জানান,গত ২০১৯সালে সৌদি আরবে গিয়ে দালালের খপ্পরে পরে নি:স্ব হয়ে মাত্র দুই বছরের মাথায় দেশে ফিরে আসেন। এরপর কৃষি কাজের পাশা পাশি বাড়ীতে গরুর খামার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সে সময় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রথমে একটি গরু দিয়ে শুরু করেন খামার।এরপর জমি বিক্রি করে ধীরে ধীরে খামারের পরিধি বাড়াতে থাকেন। এতে তার খামারে প্রায় ১২টি গরু তোলেন। কিন্তু গো-খাদ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু পালনে লোকসান হতে থাকলে খামার থেকে গরু বিক্রি করে গরুর সংখ্যা কমে দেন। তিনি আরো জানান,গত সাড়ে তিন বছর আগে বাড়ীর একটি গাভীকে ফ্রিজিয়ান জাতের বীজ দিয়ে প্রজনন করান। এরপর এই ষাড় জন্ম নেয়। শুরুতেই ষাঁড়ের দৈহিক গঠন দেখে পশু চিকিৎসকের পরামর্শে ষাঁড়টি লালন পালন শুরু করেন। এতে চোখের সামনে ধীরে ধীরে দানব আকার ধারণ করতে থাকে ষাঁড়টি। কৃষক জাহাঙ্গীর জানান,ষাঁড়ের পরিচর্জায় স্ত্রী-সন্তান সবাই শ্রম দেয়। ষাঁড়টি সম্পন্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাকা কলা,গম-ভূট্রার ভূষি আর ঘাস-খর খাইয়ে বড় করা হয়েছে ষাঁড়টি। তবে গ্রামের মধ্যে ছোট্র এই খামারে এত বড় দানব আকারের ষাঁড় রয়েছে এমনটি কেউ জানতো না। তবে বিক্রির জন্য লোকজনকে বলাবলি করতে থাকলে গ্রামের এবং প্রতিবেশি গ্রামের লোকজন একনজর দেখার জন্য ছুটে আসছেন। এখন প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকা থেকে ষাঁড়টি দেখতে এবং কিভাবে প্রস্তত করা হয়েছে তা জানতে লোকজন ছুটে আসছেন তার বাড়ীতে। জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, স্বপ্ন ছিল গরু পালনে সফল হবার,এতো বড় গরু প্রস্তুত করে সেই সফলতার নাগাল ধরতে পেরেছেন। তিনি বলছেন,স্বপ্নের ষাঁড়টি হয়তো ১৪লাখ টাকায় বিক্রি হবে। কিন্তু এপর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭-৮লাখ টাকা দাম বলছেন ক্রেতারা। তিনি বলছেন, ক্রেতারা যে পরিমানে দাম বলছেন,ষাঁড় প্রস্তুত করতে এর অধিক পরিমানে ব্যয় হয়েছে। ফলে কাঙ্খিত দর পাওয়া নিয়ে চরম শংকায় রয়েছেন জাহাঙ্গীর মল্লিক।

আত্রাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা আবু আনাছ বলেন,এবার উপজেলায় কোরবানী পশুর চাহিদা রয়েছে ২৭হাজার ৮৮৫টি,এর বিপরীতে কোরবানীর মোট পশু প্রস্তুত হয়েছে ৫৩হাজার ৫৬৭টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৮হাজার ৬০৮টি,মহিষ ৩০টি,ছাগল ৩৮হাজার ৩৩৯টি ভেড়া ৬হাজার ২০টি এবং গাড়ল রয়েছে ৭০টি। তিনি জানান, যতগুলো গরু রয়েছে এর মধ্যে তিলাবুদুরি গ্রামের জাহাঙ্গীর মল্লিকের ষাঁড়টি সবচাইতে বড়। কর্মকর্তা বলেন,রাজধানী বা বিভাগীয় পর্যায় ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে এতো বড় ষাঁড় বিক্রি হওয়া একটু মস্কিলই। তবে আমরাও চেষ্টা করছি যেনো ষাঁড়টি বিক্রি হয়। 


আরও খবর



ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে প্রায় ১০০টি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শুক্রবার এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, তারা এসব ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করতে কাজ করছে।

এর আগে আজ ভোররাতে ইরানের বিভিন্ন স্থানে আকাশপথে হামলা চালায় ইসরায়েল।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে প্রায় ১০০টি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান, যেগুলো আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডেফরিন জানান, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ২০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, যেগুলো দেশটির ভেতরে প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

গত রাতের ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান ও ইরানের জরুরি কমান্ডের প্রধান নিহত হয়েছেন বলে জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডেফরিন।

ইরানজুড়ে পাঁচটি ধাপে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অজ্ঞাতনামা একজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েল পত্রিকাকে এ কথা জানিয়েছেন।

একই কর্মকর্তা বলেন, ইরানে শত শত হামলা চালানো হয়েছে। অন্তত আটটি শহরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। সূত্র : এএফপি


আরও খবর